
ফুল তো সুন্দরই, তেমনই সুন্দর ফুলের নামগুলো। বিভিন্ন ফুল নিয়ে বা ফুলের নাম নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গেলে পাওয়া যায় অদ্ভুত আর মনকাড়া সব গল্প, যা ফুলগুলোর মতোই চমৎকার। বিভিন্ন পুরাণ ও উপকথায় উঠে এসেছে অনেক রকম ফুলের গল্প, যেগুলো আমাদের আশেপাশে এখনও ছড়িয়ে আছে। আজকে থাকছে বেশ কয়েকটি ফুল ও তাদের উপকথা। যাদের গল্পগুলো শুধু চমৎকার নয় ; আকর্ষণীয়ও বটে!
নার্সিসাস :
নার্সিসাস ছিল নদীর দেবতা সিফিসাস এবং পরী লিউরিপের অতি সুদর্শন পুত্র। নার্সিসাসের জন্মের পর পর লিউরিপ তাকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বক্তা টাইরেসিয়াসের কাছে যান। টাইরেসিয়াস ভবিষৎবাণী করেন, এই ছেলে অনেকদিন বাঁচবে যদি সে কোনোদিন তার রূপ সম্পর্কে অবগত না হয়। এই ভবিষদ্বাণী শুনে লিউরিপ খুব ভয় পেয়ে যান এবং ছেলে যাতে তার রূপ সম্পর্কে অবগত না হয় তাই তিনি তার ছেলেকে সবার থেকে আলাদা করে বড় করতে থাকেন।
এতে করে হয় আরো বিপদ। নার্সিসাস কারো সাথে না মেশার ফলে দিন দিন আরো অহংকারী হয়ে উঠতে থাকে। যে-ই নার্সিসাসকে দেখতো, সে-ই তার প্রেমে পড়ে যেতো। কিন্তু নার্সিসাস সবাইকে প্রত্যাখ্যান করতো। এভাবে একদিন নার্সিসাস শিকারে গেলে অরণ্যের দেবী ইকো তার প্রেমে পড়ে যায়। ইকো ছিল বোবা, সে কথা বলতে পারতো না। সে শুধু অন্যের কথার শেষ অংশের প্রতিধ্বনি তৈরি করতে পারতো। বনে নার্সিসাসকে প্রথম দেখেই ইকো তার প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু সে তো কথা বলতে পারে না, তাই ভালোবাসা প্রকাশের জন্য সে নিজেকে নার্সিসাসের বুকে ছুঁড়ে দেয়। কিন্তু অহংকারী নার্সিসাস তো আর ভালোবাসা বুঝতে পারে না, সে ঘৃণা ভরে ইকোকে মাটিতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, আর বলে ওঠে, “আমি মরে যাবো, কিন্তু তবুও কোনোদিন তোমার হবো না।” এই কথা শুনে অপমানে-লজ্জায় ইকো বনের মধ্যে ছুটে গিয়ে কাঁদতে শুরু করে। তার এই কান্না দেখতে পায় প্রতিশোধের দেবী নেমেসিস, আর তখনই সে নার্সিসাসের ভাগ্য নির্ধারণ করে ফেলে। বনের ধারে নদীতে জল খেতে যায় নার্সিসাস, জলের ছায়ায় দেখে তার রূপ। নিজের রূপ দেখে সে নিজেই মুগ্ধ হয়ে যায়, আর বলে ওঠে, “আরে, একেই তো আমি এতদিন খুঁজছিলাম!” এভাবে নিজের রুপের প্রতিবিম্ব দেখতে দেখতে পানি না খেয়ে নার্সিসাসের মৃত্যু ঘটে। কাদামাটিতে মিশে যায় নার্সিসাসের দেহ। সেখানে ভালোবাসার দেবী আফ্রোদিতি তৈরি করেন এক সবুজ গুল্ম। অসম্ভব সুন্দর আর তীব্র সুবাসিত সেই ফুল। তারই নাম নার্সিসাস ।
হায়াসিন্থ :
