প্রদীপ চক্রবর্তী

কী এমন মহাকান্ড রামলোচন? আজ্ঞে কর্তা মশাই কান্ডটা আপনার নাকের ডগায়! এ কী বলছো রামলোচন? আজ্ঞে কর্তা মশাই নাকে একবার হাত দিয়ে দেখুন। ফলাফল পাঁচমিনিটের মধ্যে। আরে কী সব বকবক করছো রামলোচন। কী হয়েছে সেটা বলার হলে বলো। তোমার সবসময় ন্যাকামো আমার পছন্দ নয়। এছাড়া আমি কি তোমার দাদাঠাকুর? আজ্ঞে না কর্তা মশাই। আপনি কেন আমার [ বিস্তারিত ]

“আনন্দপুরের ভূতের কান্ড” পর্ব-১

প্রদীপ চক্রবর্তী ৯ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১০:১০:০৫অপরাহ্ন গল্প ১৮ মন্তব্য
আজ ঘোর মহা অমাবস্যা! বিলাস বাবু একজন তান্ত্রিক কালী মায়ের উপাসক। বাড়িতে আজ কালীপূজার আয়োজন করেছেন। বিলাস বাবু একজন সদাচারী ব্রাক্ষণ। কালীপূজা, দূর্গাপূজা,সরস্বতীপূজা আর যাজনিক করে সংসার পরিচালনা করেন। পরিবারে সস্ত্রীক ও ছেলেমেয়ে নিয়ে মোট চারজনের সংসার। বড় ছেলে বিনু পাড়ার ছোটখাটো টুলের পন্ডিত। বিলাস বাবুর গিন্নী ললিতা রাণী ঘরের কাজকম্ম নিয়ে সারাদিন ক্লান্ত। এমনিতেই [ বিস্তারিত ]

মৃত্যুশোক

প্রদীপ চক্রবর্তী ৬ এপ্রিল ২০২০, সোমবার, ০৭:২৪:০২অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৩ মন্তব্য
মৃত্যুশোক কত নির্মম কত দুর্বিষহ। আজ পৃথিবী তার সমস্ত ভাষা হারিয়ে ফেলছে। মানুষ তো কবে থেকেই নির্বাক। নদীপৃষ্ঠের রেখায় নির্জনতা আর ঘোলাটে স্রোতে দিগন্ত জুড়ে বিস্তৃত প্রকৃতিও আজ শোকের চাদরে নিমজ্জিত। হয়তো এ ভয়াবহ মৃত্যু মিছিলে যত্রতত্র পড়ে থাকবে রাস্তায় রাস্তায় মানবের লাশ! এ মহামারি ভয়ানক সংক্রামকে তোমার পরিবার পরিজন,প্রিয়জন কেউ কাফন সরিয়ে তোমাকে শেষবারের [ বিস্তারিত ]

আকুতি

প্রদীপ চক্রবর্তী ২ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার, ০৫:১৬:৫৫অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৩ মন্তব্য
হয়তো এ শহরে খানিকক্ষণ পর বৃষ্টি নামবে! মন্দির,মসজিদ থেকে ধ্বনিত হবে পবিত্রতার বাণী। ঘরবন্ধি মানুষ কিছুটা অনুপ্রাণিত হবে। বহুপ্রতীক্ষার পর শহরের গায়ে আস্তরণ পড়া ধূলিকণা মিশে যাবে বৃষ্টিজলের মর্মপলব্ধিতে। চৈত্রদগ্ধ আর বসন্তের যৌবনে দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুশোকে কাতর গোটা পৃথিবীর মানুষ। যে মৃত্যুপথ সম্মুখীন হয়ে আছে তার পূর্বা সম্পর্কিত কোন তথ্য ছিল না। কেবল মৃত্যুর মিছিল [ বিস্তারিত ]

স্বাধীনতা

প্রদীপ চক্রবর্তী ২৬ মার্চ ২০২০, বৃহস্পতিবার, ০৮:৪৮:০৯পূর্বাহ্ন কবিতা ২৭ মন্তব্য
স্বাধীনতা তোমার প্রতীক্ষায় কবিরা আজ অপেক্ষারত, দিগন্ত ফসলের মাঠ রবি ছায়ায় আচ্ছাদিত। স্বাধীনতা তুমি আসবে বলে মাঠেঘাটে তোমার জয়গান, কাকডাকা ভোরে বসন্তের কোকিলের কুহুতান। স্বাধীনতা তুমি আসবে বলে দিগন্তে জেগেছে শঙ্খধ্বনি, হে লৌহমানব বঙ্গবুকে দিয়েছ তুমি মুক্তির জয়ধ্বনি। স্বাধীনতা তুমি লক্ষকোটি জনতার প্রাণ, তুমি লৌহমানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতা তুমি হোমবহ্নি, কাঁধে ঝুলানো যুবকের [ বিস্তারিত ]

