বিরূপ বসন্ত (ধারাবাহিক উপন্যাস) পর্ব-৯

মাহবুবুল আলম ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:২৬:১৪পূর্বাহ্ন উপন্যাস ২৩ মন্তব্য

পিউ মোটেই নাসিমার সাথে বরের বাড়ি যেতে রাজি হয়নি। সবার জোরাজুরি ও নাসিমার অনুরোধে তাকে শেষ পর্যন্ত যেতে হয়েছে। যাওয়ার আগে এক পলকের দেখায় পিউ মৃদুলকে বলেছে-

মৃদুল ভাইয়া, আমি আপনাকে রেখে কিছুতেই যেতে চাইনি। সবাই মিলে আমাকে জোর করে পাঠালো। নেহায়েৎই আমি ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওখানে যাচ্ছি। ভেবেছিলাম নাসিমা আপুর বিদায়ের পর আপনার সাথে আজ অনেক কথা বলবো। কিন্তু সবাই মিলে আমার সে গোপন ইচ্ছাটাকে মাটি করে দিল। আপনাকে ছেড়ে যেতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। তো আর কি করা। মাঝে তো মাত্র একটা দিন। পরশুই তো বউভাতের অনুষ্ঠান শেষ করে নাসিমা আপুকে নিয়ে চলে আসবো। আর আপনি তো বউ ভাতে যাচ্ছেনই।

একটানা পিউই কেবল বলে যায়। মৃদুল কথাগুলো শুনছে কি শুনছে না এমন একটা ভাব ধরে থাকে। পিউ উত্তরের অপেক্ষায় মৃদুলের দিকে চেয়ে থাকে। মৃদুল তবু কিছু বলে না।

বিয়ের অনুষ্ঠানের এতো ঝামেলার মাঝেও দু’জনের মোবাইল নম্বর আদান প্রদান হয়েছে। মোবাইল নাম্বার পাওয়ার পর থেকেই ফাঁকে ফাঁকে বেশ ক’বার পিউ মৃদুলকে সর্ট মেসেজ পাঠিয়েছে। যেমন: আই মিস্ ইউ। হ্যালো হেন্ডসাম। উউমমা।  কিটু কিটু ইত্যাদি। কিন্তু কিটু কিটু শব্দটার মানে খুঁজে পায়না মৃদুল। ভেবেছে আদর সোহাগ জাতীয় কোনো অভিব্যক্তি হবে হয়তো।

মৃদুলের এমন স্তব্দতা দেখার পরও পিউ বিদায় নেয়ার ঢংয়ে বলে-

এখন তা হলে আসি। মোবাইলে কথা হবে।

পিউ চলে যায়। কিন্তু পিউর এ কৈফিয়তে মৃদুল শুধুই নির্বিকারে চেয়েছিল। হ্যা, না ভাল-মন্দ কিছুই বলার ইচ্ছা হয়নি তার। তবে একবার মনে এ কথাটা উঁকি দিয়েছিল; সে যেতে না চাইলে কি কেউ তাকে জোর করে নিয়ে যেতে পারতো?  আবার এ ও ভেবেছে। আমাদের সংস্কৃতি ঐতিহ্য ও কৃষ্টি অনুযায়ী নুতন বউদের সাথে ছোটবোন বা কোনো নিকট আত্মীয়কে যাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। নাসিমার যেহেতু আপন ভাই বোন নেই, সেহেতু খালাতো বোন হিসাবে তো তাকে যেতে হবে। আমাদের দেশগ্রামে এখনো নুতন বউকে একা পাঠিয়ে দিলে শ্বশুর বাড়িতে অনেক কথা শুনতে হয়ে বউকে। এ হিসেবে গিয়ে ভালই করেছে।  তবে যাওয়ার মূহুর্তে পিউর যে অসহায় অভিব্যাক্তিটি তার চোখেমুখে ফুটে উঠেছিল তাতে তো তাকে কোনো দোষ দেয়া যায় না।

এরই মধ্যে জানা হয়ে গেছে; গেইটের কাছে গায়ে পড়ে মেয়েদের সাথে যে অসহ্য লোকটি হেঙলোপনা করেছিল সে লোকটি নাসিমারই দেবর। মৃদুলের চোখের সামনে এ মূহুর্তে ঐ লোকটির চেহারা ভেসে ওঠে। সে দেখতে পাচ্ছে-তাদের বাড়িতে যাওয়ার পরপরই ঐ লোকটি পিউর পিছু লেগেছে। বিশ্রী কথাবার্তা বলে তাকে উত্যক্ত করছে। তার ওড়না টেনে ধরছে। লোকটির বেহায়াপনার যেন শেষ নেই। নিজে নিজেই বলে ওঠে অসহ্য।

