আজ এমন একজন ব্লগারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখছি যাকে নিয়ে লিখতে গেলে আমার শব্দভাণ্ডারে শূন্যতা বিরাজ করে। আমি খেই হারিয়ে ফেলি। কি লিখবো, কিভাবে তার সম্পর্কে পাঠকদের কাছে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করবো এসব ভাবনা মাথায় জট পাকিয়ে যায় এবং আমি ব্যক্ত করার মত শব্দ খুঁজে পাইনা।
সোনেলা ব্লগের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি। তার লেখা গল্প, কবিতায় পাঠক আধুনিকতার ছোঁয়া খুঁজে পান সবসময়। তার লেখায় সমসাময়িক বিষয়কে কবিতার পঙক্তিমালায় শব্দের শৈল্পিক কারুকাজে এমনভাবে ফুটিয়ে তোলার নিগূঢ় রহস্যের ব্যাখ্যা দেয়া আমার মত নগণ্য পাঠকের কাছে এক কথায় অসম্ভব একটি কাজ।
আপনি যদি সাহিত্য ভালোবাসেন এবং তার লেখা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলেও তাকে নিয়ে এবং তার লেখায় মন্তব্য করতে গিয়ে যেসব অভিজ্ঞতার মাঝ দিয়ে আপনাকে যেতে হবে তার নমুনা হচ্ছে-
প্রথমবার লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে কিন্তু কি মন্তব্য করবেন তা ভাবার জন্য আবারো সে লেখাটি আপনাকে পড়তে হবে। এরপর মন্তব্য লিখে প্রকাশ করার আগে মন্তব্যটি ঠিক হলো কিনা যা লেখার সাথে মানানসই সেটা বোঝার জন্য তার লেখাটিকে পুনরায় আপনাকে পড়ে সবকিছু ঠিক থাকলে কেবলমাত্র তখনই মন্তব্যটি প্রকাশ করতে হবে।
অর্থাৎ কমপক্ষে পুরো তিনবার পড়ার মত ধৈর্যশীল এবং মনোযোগী পাঠক হলেই কেবলমাত্র এটি সম্ভব। আর সেকারণেই তিনি আমার চোখে একজন অনন্য অসাধারণ লেখক যিনি লেখার মাধ্যমে পাঠককে তার নিজের লেখা বারংবার পড়ানোর এক নিপুণ কারিগর।
অথচ তিনি তার প্রোফাইলে লিখে রেখেছেন- “লেখালেখি আমার কম্ম নয় - সে আমি বুঝেছি জেনেশুনে বেশ আগে এবং ভালভাবেই, তবে পাঠক হওয়ার অদম্যতা দমনে অপারগ আমি বরাবরই......”।
আমি মনে করি এটি তার বিনয়ের প্রকাশ। তিনি যে নিখাদ একজন ভদ্রলোক সুলভ লেখক এবং পাঠক তার অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে তিনি কখনো তার লেখায় কিংবা প্রদেয় মন্তব্যে প্রচলিত আঞ্চলিক শব্দ ও ভাষার প্রয়োগ বা ব্যবহার করেননা। এটাই তাকে আধুনিক একজন লেখক হিসেবে এক অনন্য স্থান অর্জন করতে সাহায্য করেছে।
যার সম্পর্কে লিখছি তিনি আর কেউ নন, আমাদের সকলের প্রিয় এবং সোনেলার অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগার ছাইরাছ হেলাল ভাই।
তার প্রত্যেকটি লেখা সুনিপুণ শব্দশৈলীর মাধ্যমে সোনেলার পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছে সবসময়। নিত্যনৈমিত্তিক যাপিত জীবনের কথাগুলোকে তিনি পাঠকদের জন্য মন উজার করে লিখতে পারদর্শী। কবিতা কিংবা গল্পে তার লেখায় শব্দের ঝংকার মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে পাঠককে।
তিনি আমাকে নিয়ে কাহিল শীতের ভালোবাসাবাসি শিরোনামে একটি কবিতায় লিখেছিলেন-
"কাহিল শীতে, এই গ্রহণ-কালে,
শৈত্য-প্রবাহের সাথে হিম বৃষ্টি ঠেলে ফেলে,
হিমালয়ে সে যাবে, পণ ধরেছে!
