বেশ কিছুদিন থেকে এই বিষয় নিয়ে লেখার চিন্তা করে যাচ্ছি। কিন্তু সময় হচ্ছেনা, সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ভাবনাগুলোকে একসাথে বাঁধতেও পারছিলাম না। আজ মনটা ঠিক নেই, বিক্ষিপ্ত কিছুটা। আগামীকাল ৩০ জুন আমার বড়ো দাদার জন্মদিন। স্বর্গে ওর জন্মদিন পালিত হচ্ছে কিনা, কে জানে! নাহ থাক প্রসঙ্গ। কথা হচ্ছিলো মন্তব্য নিয়ে। আজকাল আমাদের সোনেলার নীড়ে অনেক নতূন নতূন পাখীদের আগমন ঘটেছে। আবার পুরোনো যারা আছি তারাও প্রচুর ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে আসা-যাওয়ায় আছেন। এই ব্লগটিকে আমি বলি পাখীর নীড়। আর আমাদের এ নীড়ের সকলেই বেশ আন্তরিক। তাই ভালো লাগে।

এতো নতূনদের ভীড়, কতো আনন্দ ছড়ানো চারদিকে। অথচ কেউ কারো সাথে কথা বলেনা। সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে মেলামেশার মাধ্যমে। কিন্তু দেখা যায় একেকজন এসে পোষ্ট দিয়ে চলে যাচ্ছেন। আর নিজের পোষ্টের প্রতি-মন্তব্য করেই ক্ষান্ত। অন্যদের পোষ্ট পড়া তো দূরের কথা, মন্তব্যও করেননা। কেন লিখি আমরা? পড়ার জন্য। জানার জন্য। এবং অবশ্যই নিজের ভুলকে সঠিক করার জন্যে। অনেকেই ভাবতে পারেন তাহলে কি মন্তব্য পাবার জন্যই লিখি? অবশ্যই! আমি হিপোক্রেটদের মতো বলতে পারবোনা, মন্তব্য পাবার জন্য লিখিনা। আমার কথা হলো ভালো না লাগলে অবশ্যই বলবেন ভালো লাগেনি। আমি সেসব মানুষকে পছন্দ করি যারা সত্য বলার সাহস রাখেন। তেল দিতে পারিনা, চাইওনা।

সবশেষে বলতে চাই আমার লেখায় যারা মন্তব্য করবেন, আমিও তাদের পোষ্ট পড়বো। দান-প্রতিদান ছাড়া জীবন চলেনা। বড়ো বড়ো কথা অনেকেই বলে, কিন্তু কিছু দেয়ার পর মনে মনে সকলেই আশায় থাকি। প্রচুর লিখুন। জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে পড়ুন। মানসম্পন্ন লেখার পাশাপাশি সাধারণ লেখনীকেও স্থান দিন। একদিন এই সাধারণই অনেক অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে। আর অন্যের লেখায় মন্তব্য করুন। চলুন আমরা একে-অন্যের থেকে শিখি এবং লিখি। আমাদের সোনেলার পোষ্টগুলোতে মন্তব্যের খরা দূর হোক অক্ষরের বৃষ্টিতে। এই প্রত্যাশা নিয়েই ইতি টানছি এই পোষ্টের। সকলে ভালো থাকুন।

হ্যামিল্টন, কানাডা
২৯ জুন, ২০১৬ ইং।

0 Shares

৮০টি মন্তব্য

  • মেহেরী তাজ

    যাক শেষমেশ মন্তব্য খরা নিয়ে লিখা এলো!
    একটা সময় ছিলো যখন আমরা সবায় আড্ডা দিতাম জমিয়ে! একেকটা পোষ্টে নতুন পুরাতনের মেলা বসতো! কথা, গল্প, হাসাহাসি আর মন্তব্যের বন্যা বইতো! ব্লগে ঢুকেই মনে মনে ভাবতাম “বাপরে এতো গুলা মন্তব্য”?
    সবায় অনেক ফ্রেন্ডলি ছিলো!
    কিন্তু এখন দেখি “ওয়ান ওয়ে”( পোষ্ট দিয়েই উধাও, এমন কি নিজের পোষ্টের জবাবও দেয় না) ব্লগারের সংখ্যা বাড়ছে দিনদিন!
    আমি বাপু নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়াতে নারাজ…..
    যে আমরা লেখা পড়বে আমিও শুধু তারটাই পড়বো।
    হ্যাপি ব্লগিং… 🙂

