নিতাই বাবু

আমি শ্রী নিতাই চন্দ্র পাল (নিতাই বাবু)। জন্ম: ৮ জুন, ১৯৬৩ ইং ৷ জন্মস্থান নোয়াখালীর বজরা রেলস্টেশনের পশ্চিমে, মাহাতাবপুর গ্রামে ৷ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দশ বছর বয়সে ১৯৭৩ সালে আমরা সপরিবারে নোয়াখালীর বাড়ি ছেড়ে চলে আসি, নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানাধীন লক্ষণখোলা সংলগ্ন আদর্শ কটন মিলে। এখানে ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বসবাস করি ৷ এই আদর্শ কটন মিলস এ আমার বড়দা চাকরি করতেন। আর আমার বাবা স্বর্গীয় শচিন্দ্র চন্দ্র পাল চাকরি করতেন, শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম পাড় দি চিত্তরঞ্জন কটন মিলে ৷একসময় আদর্শ কটন মিলস্ বন্ধ হয়ে গেলে, শীতলক্ষ্যা নদীর পধচিমপাড় নগর খাঁনপুর এসে বসবাস শুরু করি। এরপর ১৯৯১ ইং সাল থেকে অদ্যাবধি সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল এলাকায় বসবাস করে আসছি।

  • নিবন্ধন করেছেনঃ ৬ বছর ১ মাস ১ দিন আগে
  • পোস্ট লিখেছেনঃ ১৭৯টি
  • মন্তব্য করেছেনঃ ৩৯৪৯টি
  • মন্তব্য পেয়েছেনঃ ৪০৫৯টি
ছোটবেলা যখন প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হলাম, তখন স্কুলের সমবয়সী ক্লাসমেট ছাত্র-ছাত্রীরা আমাকে দেখে হাসা-হাসি করতো। আবার দু'একজনে অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে থাকতো। কেউ কেউ আবার একটু ভয়ও পেতো। এর কারণ হলো, আমার চেহারা আরও দশজনের মতো নয়। এককথায় বলতে গেলে বলতে হয়, আমার চেহারা আরও দশজন সুশ্রী মানুষের চেয়ে কুশ্রী। এমনিতেই আমার গায়ের রং [ বিস্তারিত ]
বলছি ১৯৬৭ সালের কথা। সেসময় সবেমাত্র প্রাইমারি স্কুলেও ভর্তি হয়েছিলাম। স্কুল থেকে এসেই বই-স্লেট ঘরে রেখে সমবয়সী বন্ধুদের সাথে খেলতে বের হতাম। খেলা ছিলো ডাংগুটি ,গোল্লাছুট, নারিকেল পাতার বাঁশি বানানো অথবা সুপারি গাছের খোলের উপর বসে টানা-টানি। এই সুপারি গাছের খোল তখনকার সময়ে গ্রামীণ মানুষেরা  অনেক কাজে ব্যবহার করা হতো। গৃহস্থদের তো এমনিতেই কাজের শেষ [ বিস্তারিত ]

ভুটান ফুন্টসলিং ঘুরা-ঘুরির গল্প

নিতাই বাবু ১৩ আগস্ট ২০২২, শনিবার, ০৯:৫২:৩২অপরাহ্ন ভ্রমণ ১২ মন্তব্য
ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় একবার আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে ভারত গিয়েছিলাম। সময়টা ছিলো ১৯৯৩ সাল। যেদিন বেনাপোল বর্ডার পাড় হয়ে ওপার বনগাঁ পৌঁছেছিলাম, সেদিন ছিলো পহেলা বৈশাখ ১৪০০ বঙ্গাব্দ। সেদিনের ওই যাত্রায় আমরা ছিলাম চারজন। আমি, আমার বন্ধু ও বন্ধুর দুই বোন। বনগাঁ থেকে রাত দশটার ট্রেনে চড়ে দমদম নামলাম। রাত তখন প্রায়ই বারোটা। তারপর [ বিস্তারিত ]
বাংলাদেশের ৮টি বিভাগ রয়েছে। ৮টি বিভাগে রয়েছে ৬৮ হাজার গ্রাম। এই ৬৮ গ্রামের মানুষ কিন্তু শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলে না। শুদ্ধ বাংলা ভাষা যে বলতে পারে না, তা কিন্তু নয়। অনেকেই শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে। তারপরও যে যেই অঞ্চলের, সে সেই অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষাতেই কথা বলতে বেশি পছন্দ করে। কারণ মাটির টান [ বিস্তারিত ]

