ওঠে দাঁড়াবার গল্প

প্রদীপ চক্রবর্তী ২৭ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ০৮:৪৮:২৭অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২০ মন্তব্য

শহরের চটপটি বিক্রেতার ভ্যান থেকে ধনিয়া পাতা আর অলিগলি চায়ের দোকান থেকে চা পাতার গন্ধ মোহনীয় করে তুলছে পড়ন্ত বিকেল।
ইরিধানের লাজুক পাতার অগ্রে গোধূলি ছুঁই ছুঁই।

বেলা শেষে সজনের পাতা গুলো ঝরে পড়েছে।
স্থিরমান নদীতে ভাসমান দু একটা পানসি ব্যতীত আর কিছু নেই। নদীতে পলি জমতে বসেছে।

সময় অনেকটা পেরিয়ে গোধূলির সূর্য যখন ডুবতে বসে,পাখিরা তখন আবাসন খোঁজে।
সবুজ ঘাসের উপরিভাগে নির্যাস শিশির জলের প্রলেপ।

সবুজাভ পাতার গা জুড়ে কেবল ধুলোবালির ধূসরতা ছুঁয়ে আছে। পুরনো গল্প জমে আছে বৃদ্ধ পাহাড়ের গা ঘিরে। বৃক্ষের পাতারা রসদ খুঁজতে ব্যস্ত।

হেমন্তের নির্যাসের আদ্রতায় ফুলের গায়ে তেমন একটা ভ্রূণ দেখতে পাওয়া যায় না।
ফুলেরা পুরোপুরি প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠেনা।
সে সুবাদে শূন্যতার বুকে জমা হয় কত অজস্র না বলা কথা। আমরা সেসব কবিতা আকারে লিখতে গেলে পশ্চিমা সূর্য ডুবে যায়।

পশ্চিমা সূর্য ডুবে গেলে পৃথিবীর সমস্ত রঙ গাঢ় হয়ে যায়। ধীরে ধীরে নামে আকাশের বুকে সন্ধ্যা।
আমাদের আর এক হয়ে কবিতা লেখা হয় না।

একের পর এক ঋতুগুলো সরে যাচ্ছে, কিন্তু আজকাল তোমার ভেতর একবিন্দু সহানুভূতি দেখতে পাই না বরং নিজেকে তোমার কাছে বেকারত্বের হাওয়ার মিঠেই মনে হয়।

তুমি চাইলে তো আমায় উঠে দাঁড়াবার গল্প শোনাতে পারো। তুমি চাইলে তো আমায় লাটাই হাতে ঘুড়ি ওড়ানো নীলাকাশ দেখাতে পারো।

আমি তোমার জন্য পূর্ণিমার আলোকিত চাঁদের আলোটুকু বরাদ্দ করে রাখতে পারি।

0 Shares

২০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