তিনি লিখেছিলেন- কাহিল শীতের ভালোবাসাবাসির কবিতা।

নিঃস্ব-রিক্ত-একাকীত্বের আবেশে জড়িয়ে
সূদুর সাইবেরিয়ার হিম হিম ঠান্ডা ডাইনী শীত,
রক্তঠোঁটের আড়ালের সরু দন্ত দেখিয়ে-
তার ভালোবাসাকে উপেক্ষা করে;
হাতধরে টেনে নিয়ে যায় এস্কিমোদের দেশে।

বেলা-অবেলার ভালোবাসাবাসির ফাঁদে পড়ে
কখনো জুবুথুবু কুয়াশায় হাঁটুমুড়ে কিংবা
বরফশীতল গুহায় ঈষদুষ্ণ আগুনতাপে,
নির্বাক নয়নের নোনা বিন্দুজলে আর একনিষ্ঠ পণে;
স্বপ্নপূরণের উৎসবে মাতোয়ারা কবি-
ডুব সাঁতারে পেরোতে চায় শীত-নদী।

শরীরবক্রতার ইন্দ্রজালকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে,
মিষ্টিরোদ দুপুরের নিভৃত যাত্রাপথে
সোনালী ফসলের গাঁ ছুঁয়ে আল-মাড়িয়ে;
ধূসর আকাশকে রাঙিয়ে দিয়ে যায় যে-
বেলা-অবেলায়, জলোচ্ছ্বাসের পূর্ণিমায়।

অমোচনীয় কবিতার ডায়েরিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বগলদাবা করে
প্রকৃতির পরতে ছায়ামেঘে হেঁটেবেড়ানো নির্জনতায়,
একাকী হারিয়ে যায় সে শীতকে সাথে নিয়ে।
পিছে রেখে যায় আম্রকাননে আগত বসন্ত;
একঝাঁক কোকিলের কবি-বন্দনা সুর আর
তাঁর কবিতায় উন্মাতাল এক মাতোয়ারা পাঠকের মুগ্ধতা।

0 Shares

৪৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