নাসিমাকে বিদায় করে বাড়িটা যেন এক রকম শোকের বাড়ি বলেই মনে হয়। এক দিন আগের সে উচ্ছলতা হৈ হুল্লোর একেবারে স্তব্দ হয়ে গেছে। যে বাড়িতে কাল আলো ঝলসিত রাত ছিল সে বাড়ি এখন কেমন এক অন্ধকারে নিষ্পাণ ডুবে আছে। সবায়ই কম বেশী পরিশ্রান্ত। তাই একটু আগে আগেই রাতের খাবার-দাবারের আয়োজন চলছে। মৃদুলকে ডাকা হয়েছিল খাওয়ার জন্য। সে খাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে। এখন সে বাংলো ঘরের কোনায় বড় আম গাছটির নিয়ে একটা চেয়ারে নিজের গা টা এলিয়ে দিয়ে চেয়ে আছে নিঃসীম আকাশের দিকে। আজ কৃষ্ণপক্ষের প্রথম দিন তাই চাঁদ ওঠতে খানিকটা দেরি হচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে পূব আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠছে। মায়ের প্রতি এখন ভীষণ রাগ হচ্ছে মৃদুলের। এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল অথচ মা তাকে কিছুই বললো না। মা কেন এমন ব্যবহার করলো কারণই সে খোঁজে পাচ্ছেনা এখন। তবে মা কাজটি মোটেই ঠিক করেনি। ঢাকা ফিরে গিয়ে  মাকে ঠিক ঠিকই কথাটা জিজ্ঞেস করবে সে।

এ মূহুর্তে মৃদুল এতটাই ভাবনায় আচ্ছন্ন  হয়ে আছে যে, সব ভাবনায় একত্রিত হয়ে জট পাকিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া তন্দ্রায়ও বারে বারে চোখ মুদে আসছে। এ তন্দ্রার মধ্যেই মৃদুল একটা স্বপ্ন দেখে।

আসলে নাসিমার বিয়েটা হয়েছে মৃদুলের সাথেই। তবে তার মায়ের অমতে। তার মায়ের অমতের একমাত্র কারণ তিনি যত ফুফু ভাইঝির সংসার দেখেছেন, সে সংসার কমই সুখের হয়েছে দেখেছেন। তাই ভাইয়ের মেয়ের সাথে কিছুতেই ছেলের বিয়ে দিতে রাজি হলেন না। তাঁর যুক্তি আপনের চেয়ে পরের মেয়েই ভাল। পরের মেয়ে ভয়ে ভয়ে যে কটু কথাটা বলতে সাহস পাবে না। সেখানে ভাইয়ের মেয়েরা মুখে মুখে তর্কজুড়ে দিয়ে অশান্তির সৃষ্টি করবে। এমন অনেক পরিবারই তিনি দেখেছেন। তাই নিজের ও ছেলের জীবনে নিজ হাতে বিষ বৃক্ষ লাগাতে চাইলে না।

কাজি অফিসে বিয়ে শেষ করে মৃদুল বউকে নিয়ে রিক্সায় চড়েছে। একটি হোটেলে তাদের বাসর হবে আজ। নাসিমকে অপূর্ব লাগছে। সাদামাটা সেজেছে সে, তাতেই যেন রূপ উপছে পড়ছে।

হোটেলে এসে আগে থেকেই সাজিয়ে রাখা একটা সুদৃশ্য পালঙ্কে যেইনা পাশাপাশি শুয়ে অন্তরঙ্গ হবে দুজন এমনিই দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। চোখে মুখে চরম বিরক্তি ফুটিয়ে এমন অসময়ে কে এলো আবার, বলতে বলতে এগিয়ে যায় দরজার দিকে এগিয়ে যায় মৃদুল। দরজা খুলতেই পুলিশ ইন্সপেক্টর বলেন-

: আপনি মৃদুল।

আপনার নামে ওয়ারেন্ট আছে। ভ্রু কুচকে মৃদুল জানতে চায়

: কিসের ওয়ারেন্ট?

: ঢাবির বাছিত হত্যার আপনি এক নাম্বার  আসামী।

: বাছিত হত্যাকান্ডের সময় আমি তো ঢাকাই ছিলাম না।

: সে কথা আমাদের জানার কথা নয়। আমরা গ্রেফতারী পরোয়ানা নিয়ে এসেছি, যা বলার আপনি আদালতে গিয়ে বলবেন।

: আমি আপনাদের সাথে এ গভীর রাতে কোথাও যেতে পারবো না। এরেষ্ট করতে হলে সকালে করবেন। তা ছাড়া কিছুক্ষণ আগেই আমরা বিয়ে করেছি। আজ আমাদের বাসর।

