জ্যাম-ভালবাসার হঠাৎ মৃত্যু

মনির হোসেন মমি ৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, ০৬:৫৮:১০অপরাহ্ন গল্প ২৯ মন্তব্য

-কীগো হলো তোমার?আমি যাচ্ছি খোকাকে নিয়ে তুমি জলদি এসো।
বলে মজিদ-আয়োজিত তার ছোট ভাইয়ের বিয়ের বর যাত্রীর গাড়ীর সামনে গিয়ে দাড়ালেন।প্রায় আট দশটি হাইয়েজ প্রাইভেট কারে যে যার মতন উঠছেন।বরের প্রাইভেট কারটিতে বর আসতে বাকী।বাড়ী সহ বরের গাড়ীর বিয়ের সাজঁসজ্জা সব পরিপূর্ণ। এ দিকে দেরী হয়ে যাচ্ছে দেখে মজিদ আবারো ঘরে গেলেন তাঁর প্রানের প্রিয়তমাকে নিয়ে আসতে।
রুমে প্রবেশে ঠিক চৌকাঠ হতেই দেখা যাচ্ছে ড্রেসিং টেবিলে বসে তাঁর প্রিয়তমা সহধর্মীনি গালে ব্রাস দিয়ে পলিশ করছেন।নিঃশব্দে চৌকাঠে দাড়িয়ে থাকা ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় প্রিয়তমার সাজঁ ভরাট ফ্রন্টসাইটি দেখে মুগ্ধ হলেন।আহা্ কত দিন এভাবে তাকানো হয়ে উঠেনি ওর দিকে।জীবন সংগ্রামের ব্যাস্ততায় মজিদের যৌবনের রঙ্গীন দিনগুলো পানসে হয়ে আছে।জীবনে প্রেম উকিঁ দিয়েছিলো বহুবার।রূপের আগুনে পুড়ে যেতেও ইচ্ছে ছিল মন কিন্তু বাস্তবতা বড় কঠিন।কর্মহীন আশ্রয়হীন এক অনিশ্চিৎ ভবিষৎ জীবনে কাউকে এনে কষ্টের সাগরে ফেলতে সে না চাওয়ার মন মানষিকতাই বিয়ের বয়স পার হয়ে যাবার পরও সে সাংসারিক কোন বন্ধনে জড়াননি। ঘরে চৌর্দ্দ পনের বছরের এক ভাই, দুই বোন আর বুড়ো মা বাবাকে সুখে রাখতে যৌবনটাকে বলিদান করে অবশেষে চল্লিশোর্ধ বয়সে বিয়ে করেন এই মহিয়সী নারীকে।মা বাবা তার বিয়ের ঠিক দু বছরের মাথায় পরলোক গমন করেন।তাঁর প্রিয়তমাকে মহিয়সী নারী বলার কারন হল তার-মজিদের সংসারের ভালবাসায় তার আত্মত্যাগ।বিয়ের পর ছোট ভাই বোনগুলোকে মানুষ করতে  তাঁরা কোন সন্তান নেননি প্রায় দশ বারো বছর।বউয়ের অকৃত্রিম ভালবাসা পরিশ্রমের ফল হিসাবে আজ তাঁরই ছোট ভাইটি বুয়েট হতে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে দেশে বড় একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পনীতে জব করছেন।ভাল টাকার মায়না পান।সাথেতো গাড়ী বাড়ী সার্ভিস আছেই।তাদের বোন দুটোকেও লেখা পড়ায় উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করিয়ে বিয়ে দিয়েছেন বেশ ভাল ঘরে।তারা এখন বেশ সুখে আছেন। বোন দুটোর বিয়ের পরই তাঁরা তাদের প্রথম সন্তান নেন।একমাত্র পুত্র সন্তান আর ছোট ভাইটিকে নিয়ে তাদের সুখের সংসার চলছিল। আজ সেই একমাত্র ছোট ভাইটির বিয়ের অনুষ্ঠান।অনুষ্ঠান আয়োজনে কোন অংশে কোন কমতি রাখেননি।
বে-খেয়ালী মন হঠাৎ খেয়ালে ফিরে এল।সাজঁরত ড্রেসিং টেবিলে বউয়ের পিছনে মৌনতায় দাড়াতেই আয়নায় ধরা খেল তার অববয়।
-কী কেমন লাগছে আমায়?
-লাগছেতো বেশ!মনে হয় আবারো বিয়ে করি তোমায়।
আলতো করে পিছন হতে বউয়ের দুকাধে দুহাত রেখে আয়না রূপসী বউয়ের রূপে মুগ্ধ হয়ে কথাগুলো বললেন।পরক্ষণে বর যাত্রার সময় অপচয়ের কথা ভেবে বউকে শাসালো।
-আর কত?তাড়াতাড়ি কর।ঐদিকে সময় যে চলে যাচ্ছে।
-এইতো হয়ে গেছে।
কপাল বরাবর বেশ একটা গোলাপী টিপ লাগালেন অতপর নিজেকে আরেকবার ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় দেখে নিলেন।অতপর সাজেঁ নিজেকে স্যাটিসফাই মনে করে করে বের হবার প্রস্তুতি নিলেন।
-চল।সবাই রেডিতো?
-হ্যা…কেবল তুমি ছাড়া।
-চল..।
মজিদ সাহেবের প্রাইভেটে তার পরিবারের তারা দুজন এবং তাদের একমাত্র চাচাত ভাইয়ের ছেলে এবং পরিবারের তিনজন।অন্যদিকে বরের গাড়ীতে দুই বোন আর বোন জামাইরা।মোটমাট দশটি গাড়ী শুভ বিবাহের শুভ যাত্রায় রওয়ানা দিলেন।

