সাতকাহন

বিষণ্নতার পরিপূরক

  • নিবন্ধন করেছেনঃ ১০ বছর ১০ মাস ৬ দিন আগে
  • পোস্ট লিখেছেনঃ ৭৫টি
  • মন্তব্য করেছেনঃ ৪৪৮টি
  • মন্তব্য পেয়েছেনঃ ৮১১টি

অনন্য সুভাষ (৭)

সাতকাহন ১ জানুয়ারি ২০১৫, বৃহস্পতিবার, ০৯:১২:৪৬অপরাহ্ন সাহিত্য ৯ মন্তব্য
  সুভাষের প্রতিবাদের ফল পাওয়া গেলো অচিরেই। অবিভক্ত ভারতের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য তালিকা থেকে মহাত্মা গান্ধীর একক সিদ্ধান্তে বাতিল করা হলো সুভাষের নাম। মহাত্মা গান্ধীর ভাষায়, ‘যারা এক মতের মানুষ, একমাত্র তাদেরই ওয়ার্কিং কমিটিতে থাকা উচিত।’ সঙ্গে সঙ্গে সুভাষ অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে এলেন তাঁর বাষট্টিজন সহকর্মী নিয়ে। সুভাষ বললেন: ‘আবেদন নিবেদনে কোনোদিনও স্বাধীনতা আসে [ বিস্তারিত ]

অনন্য সুভাষ (৬)

সাতকাহন ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪, বুধবার, ১০:৪০:২৭পূর্বাহ্ন সাহিত্য ১২ মন্তব্য
সুভাষের তেজদীপ্ত প্রতিবাদের পরে নেহেরু স্বাধীনতা দাবির সংশোধনী আনেন। এই নেহেরুই তার রাজনৈতিক জীবনে কতোবার যে নিজেকে কমিউনিস্ট ও বিপ্লবী বলে বিবৃতি দিয়েছেন তার হিসেব নেই। এবারও তিনি দৃপ্ত কণ্ঠে সুভাষকে সমর্থন জানালেন। কিন্তু যখন ভোট গ্রহণ শুরু হলো তখন তিনি গান্ধীবাদী হয়ে গেলেন। ওই ভোটেই সুভাষ হেরে গেলেন ১৩৫০-৯৭৩ ভোটের ব্যবধানে। এই হার নীতিগত [ বিস্তারিত ]

অনন্য সুভাষ (৫)

সাতকাহন ১১ ডিসেম্বর ২০১৪, বৃহস্পতিবার, ১১:২৫:৪৮অপরাহ্ন সাহিত্য ৬ মন্তব্য
১৯২৮ সালের ডিসেম্বরে কোলকাতা কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এই কংগ্রেস উপলক্ষ করে সুভাষ সারা বাঙলার বিপ্লবীদের সংগঠিত করেন এবং বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স নামে একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করেন, সুভাষ নিজেই এই স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর জিওসি’র দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই বাহিনীর অন্তর্ভূক্ত ছিলো পদাতিক বাহিনী, নারী বাহিনী, মোটরসাইকেল বাহিনী, এবং মেডিকেল কোর বাহিনী। ওই সময় ১৯২৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর [ বিস্তারিত ]

অনন্য সুভাষ (৪)

সাতকাহন ৯ ডিসেম্বর ২০১৪, মঙ্গলবার, ০৪:০৫:৫১অপরাহ্ন সাহিত্য ৯ মন্তব্য
জেলে থাকাকালে ১৯২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ তারিখে সুভাষ বসু’র একটি নিবন্ধ ছাপা হয় ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’তে, এই নিবন্ধে সুভাষ জোড়ালো কণ্ঠে বলে উঠেন, ভারতের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার কথা: ‘যে জাতির অস্তিত্বের আর সার্থকতা নেই, যে জাতির প্রাণের স্পন্দন একেবারে নিঃশ্বেষ হয়েছে সে জাতি ধরাপৃষ্ঠ থেকে লোপ পায়। অথবা কীটপতঙ্গের মতো কোনো প্রকারে জীবন ধারণ করতে থাকে। [ বিস্তারিত ]

অনন্য সুভাষ (৩)

সাতকাহন ৭ ডিসেম্বর ২০১৪, রবিবার, ১০:২৫:১১অপরাহ্ন সাহিত্য ২০ মন্তব্য
১৯২১ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত সুভাষ বসু তাঁর রাজনৈতিক গুরু দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের পাশে থেকে তাঁর সমস্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সুভাষ ছিলেন দেশবন্ধুর যোগ্য উত্তসূরী। সুভাষ ১৯২১ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই পুরো ভারতবর্ষে বিভিন্ন যুব সংগঠনের সভা-সমিতিতে যোগ দিয়ে তাদের ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে বক্তব্য [ বিস্তারিত ]

