জন্মিলে মরতে হয় জানি! জীব মাত্রই মরণশীল, তা-ও জানি! একদিন-না-একদিন মরতে হবে। এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে জানি। এই জানা শুধু আমিই জানি, তা নয়! এটা সব মানুষেই জানে। আমরা কেউ অমরত্ব জীবন নিয়ে এই সুন্দর পৃথিবীতে আসিনি। কেউ রোগে মরে। কেউ ভুগে মরে। কেউ রোড এক্সিডেন্টে মরে। কেউ মাতৃগর্ভে মরে। কেউ মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হবার সাথে সাথেই মরে। কেউ মাতৃদুগ্ধের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে। কেউ তা থেকে বঞ্চিত হয়ে চলে যায় না ফেরার দেশে। কেউ সু-মরা মরে। কেউ কু-মরাও মরে। যে যেভাবেই মৃত্যুবরণ করুক-না-কেন, মরতে হবে সবাইকে। কেউ আগে। কেউ পরে। কিন্তু মৃত্যুকে আমি কোনও সময়ই ভয় করি না। তবে বর্তমানে করোনাভাইরাসকে ভীষণ ভয় করি।
এই ভয় শুধু আমার একার নয়! এটা এখন সবাইর। যেসব সৈনিকরা মরণকে উপেক্ষা করে যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ করে। তাঁরাও বর্তমানে সরকারের নির্দেশে বাধ্যতামূলক ব্যারাক থেকে হবার সময় করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ভাইরাস প্রতিরোধক সুরক্ষা সামগ্রী পরিধান করে। যাতে অন্তত প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তারপরও কেউ মুক্তি পায়, কেউ পায় না। বর্তমান সময়ে চিকিৎসকরা নিশ্চয় কম সতর্কে থাকেন না। তাঁদের হাত, পা, মুখ, মাথার চুল পর্যন্ত ঢাকা থাকে, করোনাভাইরাসের ভয়ে। তারপরও বিজ্ঞ চিকিৎসকদেরও এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রমণ করে ফেলছে। কারোর মৃত্যুও হচ্ছে।
বর্তমানে বড় বড় ক্ষমতাসীন, প্রভাবশালী, বড় বড় ব্যবসায়ীরা এই করোনাভাইরাসের ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। তাহলে আমি কেন কাঁপবো না? আমার ভীষণ ভয় হয়। সারাদিন অফিসে কাজে ঘরের বাইরে থাকতে হয় আমার। অনেক মানুষের সাথে কথা বলতে হয়। অনেক জায়গায় যাতে হয়। রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার মাঝে অনেকের শরীরের সাথে নিজের শরীর স্পর্শ হয়। তখনই মনের ভেতরে ভয় ঢুকে যায়। কারণ এই শয়তান প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস যে কার শরীরে আছে, তা বলা মুশকিল!
যতদিন সরকার ঘোষিত লকডাউন ছিল, ততদিন একটু নিরিবিলি চলতাম ফিরতাম। এখন আবার সেই আগের মতনই সব এলোমেলো হয়ে গেল। হাটবাজারে রাস্তাঘাটে শহরের অলিতে-গলিতে পাড়া-মহল্লায় সবখানে লোকে লোকারণ্য। ঘর থেকে বের হলে মনে হয় না যে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের আক্রমণ আমাদের দেশে আছে। অথচ প্রতিদিন নতুন করে যোগ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলে। আক্রান্তের সারিতে তো প্রতিদিন প্রায় হাজার দেড়েক ছাড়িয়ে যায়। তবুও আমাদের একটুও হুঁশ জ্ঞান নেই। আমরা যেন করোনাভাইরাসকে জয় করে ফেলছি।
আমরা বর্তমানে অনেকেই ভাবি, "এই রোগে আমাকে কিছুই করতে পারবে না।" কিন্তু তা আমি ভাবি না! আমি ভাবি, হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস আমাকেই আক্রমণ করে ফেলবে। তাই মৃত্যুকে ভয় না করে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসকে ভীষণ ভয় করছি! ভয় করার কারণও আছে। কারণ হলো, যদি এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আমি আক্রান্ত হই, তাহলে আমার সাথে আমার সহধর্মিণীকেও আক্রমণ করে ফেলবে।
যদি তা না-ও করে, প্রশাসনের লোকজন এবং এলাকায় জনপ্রতিনিধিরা জোর করে হলেও আমার সহধর্মিণীকে কোয়ারেন্টিনে আবদ্ধ করে রাখবে। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করবে। নেগেটিভ হলেও অন্তত ১৪/১৫দিন তাঁকে কোয়ারেন্টিনে আবদ্ধ করে রাখবে।সাথে আমার পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়াদেরও একইরকম অবস্থা হবে। আর যদি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করি। তাহলে আমার সহধর্মিণীও আমার মরদেহ দেখতে পারবে না। ছুঁতেও পারবে না। এসবের কারণেই আমি মৃত্যুকে ভয় না করে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসকে ভীষণ ভয় করি। জানি না আমি এবং আমাদের মৃত্যু কোথায় কীভাবে হবে। তা কেবল জানে মহান সৃষ্টিকর্তা। প্রার্থনা করি, মহান সৃষ্টিকর্তা যেন কাউকে এই রোগে না মারে।
২৬টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সৃষ্টিকর্তা সবার মৃত্যু কিভাবে , কোথায়, কখন হবে সব ঠিক করে রেখেছে। তবুও আমরা প্রতিমূহুর্ত সাবধানে থাকি, অসুখে ডাক্তার দেখাই, ওষুধ খাই, ভালো খাবার খাই। খুব ভালো লাগলো আপনার ভাবনা গুলো। ঈশ্বর সবার মঙ্গল করুন। সাবধানে থাকুন নিরাপদে থাকুন
নিতাই বাবু
সত্যি দিদি, আমি বর্তমানে খুবই ভয়ে ভয়ে থাকি! আমার এই নগন্য জীবনের জন্য ভয়ে থাকি না, দিদি। ভয়ে থাকি নিজের সহধর্মিণী ও একই বাড়ির সকল ভাড়াটিয়াদের জন্য। একজনের জন্য সকলেরই বিপদ হতে পারে, তাই আমার যতো ভয়!
