পল্লীবালার মন

নিবিড় রৌদ্র ১৪ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ০১:৩৯:৩৮পূর্বাহ্ন কবিতা ৪ মন্তব্য

হইতায় যদি তরুর ছায়া ভাটির কোনো গায়
বাইস্যা মাসে ভাইসা যাইতাম পিরিতের মায়ায়,
অথৈ কলো-কলো জলে চরণের আশ্রয়ে
পলির ঢেউয়ে নূপুর হইয়া থাকিতাম জড়ায়ে;
কোমরেরও বিছা হইতাম, হইতাম গলার হার
আর জনমে হিজল হইয়ো— কালনী গাঙের পাড়।

ঢোল কলমির বেড়া বন্ধু— পানায় ছাওয়া ছানি
জোয়ারে ভাটাতে দুলতো কামনার ঘরখানি,
নাও বান্ধিবার শিকড় যেমন হাওড়ে— আন্ধারে
অকূলে দেয় গতির দিশা কূল হারাইবার পরে;
জল-কুসুমের নোলক হইতাম, হইতাম কানের দুল
আর জনমে হইয়ো রাধে— বাঁওড়-বটমূল;

ভোরের সুরুজ কপালে লাল মানস-মঙ্গল টিপে
সরবে গরবের পট আঁকতো ধীবর দ্বীপে,
ডুবে ডুবে জুটতাম অচিন রাজহংসীর দলে
মমতা আড়াল না-করা দৃশ্যেরও কৌশলে;
ঠোঁটে শামুক-হাসি হইতাম, হইতাম অভয় ডানা
আর জনমে তমাল হইয়ো— ভেড়ারও মোহনা।

মাতাল হাওয়ার উতাল পরশ পিদিম জ্বলা রাতে
বিধুরও আবেশে বধূ সোহাগ ঢালতো পাতে,
সন্ধ্যা-স্নানের পরাগ হইয়া সিক্তা খোলা চুলে
আদরে মিশিয়া যাইতাম অঙ্গেরও আঁচলে;
শালুক লতার মালা হইতাম, হইতাম গো কঙ্কণ
আর জনমে হইয়ো প্রিয়— পল্লীবালার মন।

—————

0 Shares

৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