মৃদুলের কথা শেষ হতে না হতেই একজন হাবিলদার বিশ্রী একটা গালি দেয়-

: স্যার! মাদারচোদের সাথে এত কথা বলার দরকার কি। শালারে হেন্ডকাপ লাগান। লকাপে ঢুকাইয়া তার বাসর রাত করামু।

হাবিলদারের গালিতে মৃদুল উত্তেজিত হয়ে ওঠে সে অফিসারটিকে উদ্দেশ্য করে বলে-

: দেখুন ইন্সপেক্টার আপনার লোককে মুখ সামলে কথা বলতে বলুন। কথাটা শেষ করতে পারে না মৃদুল; কথার মধ্যখানেই তার চোয়ালে একটা শক্ত ঘুসি লাগায় হাবিলদারটি। টাল সামলাতে না পারায় মেজেতে পড়ে যায় মৃদুল।

স্বপ্নটা ভাঙ্গতেই মৃদুল দেখে সে চেয়ারশুদ্দ মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি করছে। দ্রুত উঠে দাড়িয়ে এদিক ওদিক তাকায় সে। আশেপাশের কেউ ব্যাপারটি দেখে ফেললো না তো ! না কেউ দেখেনি। বাঁচা গেল।

আবার ঘুছিয়ে বসে সে। বাড়ির মানুষজন এতক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছে। পুরো বাড়িই এক রকম ফাঁকা। অনেকেই নাসিমার সাথে সাথে কেউ আবার নাসিমাকে বিদায় করে চলে গেছে। তাই বাড়িতে অনেকগুলো ঘরই আজ ফাঁকা। কিন্তু ঘুমাতে যেতে কিছুতেই ইচ্ছে হচ্ছে না তার। কেমন এক শূন্যতার হাঙ্গর যেন তাকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে।

মৃদুলের বুক পকেটে রাখা মোবাইল ফোন বাজছে। ফোনটাও ধরতে ইচ্ছা হয়না তার। শেষে কি ভেবে পকেট হাতরিয়ে হেন্ডসেটটা বের করে কলালের নাম দেখেই অনেকটা হতচকিয়ে বলে-

: কি খবর সাকিল ভাই।

: খবর ভাল নয়। রাতে ফোনের ফিকোয়েন্সি বেশী থাকায় সাকিলের কন্ঠস্বরও বেশ ষ্পষ্ট শোনা যাচ্ছে।

মৃদুলই আবার উদগ্রীব হয়ে জানতে চায়-

: খারাপ খবরটা কি তাড়াতাড়ি বলুন। কাঁপা কাঁপ গলায় সাকিল বলে-

: কিছুক্ষন আগে ক্যাম্পাসে এক বোমা হামলায় আমাদের দুইজন কর্মী নিহত ও বেশ ক’জন  গুরুতর আহত হয়েছে। পরিস্থিতি খুব খারাপ। তুমি এখন কোথায় তাই বল। তোমাকে আমদের বিশেষ প্রয়োজন। আজ রাতেই এ কাপুরুষোচিত বোমা হামলার বিরুদ্ধে কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

: নিহতদের দু’জনকে কী আমি চিনি সাকিল ভাই।

: হ্যা চিন। এসব কথা বাদ রেখে এখনই তুমি আমাদের সাংগঠনিক অফিসে চলে এসো। রাত বারটায় আমরা জরুরী মিটিং ডেকেছি। তোমার খুব দরকার।

: সাকিল ভাই আমি তো এখন আমাদের নানার বাড়ি কুমিল্লায়। আামার কাজিনের বিয়েতে এসেছি। সুতরাং এখান থেকে তো আমি এত রাতে আসতে পারবোনা। কাল সকালের আগে কিছুতেই আমার আসা সম্ভব নয়।

: কেন আসা সম্ভব নয়। আর আর আসতেই পারবে না কেন? আজ শুক্রবার। রাস্তাঘাট ফ্রি। তুমি যদি এখোনি ‘এশিয়া লাইনে’ ওঠো ঘন্টা দেড়েকের মধ্যেই চলে আসতে পারবে।

: না সাকিল ভাই। আমি যেখানে এসেছি সেটা কুমিল্লা শহরে নয়। একবারে প্রত্যন্ত গ্রাম। যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। মহাসড়ক থেকে প্রায় চার কিলো দূরে। এই রাতে মহাসড়কে যাওয়ার জন্যও রিক্সা বা অন্য কোনো যানবাহন পাওয়া সম্ভব নয়। আপনারা মিটিং করে কর্মসূচি গ্রহণ করুন। আমি কাল সকাল সকাল ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছবোই।