হায়াসিন্থাস ছিলো একজন সুদর্শন স্পার্টান তরুণ এবং সূর্যদেবতা অ্যাপোলোর বন্ধু। অ্যাপোলো এবং হায়াসিন্থাস প্রায় সময়ই বিভিন্ন খেলাধুলা আর হাসি-ঠাট্টায় মেতে থাকতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত একদিন চাকতি ছোড়াছুড়ি খেলার সময় অ্যাপোলোর ছোড়া চাকতি হায়াসিন্থাসের মাথায় গিয়ে লাগে ফলে হায়াসিন্থাস সাথে সাথে ভূমিতে লুটিয়ে পড়ে জায়গায় মৃত্যুবরণ করেন। নিজ হাতে বন্ধুর এই করুণ পরিণতি দেখে অ্যাপোলো শোকে উন্মত্ত হয়ে পড়েন। তিনি হায়াসিন্থাসের মৃতদেহ আর আত্মাকে পাতালপুরীতে নিয়ে যেতে বারণ করেন, আর তার পরিবর্তে যেখানে হায়াসিন্থাসের মৃত্যু হয়েছিলো সেখানে তার মৃতদেহ থেকে একটি ফুলগাছ তৈরি করে তার নাম দেন হায়াসিন্থ। অনেকের মতে, হায়াসিন্থ ফুলের পাপড়িগুলোতে যে দাগ দেখা যায়, তা আসলে বন্ধুর শোকে ফেলা অ্যাপোলোর চোখের জল।
পিওনি :
পিওন ছিলেন ঔষধ এবং চিকিৎসার দেবতা অ্যাসক্লেপিয়াসের অধীনে কর্মরত একজন চিকিৎসক। পিওন তার এই চিকিৎসাবিদ্যায় বেশ পারদর্শী ছিলেন।
নিজের ছাত্রের বাড়াবাড়ি এই খ্যাতি পিওনকে তার শিক্ষক অ্যাসক্লেপিয়াসের কাছে চক্ষুশূল করে তোলে। তিনি পিওনকে খুন করার হুমকি দেন। এমতাবস্থায় দেবতাদের রাজা জিউস এর মাঝে হস্তক্ষেপ করেন এবং তিনি পিওনকে বাঁচানোর জন্য তাকে পিওনি ফুলে রূপান্তর করে ফেলেন। অনেকে মনে করেন, এই উপকথাটির আসলেই বাস্তব অস্তিত্ব রয়েছে। কারণ পিওনি ফুল গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন চিকিৎসায় এখনও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সূর্যমুখী :
সূর্যমুখী ফুলের গল্পটি হচ্ছে ক্লাইটি নামের একটি পরীর বিষাদের গল্প, যে সূর্যদেবতা হেলিওসের প্রেমে প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হেলিওস ক্লাইটিকে ভালো না বেসে তার বোন লিউকোথিকে ভালোবাসতো। হিংসায় অন্ধ হয়ে গিয়ে ক্লাইটি তাদের বাবাকে হেলিওসের সাথে লিউকোথির প্রেমের কথা জানিয়ে দেয়। আর এর ফলে লিউকোথির বাবা শাস্তিস্বরূপ লিউকোথিকে জীবিত মাটিতে পুতে ফেলে হত্যা করে।
এই ঘটনায় হেলিওস প্রচন্ড ক্ষেপে যায় এবং সে ক্লাইটিকে অনবরত লাথি মারতে মারতে তার দেহকে বিবস্ত্র ও ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। নিজের ভালোবাসার দেবতার কাছ থেকে এই আচরণে ক্লাইটি প্রচণ্ড হতাশায় নিজের ক্ষতবিক্ষত দেহটিকে টেনে হিচড়ে নিয়ে এসে একটি পাথরের উপর এসে বসে এবং এই অবস্থায় সে সূর্যের দিকে মুখ করে টানা নয় দিন থাকে। এভাবে নয় দিন কোনো প্রকার খাবার আর পানি গ্রহণ না করার ফলে সে ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে শুরু করে এবং একপর্যায়ে নবম দিনে সে সূর্যমুখী ফুলে পরিণত হয়। আর তখন থেকে এখনো সে প্রতিদিন সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে তার ভালোবাসার কাছ থেকে ক্ষমা পাবার আশায়।
