মাস্ক এবং বায়ুদূষণ

নাসির সারওয়ার ৯ জুলাই ২০২১, শুক্রবার, ১২:৩৩:০৭পূর্বাহ্ন স্বাস্থ্য বার্তা ২৭ মন্তব্য

“টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে”, এই কাজটা শিখাতে মীনা নামের কার্টুন টার বেশ কয়েক বছর সময় লেগেছে। কিন্তু করোনা নামের এক ভয়ঙ্কর ভাইরাস আমাদের মাস্ক পরা খুবই অল্প সময়ে শিখিয়েছে। একসময় এই মাস্কের ব্যবহার শুধু হাসপাতালের মধ্যেই আটকে ছিলো। তাও আবার বিশেষ কিছু ঘরের জন্য। এই যেমন, যে ঘরে মানুষের শরীর কাটাকুটি হয়। অথবা সংক্রামক অসুখ বিসুখের ঘরগুলো। তবে মাস্কের আরো অনেক ব্যবহার আছে যা আমরা হয়তো জেনেও না জানার মতই এড়িয়ে যাচ্ছি। আসুন, আমরা জানার চেস্টা করি এই মাস্কের আরো কত ব্যবহার আছে।

জল বায়ু দুটো আলাদা জিনিস এবং আলাদা শব্দ হলেও এরা পাশাপাশি থাকার অভ্যেস করে ফেলেছে অনেক দিন থেকে। এর কারন হয়তো এ দুটোই আমাদের জীবনের সবচাইতে বেশী প্রয়োজনীয় যা বাঁচিয়ে রাখছে এই মানব সভ্যতা। অথচ প্রকৃতির এই উপহারকে আমরা সহজ-সরল না রেখে নানা ভাবে দূষিত করে আসছি যা মানব সভ্যতার জন্য বেশ ভয়ঙ্কর বার্তা।

সভ্যতার শুরু থেকে খাল-বিল, নদী-নালা বা পুকুর-ডোবা ছিলো আমাদের পানির উৎস। এই পানি আমরা আমাদের বর্জ্য দিয়ে প্রতিদিনই দূষিত করছি। এই বর্জ্য হতে পারে আমার আপনার টয়লেট অথবা আমাদের কলকারখানা থেকে। উন্নত দেশে এই বর্জ্যকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহনশীল অবস্থায় নিয়ে অপসারণ করে। কিন্তু আমাদের সেই ব্যবস্থা নাই বললেই চলে। বুড়িগঙ্গার পানি দেখলে আপনার আর দূষণ দেখার স্বাদ হবেনা।

আমাদের পানি ব্যবহারের আরো অনেক উৎস আছে। আমাদের আছে নলকূপ/ওয়াসা বা বোতলজাত পানি যা আমাদের দূষিত পানি ব্যবহার থেকে দুরে রেখেছে। মানে হলো পানি পান করার জন্য আমাদের পছন্দ অপছন্দ আছে। তবে সমস্যা হলো বায়ু ব্যবহার নিয়ে। পানির মত বাতাসের তো অনেকগুলো মাধ্যম নেই! বায়ুমণ্ডল আমাদের যা দিচ্ছে, তাই একমাত্র উপায়। তবে সার্বক্ষণিকের জন্য অক্সিজেনের বোতল ব্যবহার করা যেতে পারে! হয়তো এমন দিন আসছে যখন হয়তো তাই-ই আমাদের করতে হতে পারে। নিঃশ্বাস (অক্সিজেন) ছাড়া বাঁচার কি আর কোন পথ আছে!

এই অক্সিজেনের সাথে আমরা আরো কিছু নিচ্ছি যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এই বাতাসে অনেক কিছুই ভেসে বেড়ায় যা আমরা ফিল্টার করে শুধু অক্সিজেন নিতে পারছিনা। হয়তো কোন একদিন এই ফিল্টারও বাজারে চলে আসবে। তবে আমরা কিছুটা হলেও এই অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তু থেকে নিজেদের এড়িয়ে নিতে পারি।