মৃদুলের কথা শেষ হলে সাকিলের কন্ঠ থেকে একরাশ হতাশা ঝরে পড়ে। সে বলে-

: তা হলে কি আর করা। কাল যত তাড়াতাড়ি পার চলে এসো কিন্তু।

: অবশ্যই আসবো সাকিল ভাই। অবশ্যই আসবো।

সাকিলই মোবাইল ডিসকানেক্ট করে দেয়।

মোবাইলটা পকেটে রাখতে না রাখতেই আবার ফোনটা বেজে ওঠে।

আবার সাকিল ভাইয়াই ফোন করলো কিনা ভেবে মোবাইল অন করতেই পিউ’র নাম্বার দেখে ইয়েছ বাটন টিপতেই  অপর প্রান্ত থেকে পিউ’র কান্না ঝড়ানো কন্ঠ ভেসে আসে-

: মৃদুল ভাইয়া এখানে আমার একটুও ভাল লাগছে না। চলে আসার সুযোগ থাকলে আমি এক্ষণি চলে আসতাম। আমি এখন কি করবো মৃদুল ভাইয়া!

: আমি কি করে বলবো; তুমি কি করবে। তার কন্ঠস্বর কেমন রুক্ষ্ম শুনায়।

: আমার মন ভাল হয়ে যায়, এমন এটা কিছু বলেন না।

: আমি কী মন ভাল করে দেয়ার টনিক নাকি যে, এক ডোজ দিলাম আর এমনি এমনি তোমার মন ফুর ফুরে হয়ে যাবে?

: হ্যা আপনি টনিকই।

মৃদুল এ কথার কোনো উত্তর দেয়না। তার কাছে পিউর এ’সব কথা নেকামো বলেই মনে হচ্ছে। তা ছাড়া এ মুহুর্তে তার মনের যে পরিস্থিতি তাতে এ’সব অতি কথন ভাল না লাগারই কথা। না বলে  মোবাইল রেখে দেয়াটাও কেমন অসৌজন্যতা; তাই সে মোবাইল ডিস্কানেক্টও করতে পারছেনা। মৃদুলের এসব এলোমেলো ভাবনার মাঝেই পিউ বলে-

: কিছু বলছেন না যে। ফোন করে কি আপনাকে ডিসটার্ব করলাম নাকি?

: না, কোনো ডিসটার্ব করনি।

: তো এমন চেটাং চেটাং করে কথা বলছেন যে।

: কোথায় চেটাং চেটাং করে কথা বললাম।

: কেন, এতক্ষণ কি মুখে মধু মেখে কথা বলছিলেন। আমি কী এতটাই বোকা যে কে কোন টোনে কথা বলছে তা ও বুঝবনা।

: থাক পিউ এতরাতে আর অযথা কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। মৃদুলের কন্ঠে অনুরোধের সুর । তবু যেন নিস্কৃতি নেই পিউর হাত থেকে। পিউ বলে-

: কাল বিকেল থেকেই লক্ষ্য করছি আপনি আমার সাথে কেমন অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। কথার পিঠে মৃদুল কৈফিয়তের ভঙ্গিকে বলে-

: কখন তোমার সাথে আমি অসৌজন্যমূলক আচরণ করলাম আবার।

: কখন আবার না করলেন সেটাই বলুন। আমি নাসিমা আপুর সাথে চলে আসার সময় আপনার কাছ থেকে বিদায় নিতে গেলে আমার সাথে ফকির মিসকীনের মতো আচরণ করলেন। আবার আমি এসেছি, কতটা সময় পেরিয়ে গেল। কিন্তু আপনি একটিবার ও হাই-হ্যালো কিছুই বললেন না। আবার এখন আমি উপযাজক হয়ে বেহায়ার মতো আপনাকে ফোন করার পরও কেমন চেটাং চেটাং করছেন। এটা কিন্তু বেশী হয়ে যাচ্ছে বলে দিলাম।

: পিউ তুমি কিন্তু আমাকে শুধু শুধু ভুল বুঝে বেশ কথা শুনিয়ে দিলে। মানুষের মন সব সময় একই রকম থাকে না। মৃদুলের কথা শেষ হওয়ার অপেক্ষ না করে ছোঁ মেরে কথা কেড়ে নেয় পিউ-

: আপনার মনের আবার হঠাৎ করে কি হলো।

: মানুষের মন কি খারাপ হতে পারে না।

: হ্যা পারে। তবে নাসিমা আপুর বিরহই কী আপনার আপনার মন যাতনার কারণ ? আমি তো নিশ্চয়ই না। কি ঠিক বললাম?

মৃদুল দু’টো প্রশ্নের কোনটারই জবাব দেয় না। তার নিরবতা দেখে বেশ রেগে যায় পিউ। সে আর একটিও কথা ব্যয় না করে মোবাইল ডিস্কানেক্ট করে দেয়। মৃদুল ও আর এ মুহুর্তে কলব্যাক না করে পকেটের মধ্যে হেন্ড সেটটি রেখে দেয়। [চলবে…]

0 Shares

২৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