হৃদয়ের ঋতূচক্রে

এস.জেড বাবু ২৯ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার, ০৯:২৭:২০পূর্বাহ্ন কবিতা ৩০ মন্তব্য
দেখছিলাম-
অল্প কটা চুল, মিষ্টি হাওয়ায় দুলে দুনির্বার 
লুকুচুরি খেলে মুক্ত ললাটের সীমানা জুড়ে,
যেন কোন নব্য প্রবন্ধের সূচিপত্রে লেগেছে হাওয়া।
তুইতো শক্ত মলাটে মোড়ানো এক দ্রুপদী উপন্যাস,
আর,
আমার অপাঠ্য দুর্ভেদ্য কবিতার খাতা ॥

তখনো-
ক্ষণে ক্ষণে দুলাইন মিস্টি আবৃত্তির পর,
থমকে থেমে যায় সুরেলা আওয়াজ,
আমি খুঁজি এলোমেলো দুষ্টু চুলের ফাঁকে-
প্রেমময়ী সমষ্টি, কটা যুগল বর্ণের।
যেন ভরাট কন্ঠে উচ্চারিত হয়ে উঠে পংতি,
আর আমার গলায়-
ক’টা শব্দের ঝংকার, প্রিয়তম বন্দনায় ॥

হতবাক আমি, 
নিস্পলক দৃষ্টি ফেলি পুনশ্চ,
কোঁচকানো ভ্রুর নিচে, তোর তৃষ্ণার্ত চোখ;
ললাটের সমুদ্রতটে, হটাৎ জেগে উঠা চিকন ঢেউ’
ক্ষণ দুশ্চিন্তা, চকচকে ঘামের মুক্তুকণা,
আর তখনি,
নিয়তির নিঃশ্বাসের সাথে উড়ে যায় আমার প্রশ্নপত্র॥

হটাৎ মুড়ে গেলি তুই হৃদয়ের ৠতূচক্রে;
সূচনাতেই থেমে গেল আমার মন্ত্রপাঠ,
হয়নি পড়ে দেখা, অর্ধচন্দ্র দৃষ্টির তাৎপর্য,
হলোনা জানা, চিকন ঘামের ভাবার্থ,
গুনা হলোনা-
তোর আত্ম-উপন্যাসের পৃষ্ঠা সংখ্যা ॥

কি আর করবো সখি !
পিঠ পিছনে থেকে 
কি করে তোর চোখের শব্দার্থ শিখি !
তারচে,
মেঘলা বরণ কোঁকড়ানো চুলের ক্যানভাসে, 
আমি কালো রংয়ে আঁকি দুষ্প্রাপ্য যত বর্ণের-
ব্যাবচ্ছেদকৃত হৃদয়ের নিত্য শত প্রতিচ্ছবি।
ঋতূচক্রের নীলাভ পরিবর্তনের নতজানু- অবছাঁয়া,
আর,
আমার সম্মোহিত সময়ের অর্ধচন্দ্রাকৃতি ব্যাসার্ধ ॥

আজও অবসরে-
পরিত্যক্ত ঝুলি থেকে দুই একটি বর্ণ টেনে তুলি,
ডানে সাজাই উচ্চারণে, বামে সাজাই গানে,
অনির্দিষ্ট অনুচ্ছেদে লিখে যাচ্ছি-
তোর ললাটের অনাবৃত্ত অংশের কাল্পনিক তথ্য কণিকা ।
যার শিরোনামে;
আজও অলংকৃত তুই, 
        শুধু তুই !
        আমার ভালোলাগার সুরের প্রতিমা ॥

-০-
ছবি- নেট দুনিয়া
0 Shares

৩০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