মারজানা ফেরদৌস রুবা

###"আমার দেশ আমার অহংকার"

###"মুক্ত করো ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়"

  • নিবন্ধন করেছেনঃ ৯ বছর ৫ মাস আগে
  • পোস্ট লিখেছেনঃ ২২৬টি
  • মন্তব্য করেছেনঃ ১৮৬৬টি
  • মন্তব্য পেয়েছেনঃ ৩১৫৭টি
নাজিমুদ্দীন সাহেব পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা ছিলেন, এমএলএ ও এমএলসিরা তাঁরই ভক্ত বেশি ছিল। শহীদ সাহেব ডেপুটি লিডার হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে প্রতিনিধি না করে নাজিমুদ্দীন সাহেব ফজলুর রহমান সাহেবকে পাঠালেন। শহীদ সাহেবকে বললেন, আপনাকে নির্বাচিত করে লাভ কি? আপনি তো কাউন্সিল থেকে ইলেকশন করে বোর্ডের মেম্বার হতে পারবেন। ফজলুর রহমান সাহেব পারবেন না, তাই তাঁকেই সদস্য [ বিস্তারিত ]
আমরা দুইজন একদিন সময় ঠিক করে তাঁর সাথে দেখা করতে যাই এবং বুঝিয়ে বলি বেশি টাকা লাগবে না, কারণ সাপ্তাহিক কাগজ। আমাদের মধ্যে ভাল ভাল লেখার হাত আছে, যারা সামান্য হাত খরচ পেলেই কাজ করবে। অনেককে কিছু না দিলেও চলবে। আরও দু'একবার দেখা করার পরে শহীদ সাহেব রাজী হলেন। মুসলিম লীগ অফিসের নিচের তলায় অনেক [ বিস্তারিত ]
womenchapter- এ জনৈকা লেখিকা জেসিকা ইরফানের একটি লেখা পড়ে আমার মাঝে কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি অপি করিম বিয়ে করেছেন। আর তাই ছিলো তাঁর লেখাটির বিষয়বস্তু। ★ লেখিকা এক জায়গায় বলেছেন, বিয়েটা কি খুব জরুরী কিছু? তিনবার ট্রাই না করলে কি চলতো না? তার এ কথা শুনে আমার মনে হয়েছিলো, বোধহয় তিনি লিভ টুগেদারকেই সাপোর্ট [ বিস্তারিত ]
এই সময় আমি বাধ্য হয়ে কিছুদিনের জন্য ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হই। অনেক চেষ্টা করেও দুই গ্রুপের মধ্যে আপোষ করতে পারলাম না। দুই গ্রুপই অনুরোধ করল, আমাকে সাধারণ সম্পাদক হতে, নতুবা তাদের ইলেকশন করতে দেওয়া হোক। পূর্বের দুই বৎসর নির্বাচন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করেছি। ইলেকশন আবার শুরু হলে আর বন্ধ [ বিস্তারিত ]
এদিকে মুসলিম লীগ অফিসে ও শহীদ সাহেবের কানে পৌঁছে গিয়েছে আমরা শেরে বাংলার বাড়িতে যাওয়া-আসা করি। তাঁর দলে চলে যেতে পারি। কয়েকদিন পরে যখন আমি শহীদ সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে যাই তিনি হাসতে হাসতে বললেন, " কি হে, আজকাল খুব হক সাহেবের বাড়িতে যাও, খানাপিনা কর?" বললাম, "একবার গিয়েছি জীবনে।" তাঁকে সমস্ত ঘটনা বললাম। তিনি [ বিস্তারিত ]

বেওয়ারিশ!