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শামীম চৌধুরী
দাদাভাই,
খুব মন দিয়ে পড়লাম। সকাল থেকেই ভাবছিলাম এমন একটা লেখা লিখবো। হুবহু আপনার মতন। আমার মনের কথাগুলি আপনি বলে দিলেন। আমি জীবনে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কাউকে ভয় করিনি বিনা অপরাধে। অপরাধ করলে নিজেই স্বীকার করতাম আমি অপরাধী। আর এই আদর্শকে সামনে রেখে এতটা পথ চলেছি। তবে আজ বড্ড ভয় এই অদৃশ্য করোনাকে। সচেতনতাই এখন বেঁচে থাকার মূল শক্তি।
ভাল লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো।
নিতাই বাবু
বর্তমান সময়ে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে এবং নিজের সহধর্মিণীকে ভাড়াটিয়া বাড়ির সকল ভাড়াটিয়াদের বাঁচাতে খুবই সচেতন হয়ে পড়েছি, দাদা। তবুও মনের ভেতর থেকে ভয় দূর করতে পারছি না। একটু শরীর ব্যথা হলেই, মনের ভেতরে করোনা’র সুর বাজতে থাকে। তখনই একটা নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট গিলে ফেলি। এ হলো আমার বর্তমান সময়ের অবস্থা, দাদা।
শামীম চৌধুরী
ইশ্বর আপনাদের সহায়ক হোক।
শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
দাদা এটাইতো বাস্তবতা
জানা নেই আর কতকাল চলবে
এই অচলাবস্থা।
মানুষ যে বুঝে না আজো
কখন কিভাবে চলতে হয়।
এটাই হচ্ছে বড় ভয়।
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
বর্তমান সময়ে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে এবং নিজের সহধর্মিণীকে ভাড়াটিয়া বাড়ির সকল ভাড়াটিয়াদের বাঁচাতে খুবই সচেতন হয়ে পড়েছি, দাদা। তবুও মনের ভেতর থেকে ভয় দূর করতে পারছি না। একটু শরীর ব্যথা হলেই, মনের ভেতরে করোনা’র সুর বাজতে থাকে। তখনই একটা নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট গিলে ফেলি। এ হলো আমার বর্তমান সময়ের অবস্থা, দাদা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
ঈশ্বর আর প্রকৃতি সহায় হোক।
ভয়ানক মরণব্যধি থেকে আমাদের বাঁচতে হলে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
ভালো লিখলেন দাদা।
শুভকামনা।
নিতাই বাবু
বর্তমান সময়ে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে এবং নিজের সহধর্মিণীকে ভাড়াটিয়া বাড়ির সকল ভাড়াটিয়াদের বাঁচাতে খুবই সচেতন হয়ে পড়েছি, দাদা। তবুও মনের ভেতর থেকে ভয় দূর করতে পারছি না। একটু শরীর ব্যথা হলেই, মনের ভেতরে করোনা’র সুর বাজতে থাকে। তখনই একটা নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট গিলে ফেলি। এ হলো আমার বর্তমান সময়ের অবস্থা, দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
স্রষ্টার কাছে শুধু প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছি না।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন এই প্রার্থনাই করি।
নিতাই বাবু
মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপার উপরই সবকিছু ছেড়ে দিয়েছি, শ্রদ্ধেয় কবি মহারাজ। জানি না সামনে কী হয়!
আশীর্বাদ প্রার্থী।
ইসিয়াক
প্রভু আমাদের রক্ষা করো।প্রর্থনা আর সাবধানতা ছাড়া আর কি বা করার আছে।
ভালো থাকবেন দাদা। শুভকামনা।
নিতাই বাবু
বর্তমান সময়ে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে এবং নিজের সহধর্মিণীকে ভাড়াটিয়া বাড়ির সকল ভাড়াটিয়াদের বাঁচাতে খুবই সচেতন হয়ে পড়েছি, দাদা। তবুও মনের ভেতর থেকে ভয় দূর করতে পারছি না। একটু শরীর ব্যথা হলেই, মনের ভেতরে করোনা’র সুর বাজতে থাকে। তখনই একটা নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট গিলে ফেলি। এ হলো আমার বর্তমান সময়ের অবস্থা, দাদা।
আপনাদের সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী!