সে-সময় এ-সময়

নিতাই বাবু ১০ আগস্ট ২০২২, বুধবার, ০৪:২৮:৫৩পূর্বাহ্ন স্মৃতিকথা ৮ মন্তব্য
আমার জন্ম ১৯৬৩ সালের জুন মাসে। প্রায় চার বছর বয়সে আমাকে হাতেখড়ি দেয়া হয়। সাড়ে চার বছর বয়সে আমার বড় দাদা আমাকে আমাদের গ্রামেরই একটা প্রাইমারি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করে দেয়।  সে-সময় আমি ভালোমন্দ প্রায় সবকিছুই মোটা-মুটি বুঝতে পারতাম। এখন আমার বয়স ৫৯ বছর অতিক্রম করতে চলছে। আশা করি যদি বেঁচে থাকি ২০২৩ সালের [ বিস্তারিত ]
একদিন স্কুলে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস চলছিল। তখন আমার কাছে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র বই ছিলো না। স্কুলের টিফিন টাইমে আমি এক ক্লাসমেট থেকে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র বইটা চেয়ে নিয়ে ক্লাসে বসে বসে পড়া মুখস্থ করছিলাম। টিফিনের পরেই ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস। আমি ক্লাসরুমে বসে পড়তে পড়তেই টিফিন টাইম শেষ হয়ে গেল। সব ছাত্র-ছাত্রী ক্লাসে ঢুকলো। [ বিস্তারিত ]
স্বপ্ন কে না দেখে? স্বপ্ন দেখে আর স্বপ্ন নিয়েই তো মানুষ বেঁচে থাকে। নিজেও বেঁচে আছি স্বপ্ন দেখে! মানুষের মুখেও অনেক শুনেছি ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখার কথা। অনেক মানুষকে বলতে শুনেছি, "রাতে স্বপ্ন দেখলাম, আমেরিকা গিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রি করছি। সেই স্বপ্ন আমার ঘুম ভাঙার সাথে সাথেই শেষ"! আবার কেউ বলছিল, "রাতে স্বপ্নে দেখলাম, রাশিয়ার সাবমেরিনে [ বিস্তারিত ]
ছোটবেলা থেকেই রমেশের খুব শখ, কুকুর-বিড়াল পোষার। কিন্তু নিজের পৈতৃক ভিটেমাটি না থাকার কারণে এসব মনের শখ তার ভেস্তে যায়। তবুও রাস্তা-ঘাটে কোনও কুকুর-বিড়াল দেখলে রমেশ কাছে গিয়ে নিজ হাতে হাত বুলিয়ে আদর করে। রমেশ ছোটখাটো একটা চাকরি করে। বেতন যৎসামান্য! তবুও সবসময়ই ওদের কাছে ডাকে, খাবার কিনে দেয়, খাওয়ায়। এভাবেই রাস্তা-ঘাটে অযত্নে-অবহেলায় থাকা বেওয়ারিশ [ বিস্তারিত ]
বছর তিনেক আগে একটা জরুরি কাজে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিলাম। যাচ্ছিলাম অটো চড়ে। হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট পেরিয়ে যখন কিল্লারপুলের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, রাস্তার বাম পাশে ময়লা আবর্জনায় মধ্যে একটা ডাকবাক্স দেখতে পেলাম। যা এখনও একইভাবে ঠিক আগের জায়গাতেই আছে। ডাকবাক্সটি অনেক আগে থেকেই এখানে বসানো হয়েছিল। তবে আগে ডাকবাক্সটির সামনে এতো ময়লা আবর্জনা ছিল না, সবসময় পরিষ্কারই ছিল। [ বিস্তারিত ]

কবির মন (সোনেলা ম্যাগাজিন ২০২২)