শেরপা বিহীন চূড়োয় উঠে গিরি খাদের ভাঁজ-খাঁজ খুলে খুলে।"
যার প্রতিউত্তরে আমিও ভালোবাসাবাসির খেলায় উপেক্ষিত শীত শিরোনামে একটি কবিতা তাকে উপহার দিয়ে লিখেছিলাম-
"প্রকৃতির পরতে ছায়ামেঘে হেঁটে বেড়ানো নির্জনতায়,
একাকী হারিয়ে যায় সে শীতকে সাথে নিয়ে।
পিছে রেখে যায় আম্রকাননে আগত বসন্ত;
একঝাঁক কোকিলের কবি-বন্দনা সুর আর
তাঁর কবিতায় উন্মাতাল এক মাতোয়ারা পাঠকের মুগ্ধতা।"
যেটি তার লেখা কবিতার শব্দ অলংকারের ধারের কাছেও যায়নি। আসলে এটি লেখকের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা স্বীকারের একটি ব্যর্থ প্রয়াস বৈ অন্য কিছুই নয়।
আজ তিনি সঞ্চয়ের স্বপ্ন-স্বর্গ লেখাটির মাধ্যমে সোনেলায় নিজের ছয় শততম লেখার মাইলফলক স্পর্শ করলেন।
আপনাকে অভিনন্দন ছাইরাছ হেলাল ভাই।
ব্লগার ছাইরাছ হেলাল ভাই সোনেলায় নিবন্ধন করেছেনঃ ৭ বছর ৮ মাস আগে এবং পোস্ট লিখেছেনঃ ৬০০টি।
তিনিই সোনেলার একমাত্র ব্লগার যিনি এই মাইলফলক স্পর্শ করে আমাদের অনুপ্রাণিত করলেন, বেশি বেশি লিখতে উৎসাহ যোগালেন। আর একারনেই বলেছিলাম হেলাল ভাইয়ের মত এমন একজন ব্লগারকে নিয়ে লিখতে গেলে কেন শব্দ খুঁজে পাওয়া যায়না।
তিনি এ পর্যন্ত মন্তব্য করেছেনঃ ১৬৫২০টি এবং মন্তব্য পেয়েছেনঃ ১৮৮৬০টি
কাজেই বুঝতেই পারছেন তিনি তার লেখা দিয়ে এবং অন্যান্য লেখকদের লেখায় নিজের সুগঠিত মন্তব্য/মতামতের মাধ্যমে কিভাবে ব্লগে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। ব্লগার ছাইরাছ হেলাল ভাই আমাদের লেখনীয় শক্তির জন্য এক অনন্য অসাধারণ অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
সবশেষে আমার প্রিয় ব্লগারকে একটি কথাই বলতে চাই- ছাইরাছ হেলাল ভাই, কখনো যেন শুনতে না হয় আপনি ভালো নেই। আমরা নিয়মিত আপনার লেখা আমরা পড়তে চাই। সবসময় আমাদের লেখায় আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য আশাকরি। আপনার কাছ আমাদের অনেক কিছু শেখার বাকী আছে এখনো। আপনার গঠনমূলক মন্তব্য আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। নিজের আত্মবিশ্বাসকে পাথেয় করে আপনি সামনে এগিয়ে চলুন। সোনেলায় আপনার বিচরণ দীর্ঘতর হোক এটাই কাম্য।
ভালো থাকুন সবসময়।
৫২টি মন্তব্য
ইঞ্জা
অভিনন্দন কুবিরাজ ভাইজান, ছয়শত তম পোস্ট, ওরে বাবারে, সারা জীবন চেষ্টা করলেও তো রেকর্ড ভাঙ্গা আমাদের কম্ম নয়, সত্যি আমি রাজাদের রাজ, কুবিরাজ, আপনাকে বিনম্র স্যালুট।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ভাইজান।
ইঞ্জা
তৌহিদ ভাই, সুন্দর পোস্টটির জন্য অনিঃশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
তৌহিদ
আপনাকেও ধন্যবাদ দাদা, আসলে সোনেলার প্রিয় ব্লগারদের নিয়ে লিখতে ভালো লাগে আমার।
ইঞ্জা
ভালোবাসা জানবেন ভাই।
তৌহিদ
ভাই, আমি নিজেও গালে হাত দিয়ে বসেছি।৬০০ পোষ্ট, ভাবা যায়! যত যত উপমা সব তাঁকে দিলেও কম হয়ে যাবে!
