হয়তো এ শহরে খানিকক্ষণ পর বৃষ্টি নামবে!
মন্দির,মসজিদ থেকে ধ্বনিত হবে পবিত্রতার বাণী।
ঘরবন্ধি মানুষ কিছুটা অনুপ্রাণিত হবে।
বহুপ্রতীক্ষার পর শহরের গায়ে আস্তরণ পড়া ধূলিকণা মিশে যাবে বৃষ্টিজলের মর্মপলব্ধিতে।
চৈত্রদগ্ধ আর বসন্তের যৌবনে দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুশোকে কাতর গোটা পৃথিবীর মানুষ।
যে মৃত্যুপথ সম্মুখীন হয়ে আছে তার পূর্বা সম্পর্কিত কোন তথ্য ছিল না। কেবল মৃত্যুর মিছিল আর আকণ্ঠ উন্মাদনায় ভরপুর এ বিশ্বজগত।
নয় যুদ্ধ, নয় সংঘাত সে তো কাল্পনিক এক ভয়ানক মৃত্যুের সংক্রামক।
ভৃত্যের ভূমিকায় নেই বায়স্কোপ নেই ডাকঘর সবই নিস্তব্ধ চৈত্রের এ খাঁ খাঁ ভরদুপুরে।
নেই প্রিয়জন,নেই চিঠি আছে শূন্যবুকে একাকীত্বের দীর্ঘশ্বাস। শুধু মৃত্যু আর মৃত্যুর সম্ভাষণে আমার বিশ্বজগত আজ কাঁদছে।
কত প্রেম, কত অজানা স্বপ্নের আড়ালে কাঁদে বিভাবরী। একে একে আজ অস্তাচলের অবসানে।
আজ রবীন্দ্র কন্ঠে ধ্বনিত হয়না ওগো আজ যাসনে তোরা ঘরের বাইরে।
সমস্ত পৃথিবীতে শুশ্রূষা নেই। নেই সম্ভাষণ।
তবুও মানুষের মস্তক নত মন্দির,মসজিদ জুড়ে।
কবে আবার মৃত্যুশোক থেকে আশার প্রদীপ জ্বলে উঠবে?
সকলি ধ্বংসের পথে,সকলি আজ মৃত্যুর পথে।
মনের আকাশে আজ জমেছে কালো মেঘের ছায়া।
আস্তিন থেকে ভূগলোকের প্রতিটি মানুষ বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখুক।
গোলাপের ন্যায় প্রস্ফুটিত হোক প্রতিটি মানুষের জীবন। মানুষের এ মৃত্যুশোক কেটে উঠার শক্তি দাও হে ঈশ্বর। মানুষের এ আকুতি, মানুষের এ প্রার্থণাকে গ্রহণ করো তুমি।
হে ঈশ্বর মানুষকে বেঁচে থাকার প্রতিষেধক দাও।
দাও বেঁচে থাকার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র।
১৩টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার লেখা পড়ছি যখন তখনি বৃষ্টি হচ্ছিল। লেখা খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
এস.জেড বাবু
অতপর বর্ষণ
যেন কবিতার স্বপ্ন পূরণ
///হে ঈশ্বর মানুষকে বেঁচে থাকার প্রতিষেধক দাও।
দাও বেঁচে থাকার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র।
সুরাইয়া পারভীন
একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে
থেমে যাবে কাল্পনিক এক ভয়ানক মৃত্যুের সংক্রামক।
চমৎকার লিখেছেন দাদা।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
সুপায়ন বড়ুয়া
“গোলাপের ন্যায় প্রস্ফুটিত হোক প্রতিটি মানুষের জীবন। মানুষের এ মৃত্যুশোক কেটে উঠার শক্তি দাও হে ঈশ্বর। “
ঈশ্বর অবশ্যই আমাদের মনোবাসনা পূর্ণ করবে
ততক্ষন আসুন ঘরে থাকি।
শুভ কামনা।
ফয়জুল মহী
ভালোবাসা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।
ইঞ্জা
সমস্ত পৃথিবীতে শুশ্রূষা নেই। নেই সম্ভাষণ।
তবুও মানুষের মস্তক নত মন্দির,মসজিদ জুড়ে।
কবে আবার মৃত্যুশোক থেকে আশার প্রদীপ জ্বলে উঠবে?
সকলি ধ্বংসের পথে,সকলি আজ মৃত্যুর পথে।
মনের আকাশে আজ জমেছে কালো মেঘের ছায়া।
আস্তিন থেকে ভূগলোকের প্রতিটি মানুষ বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখুক।
মনটা খারাপ হয়ে আছে, জানিনা সাক্ষাৎ মৃত্যু আশেপাশে কখন ঘুরে, ভয়েই আছি দাদা।
হালিম নজরুল
চৈত্রদগ্ধ আর বসন্তের যৌবনে দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুশোকে কাতর গোটা পৃথিবীর মানুষ।
———-চমৎকার
রেহানা বীথি
আমাদের প্রার্থনায় সাড়া দিক ঈশ্বর।
খুব সুন্দর লিখেছেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমাদের আকুতি, প্রার্থনা সৃষ্টিকর্তার নিকটে যেন পৌঁছে যায়। তিনি আল্লাহ তাআলা, ছাড়া আর কে আছেন যে আমাদের ডাকে সাড়া দিবেন। আমরা তার কাছেই ক্ষমা চাই, সাহায্য চাই। আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রার্থনা কবুল করে নিন। (আমিন)
শুভ কামনা প্রদীপ,
ভালো থেকো, নিরাপদে থেকো 🌹🌹
সুরাইয়া নার্গিস
অসাধারণ লেগেছে কবিতাটা,প্রতিটা চরন অনেক সুন্দর হয়েছে।
শুভ কামনা রইল
তৌহিদ
আসুক বৃষ্টি অঝোর ধারায়। এই ধরাধামে সকল পঙ্কিলতা মুছে যাক। সতেজতা ফিরে আসুক প্রকৃতির বুকে, মানুষের মনে প্রানে। দারুন লেখা পড়লাম দাদা।
জিসান শা ইকরাম
এই মৃত্যু মিছিলের অবসান হোক।
ভালো লিখেছ প্রদীপ।
শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
প্রতিষেধক পেতে নাকি অনেক সময় লেগে যাবে, জানিনা ততোদিনে আমরা কতোটা সুরক্ষিত থাকতে পারবো।