প্রথমেই জানার চেষ্টা করি আমরা নিঃশ্বাসের সাথে অক্সিজেন বাদে আর কি কি দূষিত বস্তু নিচ্ছি।
চলমান কলকারখানা বা গাড়ি থেকে প্রতিনিয়ত বর্জ্য হিসাবে নির্গত হচ্ছে গ্যাস (কার্বন মোনো-অক্সাইড এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড)। ট্যানারি এবং অন্যান্য কলকারখানার চিমনি থেকে নির্গত হচ্ছে সালফার ডাই-অক্সাইড। আরো অনেক গ্যাস আছে যা মানুষের কর্ম কাণ্ডের ফসল এবং তা বাতাসে মিশে ভেসে বেড়াচ্ছে। এই গ্যাসের সাথে আরো যাচ্ছে ধূলিকণা যা রাস্তাঘাট, দালানকোঠা বানানো বা মেরামতের ফসল। এগুলোকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় বস্তুকণা বা Particulate matter (PM)। এবং এই দূষিত বস্তুকণা আমরা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে এবং কিছুটা সরাসরি রক্তের মাঝে মিশিয়ে নিচ্ছি। এর ভয়াবহতা নিয়ে অনেক গবেষণা আছে যা আমাদের শরীরের জন্য ভয়ানক খবর। ফুসফুস যেহেতু শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রধান তন্ত্র, তাই বস্তুকণার আঘাত ওটার উপরেই বেশী পরে। যেমন, ক্যানসার, এযমা, সর্দিকাশি সহ আরো অনেক ব্যাধির যোগসূত্র এই বস্তুকণা।

১। বস্তুকণার উদাহরণ

  • ২। ❝ দক্ষিণ - পূর্ব এশিয়ার পিএম ২.৫ এর মাত্রা।
  • ৫০ পর্যন্ত সহনশীল ❞

________________________________________
উপরের ছবি দুটোতে কিছু বস্তুর মাপ এবং সহনশীলতার তারতম্য দেখে আমরা সহজেই বুঝতে পারি বাতাসে কি পরিমাণ বস্তুকণা ভেসে বেড়াচ্ছে আর আমরা তা নিঃশ্বাসের সাথে শরীরে নিচ্ছি।
এটা অনুমেয় যে এইসব বস্তুকণা আমাদের অনেক অসুখ-বিসুখ দিয়ে বেশ ক্ষতি করতে পারে।

পাঠকদের জন্য একটা জরিপ - করোনা কাল এবং পূর্বের বছর কাল, পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়দের মাঝে সর্দি-জ্বর, কাশী বা পেট খারাপের পার্থক্য দেখুন। তাহলে এই হাত ধোয়া এবং মাস্ক ব্যবহারের কি উপকারিতা তা পেয়ে যাবেন।

পাদটীকা- কয়েকটা বিদেশি টিভি চ্যানেলে আবহাওয়া খবরে বড় বড় শহরের বায়ু দুষণের মাত্রা (১ - ৬) দেখায়। ১ হলো ভালো মাত্রা আর ৬ ভয়ংকর।  ঢাকা ৫ এ থাকে। তবে যেদিন বরষা হয়, তখন সেটা ৩ এ নেমে আসে। আর দিল্লি, মোটামুটি ৬ নিয়েই বসে থাকে। নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া ১ আর ২ এর মধ্যে হাঁটাহাটি করে।

 

ছবি - কালেক্টেড

0 Shares

২৭টি মন্তব্য

  • সাবিনা ইয়াসমিন

    প্রথম!!
    ফার্স্ট বেঞ্চে বসে উপস্থিতি জানিয়ে রাখলাম। বিস্তারিত মন্তব্য পরে দিবো। আপনি চাইলে প্রথম হওয়ার জন্য একটা পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখতে পারেন 🙂

  • সুপর্ণা ফাল্গুনী

    সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে ব্লগে উপস্থাপন করলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আরো অনেক সময় লাগবে এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতন হতে এদেশের মানুষের। পানি ফিল্টার করতে পারছি কিন্তু বায়ু টাকে পারছিনা হয়তো অদূর ভবিষ্যতে হবে। দূষণের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে যত আমরা আধুনিক হচ্ছি ততই আমরা বিশুদ্ধতা থেকে সরে যাচ্ছি। কলকারখানার বর্জ্য, যানবাহনের ধোঁয়া, বাসা বাড়িতে অত্যাধিক যন্ত্রের ব্যবহার দূষণের জন্য দায়ী এটা সহজেই অনুমেয় তবুও আমরা এসব ব্যবহারে সচেতনতার প্রমাণ না দিয়ে বুক ফুলিয়ে বেড়াচ্ছি। নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছিনা। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন শুভকামনা অবিরাম