ভালো থাকুন ভাই।
ইঞ্জা
সত্যি তাই,
ইঞ্জা
সত্যি তাই, এমন কম্ম শুধু কুবিরাজের দ্বারাই সম্ভব।
ছাইরাছ হেলাল
ভাইয়েরা আছে বলেই তো আওয়াজ তুলে টিকে থাকি।
ইঞ্জা
এ আপনার ভালোবাসা ভাইজান। 😍
ছাইরাছ হেলাল
আবার ও আপনার জন্য ভালোবাসা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
বাহ্ বাহ্!
ছয়শতম পোস্ট!
ভাবতে অবাক লাগে।
প্রাণডালা অভিনন্দন দাদা।
.
সাধুবাদ জানাই তৌহিদ দাদাকে ছয়শতম পোস্টের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
তৌহিদ
আপনাকেও শুভেচ্ছা রইলো দাদা, ভালো থাকুন সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও সাধুবাদ এমন লেখায়।
মাহবুবুল আলম
সোনেলা ব্লগের উদ্যোক্তাদের অন্যতম একজন ছাইরাস হেলাল ভাই ব্লগার হিসেবেও একনিষ্ঠ।
ব্লগে ইতোমধ্যে তিনি ষষ্ঠ শতক হাকিয়েছেন। ষা
তার পক্ষেই সম্ভব। ৬০০ তম পোস্টের জন্য
ছাইরাস হেলাল ভাইকে অভিনন্দ!!!
তৌহিদ
তাঁকে নিয়ে যতই লিখবেন কম মনে হয় আমার কাছে ভাইজান। ৬০০ পোস্টের মাইলফলক অতিক্রম করা একি যা তা কম্ম! আপনিও ভালো থাকুন সবসময়।
শুভকামনা রইলো ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
সব ই আপনাদের সৌজন্যে, অনুপ্রেরণায়।
ভাল থাকুন।
খাদিজাতুল কুবরা
হেলাল ভাইয়ার কবিতায় সুনিপুণ শব্দশৈলীর সমন্বয়ে কারুকার্য খচিত হয় তা আমি অবাক বিস্ময়ে বারবার পড়ি, তারপর মন্তব্য করি। আমি ভেবেছিলাম আমি অজ্ঞ পাঠক বিধায় আমার এমন হয়।
তৌহিদ ভাইয়ের লেখায় একই ব্যাপার উল্লেখ করায় আমি বুঝতে পারছি যে “ছাইরাছ হেলাল” একজন শব্দের প্রকৌশলী ।
তৌহিদ ভাইয়াকে ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর একটি পোস্টের জন্য।
তৌহিদ ভাইয়া আপনার সব লেখাই আমার ভালো লাগে।
একটুখানি হাতে চোট পেয়েছি তাই ক’দিন লিখতে পারতামনা। ইচ্ছে থাকলেও মন্তব্য করতে পারিনি।
এখন ঠিক আছি।
ইনশাআল্লাহ আবার নিয়মিত হতে পারবো।
তৌহিদ
বুঝতে পেরেছেন তাহলে! এ জন্যই তিনি একজন লেখক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন আপু। আসলে তার লেখার ভাবগাম্ভীর্যতা আমাকে অবাক করে সবসময়।
সুস্থ আছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। সোনেলা আপনার আমার আমাদের সকলের ভালোবাসার জায়গা। আপনারা আছেন বলেই এখানে বিচরণ করতে ভালো লাগে।
শুভকামনা রইলো আপু।
খাদিজাতুল কুবরা
অনেক শুভেচ্ছা রইলো ভাইয়া।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ওনার তুলনা উনি নিজেই। আপনি সত্যিই বলেছেন ওনার লেখার মন্তব্য করা চাট্টিখানি কথা নয়, কিন্তু উনি অন্যদের লেখায় এতো মজা করে মন্তব্য করে, ভুলগুলো ধরিয়ে দেন, অনুপ্রেরণা জোগান তা সত্যিই অনবদ্য অসাধারণ। ওনার সম্পর্কে কিছু বলার সাহস বা দুঃসাহস কোনটাই আমার নেই। আমি ব্লগে নতুন একবছর হয়নি এখনো তবুও তার কাছ থেকে এমন মন্তব্য, অনুপ্রেরণা, ভালোবাসা পেয়েছি যে তা আমার সারাজীবনের মুকুট, আশীর্বাদ হয়ে রইলো। ওনার সুস্থতা, দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ঈশ্বর ওনাকে আমাদের মাঝে এভাবেই বাঁচিয়ে রাখুক ভালোবাসা ও আশীর্বাদের ছায়া হয়ে। আর আপনাকেও ভাইয়া অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের অভিনন্দন জানানোর জন্য সুযোগ করে দিলেন বলে। খুব খুব ভালো লাগলো। আর আপনি ও অনেক অনেক ভালো লিখেন সেটা আমরা ও সবাই জানি। আপনি তার যোগ্য উত্তরসূরী হোন এটাই দেখতে চাই। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
