সংক্রমিত এবং অ-সংক্রমিত ব্লগার

পর্তুলিকা ২৯ জুলাই ২০২০, বুধবার, ০৯:৩৮:১৮অপরাহ্ন রম্য ২৯ মন্তব্য

করোনা কালে সবকিছুতেই আমি করোনা খুঁজি। চিন্তার মাঝে কিভাবে যেন করোনা চলে আসে। হয়ত প্রচারের গুনে করোনা ভীতিতে মস্তিস্ক স্বাভাবিক গতিতে চলছে না। গত কিছুদিনের সোনেলার ব্লগারদের গতিবিধি খুব তীক্ষ্ণ ভাবে পর্যবেক্ষন করেছি। ব্লগারদের কার্যকলাপকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি। বেশী কথা না লিখে সরাসরি লেখায় চলে যাই।

১। করোনা নেগেটিভ ব্লগারঃ
এই ক্যাটাগরির ব্লগারদের সংখ্যাই বেশী। উনারা করোনা প্রুফ। করোনা কখনো এই ব্লগারদের স্পর্শ করতে পারবে না। উনাদের দেখেই করোনা পালিয়ে বাঁচে। এই ব্লগারগন কোনো দূরত্ব না মেনে একসাথে বিভিন্ন পোস্টে আড্ডা দেন, স্বপ্ন পোট্টে একই সাথে হইচই করেন, সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাল পল্প করেন, মন্তব্য দেন। করোনা এদেরকে ধরবে কি, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।

২। বিদেশ থেকে আগত ব্লগারঃ
উনারা সবে মাত্র বিদেশ থেকে এসেছেন। করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা নেয়া হয়েছে উনাদের।  সরকারী নির্দেশনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। নিজের বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। পোষ্ট দিয়ে চলে যান। কেউ পোষ্টে এসে মন্তব্য করলে তার জবাব দিয়ে আবার দরজা বন্ধ করে রাখেন।

৩।  করোনা পজেটিভ ব্লগারঃ
উনাদের আচরন খুবই সংযত। সীমিত পরিসরে ব্লগে আসেন। পোষ্ট দিয়ে চলে যান। পজেটিভ হওয়ায় মন খারাপ করে দিনে একবার উঁকি দেন তাঁকে কেউ খুঁজতে ( মন্তব্য করতে ) এসেছিল কিনা?

৪। আইসোলেশন থাকা ব্লগারঃ
কঠিন ভাবে আইসোলেশন এ আছেন উনারা। খাওয়া দাওয়া সব এক রুমের মধ্যে। দিনে একবার বা দুইবার দরজা খুলে খাবার নেন (ব্লগে লগইন হয়ে মন্তব্যের জবাব দেন)। এরপর আবার দরজা বন্ধ করে দেন।

৫। ভেন্টিলেশনে থাকা ব্লগারঃ
উনাদের সংখ্যা খুবই কম। শেষ ধাপে আছেন উনারা। এই ধাপে অবশ্য দেশের খানদানি লোকেরা আছেন। সুতরাং এই পর্যায়ের ব্লগাররা সম্পুর্নই নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রাখেন। উনারা পোষ্ট দিয়ে চলে যান। কারো পোস্টে যাবার তো প্রশ্নই আসেনা। নিজের পোস্টের মন্তব্যের জবাবও দেন না।

লেখা শেষ। আপনারাই বেঁছে নিন আপনি কোন ক্যাটাগরিতে আছেন।
এটি একটি রম্য পোষ্ট। কেউ কষ্ট নিবেন না প্লিজ লাগে।

0 Shares

২৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