    • নাসির সারওয়ার

      আমরা হয়তো সবাইকে সচেতন করতে পারবোনা। তবে আমি আমার দিকটা থেকে ভালো কিছুতো করতে পারি। সবাইকে জাগানোর চেষ্টা করতে পারি। মাস্ক ব্যবহারের সুফলের কথা বলতে পারি। পরিবেশ সুন্দর রাথার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারি।
      পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
      ভালো থাকুন। সোনেলার জন্য ভালো লেখা অব্যাহত থাকুক।

  • রোকসানা খন্দকার রুকু

    কিছু মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। আর নিম্নশ্রেণী সারাজীবন যেভাবে চলে এসেছে সেভাবেই চলছে। সচেতনতা নিজের থেকে তৈরি না হলে সমস্যা। আমি এনজিওতে কাজ করেছি আমারঅভিজ্ঞতা রুট লেভেলের লোকদের নিয়ে কাজ করার। এরা সহজ বিষয়ও বুঝতে চায় না।
    অনেক শিক্ষনীয় ও অসাধারণ পোষ্ট। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

    • নাসির সারওয়ার

      আমরা যারা একটু হলেও সচেতন, আমাদের দায়িত্য অন্যদের মাঝে এসব তুলে ধরা। অহেতুক গল্প বাদ দিয়ে পরিবার বা কাছের মানুষদের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারি। হয়তো মনে হবে যে ইনি আমার কথা বুঝবে না আবার দেখা যেতে পারে সেই বুঝে গিয়েছে সবার আগে। শুরুটা করা উচিৎ।
      অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

      যদি একজনও সচেতন হয় তবেই লেখার একটু স্বার্থকতা অনুভুত হবে।

  • ছাইরাছ হেলাল

    অনেক অনেক সুন্দর ও সহনীয় করে বুঝিয়ে বলার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
    আসলে আমাদের মত দেশে শত শত অব্যবস্থার মধ্যে সচেতন হওয়া ভা সচেতন করা বেশে কষ্ট সাধ্য।
    তবুও ভয়াবহতা কোন ভাবেই থেকে থাকছে-না এটি-ই ভয়ের কথা। স্মৃতি থেকে বলছি, কোন কোন দেশে যেন বোতলজাত
    বিশুদ্ধ বাতাস বিক্রি ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
    দীর্ঘ বিরতির অজুহাত দিয়ে হলেও লেখায় ফিরে আসার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।

    • নাসির সারওয়ার

      এটা একটা দায়িত্ব পোস্ট বলতে পারেন। বায়ুদূষণ নিয়ে কিছু কাজ করছি আর ভয়ঙ্কর দিক গুলো সামনে চলে আসছে। এই সামান্য মাস্ক এবং হাত ধোয়া যে কত ভালো কাজ করে, তা আগে জানতাম না। সাধারন সর্দি-কাশি বা জ্বর থেকেও অনেক ধুরে রাখে এই মাস্ক এবং পরিস্কার থাকা।
      হ্যাঁ, আপনার স্মৃতি শক্তি অনেক পোক্ত। আর কিছুদিন পরে আমাদের দেশেও আমরা বিশুদ্ধ বাতাস কিনে ব্যবহার করবো। তবে কজন কিনতে পারবে, তা ভাবনার বিষয় থাকলো।

      না লেখার অজুহাত আর বাড়ালাম না। তবে সোনেলার সাথে আছি, থাকবো।
      ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ভালো লেখা চলতে থাকুক।

  • জিসান শা ইকরাম

    আমরা এই বায়ু মন্ডলের মাঝে বেঁচে আছি কিভাবে তা এক অপার বিশ্ময়। ঢাকায় থাকাবস্থায় ফিল করি কতটা ঝুকির মাঝে থাকে ঢাকার মানুষ।
    গ্রামে আছি, নিশ্বাস নিতে তেমন কোনো সমস্যা পাই না।

    সর্ব অবস্থায় মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ। অবশ্য যে মাস্ক ব্যবহার করি তা কতটা কার্যকর সে বিষয়ে সন্দেহ আছে।

    অত্যন্ত জনগুরুত্বপুর্ন লেখাটি দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
    শুভ কামনা।

