আসুন না, গ্যাজাই এবার, একটুখানি, ফেনা তুলবো এ দিব্যি দিচ্ছি না, দেয়া ঠিক-ও না, দায়-ও নিচ্ছি না, বিস্তর ঝামেলা; তবে আলবাত গ্যাজ চালু রাখার যারপরনাই কসরত জারি থাকবে। আচ্ছা ‘গ্যাজানো’ বস্তুটি কী? এটি কী কোন কলা বিশেষ? যদি তেমনটি জবরদস্তি মূলক ধরেও নেই, তাহলে সেটি কোন বর্গের? সবরি/মর্তমান/কাঁঠালি/চিনি-চাম্পা/বিচি/আনাজি/কাবলি/ সাগর/আগুন-সাগর আর-ও কত কী, জানা বা অজানা, তবে কলা-বিশেষ সেটি নিশ্চিত।

কোয়ারেন্টাইন সময়-বিশেষ আশীর্বাদ-আশীর্বাদ মনে হতে-ই পারে,হয় ও, দিনপঞ্জিটা কায়দা করে এধার কা মাল ওধারকে করার ন্যায় বা অন্যায় মত বেটে-ফেটে দিতে পারলে সুসফল হাত সাফাই সমেত, ক্ষণিকের আনন্দ-জ্বলনের ফুরফুরা বাতাস অনুভবে নিতে পারার-ই কথা। অবশ্য নিম-তিতার ঠিক-ঠাক ব্যবস্থাপনা নিজ গরজে করে নিতে হবে বৈকি!তিতার প্রকার ভেদ আছে, সে ভাবনাটিও হাতের কাছে-ই রাখতে হবে। নিমতিতা (আগেই বলা) চিরতা তিতা, উচ্ছে তিতা ও এ্যালোভেরা তিতা, এর মধ্য থেকে আসল একমাত্র আসল( দুলাল ভরের তালমিশ্রি মত)মিষ্টি-মিষ্টি তিতাটি নিজ গুণে খুঁজে খুঁজে হয়রান হতে হতে, টুপ করে মুখে পুড়ে গলাধঃকরণের সহ্যতা থাকতেই হবে, তবে এ্যালোভেরা কিন্তু সত্যি-ই জোস!

আচ্ছা আউল ফাউল লিখতে বসে হু-হা, হু-হু হুম-হুম সিস্টেমটি এ্যাডাপ্ট(ইস্তেমাল)করতে পারলে এক ঢিলে অনেক অনেক পাখি! এমন-কি ঢিল ছাড়াই অনেক কিছু মেরে-টেরে ফেলা যেত বলেই মনে হচ্ছে,বিনা শ্রমে কয়েক প্রস্থ নামিয়ে-টামিয়ে ফেলা যেত তরতরিয়ে। উহ্‌ রা-রা করে থামিয়ে দিয়ে এলিয়ে পড়ে পরিত্রাণ পাবেন! সেটি হচ্ছে-না হবে-ও না। এমন গোঁজামিলের ভাবনা মনের চৌ-সীমায় পাকালে স্রেফ গাঁতায় পড়ে গিয়ে উহু আহা করলে কেউ উদ্ধারে আসবে না। ইউ হ্যাভ টু মনে রাখতে হবে, এ্যালোভেরা। গ্যাঁট হয়ে বসুন। টেনে-টুনে গুনে-টুনে এই আজগুবি ল্যাহা পড়ে-টড়ে কী হবে না হবে সে হিসেবি নিকেশ না করাই উত্তম। একটু ওয়েটান, নেটের স্পিড টা একটু চেক করে নেই, সিডের অবস্থা খুব-ই করুণ, তা-ও ছোড়ে-গা -নেহি। ভাব নিয়েছিলাম, আজ একখানা কড়কড়ে-মচমচে-কুড়কুড়ে-চকচকে-তেলতেলে ঝকঝকে-তকতকে লেখা লিখব, কিন্তু করোনার ষণ্ড-চোখ নাঙ্গা হয়ে ঐ হাসছে, আপনাত্মীয়ের মত, হা হতোস্মি!!