তৌহিদ
আসলেও তাই, একজন সিনিয়র ব্লগার হিসেবে তিনি কিন্তু নীরঅহংকারী এবং নিঃস্বার্থভাবেই আমাদের পথ দেখিয়ে চলেছেন। তার এই ভাবনাকে সম্মান করি আমি আমরা সকলেই।
আর আমি! বাপরে! লেখকের ধারের কাছেও নেই। ভালো থাকুন আপু। শুভকামনা রইলো।
নিতাই বাবু
প্রথমেই কবি মহারাজকে ৬০০তম পোস্টে শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাচ্ছি। তারপর পোস্টদাতা আমার প্রাণপ্রিয় তৌহিদ দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এমন একটা খুশির সংবাদ সোনেলা ব্লগের সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শ্রদ্ধেয় কবি মহারাজ শুধু সোনেলা ব্লগে সম্মানিত কবিই নন, আমার জানামতে তিনি সোনেলা ব্লগের একজন কর্ণধারও। আমি দেখেছি, শ্রদ্ধেয় কবি মহারাজ নিজে তো লেখেনই, পাশাপাশি উনি সবার লেখাই খুব মন দিয়ে পড়ে থাকেন এবং সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যে লেখককে উৎসাহিত করে থাকে। আমি শ্রদ্ধেয় কবি মহারাজের দীর্ঘায়ু কামনা-সহ উনার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করি। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন শ্রদ্ধেয় কবি মহারাজকে লক্ষ বছর বাঁচিয়ে রাখে।
তৌহিদ
ধন্যবাদ দাদা! ঠিকই বলেছেন। একজন সহব্লগারের সকল গুণাবলী তার মাঝে বিদ্যমান। তিনি আমাদের জন্য অনুসরণীয় লেখক।
আপনিও ভালো থাকুন দাদা। শুভকামনা রইলো।
জিসান শা ইকরাম
ছয়শততম পোস্টের জন্য ছাইরাছ হেলালকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
হাজিরা মন্তব্য দিলাম। বিস্তারিত মন্তব্য আগামীকাল।
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাই, আপনাকেও শুভেচ্ছা রইলো। আসবেন কিন্তু! অপেক্ষায় রইলাম।
রেজওয়ানা কবির
অভিনন্দন ও শুভকামনা।
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
তিনি মহারাজ। এমন শত-শতকের রত্ন গুলো দিয়ে তিনি তার মুকুটের উজ্জ্বলতা কেবল বাড়িয়েই চলেছেন, সেই সাথে আলোকিত রেখেছেন আমাদের সোনেলা অঙ্গন। অজস্র অভিনন্দন, শুভেচ্ছায় ঘিরে থাকুন তিনি সারাক্ষণ। 🌹🌹
আপনাকেও ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই স্বরনীয় দিনটিকে সবার স্বরণে রাখার জন্য। 🌹🌹
তৌহিদ
আসলে হেলাল ভাইকে নিয়ে কিছু লেখা দুষ্কর একটি কাজ। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। সোনেলায় তার লেখাগুলো পাঠকের মনে দাগ কেটে যায় নিশ্চিত।
ভালো থাকুন আপু। শুভকামনা রইলো।
ফয়জুল মহী
সোনেলা বগ্লের একজন একনিষ্ঠ লেখক ও পাঠক । উনি একজন আন্তরিক ও প্রতিভা সম্পূর্ণ লেখক। আল্লাহ সহায় হোন । অভিনন্দন ।
তৌহিদ
আপনাকে ধন্যবাদ মহীভাই। আপনিও ভালো থাকুন সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ দিচ্ছি শুরুতেই।