যান্ত্রীক শহরের যান্ত্রীক মানুষগুলো দিক বেদিক কর্ম ব্যাস্ততায় ছুটে চলছেন।এরই মাঝে গাড়ী ঘোরার হর্ণ আর কালো ধোয়ায় দোষিত নগরের বায়ুমন্ডলে শুধু নাক চেপে পথচারীদের পথচলা।পথচারীদের নাকচেপে পথ চলা দেখে প্রাইভেট কারে মজিদের ছয় সাত বছরের কৌতহলী একমাত্র ছেলে ভাঙ্গা ভাঙ্গা শব্দে তাকে কিছু প্রশ্ন করল।
-বাবা ওবাবা…ঐ যে ওরা সবাই নাক চেপে মুখে মাকস লাগিয়ে হাটছেন কেন?
-দেখছো না বাহিরে কত ধূলা উড়ছে!এ সব দূষিত বায়ু দেহে ঢুকলে দেহ অসুস্থ হয়ে পড়বে তাই ওরা ওভাবে হাটছে।
-এতো ধূলো হয় কী করে?
-ঐ যে নির্গত গাড়ীর কালো ধোয়া আর আমাদের রাস্তায় নোংরা ধূলাগুলো।
-টিভিতেতো দেখছি কত সুন্দর সুন্দর পরিস্কার রাস্তা।
-যা দেখেছো তা হয়তো বিদেশী রাস্তা হবে।ওরা পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে সব সময় নিজেকে নিজের আশপাশকে সব সময় পয় পরিস্কার রাখেন।
-তাহলে আমরাও কেন ওদের মতন করি না?
-আমরা পারি না…।।
-কেন?আমরা কী ওদের মতন মানুষ না?
এ প্রশ্নের কী জবাব দেবেন মজিদ তাই অগত্যা চুপ হয়ে থাকেন।