মাহবুবুল আলম
নাই নাই ভয়!
হবে হবে জয়!!
ভয়ের কিছু নেই নিতাই দা। আমাদেরজয় সুনিশ্চিত।
ভাল থাকবেন!
নিতাই বাবু
মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন অতি তাড়াতাড়ি এই প্রাণঘাতী ছোবল থেকে আমাদের সবাইকে রক্ষা করে।
জিসান শা ইকরাম
ভাইরাসটি নিয়ে মনের অভ্যন্তরের আতংক দুর করতেই পারছি না।
বাস্তব অবস্থাটি তুলে এনেছেন লেখায়।
এ থেকে মুক্তির পথ জানিনা কেউ।
শুভ কামনা দাদা।
নিতাই বাবু
বর্তমান সময়ে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে এবং নিজের সহধর্মিণীকে ভাড়াটিয়া বাড়ির সকল ভাড়াটিয়াদের বাঁচাতে খুবই সচেতন হয়ে পড়েছি, দাদা। তবুও মনের ভেতর থেকে ভয় দূর করতে পারছি না। একটু শরীর ব্যথা হলেই, মনের ভেতরে করোনা’র সুর বাজতে থাকে। তখনই একটা নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট গিলে ফেলি। এ হলো আমার বর্তমান সময়ের অবস্থা, দাদা। আবার শোনা যায় যে, এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে খরচ বাবদ ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা গুনতে হয়! এসব শুনে আরও কাহিল হয়ে পড়ছি। শেষতক মহান সৃষ্টিকর্তা আর আপনাদের সকলের আশীর্বাদ ছাড়া, এ থেকে বাঁচার উপায় দেখছি না। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের সকলের সহায় হয়।
তৌহিদ
এখন করোনাভয়ে ভীত সবাই। মৃত্যু একদি আসবেই তবে নিজের অসচেতনতার জন্য অকাল মৃত্যু কাম্য নয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কাজ করতে হবে।
ভালো থাকুন দাদা।
নিতাই বাবু
বর্তমান সময়ে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে এবং নিজের সহধর্মিণীকে ভাড়াটিয়া বাড়ির সকল ভাড়াটিয়াদের বাঁচাতে খুবই সচেতন হয়ে পড়েছি, দাদা। তবুও মনের ভেতর থেকে ভয় দূর করতে পারছি না। একটু শরীর ব্যথা হলেই, মনের ভেতরে করোনা’র সুর বাজতে থাকে। তখনই একটা নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট গিলে ফেলি। এ হলো আমার বর্তমান সময়ের অবস্থা, দাদা।
আপনাদের সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী!
তৌহিদ
আমরা সবাই আসলে অজানা আতঙ্ক নিয়ে দিন পার করছি দাদা।
আরজু মুক্তা
এখন বাহির থেকে আসলেই মনে হয়, জ্বর আসছে।
কি যে একটা পরিস্থিতি!
সবাই ভালো থাকুক
নিতাই বাবু
বর্তমান সময়ে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে এবং নিজের সহধর্মিণীকে ভাড়াটিয়া বাড়ির সকল ভাড়াটিয়াদের বাঁচাতে খুবই সচেতন হয়ে পড়েছি, দাদা। তবুও মনের ভেতর থেকে ভয় দূর করতে পারছি না। একটু শরীর ব্যথা হলেই, মনের ভেতরে করোনা’র সুর বাজতে থাকে। তখনই একটা নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট গিলে ফেলি। এ হলো আমার বর্তমান সময়ের অবস্থা, দিদি।
আপনাদের সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী!
নীরা সাদীয়া
মাস্ক পরে দম বন্ধ লাগে। এভাবে এত ভয় নিয়ে কি বাঁচা যায়? এটা কবে শেষ হবে?
নিতাই বাবু
বর্তমান সময়ে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে এবং নিজের সহধর্মিণীকে ভাড়াটিয়া বাড়ির সকল ভাড়াটিয়াদের বাঁচাতে খুবই সচেতন হয়ে পড়েছি, দাদা। তবুও মনের ভেতর থেকে ভয় দূর করতে পারছি না। একটু শরীর ব্যথা হলেই, মনের ভেতরে করোনা’র সুর বাজতে থাকে। তখনই একটা নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট গিলে ফেলি। এ হলো আমার বর্তমান সময়ের অবস্থা, দিদি।
আপনাদের সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী!
হালিম নজরুল
এতদিন ভয় কম ছিল, এখন বেশি দাদা।
নিতাই বাবু
এতে আমি খুবই ভয়ে থাকি, দাদা। তো এই সময়ে খুবই সাবধানে থাকবেন শ্রদ্ধেয় দাদ।