মারজানা ফেরদৌস রুবা ১৯ জুলাই ২০১৬, মঙ্গলবার, ০৯:৪৯:৪৮পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি, সমসাময়িক ২০ মন্তব্য
বেওয়ারিশ! পিতামাতা, পরিবার পরিজন থাকার পরও আজ তোমরা বেওয়ারিশ!! সমাজ থেকে শুরু করে তোমাদের জন্মদাতা পিতামাতাও তোমাদের ঘৃণা করে। তোমাদের কারো জানাজায় পর্যন্ত লোক শরীক হয় না! এমনকি তোমাদের জন্মদাতা পিতামাতাও না! চেয়ে দেখো তোমরা, পৃথিবী থেকে কতোটা ঘৃণা কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছো পরপারে। আজ ১৯ জুলাই। ঠিক এক সপ্তাহ আগে, ১৩ জুলাই পত্রিকা মারফত জেনেছিলাম [ বিস্তারিত ]
শহীদ সাহেব মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়ার পরে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠানের দিকে মন দিলেন। যুদ্ধের প্রথম ধাক্কা সামলিয়ে ইংরেজ যুদ্ধের গতি পরিবর্তন করে ফেলল। এই সময় কংগ্রেস 'ভারত ত্যাগ কর আন্দোলন' ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। পাকিস্তান আন্দোলনকেও শহীদ সাহেব এবং হাশিম সাহেব জনগণের আন্দোলনে পরিণত করতে পেরেছিলেন। ইংরেজের সাথেও আমাদের লড়তে হবে, এই শিক্ষাও হাশিম সাহেব আমাদের [ বিস্তারিত ]
এই সময় ফজলুর রহমান সাহেব আমাকে ডাকলেন, তিনি চিফ হুইপ ছিলেন। আমাকে বললেন, "আপনাকে এই বারটার সময় আসাম-বেঙ্গল ট্রেনে রংপুর যেতে হবে। মুসলিম লীগের একজন এমএলএ যিনি 'খান বাহাদুর'ও ছিলেন তাঁকে নিয়ে আসতে হবে। টেলিগ্রাম করেছি, লোকও পাঠিয়েছি, তবুও আসছেন না, আপনি না গেলে অন্য কেউই আনতে পারবে না। শহীদ সাহেব আপনাকে যেতে বলেছেন। আপনার [ বিস্তারিত ]
অনেকেই দেখছি, ফারাজ আর অসি সালাউদ্দিনকে নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন! তাই স্বাভাবিক। আমি নিজেও ফারাজকে প্রশংসা করে লিখেছি। অসি সালাউদ্দিনের সুনাম করা স্ট্যাটাস শেয়ার দিয়েছি ফেসবুকে। এখনো সেগুলো তেমনই আছে। অপেক্ষা করছি সত্য বেরিয়ে আসার। একজন আবার সালাউদ্দিনের কুকর্ম নিয়ে ভিডিওক্লিপ দিলেন, দেখেছি কিন্তু কুকর্ম বলতে যা বুঝায় তেমন কিছুই নেই ভিডিওটিতে। এর আগে নিলয় হত্যাকাণ্ডের [ বিস্তারিত ]
গুলশান ট্র্যাজেডিতে নিহত ছয় হামলাকারীর মধ্যে পাঁচ জঙ্গির ছবি প্রকাশিত হয়েছে। শনিবার রাতে পুলিশ এই পাঁচজনের ছবি এবং নাম প্রকাশ করে জানায় এদের নাম আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন ও রিপন। এরা চিহ্নিত জঙ্গি। এদের খোঁজা হচ্ছিল বলেও জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক। দুই ছবির অন্তত চারজনের চেহারার মিল ধরা পড়ে। বাকি একজনের [ বিস্তারিত ]
আমি কিছু সংখ্যক ছাত্র নিয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। খবর যখন রটে গেল লীগ মন্ত্রীত্ব নাই, তখন দেখি টুপি ও পাগড়ি পরা মাড়োয়ারিরা বাজি পোড়াতে শুরু করেছে এবং হৈচৈ করতে আরম্ভ করেছে। সহ্য করতে না পেরে, আরও অনেক কর্মী ছিল, মাড়োয়ারিদের খুব মারপিট করলাম, ওরা ভাগতে শুরু করল। জনাব মোহাম্মদ আলী বাইরে এসে আমাকে ধরে ফেললেন [ বিস্তারিত ]
কলকাতার আহমেদ আলী পার্কে মুসলিম লীগ কাউন্সিল সভা হবে, তখন দুই পক্ষের মোকাবেলা হবে। আমরা হাশিম সাহেবকে জেনারেল সেক্রেটারি করব এবং ম্যানিফেস্টো পাস করাব। অন্য দল হাশিম সাহেবকে সেক্রেটারি হতে দেবে না। নেতাদের মধ্যে অনেকেই শহীদ সাহেবের সমর্থক ছিলেন। তারা শহীদ সাহেবকে সমর্থন করতেন কিন্তু হাশিম সাহেবকে দেখতে পারতেন না। শেষ পর্যন্ত মওলানা আকরাম খাঁ [ বিস্তারিত ]
১৯৪৭ সাল পর্যন্ত আর কোন ইলেকশন এরা করে নাই। মুসলিম লীগ দুই দলে ভাগ হয়ে গেল, একদল পরিচিত হত শহীদ সাহেব ও হাশিম সাহেবের দল বলে, আরেক দল পরিচিত হত খাজা নাজিমুদ্দীন সাহেব ও মওলানা আকরম খাঁ সাহেবের দল বলে। আমরা মওলানা আকরম খাঁ সাহেবকে সকলেই শ্রদ্ধা ও ভক্তি করতাম। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের কিছুই বলার [ বিস্তারিত ]
চট্টগ্রামে টেলিগ্রাম করলাম কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের প্রতিনিধি পাঠাতে। লোক পাঠালাম সমস্ত জেলায়। নূরুদ্দিন, একরাম, শরফুদ্দিন, খন্দকার নূরুল আলম, আমি ও আমার সহকর্মীরা রাতদিন কাজ করতে আরম্ভ করলাম। আমাদের অর্থের খুব অভাব, কারণ হাশিম সাহেবের টাকাপয়সা ছিল না। শহীদ সাহেব আমাদের সামান্য সাহায্য করেছিলেন। আমরা নিজেরা চাঁদা তুললাম এবং দলবল নিয়ে কুষ্টিয়া পৌঁছালাম। কিউ. যে. আজমিরী ও [ বিস্তারিত ]
আনোয়ার সাহেবের দল হাশিম সাহেবকে দেখতে পারতেন না। কিন্তু শহীদ সাহেবের ভক্ত। ছিলেন। শহীদ সাহেব অবস্থা বুঝে আমাদের দুই দলের নেত্রিব্রিন্দকে ডাকলেন একটা মিটমাট করাবার জন্য। শেষ পর্যন্ত মিটমাট হয় নাই। এই সময় শহীদ সাহেবের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। তিনি আনোয়ার সাহেবকে একটা পদ দিতে বলেন, আমি বললাম কখনোই হতে পারে না। সে প্রতিষ্ঠানের [ বিস্তারিত ]

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