এ দেশে আরো একটি কমন বিষয় হল যানজট ব্যা জ্যাম।এ যেন নিত্য দিনের আহার।পৃথিবীর মানুষগুলো যখন মঙ্গলে বসবাসের চিন্তায় মশগুল সেসময় পৃথিবীতে টিকে থাকার এ দেশটির মানুষেরা সব দিক দিয়ে এখনো অপরিপক্ক।যানবাহন কিংবা যাতায়াতের নেই কোন নিয়ম শৃংখলার মধ্যে।রাস্তার নেই তেমন কোন ওয়ানওয় রোড ফ্লাইওভার ব্রীজ কিংবা নিদিষ্ট প্লেসে বাস থামবার যাত্রী ছাউনী। পাশকৃত আইন বাস্তবায়নে রোডে জনগণ বা ড্রাইভাদের নেই কোন নিয়ম কানুনের পরোয়া,নেই সাংকেতিক চিহ্নের লেস কিংবা রোডে জেব্রাক্রসিং এর মতন আন্ডার লাইন।যে যার মতন যে ভাবে পারেন হর্ণ এর প্রতিযোগীতায় দিশে হারা জনজীবন।

বরযাত্রীর গাড়ীগুলো বহু জ্যাম পেরিয়ে কনের বাড়ীতে যেতে প্রায় দূপুর পেরিয়ে গেল।কনে বাড়ীর লোক খবর পেয়ে দেশের ঐতিহ্য বিয়ের গেইটে বরকে বিভিন্ন ধাঁধাঁয় আটকিয়ে বকশিস আদায় করার পর্ব শুরু করে দিল।অসম্ভব মনোমুগ্ধকর একটি পর্ব বরকে অতিক্রম করতে হয় খুব সুকৌশলে।অনেক সময় মুরুব্বিরা এসে বকশিস দিয়ে ধমক দিয়ে বকশিস চাওয়াদের আনন্দ করার মন ভেঙ্গে দেয়।এ ক্ষেত্রে তা আর হলো না।আয়োজকদের অনেক পীড়াপীড়িতে বরকে পকেটে হাত ঢুকাইতেই হল।মানবে না তারা দুই তিন পাঁচ হাজারে,তাদের চাই দশ হাজারে।অগত্যা হঠাৎ বরের ভাই মজিদ এসে দশ হাজারের একশো টাকার একটা বান্ডিল দিতেই হুড়রে…বলে আনন্দে মেতে উঠল তারা।বাতাসে উড়তে থাকল বাহারী রংয়ের জরির ঝলকানী।পৃথিবীর সব সূখ আনন্দ উল্লাস যেন এখানে নেমে এল।বর দল বেধে তার আসনে গিয়ে বসলেন।এদিক ওদিক সেদিক সব দিক দিয়ে উকিঁ দিচ্ছেন বিভিন্ন বয়সী নতুন জামাই দেখার কৌতুহলী মানুষগুলো।এ দিকে কিছু দায়ীত্বশীল ব্যাক্তিরা কনের জন্য আনা বর পক্ষের জিনিসপত্রগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছেন কনে পক্ষকে।খাবার পর্ব শেষ করে মজিদ সময়ের সাথে আনুষ্ঠিকতা কী ভাবে দ্রুত শেষ করা যায় তাই ভাবছিলেন।সাথে ছিলো তার ছেলে।ঠিক সে সময় সামনে এলেন কনের বাবা।মজিদ তাকে দেখে উঠে দাড়ালেন।কনের বাবাও তার স্বভাবসূলভ ব্যাবহারে পুত্রাকে ভাল মন্দ জিজ্ঞাসা করলেন।
-বাবাজী খাওয়া দাওয়া করেছো?
-জ্বী…তাওয়ি…যতটুকু সম্ভব একটু তাড়াতাড়ি করবেন…রাস্তাঘাটে জ্যামের যে অবস্থা!
-জামের কথা আর কইও না বাবাজী! এই জ্যাম প্রতিদিনই টিভিতে দেহি আর ভাবি শহুরের মানুষগুলো দৈনিক কাজগুলো সময়ের সাথে করে কী করে?এই দেহনা তোমার ভাই মানে আমার চাচত ভাইয়ের পরিবারের কেউ এহনো আইতে পারল না।ফোন করাতে বলল জামে আছে।
কৌতুহল মজিদের ছেলে তাদের কথার মাঝে কথা কাটে।
-নানু ভাই…জাম কী?
কনের বাবা নাতীর গালে মুখে চুমো দিয়ে আদর করে বললেন।
-ওরে আমার বাহুবল নানুভাই যে!তুমি কেমন আছো?
-ভাল।বললে নাতো জাম কী?
-জাম হল ঐ যে রাস্তায় দেখোনা কত কত গাড়ী ঘন্টার পর ঘন্টা থাইমা থাহে।
নাতী বুঝতে পেরে মিটমিট করে হেসে বলল।
-হি হি হি ওআচ্ছা..ওটাতো জাম না ওটা হলো জ্যাম,বুঝলে।
-ঐহল আর কি!
-না হলো না,জাম হল গাছের ফল আল্লাহর দান আর জ্যাম হল সময়ের অপচয় মানুষের সৃষ্টি।বুঝলে বুদ্ধো কোথাকার?
নাতীর বুদ্ধিদীপ্ত কথা গুনে নাতীর মাথায় আদরের পরশ বুলায়।
-হ,নানুভাই বুঝছি আমিতো আর তোমার মতন অতো শিক্ষিত না তাই একটু আধটু ভুল হয় আরকি।চলো আমরা এবার তোমার নতুন কাকী মায়ের কাছে যাই।চল…।
-চল।…