অ্যানিমোন ফুল :
অ্যানিমোন ফুলের গল্পটি আসলে আফ্রোদিতি আর অ্যাডোনিসের বিখ্যাত প্রেমকাহিনীর সাথে জড়িত। কথিত আছে, আফ্রোদিতি আর অ্যাডোনিস যখন একসাথে থাকতো তখন তারা প্রায়ই জঙ্গলে যেত শিকারের জন্য। সেখানে তারা হাসি, আনন্দ আর লুকোচুরি খেলায় পুরো জঙ্গলকে মাতিয়ে রাখতো। এভাবে একদিন তারা আফ্রোদিতির প্রাক্তন প্রেমিক যুদ্ধের দেবতা অ্যারিসের নজরে পড়ে। অ্যারিস অ্যাডোনিসের উপর প্রচুর ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়ে এবং প্রতিশোধ নেবার জন্য সে একটি বন্য শূকরের রূপ ধরে অ্যাডোনিসকে আক্রমণ করে। অ্যাডোনিস অ্যারিসকে তার বর্শা দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে, কিন্তু দেবতার সাথে মানুষের যুদ্ধে তার আর শেষরক্ষা হয় না। আফ্রোদিতি দ্রুত সেখানে ছুটে যায়, তাকে তার রাজহংসী চিহ্নিত রথে তুলে নেয়, কিন্তু ততোক্ষণে অ্যাডোনিসের আত্মা পাতালপুরীতে চলে গিয়েছে। দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে অ্যাডোনিসের ক্ষতে আফ্রোদিতি কিছু অমৃত ছিটিয়ে দেয়।
যখন আফ্রোদিতি তার ভালোবাসার মানুষের মৃতদেহটি জঙ্গল থেকে বাইরে নিয়ে আসছিলো, প্রতি ফোঁটা অমৃত যেখানে পড়ছিল, সেখানেই একটি করে অ্যানিমোন গাছ গজিয়ে ওঠে।
গোলাপ :
কথিত আছে, একদিন ফুলের দেবী ক্লোরিস বাগানে হাঁটতে বের হয়েছিলেন, তখন তিনি সেখানে একটি পরীর মৃতদেহ খুঁজে পান এবং তাকে একটি ফুলে রূপান্তর করেন। এরপর তিনি ভালবাসার ও সৌন্দর্যের দেবী আফ্রোদিতি এবং মদের দেবতা ডাইনোসাসকে ডাকেন। আফ্রোদিতি তখন ফুলটিকে উপহারস্বরূপ তার সৌন্দর্য দেন এবং ডাইনোসাস উপহারস্বরূপ ফুলটিতে কিছু অমৃত যোগ করে দেন যা বাতাসে সুন্দর সুগন্ধ ছড়ায়। এরপর বাতাসের দেবতা জেফিরাস বাতাস দিয়ে ফুলটির উপর থেকে মেঘ সরিয়ে দেন, এবং স্বর্গ থেকে সূর্যদেবতা অ্যাপোলো ফুলটিকে একছটা সূর্যকিরণ দেন ফুলটি ফোটার জন্য। এভাবেই বিভিন্ন দেবতাদের উপহারে পৃথিবীর বুকে প্রথম গোলাপ ফুলের জন্ম হয় আর তা ফুলের রানী হিসেবে সব ফুলের মাঝে জায়গা করে নেয়।
আইরিস :
আইরিস ফুলের নামটি এসেছে গ্রিক রংধনুর দেবী আইরিসের নাম থেকে। অনেকের মতে, আইরিস ছিলো জিউস এবং তার স্ত্রী হেরার সংবাদবাহক। সে স্বর্গ থেকে রংধনুতে চড়ে পৃথিবীতে বিভিন্ন সংবাদ নিয়ে আসতো। আইরিস শব্দের অর্থটি হচ্ছে স্বর্গের চোখ। তাই আমাদের চোখের রঙিন অংশটিকে আর এই ফুলটিকে দেবী আইরিসের নামানুসারে নাম দেওয়া হয়েছে আইরিস।