অনন্য সুভাষ (২)

সাতকাহন ৫ ডিসেম্বর ২০১৪, শুক্রবার, ১০:০০:৩৪অপরাহ্ন সাহিত্য ১৯ মন্তব্য
১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধী কর্তৃক যখন ভারতবর্ষব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছিলো ঠিক সেই সময় জাতীয়তাবোধে সিক্ত, বিপ্লবী চেতনায় বিশ্বাসী সুভাষ বসুর মন চলে গেলো ভারতের রাজনীতির মাঠে। সুভাষ আইসিএস-এর লোভনীয় চাকুরি ও বিলাসবহুল জীবন পরিত্যাগ করে বিপ্লবের টানে ও মুক্তির তাড়নায় স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য মনস্থির করলেন। ১৯২১ সালের ২২ এপ্রিল সুভাষ আইসিএস থেকে [ বিস্তারিত ]

অনন্য সুভাষ (১)

সাতকাহন ৩ ডিসেম্বর ২০১৪, বুধবার, ১১:১৪:০৭পূর্বাহ্ন সাহিত্য ১৩ মন্তব্য
সুভাষ বসুর জন্ম ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি তাঁর বাবার কর্মস্থল উড়িষ্যার কটক শহরে। বাবা জানকীনাথ বসু, মা প্রভাবতী দেবী। সুভাষ বসু ছিলেন বাবা-মায়ের নবম সন্তান। সুভাষদের পৈতৃক নিবাস পশ্চিম বাঙলার চব্বিশ পরগণার চাংড়িপোতা গ্রামে। সুভাষ পূর্ব-পুরুষের দিক দিয়ে দুইটি ভূস্বামী গোষ্ঠীর উত্তরসূরী ছিলেন, পৈতৃকসূত্রে মাহিনগরের বসু পরিবারের আর মায়ের দিক দিয়ে হাটখোলার দত্ত পরিবারের। সুভাষের [ বিস্তারিত ]
জীবনানন্দীয় ধ্বনির শ্রুতিকল্প গঠনের কৌশল নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়-কৌশল আগে, না ভাবনা আগে। ভাবনা, মানে কবিতায় হাত দেবার আগে জগৎ, জীবন, ব্যক্তি, সমাজ, ইতিহাস এসব সম্পর্কে ধারণা। আর এ দুয়ের, মানে বোধ ও কৌশলের পারস্পরিক আদান-প্রদান ও নির্ভরতার সূত্র কী? সব কবির বেলায় সেই সূত্র কি একই? নাকি কবি নির্বিশেষে সেই তত্ত্ব [ বিস্তারিত ]
জীবনানন্দের গদ্য কবিতা সংজ্ঞাসূত্রে মাত্রাহীন হলেও সূক্ষ্ম সুর এবং স্পন্দনহীন মোটেও নয়। শুধু ঝরা পালক’এই জীবনানন্দ প্রথাসিদ্ধ স্তবকের চর্চা করেছিলেন। ধূসর পাণ্ডুলিপি থেকেই জীবনানন্দ ঠিক স্তবক রচয়িতা আর নন। ধূসর পাণ্ডুলিপি’র একমাত্র জীবন কবিতার ৩৪টি অংশ স্তবকধর্মী। শকুন কিংবা কবির জীবদ্দশায় অপ্রকাশিত রূপসী বাংলা’র সনেটসমূহও ধ্বনি বিচারে স্তবকরূপী হয়েও স্তবক ধ্বনি-চারিত্র্য থেকে মুক্ত। তেমনি মৃত্যুর [ বিস্তারিত ]

জীবনানন্দের শ্রুতিকল্প : একটি বিশ্লেষণ (৬)

