মারজানা ফেরদৌস রুবা

###"আমার দেশ আমার অহংকার"

###"মুক্ত করো ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়"

  • নিবন্ধন করেছেনঃ ৯ বছর ৪ মাস ১৭ দিন আগে
  • পোস্ট লিখেছেনঃ ২২৬টি
  • মন্তব্য করেছেনঃ ১৮৬৬টি
  • মন্তব্য পেয়েছেনঃ ৩১৫৭টি
লিখাটা গতকালই লিখেছিলাম কিন্তু পোস্ট করা সম্ভব হয়নি। আমার বর্তমান সময়ের ১০-৬টা অফিসটাইম ছাড়া দিনের বাকী সময়টুকু কাটে আম্মাকে ঘিরেই। আম্মা অসুস্থ, শয্যাশায়ী। এখন সে সন্তানদের কাউকে না কাউকে পাশে চায়। বাসায় থাকাকালীন আমার প্রতিটা মুহুর্তই এখন তাঁর জন্য বরাদ্দ। মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে, শরীরে তেল ম্যাসেজ করে দিলে, শরীর-হাত-পা টিপে দিলে, চুল আচড়িয়ে দিলে [ বিস্তারিত ]
১৯৪১ সালে আমি মেট্রিক পরীক্ষা দেব। পরীক্ষায় পাস আমি নিশ্চয় করব, সন্দেহ ছিল না। রসরঞ্জন বাবু ইংরেজির শিক্ষক, আমাকে ইংরেজি পড়াতেন। আর মনোরঞ্জন বাবু অঙ্কের শিক্ষক, আমাকে অঙ্ক করাতেন। অঙ্ককে আমার ভয় ছিল। কারণ ভুল করে ফেলতাম। অঙ্কের জন্যই বোধহয় প্রথম বিভাগ পাব না। পরীক্ষার একদিন পূর্বে আমার ভীষণ জ্বর হল এবং মামস হয়ে গলা [ বিস্তারিত ]
১৯৩৯ সালে কলকাতা যাই বেড়াতে। শহীদ সাহেবের সাথে দেখা করি। আবদুল ওয়াসেক আমাদের ছাত্রদের নেতা ছিলেন। তাঁর সাথেও আলাপ করে তাঁকে গোপালগঞ্জ আসতে অনুরোধ করি। শহীদ সাহেবকে বললাম, গোপালগঞ্জে মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করব এবং মুসলিম লীগও গঠন করব। খন্দকার শামসুদ্দীন সাহেব এমএলএ তখন মুসলিম লীগে যোগদান করেছেন। তিনি সভাপতি হলেন ছাত্রলীগের। আমি হলাম সম্পাদক। মুসলিম [ বিস্তারিত ]
“অনেকে রয়েছেন একটা মাত্র দিয়াশলাইয়ের কাঠি খরচ হওয়ার ভয়ে গ্যাস জ্বালিয়ে রাখেন। একটা কাঠির চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি না।“ -----মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি গ্যাস বিস্ফোরণে পুরো একটি পরিবার শেষ হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সতর্কবার্তা হিসাবে একথা বলেন। যেখানে গ্যাসের চুলা জ্বলবে সেখানে জানালা দরজা খুলে রাখার জন্যও তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানান। ---------------------------------------- আক্রান্ত [ বিস্তারিত ]
এই সময় আব্বা বাড়ি থেকে ফিরে এসেছেন। দারোগা সাহেবও তাঁর পিছে পিছে বাড়িতে ঢুকে পড়েছেন। আব্বার কাছে বসে আস্তে আস্তে সকল কথা বললেন। আমার গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখালেন। আব্বা বললেন, ”নিয়ে যান।” দারোগা বাবু বললেন, “ও খেয়েদেয়ে আসুক, আমি একজন সিপাহি রেখে যেতেছি, এগারটার মধ্যে যেন থানায় পৌঁছে যায়। কারণ, দেরি হলে জামিন পেতে অসুবিধা হবে।” [ বিস্তারিত ]
এই সময় একটা ঘটনা হয়ে গেল। হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে একটু আড়াআড়ি চলছিল। গোপালগঞ্জ শহরের আশেপাশেও হিন্দু গ্রাম ছিল। দু’একজন মুসলমানের উপর অত্যাচারও হল। আবদুল মালেক নামে আমার এক সহপাঠী ছিল। সে খন্দকার শাসসুদ্দীন সাহেবের আত্মীয় হত। একদিন সন্ধ্যায়, আমার মনে হয় মার্চ বা এপ্রিল মাস হবে, আমি ফুটবল মাঠ থেকে খেলে বাড়িতে এসেছি: আমাকে খন্দকার [ বিস্তারিত ]
প্রকাশিত হয়েছে প্রীণন ফারুকের প্রথম উপন্যাস ‘গোধূলির আকাশ জুড়ে রক্তিম অরুণ’ উপন্যাসটির নামকরণ নিয়েই প্রথমে একটা ধাক্কা খেলাম! গোধূলির আকাশ জুড়ে রক্তিম অরুণ কীভাবে থাকে! গোধূলি তো সূর্য অস্ত যাওয়া কালীন সময়কে বোঝায় আর অরুণ বলতে নতুন সূর্য, সকালের সূর্য অর্থেই বেশি ব্যবহৃত হয়। তাহলে কী সূর্য অস্ত যেতে ভুলে গিয়ে আবার উদয় হয়ে যাচ্ছে! [ বিস্তারিত ]