মজিদের এক চাচাত ভাই নাম তার শাকিব।যেন অনেকটা দেশীও সিনেমা হিরো শাকিব খান আর দেশের গর্ব ক্রীকেটার শাকিবের আদলে গড়া এক প্রেমিক পুরুষ।ইতিমধ্যে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে প্রথম পরিচয় হতে হয়ে যাত্রী হিসাবে এসে কনে বাড়ীর এক রূপসী কন্যাকে এর মধ্যেই পটে ফেলেছেন।নাম তার হালের নায়িকা নূসরাত।রূপে উচ্চতায় বেশ মানানসই এক অপরূপ প্রেমিক জুটি বিয়ে বাড়ীর সবাইকে পাশ কাটিয়ে চুটিয়ে প্রেমে মশগুল বৃক্ষঘেরা বাড়ীর শান বাধাঁনো পুকুর ঘাটে।ঘাটের উপরে এক বান্ধবীকে পাহাড়ায় রেখে এসে ঘাটের জলে জলের সনে চলছে নায়িকার মান অভিমান আর ভালবাসার খেলা।নায়ক তার পাশেই দু’সিড়িঁ উপরে ঘাটের সিড়িঁতে বসে অনমনে চেয়ে আছেন তার প্রানে।
-কী এভাবে শুধু জলের সাথেই কথা বলবে নাকি পাশে বসে কিছু কথা আমার সাথেও বলবে।
-জানেন যখন আমি খুব নিজেকে একা ফিল করি তখন এ ঘাটে এসে জলের জল তরঙ্গের সাথে খেলা করি।মন ভাল হয়ে যায় নিমিশেই।
-এখনতো তুমি আর একা নও…সাথে যে,কেউ একজন আছে তা কী ভুলে গেলে।
নূসরাতের থিম ফিরে এলো।তাইতো..।জল তরঙ্গ সঙ্গ ত্যাগ করে শাকিবের পাশে গিয়ে বসলেন।তারপর বললেন।
-আপনিতো কিছুক্ষণ পরই চলে যাবেন তারপর আমি হয়ে যাব একা।তখন এই জলের ছল ছল শব্দ বলে দিবে ভীনদেশীরা এমনি হয় যেন ফুলে বসবে আবার স্বার্থ হাসিল হলে চলেও যাবে তখন তুমি হয়ে যাবে আবারো একা।
-কে বলছে আমি চলে গেলেও তুমিও একা হয়ে যাবে?ভালবাসতে জানলে কেউ কখনো একা হয় না।
-মুখে না বললেও বুঝেতো নিয়েছেন…তবুও কেন এমন ভয়।
-কী?তুমিও আমায় ভালবাস?
-হুম,
-না,একটুও না।তুমি আমাকে হয়তো এখনো আপন ভেবে ভালবাসতে পারোনি।
-কেন?কি ভাবে বুঝলেন?
-ঐযে এখনো তুমি আমাকে কেবল আপনে আপনে সম্মোধন করে বলে যাচ্ছ।
-বারে আপনি আমার চেয়ে অনেক বড় না?
-কত বয়স আর বড় হবো তাছাড়া ভালবাসায় আপনে বলে কোন শব্দ থাকতে নেই তাতে সম্পর্কটা পর পর মনে হয়।
-তাই!
-হুম…
