বয়াতী শরিয়ত সরকার । নিশ্চয় তিনি এখন বিতর্কীত মানুষ ।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বাক্ স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না । একটা দেশ চলে জনগণের মানসিকতার উপরে । সরকারের মানসিকতার উপরে না ।
ধর্ম ও বাংলাদেশ দুই সহোদর ভাই । এটা বারবার প্রমানীত ।
বয়াতির অপরাধটা কি সত্যিই অপরাধ ছিলো ?
ধর্মটা আসলে কি ?
ভোট হয় স্কুলে স্কুলে
সরস্বতী পুজোও হয় স্কুলে স্কুলে ।
গ্যাকলটা তবে কোথায় ?
হয় ভোটের তারিখ পরিবর্তন , না হয় মরন । নির্বাচন কমিশন নামক দড়ি দিয়ে রাষ্ট্র আজ হিন্দু সম্প্রদায় কে বেঁধে পুজা বন্ধ করতে চায় ।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা কেমন আছে ?
বাংলাদেশে যারা সংখ্যালঘু তারাই কিন্তু ভারতে সংখ্যাগুরু , বাংলাদেশে যারা সংখ্যালঘু ময়ানমারে তারা সংখ্যাগুরু ,আবার ভারতে যারা সংখ্যালঘু তারাই আবার বাংলাদেশে সংখ্যাগুরু ।
সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু তৈরীর মহানায়ক “ ধর্ম ” ।কি বলেন ?
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে ত্রিশ তারিখ হিন্দু সম্প্রদায়ের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন এবং এই দিনেই নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ধার্য করে। আবার এটাও সত্য যে আওয়ামী লীগের অন্যতম বুলি হলো তারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের রূপকার। এটা তাদের কেমন অসাম্প্রদায়িক মনোভাব তা আমার বোধগম্য নয়।
অসভ্য জানোয়ারের কাছে সভ্যতা হলো বিক্ষিপ্ত উল্কার ন্যায়। কাজেই কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না, কেবল অশান্তি সৃষ্টি হবে। নির্বাচন কমিশনের অশিক্ষিত নির্বোধ গুলো এই দাবী মেনে নেওয়াকে তাদের নীতিগত পরাজয় হিসেবে নেবে। কাজেই অশান্তি সৃষ্টি না করে সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে সকল সভা সমাবেশ সেমিনার নির্বাচন সহ সমস্ত জনসমাবেশের দিনক্ষণ নির্ধারণের আগে যাতে করে সকল ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান কে উর্ধ্বে বিবেচনা করা হয় সে ব্যাপারে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির আবেদন করা যেতে পারে। ধন্যবাদ ভাই।
তারিখটি নির্ধারণ করার পুর্বেই সরকারের উচিত ছিল দিনের গুরুত্ব ভেবে কোন একদিন কি করা উচিত বা না সেটা ভাবা কিন্তু সরকার আমলারা ভাবেনা কারণ তারা রাজনৈতিক না,ক্ষতি হবে রাজনৈতিকভাবে আওয়ামীলীগ আর লাভবান হবে আওয়ামিবিপক্ষ গ্রুপ।
অনেক আমলারা আছেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ফায়দা লুটার ও বিপক্ষ রাজনৈতিক পক্ষকে সুজোগ করে দেওয়া। যা দালাল বলা যায় ।
আর সংখ্যা লঘুরা সব সময় বিপদে ও ভয়ে থাকে। তারা মান সন্মান ও আত্ববোধ নিয়ে চলা খুব অসহায়ে থাকে। এটা সারা বিশ্বেই একই অবস্থা।
সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য সরকারের মাঝেই ঘুমটি মেরে থাকে কিছু সরকারের বিরোধী গ্রুপের দালাল যারা সরকারাকে বিপদে ফেলতে এই রকম কাজ করে। অর্নব ভাই।
যেমন ঈদের দিন নিরধারন করতে চাঁদ দেখা কমিটি কিছু এলমেল শুরু করেছিল মনে আছে নিশ্চয়।
আপনার সাথে একমত। তারপর কি হই জানেন, সরকার বিরোধি কাজ করে অতি সুক্ষভাবে আর সেইভাবে সরকারকেউ বুঝাই কিন্তু সরকার সেটা বিশ্বাসের সঙ্গে মেনে নেই, কিন্তু ঘটনা ঘটার পর কিছুই করার থাকেনা।
যেমন মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকা সরকারকে নাজেহাল এবং চরম অপমান করেছে । এটা সরকারের বিশ্বাসের ফল।
এভাবেই প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হেয় আর নির্যাতিত হচ্ছে । সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানাচ্ছি।এটা সার্বজনীন কারন সমস্ত বিদ্যাপীঠে এই পূজা উদযাপন করা হয়।
সংখ্যালঘুরা সব দেশেই নির্যাতিত। গরিষ্ঠের ভিড়ে তাদের অসহায়ত্বের পরিত্রাণ নেই।
ধর্ম! মানবগোষ্ঠীর নিজেদের সুবিধার্থে তৈরি করা সম্মিলিত রুল, গরিষ্ঠরা রুল মেনে সুখ খুঁজে, লঘুরা মানতে না পেরে দুঃখী জীবন যাপন করে।
ধর্ম এর জন্য দায়ী নয়, ধর্ম কারো উপর চাপিয়ে দেওয়ার কথাও বলেনা, কিছু শয়তান নিজেদের রুর মানষিকতা চরিতার্থেে ধর্মের পবিত্র বানীকে ভুল ভাবে প্রয়োগ করে, সংখ্যা লঘুদের কে কোন ঠাসা করে।
এইসব জটিল প্রশ্নের সমাধান
লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে
হয়েছিল ৭১, একদল খুনী সাম্রাজ্যবাদের দোষর
জাতীর জনককে হত্যার মাধ্যমে নতুন জীবন দিয়েছে।
এই পাপ থেকে আর মেলে না মুক্তি।
শুভ কামনা।
৩৩টি মন্তব্য
অনন্য অর্ণব
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে ত্রিশ তারিখ হিন্দু সম্প্রদায়ের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন এবং এই দিনেই নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ধার্য করে। আবার এটাও সত্য যে আওয়ামী লীগের অন্যতম বুলি হলো তারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের রূপকার। এটা তাদের কেমন অসাম্প্রদায়িক মনোভাব তা আমার বোধগম্য নয়।
দেবজ্যোতি কাজল
হিন্দুদের উচিৎ সারা বাংলাদেশে সরস্বতী পুজো বর্জন করা এবং সাংবাদিক সন্মেল করে সারা দেশের হিন্দুদের কাছে এই প্রস্তাব রাখা
অনন্য অর্ণব
অসভ্য জানোয়ারের কাছে সভ্যতা হলো বিক্ষিপ্ত উল্কার ন্যায়। কাজেই কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না, কেবল অশান্তি সৃষ্টি হবে। নির্বাচন কমিশনের অশিক্ষিত নির্বোধ গুলো এই দাবী মেনে নেওয়াকে তাদের নীতিগত পরাজয় হিসেবে নেবে। কাজেই অশান্তি সৃষ্টি না করে সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে সকল সভা সমাবেশ সেমিনার নির্বাচন সহ সমস্ত জনসমাবেশের দিনক্ষণ নির্ধারণের আগে যাতে করে সকল ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান কে উর্ধ্বে বিবেচনা করা হয় সে ব্যাপারে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির আবেদন করা যেতে পারে। ধন্যবাদ ভাই।
পর্তুলিকা
এত বড় অক্ষরে পোস্ট!
দেবজ্যোতি কাজল
হুম এত বড়ো ।
বিষয়টা নিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা উদাসীন , তাই
পর্তুলিকা
বুঝলাম 🙁
মোঃ মজিবর রহমান
তারিখটি নির্ধারণ করার পুর্বেই সরকারের উচিত ছিল দিনের গুরুত্ব ভেবে কোন একদিন কি করা উচিত বা না সেটা ভাবা কিন্তু সরকার আমলারা ভাবেনা কারণ তারা রাজনৈতিক না,ক্ষতি হবে রাজনৈতিকভাবে আওয়ামীলীগ আর লাভবান হবে আওয়ামিবিপক্ষ গ্রুপ।
অনেক আমলারা আছেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ফায়দা লুটার ও বিপক্ষ রাজনৈতিক পক্ষকে সুজোগ করে দেওয়া। যা দালাল বলা যায় ।
আর সংখ্যা লঘুরা সব সময় বিপদে ও ভয়ে থাকে। তারা মান সন্মান ও আত্ববোধ নিয়ে চলা খুব অসহায়ে থাকে। এটা সারা বিশ্বেই একই অবস্থা।
অনন্য অর্ণব
এটা আমলাতান্ত্রিক বিবাদ বলে মনে হয় না, বরং এটা অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের মূর্খতারই ফসল।
মোঃ মজিবর রহমান
সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য সরকারের মাঝেই ঘুমটি মেরে থাকে কিছু সরকারের বিরোধী গ্রুপের দালাল যারা সরকারাকে বিপদে ফেলতে এই রকম কাজ করে। অর্নব ভাই।
যেমন ঈদের দিন নিরধারন করতে চাঁদ দেখা কমিটি কিছু এলমেল শুরু করেছিল মনে আছে নিশ্চয়।
দেবজ্যোতি কাজল
ভোটের দিনক্ষণ আমলারা ঠিক করে না । সরকারের আদেশেই হয় ।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার সাথে একমত। তারপর কি হই জানেন, সরকার বিরোধি কাজ করে অতি সুক্ষভাবে আর সেইভাবে সরকারকেউ বুঝাই কিন্তু সরকার সেটা বিশ্বাসের সঙ্গে মেনে নেই, কিন্তু ঘটনা ঘটার পর কিছুই করার থাকেনা।
যেমন মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকা সরকারকে নাজেহাল এবং চরম অপমান করেছে । এটা সরকারের বিশ্বাসের ফল।
দেবজ্যোতি কাজল
কোনো তালিকা তৈরি করা কঠিণ কাজ । সেখামে আমলাতন্ত্রের ও ভোটতন্ত্রের ভূমিকা থাকে । কিন্তু কোন সরকারি ঘোষণায় আমলাতন্ত্রের ভূমিকা শূন্য ।
রেহানা বীথি
নিঃসন্দেহে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। পরিবর্তন অবশ্যই দরকার।
দেবজ্যোতি কাজল
ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এভাবেই প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হেয় আর নির্যাতিত হচ্ছে । সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানাচ্ছি।এটা সার্বজনীন কারন সমস্ত বিদ্যাপীঠে এই পূজা উদযাপন করা হয়।
দেবজ্যোতি কাজল
সন্মানহীন দেশ কারাগার সমান
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঠিক বলেছেন দাদা
সাবিনা ইয়াসমিন
সংখ্যালঘুরা সব দেশেই নির্যাতিত। গরিষ্ঠের ভিড়ে তাদের অসহায়ত্বের পরিত্রাণ নেই।
ধর্ম! মানবগোষ্ঠীর নিজেদের সুবিধার্থে তৈরি করা সম্মিলিত রুল, গরিষ্ঠরা রুল মেনে সুখ খুঁজে, লঘুরা মানতে না পেরে দুঃখী জীবন যাপন করে।
দেবজ্যোতি কাজল
তারমধ্যেও তারতাম্য আছে । বাংলাদেশ ও পাকিস্থানের মত নোই
ফয়জুল মহী
ভোট হবে রাতে। পুজা দিনে ,ধর্মের বই মাথায় রেখে হুদা সাহেব ঘুবাবে।
দেবজ্যোতি কাজল
রাতেও পুজো থাকে । তুমি হয় তো যেনেশুনেই ভুল বললে
অনন্য অর্ণব
ফয়জুল ভাইয়ের এই মন্তব্য টা ব্যাঙ্গাত্মক ছিলো আপনি মনে হয় খেয়াল করেন নি হা হা হা 😀
কামাল উদ্দিন
পুজোর দিনে ভোট দেওয়াটা মোটেও উচিৎ হয়নি, তবে শেষ পর্যন্ত যেহেতু নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে তাদের ধন্যবাদ।
দেবজ্যোতি কাজল
করেছে না কি ? করলে ভাল
কামাল উদ্দিন
হুমম, তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে দাদা
কামাল উদ্দিন
ধর্ম বা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আড্ডা দিতেডর লাগে দাদা। আমি সব সময় বলে থাকি “ধর্মের বিরুদ্ধে সতয় বলা কঠিন”
কামাল উদ্দিন
সতয় = সত্য
দেবজ্যোতি কাজল
কোন কিছু নিয়ে আলোচনা না হলে সত্যটা ও ভুলটা ধরা পড়ে না ।
কামাল উদ্দিন
আমিও বুঝি আপনিও বুঝেন কোনটা সঠিক। কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে বলতে গেলে কিছু অন্ধ লোক আছে তারা হামলে পড়ে আপনার জীবনটাকে নরক বানিয়ে ছাড়বে।
মোহাম্মদ দিদার
ধর্ম এর জন্য দায়ী নয়, ধর্ম কারো উপর চাপিয়ে দেওয়ার কথাও বলেনা, কিছু শয়তান নিজেদের রুর মানষিকতা চরিতার্থেে ধর্মের পবিত্র বানীকে ভুল ভাবে প্রয়োগ করে, সংখ্যা লঘুদের কে কোন ঠাসা করে।
দেবজ্যোতি কাজল
চাপিয়ে দেওয়ার সংজ্ঞা কি????
সুপায়ন বড়ুয়া
এইসব জটিল প্রশ্নের সমাধান
লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে
হয়েছিল ৭১, একদল খুনী সাম্রাজ্যবাদের দোষর
জাতীর জনককে হত্যার মাধ্যমে নতুন জীবন দিয়েছে।
এই পাপ থেকে আর মেলে না মুক্তি।
শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
নিঃসন্দেহে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। পরিবর্তন অবশ্যই দরকার -দাদা-
ধর্ম বা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আড্ডা দিতেডর লাগে দাদা।