ডেফনি :
ডেফনি ছিলো একজন অতি রূপবতী পরী এবং জলদেবতা পিনিয়াসের মেয়ে। সে ছিল একজন শিকারী এবং নিজেকে শিকারের দেবতা আরটেমিসের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিল। ডেফনির প্রেমে অনেকেই পাগল ছিলো, কিন্তু সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এমনকি সে জিউসের পুত্র অ্যাপোলোকেও প্রত্যাখ্যান করে। অ্যাপোলো একদিন তাকে খুঁজতে খুঁজতে বনের মধ্যে চলে আসেন। এতে করে ডেফনি ভয় পেয়ে তার বাবার কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানায়। পিনিয়াস তখন তাকে বাঁচানোর জন্য নদীর ধারে ডেফনি বা লরেল গাছে রূপান্তর করে ফেলে।
যখন অ্যাপোলো তাকে খুঁজতে খুঁজতে নদীর ধারে আসেন, তখন পিনিয়াস তাকে জানায় যে, সে ডেফনিকে লরেল গাছে রূপান্তর করে ফেলেছে। অ্যাপোলো তখন গাছটি থেকে কিছু ডাল ভেঙ্গে নেয় এবং ডেফনির স্মরণে তার জন্য একটি মাথার মুকুট তৈরি করে। অ্যাপোলো পরবর্তীতে ডেফনিকে একটি পবিত্র গাছে রূপান্তর করে। এরপর থেকে সব বিজয়ী, যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল হয়েছে, তাদের মাথায় ডেফনি ফুলের মুকুট পরানো হতো। এছাড়াও তৎকালীন অলিম্পিক খেলার বিজয়ীদের মাথায়ও ডেফনি ফুলের মুকুট পরানো হতো।
পড়তে পড়তে নিশ্চয় সবাই হারিয়ে গেছেন অজানা কোথাও ! কোন সুদূরে !
★তথ্য সুত্র : গুগল
২৬টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপু বিমোহিত, মুগ্ধ ফুলের পৌরাণিক কাহিনী পড়ে। প্রতিটি ফুলের নামের পিছনে একটি ঘটনা নিশ্চয়ই আছে তানা হলে নামের মতো ফুলগুলোও অদ্ভুত সুন্দর হতো না।আমি এটি প্রিয়তে নিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
আরজু মুক্তা
আমি কৃতজ্ঞ ও আপ্লুত। সুন্দর কমেন্ট অনুপ্রেরণা যোগায়।
শুভকামনা সবসময়
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
অসাধারণ লিখেছেন গল্প খানি পড়ে মুগ্ধ হলাম প্রিয় কবি
শুভকামনা রইল সদা
আরজু মুক্তা
গল্প না তো। তথ্য।
তবুও শুভকামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
মার্কিন কবি এমারসন বলেছিলেন “পৃথিবী ফুলের মধ্য দিয়ে হাসে।” কী অসাধারন একটা কথা! কী চমৎকার বর্ণনা! ফুল নিয়ে যেন সবই বলা হয়ে গেলো। এপাড়ার রবীন্দ্রনাথ সুর করে গাইতেন, “ফুলের বনে যার কাছে যাই, তারেই লাগে ভাল।” কবির এই ভালো লাগাটা যার কাছে যাচ্ছেন তার কারনে নয়, বরং বনটা ফুলের, এই কারনে।
.
