উহান থেকে বাংলাদেশ (করোনা ভাইরাস)

ইঞ্জা ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার, ০২:৫১:১৩অপরাহ্ন এদেশ ২৮ মন্তব্য

 

করোনা ভাইরাস আক্রান্ত উহান শহর এখন মৃত্যুপুরিই বলা যায়, যেখানে রাস্তাঘাটে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের লাশ রাস্তাঘাটে পড়ে আছে, চিন সরকার উহান সহ প্রায় এগারোটি শহরকে ব্লক করে দিয়েছে যেন ভাইরাস এর বাইরে যেতে না পারে, শুধু কি তাই?
এইসব শহর জুড়ে খাবারের দোকান, শপিংমল, যাতায়াত ব্যবস্থা, নিত্য ব্যবহার্য পানি সব বন্ধ করে দিয়েছে যেন ভাইরাস আক্রান্ত না হয় মানুষ।

করোনা ভাইরাস এক মহামারী হিসাবে দেখা দিয়েছে, গবেষকরা বলছেন, " এই ভাইরাসে প্রায় ছয় কোটি মানুষ মারা যেতে পারে এইবার, যদিনা এই ভাইরাসকে রুখে দেওয়া না যায়"।

এই পর্যন্ত চিন সরকারের হিসাব অনুযায়ী এগারো হাজার এবং বেসরকারি হিসাবে লক্ষাধিক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, মানুষ মারা গিয়েছে ছয়শোরও অধিক মানুষ, যা বেসরকারি ভাবে আরও বেশি।

এইদিকে চিন সরকার উহান শহরেই দুই দিনে ১০০০ বেড সজ্জিত এক হাসপাতাল বানিয়ে ফেলেছে, যার জন্য পাঁচশোরও অধিক নির্মাণ শ্রমিক নিয়োজিত ছিলো এই হাসপাতাল নির্মানে, আজকের দিনে বিশজনের অধিক মানুষ করোনা ভাইরাস থেকে রোগমুক্ত হয়েছে, এর অর্থ হলো, এই রোগ থেকে মুক্তির পথ বের হচ্ছে, আশা করা যায় দ্রুতই এর ভেকসিন পাওয়া যাবে।

এই দিকে বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনছে, তার মধ্যে অগ্রগামী হলো ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়া তো এক দ্বীপ আলাদা করে রেখেছে যেন তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে এনে সেই দ্বীপে কোয়ারেন্টিনে রাখতে পারে, যাতে ভাইরাস আক্রান্ত হলে সেই ভাইরাস যেন মূল ভূখন্ডে আসতে না পারে।

এই দিকে বাংলাদেশ সরকার এবং তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক কাঠি বাড়া, উনারা গতকালই তিনশো বারোজন ছাত্রকে উহান থেকে নিয়ে এসেছেন, এইজন্য বাংলাদেশ সরকারকে বাহবা জানানো উচিত, কিন্তু বাহবা জানাতে পারছিনা বলে দুঃখিত।

উনারা সেই তিনশো বারোজনকে এনে কোয়ারেন্টিনে রেখেছেন বিখ্যাত কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র হাজি ক্যাম্পে।
বুঝেন অবস্থা?

সেই তিনশো বারোজন ছাত্রকে হাজি ক্যাম্পে রেখেছেন কিভাবে তা জানলে আপনারাই দুঃখে পড়ে যাবেন, তাদেরকে বাহান্ন জন করে এক একটা ঘরে ফ্লোরিং করে রেখেছে, যেন গরু গাধাদের রাখা হয়েছে, এ বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এরচেয়ে এইসব ছাত্ররা উহানে আরও ভালো ছিলো।

এখন হবে কি?
আল্লাহ্ না করুক, এই তিনশো বারোজনের মধ্যে একজনেরও যদি এই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে এই তিনশো বারোজনই এখন আক্রান্ত হবে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, আবার এর মধ্য থেকে যদি একজন আক্রান্ত যদি ওখান থেকে পালিয়ে যায়, তাহলে তো সব কেঁচে গুন্ডুস হবে সব।
কেমন, মনে করুন আক্রান্ত একজন পালিয়ে বাড়ি ফিরে এলো, তাহলে ওর সাথে সাথে ভাইরাস তার ফ্যামিলি, বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় অনাত্মীয় সবাইকে ভাইরাস আক্রান্ত করবে, আবার ও যাদের ভাইরাস আক্রান্ত করেছে, তারাও চক্রবৃদ্ধি হারে অন্যদের আক্রান্ত করবে, এইভাবেই এই দেশের সবাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে, এই দেশের সাড়ে সতেরো কোটি মানুষ আক্রান্ত হতে কত সময় লাগবে তা চিন্তা করে দেখুন একবার।

আমি দোষারোপ করবো সরকারকে, শুধু মাত্র তাদের নির্বুদ্ধিতার জন্য, সবাই জানে এই ভাইরাসের কোন ভেকসিন নাই, তাহলে সরকারের কার কি স্বার্থ ছিলো যে এই মরণব্যাধিকে দাওয়াত দিয়ে এই দেশে আনার জন্য?

সত্যি আমি আতংকিত, আমি যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুদূতকে দেখতে পাচ্ছি, আমি সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি, দয়া করে প্রতিটি ছাত্রকে আলাদা করে রাখুন যেন তা অন্যদের আক্রান্ত করতে না পারে, সাথে হাজি ক্যাম্প ও তার আশেপাশের এলাকাকে দ্রুত কর্ডন করে ফেলুন, যেন একজন ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিই যেন বাইরে বেরুতে না পারে, সাথে সাথে অত্র এলাকার কেউ যেন হাজি ক্যাম্পের আসেপাশে ভিড়তে না পারে।
সাথে সাথে আপনারা ধর্মমত নির্বিশেষে সবাই দোয়া, প্রার্থনার সাথে সাথে নিজেরাও সঠিক নিয়মে মাস্ক পড়ুন, সারাক্ষণ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন।

নিজে বাঁচুন, সাথে অন্যকেও বাঁচান, মনে রাখবেন সাবধানের মাইর নাই।

সমাপ্ত।।

0 Shares

২৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