সম্পর্কে তিনি আমার মামা হোন। আমার মায়ের কাজিন। একদিন হঠাৎ করেই মামার মাথায় ভুত চাপলো। মামা (তুকতাক)তন্ত্রমন্ত্র শিখবেন। যেই ভাবনা সেই কাজ। মামা যথারীতি কোনো এক তান্ত্রিকের  কাছ থেকে তালিম নিতে শুরু করলেন। বেশ কিছুদিন শেখার পর এবার মামার এপ্লাই করার পালা।

সেদিন ছিল অমাবস্যার রাত। চারিদিকে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। এমন ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতে কবরে নেমে মামাকে তন্ত্রসাধনা করতে হবে। গুরুর কথা মতো মামা মধ্যরাতে ঘর থেকে বের হলেন কবরস্থানের উদ্দেশ্যে।

রাত্রির প্রায় দ্বিতীয় প্রহর। গন্তব্যে পোঁছার পর মামা কেমন যেনো দমে গেলো। মনে মনে ভয় পেতে শুরু করলেন। ভাবলেন কবরে নামা কি ঠিক হবে! কেমন শুনসান আর এক ভয়ানক পরিবেশ। মনে মনে ভয় পেলেও মামা দমে গেলেন না। ভয় পেলে চলবে না, তা করতে এসেছি সেটা করতেই হবে। আমাকে সাধনা করতেই হবে। অদম্য সাহস নিয়ে মামা যেই কবরে নামতে যাবে ঠিক সে সময় বিভৎস এক বিকট শব্দ শুনতে পেলেন। প্রচণ্ড শব্দে হৃৎপিণ্ড যেনো কেঁপে উঠলো। তবুও তিনি ভাবলেন যা হয়ে যাক কবরে সে নামবেই।

বিকট শব্দ, ভয়ানক পরিবেশ। গা দিয়ে ঘাম বের হচ্ছে। কবরে নেমে আসন পেতে বসে পড়লেন। হায় কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে এই পরিস্থিতিতে কতক্ষণ সাহস ধরে রাখতে পারা যায়! কখনো খিল খিল করে হাসির শব্দ আসছে আবার কখনো চিৎকার করা কান্নার শব্দ। এমন অবস্থায় আর কিছুক্ষণ থাকলে নিশ্চিত হার্ট অ্যাটাক করে মরে যেতেন। মামা পরিমরি করে কবর থেকে উঠে এক ছুটে চলে এলেন বাড়িতে।

তারপর....

0 Shares

২০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