হেমন্ত ছুঁয়ে যায়

সুপর্ণা ফাল্গুনী ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ০৩:২৭:৫৪অপরাহ্ন কবিতা ২১ মন্তব্য

ভোরের শিশির স্নাত শিউলি শয্যায়
বাসন্তী ছটায় দোয়েলের অবগাহন;
হেমন্ত ফসলের মৌ মৌ গন্ধে দামাল ছেলেরা-
মিতালী করেছে অম্বর নীলিমায়
মেঘবালিকার দূরন্তপণার সাথে।
পালতোলা নৌকার ছলাৎ ছলাৎ ছুটে চলা ,
ঢেউয়ের পর ঢেউ যেন দূর্বার আকর্ষণে
ছুঁয়ে যায় নূয়ে পড়া কাশবনের নগ্ন চরণখানি।
দিগন্ত জোড়া হিরণ্যময়!সোনালী আবৃত সবুজের সমারোহ-
প্রকৃতিকে দিয়েছে নতুন বসন।
ছাতিমের গন্ধে মাতাল শর্বরীর দেহ-বল্লরী।

ঘরে ঘরে নবান্ন আর পিঠা পুলির সুঘ্রাণ
ব্যাকুল করে ছেলে,বুড়ো আর পথিকজনকে।
হেমন্তের পূর্ণশশীতে রাতের আঁধার ঢেকে যায়;
জ্যোৎস্নার আলো বিকোয় উঠোন জুড়ে-
সেই আলোতে চলে কৃষাণ কৃষাণির মহোৎসব।
হেমন্তের মেঘ-বৃষ্টি-রৌদ্রের খেলায়
কে কখন ছুঁয়ে যাবে-
চঞ্চলা প্রকৃতির মাঠ-ঘাট-প্রান্তর;কেই-বা জানে ?
কাশফুলের ময়ূর-চূড়ায় কিশোরীর খোঁপা
সেজেছে পুচ্ছ তোলা পাখির মতো;
কৃষ্ণ জলে পা ভিজিয়ে পাড়া মাতায় ঝরো ঝরো।
কাস্তে হাতে কৃষকের মাঠে মাঠে আমন ধান কাটার ব্যস্ততা ;
মেয়েদের নাইওর আগমনে চিত্ত আনন্দে আত্মহারা।

0 Shares

২১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