যেমন সব সময়ই বলি ইহা নিতান্তই একটি সংখ্যা মাত্র।
আর যত সুন্দর সুন্দর করে প্রশংসা করলেন তাতে একটু বেশি বেশি ই লাগে/মনে হয় ।
মনের আনন্দ বেদনায় যখন যা মনে আসে তাই-ই লিখে ফেলি, লিখলে এক ধরনের স্বস্তি পাই।
কী লিখলাম তা মানোত্তীর্ণ হলো কী হলো না, সে ভাবনা একবার ও মনে আসে না।
কে পড়লো বা এড়িয়ে গেল তও সব সময় মনে আসে না। লিখি আর লিখি।
সবাই দোয়ায় রাখবেন, যে ক’দিন সুস্থ-সুন্দর থাকি আপনাদের সাথে /মাঝেই যেন কাটাতে পারি।
তৌহিদ
যদিও এটি একটি সংখ্যা তবে একে পেতে হলে দীর্ঘ সাধনা আর একাগ্রতা প্রয়োজন। সোনেলা এবং লেখাকে ভালোবাসলেই কেবল এটি সম্ভব।
মন্তব্যে যা বললেন- “মনের আনন্দ বেদনায় যখন যা মনে আসে তাই-ই লিখে ফেলি, লিখলে এক ধরনের স্বস্তি পাই। কী লিখলাম তা মানোত্তীর্ণ হলো কী হলো না, সে ভাবনা একবার ও মনে আসে না।
কে পড়লো বা এড়িয়ে গেল তও সব সময় মনে আসে না। লিখি আর লিখি।”
এটিই আমাদের সকলের জন্য অনুকরণীয় এবং শিক্ষণীয়।
আপনাকে আবারো অসংখ্য অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ভাই। শুভকামনা সবসময়।
আলমগীর সরকার লিটন
অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই—————
তৌহিদ
শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
কি বলে জানাই বন্ধু তোমায়
শুভেচ্ছা কিংবা অভিবাদন
৬০০তম লেখার মাইল ফলকে
হৃদয়ের উষ্ণতায় অভিনন্দন।
বন্ধু আমার লিখেন বেশ
ভয় ভীতিহীন ছন্দ লেশ
পড়তে আমি ভালই পারি।
মন্তব্য করতে দ্বিধায় পরি।
মহারাজের পালক তাহার
হেলাল ভাইয়ের নামের বাহার।
সুধী জনে নাম ডাক
সোনেলায় সুনাম তার।
হাস্যময়ী যাকে পাই
প্রিয় মোদের হেলাল ভাই
লিখতে থাকুন যতি নাই
চালিয়ে যান সেটাই চাই।
ভাল থাকুন । শুভ কামনা।
তৌহিদ
চমৎকার কবিতায় নান্দনিক প্রকাশ। আপনি দেখছি কথার যাদুকর!
শুভকামনা জানবেন দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনাকে ধন্যবাদ ভাইজান সুন্দর লেখার জন্য।
যার জন্য লিখলাম তিনি তো পড়ার ও সময় পেলেন না। না হয় ৬০১ তম লেখায় ব্যস্ত মনে হয়।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই এতো সুন্দর করে হেলাল ভাইকে তুলে ধরলেন বলে আমরা জানতে পারলাম।
আর অফুরন্ত শুভেচ্ছার ফুলঝুড়ি তাঁর জন্য যিনি ৬০০ এর সোনালী দরজায় পৌঁছে গেছেন।
আমি তো বলবো, উনি একটা অভিধান।
আমি আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
তৌহিদ
আপনাকেও শুভেচ্ছা রইলো আপু। ভালো থাকুন।
শামীম চৌধুরী
নিরন্তন অভিনন্দন ও ভালবাসা
তৌহিদ
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
মনির হোসেন মমি
তার লেখার লিখুনির কৌশলের বিষয়ে আমার মত অধম কিছুই বলতে পারবে না।মুলতঃ আমি যখন এ ব্লগে যোগ দেই তখন কবিতা প্রেমে মুগ্ধ হই।ভাষা শব্দের ব্যাবহার সব সব যেন আমি কোন এক নামকরা কবির কবিতা পড়ছি।তার প্রতিটি কবিতার শব্দগুলো আমার বেলায় বুঝে উঠা কঠিন হত।অন্যের মন্তব্য পড়ে বুঝতাম অনবদ্য একটি কবিতা। এমন কবিতা দিয়ে ছয়শত তম পোষ্ট দেয়া কম কথা নয়। আমার জানা মতে তিনিই এখন ব্লগের সর্বোচ্চ পোষ্টদাতা।
তার জন্য রইল এ অকবির এক বুক ভলবাসা শ্রদ্ধা।
