দিন শেষে রাত। চাঁদের সাথে তারাগুলো হাসে। পাখিরা ঘুমে থাকে বিভোর।
জেগে থাকে চিরদুখী। দুখীর চোখে ঘুম নেই! ভাবে কখন হবে রাত ভোর।
পুরো ঘর অন্ধকার আলোহীন। কোনও সাড়াশব্দ নেই। শব্দ শুধু ঝিঁঝিঁপোকার।
গ্রাম পুলিশের হাক ডাক। শিয়ালের হুয়াক্কা হুয়া। সাথে ঘেউঘেউ পালিত কুকুরটার।
অশান্ত মন, করে বনবন। রাত পোহাবে কখন। সকালে কর্মে জুটবে আহার।
পেটে ক্ষুধা, ঘুম নেই চোখে। ছটফটানি রাত হয়না শেষ! অপেক্ষা রাত পোহাবার।
উঠিলে সূর্য ছড়াবে আলো। ঘুম ভাঙিবে সবার। পাখিরাও উড়বে আকাশ পানে।
কর্মমুখী মানুষ ছুটবে কর্মে। দুখী যাবে ঘাটে। কর্মে দিবে যোগ পেটের টানে।
দিনের কর্মে যাকিছু জুটে। তা-ই দিয়ে আনে খাবার। অভাব অনটনে চলে সংসার।
দিনে আনে দিনে খায়। ঋণে যোগায় বাড়তি খরচ। সংসারে থাকে বারোমাস হাহাকার!
ঋণের ভারে কুঁজো দুখী। পেটের ক্ষুধায় বুদ্ধিহীন। রাস্তায় ঘুরে ভিক্ষা করে।
ঋণ শোধে ভিটে বিক্রি। গ্রাম ছেড়ে শহরে ছুটে। রাস্তার পাশে বস্তি গড়ে।
শহরের রাস্তার পাশে বস্তি। সবার চোখে বস্তিবাসী। এঁদের সবাই করে তিরস্কার!
এঁরা ছিল না দুখী! ছিল ঘর, ছিল বাড়ি। বাস্তহারা হয়ে করেছে বস্তি আবিস্কার।
২৩টি মন্তব্য
কামাল উদ্দিন
কবিতায় অনাহারি বস্তিবাসির দুঃখগাথা সুন্দর ভাবে ফুটিটে তুলেছেন দাদা……..শুভেচ্ছা জানবেন।
নিতাই বাবু
গত কয়েকদিন আগে আমাদের নারায়ণগঞ্জের সাবেক চাঁনমারী বস্তির সামনে একজনের বাসায় গিয়েলাম। বর্তমানে সেই জায়গা এখন মরুভূমির মতো পড়ে আছে দেখে, মনটা খাঁখাঁ করে উঠলো। যেখানে আগে অনেক অসহায় মানুষের বসতি ছিল, সেই জায়গা এখন পরিত্যক্ত মরুভূমি! এ অবস্থা দেখেই আমার এই লেখা।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে লেখা আমার সার্থক হলো।, শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন।
কামাল উদ্দিন
ওখানটা হয়তো এখন কোন হাইরাইজ বিল্ডিং ওঠার অপেক্ষায় আছে
নিতাই বাবু
শ্রদ্ধেয় কামাল দাদা, একবার শুনেছিলাম এখানে নারায়ণগঞ্জ বাস টার্মিনাল হবে। কিন্তু কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও, এখানে এখন পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না। জায়গাটা খালি পড়ে আছে।
সাবিনা ইয়াসমিন
নিয়তির কারনে অনেক মানুষকেই বস্তির ভাসমান আবাস বেছে নিতে হয়। কেউ ঋণের দায়ে, কেউ বা নদী ভাঙ্গনে সর্বোস্ব হারিয়ে এই আবাসনে ঠাঁই নেয়। শখ করে কেউ বস্তিবাসী হয়না। একটা কথা একদমই ঠিক বলেছেন দাদা,, পেটের ক্ষুধা মানুষকে বুদ্ধিহীন বানিয়ে দেয়। ক্ষুধার জ্বালা নরক যন্ত্রনার চেয়েও বেশি। এই জ্বালা থেকে বাঁচতে মানুষ বিপথে যেতেও দ্বিধা করেনা।
শুভ কামনা 🌹🌹
নিতাই বাবু
গত কয়েকদিন আগে আমাদের নারায়ণগঞ্জের সাবেক চাঁনমারী বস্তির সামনে একজনের বাসায় গিয়েলাম। বর্তমানে সেই জায়গা এখন মরুভূমির মতো পড়ে আছে দেখে, মনটা খাঁখাঁ করে উঠলো। যেখানে আগে অনেক অসহায় মানুষের বসতি ছিল, সেই জায়গা এখন পরিত্যক্ত মরুভূমি! এ অবস্থা দেখেই আমার এই লেখা।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে লেখা আমার সার্থক হলো।, শ্রদ্ধেয় সাবিনা দিদি। আশা করি ভালো থাকবেন।
আরজু মুক্তা
ঠিকই বলেছেন। বাস্তুহারা হয়ে বস্তিবাসী।
নিতাই বাবু
গত কয়েকদিন আগে আমাদের নারায়ণগঞ্জের সাবেক চাঁনমারী বস্তির সামনে একজনের বাসায় গিয়েলাম। বর্তমানে সেই জায়গা এখন মরুভূমির মতো পড়ে আছে দেখে, মনটা খাঁখাঁ করে উঠলো। যেখানে আগে অনেক অসহায় মানুষের বসতি ছিল, সেই জায়গা এখন পরিত্যক্ত মরুভূমি! এ অবস্থা দেখেই আমার এই লেখা।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে লেখা আমার সার্থক হলো,দিদি। আশা করি ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আমরা শুধু বস্তি-ই দেখি,