ফুল নিয়ে ভালো লিখেছেন,দিদি।
আরজু মুক্তা
সাদী বলেছেন, খাদ্য কেনার টাকা কম থাকলে, তা দিয়ে ফুল কিনিও।
শুভকামনা সবসময়
শামীম চৌধুরী
তথ্যপূর্ন ও শিক্ষনীয় পোষ্ট। এমন সুন্দর একটি পোষ্ট দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মুক্তা আপু।
শুভ কামনা রইলো।
আরজু মুক্তা
আপনারা পড়লেই অনুপ্রেরণা পাই।
শুভকামনা সবসময়
মনির হোসেন মমি
ফুল নিয়ে মনমুগ্ধকর পোষ্ট।আমার কল্পনাতেও ছিলো না ফুল নিয়ে এমন উপকথার পোষ্ট । জানা হল অনেক কিছু।অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
আমি কৃতজ্ঞ। আপনারা পড়েন এবং কমেন্ট করেন। এতেই লেখার আগ্রহ বাড়ে।
শুভকামনা সবসময়
জিসান শা ইকরাম
প্রতিটি ফুলের নামকরণের ইতিহাস জানলাম।
প্রায় সব গুলোই ফুলের নাম এসেছে ভালোবাসা থেকে।
এসব ফুল যে গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীতে আছে তা জানতাম না।
তথ্যপূর্ণ পোস্টটি অত্যন্ত ভালো হয়েছে।
এমন পোষ্টের জন্য ব্লগার আরজু মুক্তাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এমন পোস্ট আরো চাই।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
আরও অনেক ফুলের নাম আছে। নিশ্চয় আর একটা পৌরাণিক গল্প নিয়ে আসবো।
আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি সবসময় উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেন।
আমি চেষ্টা করি পাঠকদের নতুন কিছু উপহার দিতে। আশা করি সামনের দিনগুলিতে পারবো।
শুভকামনা সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
নার্সিসাস ছাড়া আর কিছুই জানতাম না, যদিও এই মনকাড়া ফুলগুলো অনেক অনেক দেখেছি,
পড়তে পড়তে ফুলের সৌন্দর্যে কোথায় যে হারিয়েছি বুঝতে পারছি না।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। পৌরাণিক কাহিনী পড়লেই মন কোথাও হারিয়ে যায়। আবার অনেক সময় মনে হয় আদৌ কি সত্যি? তবে, মনোমুগ্ধকর। পড়লেই ভালো লাগা কাজ করে।
ফয়জুল মহী
অপূর্ব সৃজন। শুভ কামনা রইলো
আরজু মুক্তা
শুভকামনা সবসময়
রোকসানা খন্দকার রুকু
ফুল সবচেয়ে সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর জিনিস। অথচ তার পেছনেও কত বেদনাবিধুর কাহিনী এবং অধিকাংশ প্রেম বিরহ বিষয়ক।
অসাধারণ পৌরাণিক কাহিনী পড়ে মুগ্ধ হলাম।
শুভ কামনা রইলো।
শুভ সকাল।🌹🌹
আরজু মুক্তা
আমারও ভালো লাগলো। এতো চমৎকার কমেন্ট সকালবেলা চায়ের সাথে একেবারে মিলে গেছে।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য
আলমগীর সরকার লিটন
অনেক কিছু জানলাম সবফুলের শুভেচ্ছা রইল
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই
খাদিজাতুল কুবরা
মনকাড়া সব ফুলের আদি বৃত্তান্ত জেনে খুব ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন বরাবরের মতোই।
অনেক শুভেচ্ছা রইল আপু
আরজু মুক্তা
আমিও কৃতজ্ঞ পড়েন এবং উৎসাহ দেন সবসময়।
শুভকামনা সবসময়
তৌহিদ
চমৎকার সব ফুলের পৌরাণিক ইতিকথা জেনে ভালো লাগলো আপু। এসবের অনেক কিছুই জানতামনা, আপনার লেখা পড়ে জানলাম। ব্যতিক্রমী এমন লেখার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
শুভকামনা সবসময়।
আরজু মুক্তা
আপনার কমেন্ট বরাবরি ভালো লাগে। এই অজানাকে জানাতে পেরে, আমিও আনন্দিত।
শুভকামনা সবসময়
সাবিনা ইয়াসমিন
ফুল গুলোর সাথে পৌরাণিক কাহিনী গুলো একসাথে জানতে পারলাম। সুন্দর পোস্ট।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
শুভকামনা।