কিন্তু ভেজাল তো শুরুতেই, ঐ যে কোয়ারেন্টাইনের করোনালাপ! আশীর্বাদ বা দুর্বিপাক! নিপাতনে সন্ধি বলে কিছু নেই, ছিলো-ও না। সুগভীর আস্থা নিয়েই বলছি, অবশ্য আলসেমির ডিব্বা-ডাব্বা নিয়ে বসতে পারলে মন্দ হতো না। ডায়াবেটিস রক্তচাপ(উচ্চ বা নিম্ন) বেতো ব্যথাদাঁতের ব্যথা, বাত জ্বর, কালা জ্বর, হুপিং কাশি, শির পীড়া থাকুক বা না-থাকুক আলসেমির নির্জাসটুকু সবাই নিতে পারে-না, পারবে-ও না। সে কোয়ারেন্টাইন-ফোয়ারেন্টাইন যা কিছুতেই থাকুক-না কেন। মুহূর্ত-পরিকল্পনায় যুগপৎ মহৎ ও বিনোদনের মহা মহা গুরুত্ব পূর্ণ সংযোজন বিয়োজন ঘটিয়ে পরামর্শ ল্যাবে ঢুকে বসে যাব সমস্ত প্রতিকূলতা ঠেলে ফেলে লাগাতার নিত্য নূতন পরিকল্পনা নিয়ে, তা করা মোটেই সহজ কর্ম নয়, কর্ম কুশল-ও নয়।

আচ্ছা, এক চিমটি বুদ্ধি ধারে দেবেন মহৎ-প্রাণ কেউ? দিন না,আকছার মুফেতে বিশাল-বিরাট হৃদয়বান সেজে/ভান করে কত কিছুই-না দেন! দিয়ে ফেলার চেষ্টা দেখান মন মনে, খানিকটা প্রকাশ্যেও, এ যাত্রা না হয় ‘খেলাম তৃপ্তি মত’ ভাব নিয়ে তুরি দিতে দিতে ঝেরে দিন কিছু বুদ্ধি।

মুভি-টুভি দেখলে কেমন হয়! এক দম নূতন থেকে শুরু করে একটু পুরনো, ফেলিনির এইট এন্ড হাফ বা তারকোভস্কির নস্টালজিয়া, এসব বাদে গড ফাদার বা অন্স আপন এ টাইম ইন আমেরিকা,অন্স আপন এ টাইম ইন এন্টিলোয়া, ক্যারিস এন্ড হুইস্পার বা মাখন-মাখন ভুতের ছবি অনলি লাভারস লেফট এলাইভ, অবশ্য সিনেমা বোদ্ধারা বলে, এগুলাইন দেখতে হলে বুকে ও মাথায় নাকি প্রচুর বল থাকতে হয়, দেখুন-না এখন এইট এন্ড হাফ নিজের কাছে খুঁজে না-পেয়ে ডাউন লোড দিয়ে বসে আছি, দিন তিনেক ধরে! এটির এখন বাংলা সাব-ও পাওয়া যাচ্ছে। টরেন্টের সিড হাওয়া হয়ে গেছে! আহা কোয়ারেন্টাইন। টাইট করে বসে যে মনের সুখ নিয়ে দেখব তাও তো হচ্ছে না; আবার, পেটুক সেজে পেট ভাসাবো সে পথ ও কণ্টকময়, কিটো ডায়েটে আছি! আহা ভাত/বিরিয়ানি তুমি/তোমরা কত দূরে!

করোনালাপ শাঁপে বর না বরে শাঁপ কে জানে!তবে দিশেহারা-জীবিকাহারা হতে বেশি বাকি নেই। কাচ-চোখে দুধ-সোনা বাহবা বা আলস্যে স্বপ্ন তীর ছুঁড়ে-ফুঁড়ে লক্ষ্য ভেদ আজকাল আকছার আর গণনায় কেউ রাখে না।

বিদ্রঃ
তদীয় লিখক কোন লেখা-বিজ্ঞানী না, তথ্য উপাত্ত খুঁজে হয়রাণ হয়ে ঘন-শ্রম পণ্ড করে অপব্যয়কারীর বেশে কার-ও আত্মীয় হবেন-না, তা প্রত্যাশিত-ও না, ভাল কথা, হাঁচি-কাশির ডেথ টোলটি চেক করে নিন,
অতএব তামামশোধ।

0 Shares

৩৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