নিতাই বাবু ২৭ জুলাই ২০২২, বুধবার, ১০:২২:৪৯পূর্বাহ্ন কবিতা ৯ মন্তব্য
কবির মন, শুধু ভাবে কী যে লিখি এখন কারণে আর অকারণ, রাতদিন যখন-তখন, বিচলিত কবির মন, কী লিখবে যে কখন ঘুমহীন চোখে, কবি ভাবে বসে সর্বক্ষণ! কবির মন, স্রষ্টার সৃষ্টি নিয়ে ভাবে কীভাবে হয়েছিল শুরু, শেষ হবে কীভাবে, কী কথা ছিলো, আর কী করছি ভবে যখন যাবো চলে, তখন কী হবে? কবির মন, ভাবে সুন্দর [ বিস্তারিত ]
আম খামু, জাম খামু খামু মাল্টা পানিফল, পেয়ারা বাঙ্গি আনারস খামু শইল্লে বাড়ামু বল! তাল খামু বেতফল খামু খামু বুটিজাম কৎবেল, ডালিম আতা বাদাম খামু শইল্লে বাড়ামু তেল। জলপাই খামু বেল খামু খামু গোলাপজাম তেঁতুল, আমড়া লেবু নাইরকেল খামু করতাম নাতো ভুল! আমরুজ খামু তরমুজ খামু খামু পেঁপে কাঠবাদাম, কলা লিচু কামরাঙা খামু না থাউক [ বিস্তারিত ]
এদেশে বাটন মোবাইলের পাশাপাশি ২০০৭ সাল থেকে যখন টাচ্ স্কিন মোবাইল বাজারে আসে, তারপর থেকে এদেশের বেশিরভাগ মানুষের হাতে এই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দেখা যায়। এইধরনের মোবাইলগুলো অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম হওয়াতে স্কিনে হাতের আঙুলের স্পর্শে অনায়াসে মোবাইলের সমস্ত অপশনে প্রবেশ করা যায়। শুধু তা-ই নয়, এসব মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ অ্যাক্টিভ থাকলে, মোবাইল সিস্টেমে থাকা যেকোনো ব্রাউজারে [ বিস্তারিত ]
একটা দেশের রাষ্ট্রনায়ক মানেই অনেক অনেক ক্ষমতার অধিকারী। সূর্য যেমন পৃথিবী-সহ এই মহাবিশ্বকে আলোকিত করে রাখে, ঠিক একজন রাষ্ট্রপ্রধানও উনার মানবিকতার গুনে পুরো একটা দেশেই আলো ছড়িয়ে রাখতে পারে। এককথায় বলতে গেলে রাষ্ট্রনায়ক হলেন গোটা একটা দেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি। এতো এতো ক্ষমতার অধিকারী হওয়া স্বত্ত্বেও কখনও-কখনও তাঁরা অসহায় হয়ে পড়েন আততায়ীর কাছে। মৃত্যুর [ বিস্তারিত ]
সময়টা তখন ১৯৯৩ ইংরেজি ১৪০০ বঙ্গাব্দ। সেসময় আমি আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে ভারত গিয়েছিলাম। গিয়েছিলাম অনেক আশা নিয়ে। কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হয়নি। খামোখা দেড়বছর নিজের পরিবারবর্গ থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরেছিলাম। লাভের মধ্যে লাভ হয়েছিল আমার বড়দি’র দেখা পেয়েছিলাম। দিদির বাড়ি খুঁজে পেয়েছিলাম। আমার বড়দি’র বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বীরপাড়া। [ বিস্তারিত ]
সকালে ঘুম থেকে ওঠে মোবাইলটা অন করে প্রথমেই ফেসবুকে টু মারা হলো, অনেকেরই দিনের প্রথম কাজ। তারপরই অনলাইনে থাকা আরও আরও সামাজিক সাইটে আনাগোনা-সহ নিজের দৈনন্দিন কাজ শুরু করেন অনেকেই। কিন্তু নিজের দৈনন্দিন কাজ কোনদিন গোল্লায় গেলেও ফেসবুকটাকে কেউ গোল্লায় যেতে দেয় না। কারণ বর্তমান সময়ে ফেসবুকটা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বুকের মধ্যিখানে কাঁঠালের আঠার মতো সবসময়ের [ বিস্তারিত ]

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