অভিবাদন হে লৌহমানব

প্রদীপ চক্রবর্তী ১৭ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:৫৮:০৪অপরাহ্ন কবিতা ১৮ মন্তব্য
তুমি উদিত রক্তিম সূর্য, মহাসাগরের মুক্তো, আকাশের মহানক্ষত্র। তুমি বঙ্গবুকে নিপীড়িত, বঞ্চিত, শোষিত জনগনের মুক্তির মহানায়ক। তুমি সমরের মহাযোদ্ধা, মহাবীর, তুমি মহারথী। তুমি বন্ধু, তুমি পিতা, তুমি বেঁচে থাকার মহাসঞ্জীবনি। তুমি স্বপ্নদ্রষ্টা, তুমি বাঙালির রাজনীতির মহাকবি। তুমি বিশ্বচরাচরে স্বাধীনতাকামী মানুষের সাহসী তর্জনী। তুমি শাশ্বত কন্ঠের পূজারি, তুমি মহারুদ্র। তুমি স্বাধীনতার সংগ্রাম, তুমি মুক্তির ভগবান। তুমি [ বিস্তারিত ]
আমি সভ্যতার এক নগ্ন পরিবেশ হতে উঠে এসেছি। যেখানে ছিলোনা ল্যাম্পপোস্টের জলমল আলো। আমার বিবর্তন হয়েছে, কিন্তু পরিবর্তন হয় নি। আমার অতীতের স্মৃতি সিন্ধু সভ্যতার তীরে গড়ে উঠা মেসোপটেমিয়াতে ধংস হয়ে গিয়েছে। তাই আমি কত অব্যক্ত যন্ত্রণার সাক্ষী। আমি স্বাধীন হয়েছি। কিন্তু পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ। আমি ডুবেছি ভরাবর্ষায়। দুচোখ ভরে দেখি নাই শীত,বসন্ত। আমি হন্যে [ বিস্তারিত ]

হোলি কী

প্রদীপ চক্রবর্তী ৯ মার্চ ২০২০, সোমবার, ১০:২৩:৩৩পূর্বাহ্ন বিবিধ ২৩ মন্তব্য
সবাই হোলি নিয়ে ছবি ভরা পোস্ট দিচ্ছে। কিন্তু হোলি কি? কেন? এ প্রশ্নগুলো কি কারো মাথাতেই খেলছে না? বর্তমান সময়ে রঙের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, এমনকি শ্রীকৃষ্ণ রাধার হোলি মাখা ছবিগুলো দেখে অনেকেই বলেছেন এর নামই কি হোলি?! দৈত্যরাজ হিরণ্যকিশপুর কাহিনি আমরা সকলে জানি। ভক্ত প্রহ্লাদ অসুর বংশে জন্ম নিয়েও পরম ধার্মিক ছিলেন। তাঁকে যখন বিভিন্নভাবে চেষ্টা [ বিস্তারিত ]

হিমঘুমে মরসুম

প্রদীপ চক্রবর্তী ৫ মার্চ ২০২০, বৃহস্পতিবার, ০৯:৫৮:১৯অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৩ মন্তব্য
ওরা আলোতে সন্ধ্যা মেখেছিল খানিকটা বেনিয়ার মতো। একটু আর্দ্র  উষ্ণ লেলিহান বিষাদিনীর মতো। ওরা শেষ বিকেলে বাতাবিলেবুর গন্ধ মাখতে গিয়ে মেখেছে সর্বাঙ্গে ফাল্গুনের বিকশিত কাঞ্চন ফুলের মুহুর্মুহু গন্ধ। তখন গোটা শহর জুড়ে চলছে বসন্তের মরসুম। স্তব্ধ মাঠে সোনালি বিকেলের শেষ রোদ্দুরে মুঠো শূন্যতা আর পাখিরা ঝাঁক বেঁধে ফিরছে আপন নীড়ে। অনাদি কাল হতে নদীরা বয়ে [ বিস্তারিত ]
বইমেলায় যখন নিজের বই নিয়ে রথীমহারথীদের সম্মুখে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম তার পেছনে আমার বাবা মায়ের আশীর্বাদ ছিলো বলে তাঁদের সম্মুখে গিয়ে দাঁড়াতে পেরেছি। যখন বইমেলা থেকে বাড়ি ফিরছি তখন রথীমহারথীদের স্নেহ,ভালোবাসা আর আশীর্বাদ নিয়ে বাড়ি ফিরেছি। খালি হাতে ফিরি নি। আজ হতে আমি একা নয় বরং একা থেকে সহস্রের পথে উত্তরণ হয়েছি তাঁদের ভালোবাসায়। হয়তো সপ্ত [ বিস্তারিত ]