১৯৩৮ সালের ঘটনা। শেরে বাংলা তখন বাংলার প্রধানমন্ত্রী এবং সোহরাওয়ার্দী শ্রমমন্ত্রী। তাঁরা গোপালগঞ্জ আসবেন। বিরাট সভার আয়োজন করা হয়েছে। এগজিবিশন হবে ঠিক হয়েছে। বাংলার এই দুই নেতা একসাথে গোপালগঞ্জ আসবেন। মুসলমানদের মধ্যে বিরাট আলোড়নের সৃষ্টি হল। স্কুলের ছাত্র আমরা তখন। আগেই বলেছি আমার বয়স একটু বেশি, তাই স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী করার ভার পড়ল আমার উপর। আমি [ বিস্তারিত ]
চোখের চিকিৎসার পর মাদারীপুর ফিরে এলাম, কোন কাজ নেই। লেখাপড়া নেই, খেলাধুলা নেই, শুধু একটা মাত্র কাজ, বিকালে সভায় যাওয়া। তখন স্বদেশী আন্দোলনের যুগ। মাদারীপুরের পূর্ণ দাস তখন ইংরেজের আতঙ্ক। স্বদেশী আন্দোলন তখন মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের ঘরে ঘরে। আমার মনে হত, মাদারীপুরে সুভাষ বোসের দলই শক্তিশালী ছিল। পনের-ষোল বছরের ছেলেদের স্বদেশীরা দলে ভেড়াত। আমাকে রোজ [ বিস্তারিত ]
শাহবাগ- ঐতিহাসিক গর্ভপাত হলেও, আপামর বাঙালীর বিভ্রান্ত প্রজন্মটিকে মাতৃগর্ভ ঠিক চিনিয়ে গিয়েছে। শুরুটা সীমাহীন স্বপ্ন জাগিয়েছিলো ঘুমন্ত বাঙালী চেতনায়। কাদের মোল্লার 'বিজয়' চিহ্ন দ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলো বাঙালীর মননে। মনে আছে, কাদের মোল্লার রায় শুনে অফিসেই বসেই কেঁদে চোখ লাল করেছিলাম। হতাশার সীমাহীন যন্ত্রণা বুকে জন্ম দিয়েছিলো তীব্র ক্ষোভ আর ঘৃণা। মাত্র একটা আহ্বান 'চলো [ বিস্তারিত ]
মেয়েরা নিজেদের সৃজনশীল বিকাশে কতোটা অবদমিত থাকে শুধুমাত্র সংসারকে টিকিয়ে রাখার জন্য, বাস্তব জীবনে খুব খুব কাছে থেকে একজন মানুষকে না দেখলে নিজেও অনুভব করতে পারতাম না। আমি যখন তাঁর সাথে পরিচিত হই, তখন সে নিতান্তই একজন সাধারন হাউজ ওয়াইফ। দুটো সন্তান মানুষ করা আর সংসার যাপনই তাঁর মূখ্য কাজ। বাসায় শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় পরিজনকে আদর-আপ্যায়নে [ বিস্তারিত ]
আমার জন্ম হয় ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ তারিখে। আমার আব্বার নাম শেখ লুৎফুর রহমান। আমার ছোট দাদা খান সাহেব শেখ আবদুর রশিদ একটা এম ই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। আমাদের অঞ্চলের মধ্যে সেকালে এই একটা মাত্র ইংরেজি স্কুল ছিল, পরে এটা হাইস্কুল হয়, সেটি আজও আছে। আমি তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত এই স্কুলে লেখাপড়া করে আমার আব্বার [ বিস্তারিত ]
বাঙালীর জাতীয় জীবনে আরো একটি অর্জন! আমেরিকায় 'অমর একুশে'র রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি!!! হ্যাঁ, প্রশ্ন আসতে পারে এতে এতো আনন্দ বা উচ্ছাসের কী আছে? যেখানে ২১শে ফেব্রুয়ারীকে জাতিসংঘ ‘আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে! তখন বলতেই হয়, উচ্ছাস এবং আনন্দ তো বটেই! বাংলাদেশের জন্মতেই যে দেশটির ছিলো প্রকাশ্য বিরোধিতা! স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও যুক্তরাষ্ট্র যেখানে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে [ বিস্তারিত ]
শেখরা মুক্তি পেল আর ওদের যাবজ্জীবন জেল হল। শেখরা মামলা থেকে বাঁচল, কিন্তু সর্বস্বান্ত হয়েই বাঁচল। ব্যবসা নাই, জমিদারি শেষ, সামান্য তালুক ও খাস জমি, শেখ বংশ বেঁচে রইল শুধু খাস জমির জন্য। এদের বেশ কিছু খাস জমি ছিল। আর বাড়ির আশপাশ দিয়ে কিছু জমি নিষ্কর ছিল। খেয়ে পরার কষ্ট ছিল না বলে বাড়িতে বসে [ বিস্তারিত ]
শেখ কুদরতউল্লাহ ও একরামউল্লাহ শেখের মৃত্যুর দুই এক পুরুষ পর থেকেই শেখ বাড়ির পতন শুরু হয়। পরপর কয়েকটা ঘটনার পরেই শেখদের আভিজাত্যটাই থাকল, অর্থ ও সম্পদ শেষ হয়ে গেল। ইংরেজরা মুসলমানদের ভাল চোখে দেখত না। প্রথম ঘটনা, রাণী রাসমনি হঠাৎ জমিদার হয়ে শেখদের সাথে লড়তে শুরু করলেন, ইংরেজও তাঁকে সাহায্য করল। কলকাতার একটা সম্পত্তি ও [ বিস্তারিত ]

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