সাতকাহন ২৭ নভেম্বর ২০১৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৪৮:২০অপরাহ্ন সাহিত্য ৮ মন্তব্য
ক্রিয়াপদের পৌনঃপুনিকতা, পুনশ্চতার ধ্বনি ব্যতিরেকে কি সম্ভবপর ছিলো? তিনি যে সারপদার্থ ভেবেছিলেন তাকে বহন করবার মতো লয় এবং ধ্বনিকেও আবিষ্কার করেছিলেন ক্রিয়াপদের সমূহ ব্যবহারে (সঙ্গে সঙ্গে অব্যয় এবং বিশেষণকেও প্রচুর প্রয়োগ করে)। “মানুষ হিসেবে অনুদার আমি হতে পারি, কিন্তু সময়-ও-সীমা-প্রসূতির ভিতর সাহিত্যের পটভূমি বিমুক্ত দেখতে আমি ভালোবাসি। তবু এটা স্বীকার করবো না যে, ‘মেমোরেবল স্পীচ’ [ বিস্তারিত ]
২.২ ক্রিয়াপদ ও বেগ  ভাবনাকে বেগ দেবার জন্য, বেগকে সংবেদনতর করবার জন্য ক্রিয়াপদের পুনরাবৃত্তির ধ্বনিকে ব্যবহার করেছেন জীবনানন্দ অত্যন্ত কুশলতার সঙ্গে। দুটো উদাহরণ দেওয়া যাক: জলপাইয়ের পল্লবে ঘুম ভেঙে গেল ব’লে কোন ঘুঘু তার, কোমল নীলাভ ভাঙা ঘুমের আস্বাদ তোমাকে জানাতে আসবে না। হলুদ পেঁপের পাতাকে একটা আচমকা পাখি ব’লে ভুল হবে না তোমার, সৃষ্টিকে [ বিস্তারিত ]
আমরা জানি জীবনানন্দ যুক্তাক্ষরকে উচ্চারণে অনুচ্চ করে দিতেন। কিন্তু এখানে বি-শী-র্ণ’র অনুচ্চ অথচ বিলম্বিত স্টোকাটোই ‘এই বাংলার মাঠে’ থামিয়ে দেয় নি বরং পর্বাঙ্গগুলোকে মসৃণ প্রবহমানতায় ভাসিয়ে নিয়েছে। পাখি নীড় থেকে বেরিয়েই ত্বরিত ঘরে ফেরে নি। এই হচ্ছে জীবনানন্দীয় ধ্বনির বুনোহংসীর অনব্যাহত সঞ্চালন। জীবনানন্দীয় প্রবহমানতার আরো কিছু নমুনা: পুরোনো ক্ষেতের গন্ধে এইখানে ভরেছে ভাঁড়ার; পৃথিবীর পথে [ বিস্তারিত ]

জীবনানন্দের শ্রুতিকল্প : একটি বিশ্লেষণ (৩)

সাতকাহন ২১ নভেম্বর ২০১৪, শুক্রবার, ০১:৫৩:২৫পূর্বাহ্ন সাহিত্য ৬ মন্তব্য
২. প্রবহমানতা  অন্ত্যজ ঝোঁক নিয়ে আট-ছয়-এর চাকার বারবার ঘুরে ঘুরে কথা বলার সনাতন ইতিহাস কবিতাকর্মীদের সুবিদিত। পৌনঃপুনিকতার এই আবর্ত ভেঙে প্রবহমানতার প্রথম দরজা খুলেছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত; রেলিংঅলা বনেদি বারান্দাসমেত দ্বিতীয়তলায় উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথ; অবশেষে ছাদে চড়ে আকাশের মতো অসীম, বিস্তীর্ণ প্রবহমানতায় ব্যাপ্ত, বিলীন এবং স্তিমিত নক্ষত্রের মুখোমুখি ব্যঞ্জনাবিধূর হতে শেখালেন জীবনানন্দ। ১.         একদিন জলসিড়ি// নদীটির [ বিস্তারিত ]
কুড়ি দশকের কবিতার চলনের পটভূমিতে মাত্রাবৃত্তের কিছু কৈশোরিক চর্চা করলেও উল্লিখিত ঐ এগারো বছরের অনুশীলন ও রচনার মধ্যে জীবনানন্দ বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর মনের স্বাভাবিক সুর বিলম্বিত অক্ষরবৃত্তের উত্থান-পতনে নয় বরং ধীরে নুয়ে পড়ে পাথর এড়িয়ে জলের মতো ঘুরে ঘুরে। কেউ কেউ ইশারা দিয়েছেন যে এই ধ্বনির পূর্বসূত্র রবীন্দ্রনাথের কৈশোরিক রচনা তারকার আত্মহত্যা (সন্ধ্যাসঙ্গীত) কবিতায় [ বিস্তারিত ]
শ্রুতিকল্প-প্রথমে সংজ্ঞা দেওয়া যাক। অনুপ্রাস, অন্ত্যমিল, মধ্যমিল, পর পর শব্দের অর্ন্তগত স্বরবর্ণের মিল ধ্বনি-ব্যঞ্জনার জন্য অন্য যা কিছু সম্ভব, যেমন ধ্বনিস্পন্দ, তা গদ্যের থেকে ধার করা হোক, কথ্য ভাষা থেকে আহরিত হোক, সংলাপ থেকে স্পন্দিত হোক-এসব মিলেই শ্রুতিমাণে ধ্বনির মূর্ত-বিমূর্ত রূপ, এই হচ্ছে শ্রুতিকল্প। তাই চিত্রকল্প, যা চিত্রে কল্পনা জাগিয়ে তুলতে সক্ষম; তেমনি যা কিছু [ বিস্তারিত ]

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