একুশ মানেই

প্রদীপ চক্রবর্তী ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ০৭:০৮:৪৪পূর্বাহ্ন কবিতা ৯ মন্তব্য
একুশ মানেই অহংকার, একুশ মানে কৃষ্ণচূড়ার গায়ে রক্তস্নাত। একুশ মানে বসন্তেরকোকিল কুহুধ্বনি। একুশ মানে সূর্যাস্তের লালচে রং। একুশ মানে পবিত্র বেদীতে দেখা রক্তেমাখা শহীদ। একুশ মানে কন্ঠে কন্ঠে পবিত্র সংগীত। একুশ মানে শ্লোগানে জাগরিত করা শহীদের আত্মা। একুশ মানে নগ্নপদে বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা। একুশ মানে আবালবৃদ্ধবনিতার মুখে মাতৃভাষা। একুশ মানে ফাল্গুনের বিকশিত আম্রমকুল। একুশ [ বিস্তারিত ]

অবতরণিকা

প্রদীপ চক্রবর্তী ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার, ০৬:১৪:৫৬অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩১ মন্তব্য
এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে মানুষ সাহিত্য চর্চা কখন থেকে শুরু করেছে বা সাহিত্যের গোড়াপত্তন কখন কোথায় আমি জানিনা। তবে আমার একান্ত ভাবনা স্রস্টার সৃস্টির প্রথম লগ্ন থেকেই সাহিত্যের বিচরণ। কারণ এই ধরণীর জন্মলগ্ন থেকেই যদি,চন্দ্র,সুর্য, সাগর নদী,ফুল,গাছ, পাহাড়,আকাশ,থাকে,তাহলে সাহিত্যও ছিলো। কারণ যুগে যুগে মহাকবিগণ সাহিত্যিকগণতো এইসব প্রকৃতি থেকেই আস্বাদন করেছেন সাহিত্যের রস। এক কথায় ঐসব প্রকৃতির [ বিস্তারিত ]
পৌষালী রৌদ্রে দিগন্তের আরক্তিমে আকাশপানে যখন মেঘের ভেলা উড়ে গোধূলি নদীর স্রোতে। উপায়ন্তরহীন মগ্নতায় মেঘেরা বৃদ্ধ হয় সমুদ্দুরের রাখালিয়া বাঁশির সুরে, খেয়ালি মাঝির অনুভূতির কবিতা তখন হাওরের বুক জুড়ে উষ্ণতা খুঁজে রক্তজবার রক্তবর্ণ আঁচে। আমাদের শহরে আজও পৌষালি সন্ধ্যার কুয়াশা ডাকা মাঠ জুড়ে কাবেরী ধানের গন্ধ নামে। কৃষকের ঘরে ঘরে ভরে উঠে পৌষসংক্রান্তির নবান্ন। পৌষালি [ বিস্তারিত ]

উত্তরায়ণ বা পৌষ সংক্রান্তি কি

প্রদীপ চক্রবর্তী ১৪ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ০৮:২৮:৪২অপরাহ্ন বিবিধ ১৬ মন্তব্য
প্রায় ৫০০০ বৎসর পুর্বে দ্বাপর যুগে হস্তিনাপুর রাজ্য নিয়ে নিয়ে এবং অধর্মের বিনাশ ও ধর্ম প্রতিষ্টার লক্ষে কৌরব ও পান্ডব পক্ষের মধ্যে ধর্মক্ষেত্র কুরুক্ষেত্রে এক মহাযুদ্ধ হয়=এই যুদ্ধে কৌরব পক্ষের প্রধান সেনাপতি ছিলেন ব্রহ্মচারী চিরকুমার মহাবীর পিতামহ ভীষ্মদেব=পান্ডব পক্ষে প্রধান সেনাপতি ছিলেন মহাবীর অর্জুন=দশম দিনের যুদ্ধে পিতামহ ভীষ্মদেব মহাবীর অর্জুনের শরাঘাতে শরশয্যায় পতিত হন=পিতামহ ভীষ্মদেব [ বিস্তারিত ]

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