পেছনের কাহিনী আমাদের অজানা-ই থেকে যায়।
নিতাই বাবু
গত কয়েকদিন আগে আমাদের নারায়ণগঞ্জের সাবেক চাঁনমারী বস্তির সামনে একজনের বাসায় গিয়েলাম। বর্তমানে সেই জায়গা এখন মরুভূমির মতো পড়ে আছে দেখে, মনটা খাঁখাঁ করে উঠলো। যেখানে আগে অনেক অসহায় মানুষের বসতি ছিল, সেই জায়গা এখন পরিত্যক্ত মরুভূমি! এ অবস্থা দেখেই আমার এই লেখা।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে লেখা আমার সার্থক হলো, শ্রদ্ধেয় ছাইরাছ দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন।
রেহানা বীথি
মন খারাপ হয় দাদা ওদের কথা ভাবলে। আমরা যে অবস্থায় আছি, তা নিয়েও কত অতৃপ্তি মনে, কেমন করে আরও ভালো থাকতে পারবো সে চিন্তায় ব্যস্ত থাকি। ওদের দেখে বুঝি, কতটা সুখের জীবন আমাদের।
খুব ভালো লিখেছেন দাদা।
নিতাই বাবু
আমাদের চারপাশে, রাস্তার ঢালে বসতি গড়ে থাকা এসব মানুষের কান্না কেউ শুনে না, শুনতে চায়ও না। এঁদের ভেতরকার কথা জানা যায়, শোনা যায় এঁদের সামনা-সামনি হলো। ওঁদের ওখানে আমরা ক’জন-ই-বা যাই? যাবো তো দূরের কথা, সমাজের অনেকে এঁদের সাথে কথাই বলতে চায় না। দুঃখ শুধু এখানেই থেকে যায়।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, শ্রদ্ধেয় দিদি।
এস.জেড বাবু
দিনের কর্মে যাকিছু জুটে। তা-ই দিয়ে আনে খাবার। অভাব অনটনে চলে সংসার।
দিনে আনে দিনে খায়। ঋণে যোগায় বাড়তি খরচ। সংসারে থাকে বারোমাস হাহাকার!
কিছু করার নেই- আমাদের সাধ্যের বাইরে। একমাত্র সৃষ্টিকর্তা এদের ভরসা।
অনেক মূল্যবান লিখা এটি।
শুভেচ্ছা ও দোয়া রইলো ভাই।
নিতাই বাবু
আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় দাদা।
এস.জেড বাবু
শুভকামনা সবসময়
জিসান শা ইকরাম
বিভিন্ন কারনেই মানুষ বস্তিতে ঠাই নেয়। নদী ভাংগনে অনেক স্বচ্ছল মানুষ বস্তিতে উঠতে বাধ্য হয়।
কবিতা ভালো লেগেছে দাদা।
নিতাই বাবু
আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়।
মনির হোসেন মমি
আপনার সব পোষ্টই পড়ি সাথে সাথে মন্তব্য করি পরে এটা কেন হয় জানি না। এ লেখাটাও পড়েছি গতকালই মন্তব্য করছি আজকে।আপনি প্রায় সময় কবিতা লিখেন ছোট ছোট বাক্যে এক লাইনে এই প্রথম মনে এমন গদ্য কবিতা পেলাম। কবিতায় বাসস্থানহীন বস্তিবাসীর করুণ চিত্র তুলে ধরেছেন। আসলে এ জীবন কারো কাম্য নয় তবুও নিয়তি বলে কথা। খুব ভাল লাগল দাদা।
নিতাই বাবু
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় মনির দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়।
তৌহিদ
আপনার মত করে কোনদিনও ভাবিনি। তবে আমাকেও কাঁদায় এইসব মানুষের জীবন যাপন। কত দুঃখবেদনায় অতিক্রান্ত হয় কত মানুষের জীবন, হায়! তার খবর আমরা কতজনাইবা রাখি?
মর্মভেদী লেখা মন ছুঁয়ে গেলো দাদা।
নিতাই বাবু
গত কয়েকদিন আগে আমাদের নারায়ণগঞ্জের সাবেক চাঁনমারী বস্তির সামনে একজনের বাসায় গিয়েলাম। বর্তমানে সেই জায়গা এখন মরুভূমির মতো পড়ে আছে দেখে, মনটা খাঁখাঁ করে উঠলো। যেখানে আগে অনেক অসহায় মানুষের বসতি ছিল, সেই জায়গা এখন পরিত্যক্ত মরুভূমি! এ অবস্থা দেখেই আমার এই লেখা।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে লেখা আমার সার্থক হলো, শ্রদ্ধেয় তৌহিদ দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন।
সুরাইয়া পারভিন
নিষ্ঠুর নিয়তির নির্মম পরিহাসে ভিটেমাটি ছেড়ে আজ তারা বস্তিবাসি।
এই বস্তিতেও ছুটলো না একটু খানি ঠাঁই।
শুধু হাহাকার
নিতাই বাবু
সময় সময় কারণে অকারণে অসহায় ওইসব বস্তিবাসীদের বস্তিতে আগুন লেগে যায়। তারপর সেখান থেকে ওঁরা বিতাড়িত হয়ে আবার অন্য কোথাও বস্তি গড়ে,শুধু আমাদের মাঝে বেঁচে থাকার আশায়।
আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় দিদি।