ঠিক এর মধ্যে ঘাটের উপরে তাদের পাহাড়া দেয়া এক সখীর ডাক।
-কীরে তোদের হল? বিয়ে পড়ানো শেষ এবার বর যাত্রী যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে।তাড়াতাড়ি কর।
সখীর কথা শুনে খুব বিরক্তবোধ করল সে-ইস্ প্রেম করার সময় কেন যে এতো দ্রুত চলে যা।
মনে মনে বলে বান্ধবীকে বলল।
-আসছি..।
নূসরাত সিড়িঁ বেয়ে উপরে উঠতে শুরু করবেন।ঠিক সে সময় ওর বা হাতটি থাবা দিয়ে ধরল শাকিব।
-কী!কিছু না বলেই চলে যাচ্ছ।
ঘুরে তাকালো নূসরাত শাকিবের মুখ বরাবর।শাকিব লক্ষ্য করল নূসরাতে মুখবয় জুড়ে এক রাজ্য হতাশার ছাপঁ।দু’চোখের কোণেতেও জমেছে ভালবাসার জল পরাগ।হয়তো বিদায়ের এ মুহুর্তটা তার মন সায় দিচ্ছে না।শাকিব তার খুব কাছাকাছি এগিয়ে গেল।ভারাক্রান্ত মনে নূসরাতের চোখের কোণে জমে থাকা জলগুলো দেখিয়ে বলল।
-তোমার কাজল চোখের জলের ঐ জমানো মেগগুলোই বলে দেয় তুমি আমাকে প্রচন্ড ভালবেসে ফেলেছো।আমিও কথা দিচ্ছি এই দীঘির জলকে স্বাক্ষী রেখে-আজীবন তোমারি থাকব।
হাতে থাকা শাকিব তার গোপালটি তার প্রতি ভালবাসার নির্দেশন হিসাবে সমপর্ণ করলেন।
-চোখের জল মুছে এবার একটু হাসো?
নূসরাত অভয়ের বাণী শ্রবনে এক হাতের তালুতে জল মুছে মুচকি হেসে গোলাপটি খূপায় গুজতে গুজতে দৌড়ে চলে গেলে বিয়ে বাড়ীতে। শাকিবও ধীরে চলে গেলেন সেখানে।

বিয়ের পর্ব শেষ করে বাড়ীতে প্রস্তুতি চলছে কন্যাদানের।এক এক করে বর যাত্রীরা সবায় যে যার গাড়ীতে উঠে পড়ছেন,কেউ বিদায় নিচ্ছেন কেউ বা কাউকে খুঁজছেন বাড়ী ফেরার তরে।শাকিব খুজছেন তার প্রিয়তমা নূসরাতকে।অন্তত যাবার বেলায় শেষ দেখাটা না হলে যে মন খারাপ হয়ে থাকবে তার।এদিক সেদিক তাকাচ্ছেন।নাহ্ কোথাও নেই।মন ভীষন রকমের খারাপ হয়ে গেল তার।মন খারাপ নিয়েই সে তার গাড়ীতে উঠে বসল।অতপর গ্লাসে বাহিরে নজর রাখছেন একটি মুহুর্তের জন্য হলেও নূসরাতকে দেখা যায় কীনা।

চলবে...

ছবিঃ কালেক্টটেড

0 Shares

২৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