অভিনন্দন এবং শুভ কামনা।
তৌহিদ
তিনি আমাদের জন্য গর্বের একজন মানুষ। তাঁর সাফল্য কামনা করি সবসময়। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। কবিতার ছন্দে একান্ত অনুভূতি প্রকাশ করা সত্যিই আশ্চর্যজনক একটি বিষয়।
শুভকামনা সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
ছাইরাছ হেলাল একজন নিভৃতচারী লেখক। নিজের প্রচার চান না, লেখা লেখিতেই তার আনন্দ। লিখে বই প্রকাশ করে লেখকদের তালিকায় নাম ওঠাবেন, এমন চিন্তা তার কখনোই ছিল না এবং এখনো নেই। অথচ কত মান সম্পন্ন লেখা তিনি লেখেন, তা আমরা সবাই জানি। একমাত্র নিজের মনের আনন্দের জন্যই তার লেখা। প্রচার বিমুখতার জন্যই তিনি তার ফেইসবুক আইডি ফ্রিজ করে রেখেছেন। যেখানে তার কোন এক্টিভিটি নেই বহু বছর। ফেইসবুক আইডি স্থবির বছরের পর পর, আজকাল এটি ভাবা যায় না।
যখনই সময় পান, তখনই পড়েন তিনি। একটি লেখা লিখতে প্রচুর সময় নেন। প্রথমবার লিখে কতবার যে এটির শব্দ পাল্টান তার হিসেব তিনিও জানেন না।
ছয়শত পোষ্ট! এটি যে কতবড় একটি অসাধ্য সাধন তা আমরা যারা লেখি তারাই উপলব্দি করতে পারি।
একই দিনে ব্লগে এসে আমার এখনো চারশত হতে পারলো না।
তার প্রতিটি লেখাই মান সম্পন্ন।
ব্লগারদের লেখা শিখান তিনি বলতে গেলে। মন্তব্যের মাধ্যমে কেউ কিছু জানতে চাইলে অবলীলায় তিনি লেখা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
সোনেলায় অনেক ব্লগার ছিলেন এবং আছেন যাদের লেখার মান ছাইরাছ হেলালের সংস্পর্শে এসে পাল্টে গিয়েছে।
অল্প কথায় সমস্ত পোষ্ট সম্পর্কে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করেন তিনি। তার মন্তব্যে সহ ব্লগারগন উৎসাহ পান।
চোখের সমস্যার কারনে আজকাল বেশিক্ষন থাকতে পারেন না তিনি ব্লগে।
তারপরেও যতক্ষন পারেন, ব্লগের অবিভাবক হিসেবেই থাকেন।
আল্লাহ্ তাকে সুস্থ রাখুক।
শুভ কামনা তার জন্য।
তৌহিদ
আপনার এই মন্তব্য আমার লেখাটিকে পূর্ণতা দিলো ভাইয়া। আরো বিস্তারিত তাঁর সম্পর্কে জানলাম আমরা। তিনি আমাদের জন্য গর্বের, অনুসরণীয় একজন ব্লগার। তাঁর সাফল্য কামনা করি সবসময়।
আপনিও ভালো থাকুন ভাই।
জিসান শা ইকরাম
ছাইরাছ হেলালের ছয় শততম পোষ্ট উপলক্ষে এত সুন্দর একটি শুভেচ্ছা, অভিনন্দন পোষ্ট দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
ভালবাসা থেকেই লিখেছি ভাইজান। এমন একজন ব্লগারকে নিয়ে লিখতে পেরে আমি নিজেই আনন্দিত এবং আমার জন্য সম্মানের বিষয়।
কামাল উদ্দিন
ওনার কবিতা পড়ে আমি কাকবাসী হতে চেয়েছি বারংবার, কিন্তু ব্যর্থতায় ছিলাম ষোল আনা। যদি ও তিনবার নয় কমপক্ষে প্রতিটা কবিতা আমি পাঁচ থেকে সাতবার করে পড়েছি………..অভিনন্দন সোনালার গুরু কে।
তৌহিদ
তাঁর লেখায় মন্তব্য করা খুবই কষ্টসাধ্য আমার কাছে। তবু বারবার পড়ি যাতে কিছু শিখতে পারি। তার সফলতা কামনা করি সবসময়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সঞ্জয় মালাকার
ছয়শততম পোস্টের জন্য ছাইরাছ হেলাল দাদাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তৌহিদ
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন।