সাতকাহন

বিষণ্নতার পরিপূরক

  • নিবন্ধন করেছেনঃ ১০ বছর ১০ মাস ৫ দিন আগে
  • পোস্ট লিখেছেনঃ ৭৫টি
  • মন্তব্য করেছেনঃ ৪৪৮টি
  • মন্তব্য পেয়েছেনঃ ৮১১টি

সাময়িক পোস্ট : সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

সাতকাহন ২৭ অক্টোবর ২০১৪, সোমবার, ১১:৪৩:৫৫অপরাহ্ন বিবিধ ৮ মন্তব্য
সবার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, নেতাজী সুভাষ বসুকে নিয়ে আমার রিসার্চ ওয়ার্কটি কি এখানে ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করতে পারবো, বা পোস্ট করলে সেটা কি আপনাদের পাঠের জন্য উপযুক্ত হবে? যদিও রিসার্চ ওয়ার্কটি সম্পূর্ণরূপে কাঠখোট্টা টাইপের এবং রসহীন, তবুও আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। পুরো রিসার্চ ওয়ার্কটি পোস্ট করতে হয়তো আমার বছর খানেক অথবা তারও বেশি সময় লাগবে, [ বিস্তারিত ]

এ কে খন্দকারের ইতিহাস বিকৃতির পাঠোদ্ধার

সাতকাহন ২৩ অক্টোবর ২০১৪, বৃহস্পতিবার, ০২:০১:০৮পূর্বাহ্ন মুক্তিযুদ্ধ ১২ মন্তব্য
এ কে খন্দকারের ‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ ইতিহাস বিকৃতির পাঠোদ্ধারকল্পে আমার এই সামান্য আলোচনা। এ কে খন্দকার তার ফরমায়েশি গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু, ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়েছেন প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত তার উল্লেখিত গ্রন্থে। খন্দকারের গ্রন্থটি যে, ফরমায়েশি লেখা তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। গ্রন্থটি প্রকাশ হওয়ার পর [ বিস্তারিত ]

সূর্যাই ডোম ও রাম্বা আখ্যান (শেষ পর্ব)

সাতকাহন ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, রবিবার, ০১:৫৬:৪২পূর্বাহ্ন সাহিত্য ১৬ মন্তব্য
বালক পঞ্চলালের সাথে মৃত সূর্যাইয়ের শরীরধারী আত্মার শেষ বৈঠক ও অন্তর্ধান  সূর্যাইয়ের গল্প শুনতে শুনতে দুপুর গড়িয়ে তখন বিকেল হয়ে সন্ধ্যা ছুই ছুই। পঞ্চলাল হঠাৎ কথা বলে ওঠে...। পঞ্চলাল: আচ্ছা সূর্যাই, তে কা বোলি সক্লে তর রাম্বা কিতনা সুন্দর হ? সূর্যাই: বহুত সুন্দরী হ। দুল দুল ঘোড়া এইসন চলতরাহা। পঞ্চলাল: দেকে রঙ কেসন রাহা? সূর্যাই: [ বিস্তারিত ]
প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা, আপনাদের সাথে সোনেলা ব্লগের যাত্রা শুরুর সময় থেকেই আছি। চমৎকার ছিমছাম, এবং পরিবেশগত দিক থেকে সোনেলা আমার প্রিয় একটি ব্লগ সাইটে পরিণত হওয়াতে প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকার পরও আমি সোনেলাতে আপনাদের জন্য আমার কিছু লেখা শেয়ার করি। আপনাদের ব্যস্ত ব্লগিং জীবনের মাঝে আমার লেখায় চোখ বুলিয়ে যান এটা ভাবতেই ভালো লাগছে, ভার্চুয়াল এই [ বিস্তারিত ]
রাম্বা কোনো কথা না বলে দৌড়ে গিয়ে চিতায় ঝাপ দেয়। মৃদঙ্গে ডঙ্কার তাণ্ডব বাজে, ডোম নারীরা উলুধ্বনি করে। প্রলয়ের মাতম ওঠে, ‘হরি বোল, বোল হরি... হরি নাম সত্য।’ চিৎকার করে রাম্বা। দাউ দাউ করে জ্বলে রাম্বার বসন। আগুনের তোড়ে নারাছু ডোমের হাত পা উঠে যায়। রমেশ চণ্ডাল আর শ্মশান বন্ধুরা ‘হরি বোল’ বলে হাত পায়ের [ বিস্তারিত ]
যমুনার পাড়ের দূরবর্তী কোল ঘেষে ধূ ধূ মাঠে শ্মশান। চারিদিকে কোনো জনবসতি নেই। শ্মশানের মাঝে একটা প্রাচীন পাকুড় গাছ বৃহৎ ডালপালা মেলে দাঁড়িয়ে একা। পাশেই বহমান প্রমত্ত যমুনা। পাকুড়  গাছটির ডানে পুরোনো শিবমন্দির। মন্দিরের বামে অনতিদূরে একটা ছোট্ট নিঃসঙ্গ শনের ঘর। জনবসতির সাথে সে ঘরের কোনো সংশ্রব নেই। সে শনের ঘরে একা বাস করে রমেশ [ বিস্তারিত ]
কাজ শেষ হবার পর শ্রীপদ পাঞ্জাবীর পকেট থেকে একটা ছোট মদের বোতল বের করে বড় করে এক ঢোক মারে। এক ঢোকেই বোতলের তিন-চতুর্থাংশ হাওয়া। কৃষ্ণা ও রামু হা করে তাকিয়ে থাকে। শ্রীপদ বাকী মদ সমেত বোতলটি কৃষ্ণার হাতে দেয়। শ্রীপদ: কৃষ্ণা ই লে দারু। বিদেশী হ। তে আর রামু মিলকে খো। কৃষ্ণা: সব মালিককে ইচ্ছা। [ বিস্তারিত ]
রামু ও কৃষ্ণা সূর্যাইয়ের মাথা, মুখমণ্ডল চেপে ধরে। শ্রীপদ প্রথমে খেঁজুর কাটা দিয়ে দুই চোখের মডু বরাবর খোঁচা মারে। সূর্যাই মাগো বলে চিৎকার করে ওঠে। জাগতিক যে কোনো বিপদে হোক সে ছোট বা বড়, সম্ভবত অবচেতনেই মানুষের মুখ দিয়ে মা ডাক উচ্চারিত হয় অতঃপর ঈশ্বরের। মুহূর্তের মধ্যেই সূর্যাইয়ের চোখের আলো নিভে যায়, চোখে নামে ঘোর [ বিস্তারিত ]
সূর্যাইয়ের পরাজয়, চোখ ও রাম্বাকে হারনো মধ্য রাতের যমুনার চর। তালপাতার ছাউনি কাঁপছে থর থর। সেখানে শ্রীপদ, কৃষ্ণা এবং রামু সূর্যাইয়ের জন্য অপেক্ষমান। ঝড়ো দমকা হাওয়া বইছে। ক্ষণে ক্ষণে বজ্রের ধারালো চাবুক তীব্র কষাঘাতে দাগ এঁকে দিচ্ছে মেঘনীল আকাশের শরীরে। ভারী বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে মাঝে মাঝে টপ্ টপ্। সে বৃষ্টির ফোঁটা বড্ড শীতল। প্রতিটি ফোঁটার [ বিস্তারিত ]
সূর্যাই-রাম্বার অভিসার এবং প্রেম সফলের বাজী সূর্যাই বাঁশি বাজাচ্ছে। রাম্বা আসে নিঃশব্দে। চুপচাপ পাশে বসে সূর্যাইয়ের মন পাগল করা বাঁশি শুনতে থাকে। রাম্বার নিশ্বাসের শব্দে সূর্যাইয়ের সম্বিত ভাঙ্গে। সূর্যাই: রাম্বা! তে এতনা রাতকে ইজাগামে...?! রাম্বা: তোমার বাঁশির সুর হামার নিন চুরালিয়েবায়, তোর গদিমে মাথা রাখে। সূর্যাই: না রাম্বা। রাম্বা: কাথে! সূর্যাই: তুম ঠিকহ বোলাহা রাম্বা [ বিস্তারিত ]
সূর্যাইয়ের প্রেমে রাম্বার প্রথম পরাজয়  জাতের বৈষম্যের কারণে ডোমদের শারদীয় দূর্গা পূজার মতো অন্যান্য ব্রাহ্মণ শ্রেণীর পূজায় অংশগ্রহণের সামাজিক অধিকার না থাকায় নিম্নবর্গের হিন্দু ডোমেরা স্বরস্বতি পূজা কিংবা শেঁতলার পূজা অথবা গণেশ পূজাকে খুব ধুমধামের সাথে পালন করে। স্বরস্বতি পূজার কয়দিন আগের এক  রাতে শ্রীপদ, রামু ও কৃষ্ণা বসে মদ্য পান করতে বসে। শ্রীপদ: হে [ বিস্তারিত ]
সূর্যাই-রাম্বার প্রেমের প্রস্তাবনা শীতের প্রখর উদাস দুপুর। বিশাল উত্তপ্ত বালুর চর। একপাল শুয়োর চরছে। বিশাল শুনশান্ চরে একলা সূর্যাই বাঁশিতে তুলেছে করুণ সুর। রাম্বা আসে তবু সূর্যাই বাঁশি বাজিয়েই চলে। রাম্বা: সূর্যাই! সূর্যাই হচকিতে থামে। সূর্যাই: মালকিন! হিয়াপর ভরা দুপহরকে কা করতিহি? রাম্বা: তু এতনা নিমছে বাঁশি কাহে বাজাওল! সূর্যাই: ইয়ে বাঁশিখাতি বাঁচকেবানি! রাম্বা: লেকিন! [ বিস্তারিত ]
কোনো এক রাতে শিয়ালের আক্রমণে সূর্যাইয়ের শুয়োর রাজা বনে যাওয়া  এই শীতে সেদিন অমবস্যার রাত। দারুণ নিঃশব্দে শ্বেত কুয়াশার নিয়র  নেমেছে অদৃশ্য মিহি হিম চাদরে। নদীর জলো হাওয়ার ডানায় উড়ে আসা উত্তরের কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস চাবুক হানে শিরায় শিরায়। চামড়া, মাংস ভেদ করে শরীরের গহীন ভেতর অস্থিতলের মজ্জাকে নাড়া দিয়ে যায়-শির শির! লাউয়ের পাতার মতো [ বিস্তারিত ]
হরিদাসের আত্মহত্যা হরিদাসের আত্মহত্যার দিন সকাল থেকে সে সারাদিন একা একা উদ্দেশ্যহীন ঘুরে বেড়ায়। হরির এই শীতলতায় সকাল থেকেই তার স্ত্রী তপতীর মুখ ভার। কারণ, সেদিন ভোরের আগে তপতী হরিদাসের দেহ প্রার্থনা করেছিলো। হরি কামার্ত হলে নারীর প্রাকৃতিক রতি নিষিদ্ধ সময়েও তপতীকে উথাল পাথাল করে আদিম বাসনার ঝড় তুলে ফেলে, মানে না কোনো বারণ। অথচ [ বিস্তারিত ]
ভাগাড়ে গরুর চামড়া ছিলা ও ভাগ-বাটোয়ারার রীতি  ভাগাড়ে রামু ও কৃষ্ণা গরুর চামড়া ছিলছে। পাশেই কয়েকটা গ্রিফন শকুন  চিৎকার করতে করতে মরা গরুর দিকে অগ্রসর হবার চেষ্টা করে। কৃষ্ণা শকুনের দিকে মাটির ঢেলা ছুঁরে মেরে হটিয়ে দেয় বারবার। রামু: ঝরছে কর। কেউ দেখলিয়েছে ভাগ দিয়ে হই। দূর থেকে ছুড়ি হাতে গরুর দিকে দৌড়ে আসতে থাকে [ বিস্তারিত ]

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