    • নাসির সারওয়ার

      এই বায়ু মন্ডলের দূষণ আমাদেরই তৈরি করা। আমরা উন্নত হচ্ছি দেশ হিসাবে, কিন্তু পরিবেশ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছি না। এই উন্নতির যাঁতাকলে পরের প্রজম্নের কি হবে, তা একমাত্র আল্লাহ্‌ জানেন।
      ঢাকার অবস্থা বেশ খারাপ। আমি নারায়ণগঞ্জ এর একটা উপজেলায় স্বাস্থ্য এবং বিজ্জ্ঞান নিয়ে কাজ করি। বায়ুদূষণ এই কাজের একটা অংশ। ভালো নেই সেই উপজেলার মানুষ।

      সাধারণ মাস্ক কিছু হলেও সাহায্য করে। তবে PM2.5 মাস্ক সবচাইতে ভালো কাজ করে। আসুন, আমরা সবাইকে মাস্ক পরার কথা মনে করিয়ে দেই।

      এটা আমার একটা দায়িত্ব পোস্ট। যদি কারো কাজে আসে, তবেই আমি তৃপ্ত।

  • সাবিনা ইয়াসমিন

    নাকমুখ ঢেকে চলার উপকার উপলব্ধি করেছিলাম বহু বছর আগ থেকে। ঐ আমলে ভাইরাসের ভয় ছিলো না। ঠোঁট-নাক বন্ধ করে চলতেই হবে এমন কোনো কড়াকড়ি নিয়ম ছিলো না। তবে এখনকার মতো তখনো রাস্তাঘাটে লাল-ধুসর-ছাঁই বর্নের ধুলো উড়তো।রাস্তার পাশের ডাস্টবিন উপচে পরা ময়লার ছড়াছড়ি থাকতো। মানুষের ভীরের মধ্যে ঘামের দুর্গন্ধ ছিলো।আর ঠিকঠাক এখনকার মতোই তখনো বড়-ছোট গাড়ি চলাচলের রাস্তাটুকু বাদ দিয়ে আমাদের মতো নিরিহ পথচারীদের জন্য নির্ধারিত ফুটপাতের যত্রতত্র স্থানে মানুষের বর্জ্যের স্তূপ ছিলো। এসব পেরিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে নাকে-মুখে হাত চাপা দিয়ে চলাচল করা মোটেও যথেষ্ট মনে হয়নি। তখন আমরা মাস্কের দেখা পাইনি, আপনার পোস্টে ভাষ্যমতে আমরাও জানতাম মাস্ক শুধু ডাক্তার/চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত ইউনিফর্ম এর একটি অংশ। যারা উক্ত সময়ের ভুক্তভোগী তাদেরকে মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে দিতে হয়নি। নিজেদের স্বার্থে নিজের জন্য এবং নিজ পরিবারদের জন্য মাস্ক পরিধান অত্যাবশকীয় করতে পেরেছেন।
    কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যারা এসবের কখনো কোন তোয়াক্কা করেনি, তারা এখনো করছে না। কিছুটা কুসংস্কার জনিত ভয় আর সম্পুর্ন একগুঁয়ে স্বভাবের কাছে এরা ভাইরাসের কাছে নত হতে দ্বিধা করছে না।
    সচেতনতা মুলক প্রচারনা, এবং প্রচারণার মাঝে সঠিক ব্যখ্যা, ব্যখ্যাগুলোর সাথে যথাযথ আন্তরিকতার সমন্বয়ে যদি চেষ্টা করা হয় তাহলে হয়তো সাধারনের বড় একটি অংশকে মাস্কের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
    যেহেতু এখানে লিঙ,বয়স, দল, মত,ধর্ম,দেশ, জাতি সবকিছুর চেয়ে নিজেদের সুস্থ রাখা জরুরী, এবং আমি/আমার সাথে জড়িত সবাইকে নিয়ে ভালোভাবে সুস্থ থেকে জীবনযাপন করতে চাই, তাই আমাদের সবাইকেই এই ব্যাপারে চেষ্টা করতে হবে। শুরু করতে হবে নিজ নিজ পরিবার থেকেই।

    ভাইরাস দুইচার দিনে নির্মুল হবার নয়। এই সময়ে আপনার এমন একটি সচেতন মুলক লেখার খুবই দরকার ছিলো। এটা পড়ে যদি একজনও নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করে এটাও এক বিশাল প্রাপ্তির খাতায় যোগ হবে ইনশাআল্লাহ।

    ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ কামনা 🌹🌹

    • নাসির সারওয়ার

      অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখার মর্মার্থ বুজিয়ে মন্তব্যের জন্য।
      প্রত্যেক মানুষ উদাহরণ অনুসরণ করে, খুব কম মানুষই উদাহরণ তৈরী করতে সফল হয়। কাছের আপন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা সমস্যা কে সমস্যা মনে করি না। এখানেই আমাদের জ্ঞানের পরিধি আটকে থাকে। এই ব্যাসার্ধকে ভাংগার মানষিকতা তৈরী করতে হবে।
      যারা আমাদের থেকে একটু বয়সে এগিয়ে আছেন তাদের হয়তো জীবন যাপন পরিবর্তন সম্বন্ধে বোঝানো যাবে না। তবে নিজে থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রজন্মকে বোঝানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। আমি সাধারণ মানুষ তাই নিজ ঘর থেকে শুরু করলাম। যদি আমাদের সরকার ও এলাকার অভিভাবক গন এই বিষয়ে সচেতনতা মূলক কিছু পদক্ষেপ নিতেন তাহলে আরো সুফল দেখার সৌভাগ্য হতো।

      কখনো অন্যের দিকে আংগুল তোলার অভ্যাস নেই তার পরেও মনে হয় দেশের প্রশাসন আরো একটু সুনজর দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে একটু নিরাপদ ভাবার সাহস পেতাম।
      তারপরও আশা রাখি রাস্তার ফুটপাতের আবর্জনার মতো আমাদের বায়ুও ব্যবহার যোগ্য হবে, অনেক দেরি হওয়ার আগে।

      ভালো থাকুন, অন্যকেও ভালো থাকতে সাহায্য করুন।

  • মোঃ মজিবর রহমান

    আপনার এই পোষ্ট এর মাধ্যমে অনেক উপকারী তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তা সত্য কিন্তু কথায় বলে নিজের ভালো পাগলেও বোঝে শুনি কিন্তু সচেতন মানুষ অচেতন থাকে এটাই মুস্কিল ভাইয়।

    এদের বুঝাতে হলে ডান্ডা বারি অগোছরেই দিতে হবে তাহলে উপলদ্ধি হবে ইনশা আল্লাহ। সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল বাকাতে হবে।
    অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট যা দেশে সমাজের অতি গুরুত্বপুর্ন।
    ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

  • মনির হোসেন মমি

    এমন একটি লেখা লিখবো মনে মনস্থির করেছিলাম আপনি তা দিয়ে উপকার করলেন।অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ বছরে দুএকটা পোষ্ট দেয়ার জন্য।আমরাতো আশা করছিলাম মাসে অন্তত দুচারটা পাবো।যাক যা পাই তাইতো লাভ কী বলেন প্রিয় কবি।
    মাস্ক শুধু করোনার ভয়েই পড়তে হবে না আর কটা বছর পর এমনিতেই মাস্ক পড়ে থাকতে হবে নতুন অল্পায়ুতে জীবনাশ।সুন্দর একটি পরিসংখ্যান সহ তথ্য দিলেন।আসলে যে ভাবে জলবায়ু দোষিত হচ্ছে তাতে পৃথিবী বসবাস আর কতকাল করতে পারে কে জানে।চমৎকার পোষ্টের জন্য আবারো ধন্যবাদ।প্রিয়তে নিলাম।

  • সুরাইয়া পারভীন

    অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই দুঃসময়ে এমন একটা পোস্ট অপরিহার্য ছিলো। করোনা মহামারীর বদৌলতে হলেও আমাদের মাস্ক ব্যবহার করে বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দূরে থাকা প্রত্যেকটি মানুষের উচিত।

    চমৎকার একটি গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ অবশ্যই প্রাপ্য আপনার।
    ভালো থাকুন সবসময়

  • হালিমা আক্তার

    দূষণের সাগরে ডুবে আছি আমরা। সভ্যতা যত বিস্তার লাভ করছে দূষণের মাত্রা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। তবে মানুষ সচেতন হলে এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করলে দূষণের মাত্রা অবশ্যই কমিয়ে আনা সম্ভব। শুভ কামনা অবিরাম।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