  • আবু খায়ের আনিছ

    এমন একটা লেখা কারো কাছ থেকে আসবে এমনটাই ভাবছিলাম, খবু বেশি দূরে নয় তিন চার মাস আগেও লেখা কম আসলেও পাঠক পড়ত বেশি, মন্তব্য করত প্রচুর। সমালোচনা হতো আলোচনা হতো, ইদানিং দেখছি কেউ কেউ লেখা দিয়েই হারিয়ে যায়। নতুনেরা অন্যের লেখা পড়তেই চায় না বা পড়লেও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে।
    আমি অবাক হই, যেখানে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ মন্তব্যকারীর মন্তব্য থাকত হাজার বা তার কাছাকাছি সেখানে একশ দেড়শ মন্তব্য দিয়েই কিভাবে সর্বোচ্চ মন্তব্যকারী হয়ে যাই।
    আরেকটা বিষয় হচ্ছে, সমালোচনা সহ্য না করার মানষিকতা। কোথাও মন্তব্য / সমালোচনা/ আলোচনা করেছেন প্রতি উত্তর এলো ধন্যবাদ/শুভেচ্ছা/ কিংবা কোন ইমু। এর পরে সেখানে আর কি প্রতিউত্তর করবেন?
    ইদানিং এমনও হচ্ছে, আমি কারো সমালোচনা করছি তো সেই লোকের চোখে আমার লেখা দুনিয়ার সবচেয়ে বাজে লেখা হিসাবে গন্য হচ্ছে, আমার লেখা পড়াই যাবে না এমন একটা মনোভাব। বিশ্বাস করুণ আপু, গত মাসে কিছুদিন অনুপস্থিত ছিলাম ঢাকার বাইরে গ্রামে থাকার জন্য, যখন ফিরে এসে লেখা দেওয়া শুরু করলাম, পুরুনো কিছু ব্লগার ছাড়া নতুন কোন ব্লগার পাইনি যে আমার আলোচনা বা সমালোচনা করেছে। এই মাসের ২৪ তারিখ থেকে পরিক্ষা তাই কয়েকদিন অনিয়মিত হয়ে পড়েছি, নয়ত প্রতিদিন সবার লেখা পড়ার চেষ্টা করেছি, মন্তব্যও (সোজা বাংলায় সমালোচনা ) করেছি। কিন্তু প্রতি উত্তর, সেই ধন্যবাদ/শুভেচ্ছা।
    নতুন ব্লগার আসছে, অনেকেই ফেইজবুকে জনপ্রিয়, তেল মারার পাবলিক সেখানে অনেক বেশি, তাই হয়ত আমাদের ভালো লাগে না বা নিজেরা এতটাই জনপ্রিয় ফেইজবুকার যে, পাঠক এর অভাব হয় না, তাদের মন্তব্যের জবাব দিতেই সময় পায় না, সেখানে আমাদের দেওয়ার মত সময় কোথায়।
    কিছুদিন আগে, এক ব্লগার সজীব ভাইকে সরাসরি আঘাত করেই বসল, শুধু অন্যের পোষ্ট না পড়ার কথা বলার জন্য।
    এই নিয়ে কথা হচ্ছিল আমাদের আরেক ব্লগার বড় ভাই এর সাথে, উনি একটা সুন্দর কথা বলেছিলেন, সব পাঠক পাঠক না, আমিও ধরে নিয়েছে কেউ না পড়লেও পুরুনো কয়েকজন আছে যারা সত্যিকারের পাঠক তারা অন্তত্য পড়ছে এই অনেক। নতুনদের কাছে কিছু আশা করাই এখন ভুল মনে হচ্ছে।
    হ্যাপি ব্লগিং………………….

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      আনিছ ভাই আসলেই কি যে হয়েছে, নিজেকে ছাড়া কেউই যেনো কিছু ভাবেনা। সেদিনও জিসান নানাকে বলেছি এ নিয়ে লিখতে হবে। কিন্তু আজকাল সেভাবে লেখা আসেনা। লিখতে পারিওনা। এতো বড়ো একটা এক্সিডেন্ট এখনও শরীরটা ঠিক নেই, মনের উপর হরেক রকমের চাপ।
      তাই ফেসবুকে হাল্কা করে দু’/চার লাইন লিখি। যাতে আবার ফিরে আসতে পারি লেখা নিয়ে। মন্তব্য নিয়ে পরে বলছি।

      • নীলাঞ্জনা নীলা

        আনিছ ভাই আমি ফেসবুককে মোটেই খারাপ ভাবে দেখিনা। এই যে আমি লিখছি ফেসবুক না থাকলে লেখা হতো না। দশটি বছর লেখা থেকে এতোটাই দূরে ছিলাম, ভুলেই গিয়েছিলাম এক সময় আমিও লেখিকা হিসেবে অনেকের কাছে পরিচিত ছিলাম। আর ফেসবুকে আমি প্রচুর সময় দেই। কিছু আনন্দ-আড্ডা-গল্প করা যায়। ব্লগ হলো সাহিত্যাঙ্গন। সবাই কি আর ব্লগার হতে পারে? কিন্তু ফেসবুকে যা মন চায় লেখা যায়। তা বলে আমি ব্লগকে ছোট করছিনা। ব্লগ আমাদেরকে এমন একটা কাতারে এনে দাঁড় করিয়েছে যেখানে আমরা বলতে পারি, সোনেলা আমার ব্লগ। আর ফেসবুক সকল ধাঁচের মানুষদের জন্য। আনিছ ভাই যদিও আপনার সাথে আমার ব্লগে পরিচয়, কিন্তু এই ব্লগের সাথে কে আপনাকে পরিচিত করিয়ে দিয়েছে যদিও তা জানিনা। তবে এখানে এসেছি আমি জিসান নানার মাধ্যমে। আর জিসান নানার সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে। এই ফেসবুক আমাকে অনেক ভালো কিছু দিয়েছে, আর খারাপও দিয়েছে অনেক। পৃথিবীতে ভালো-খারাপ আছে। এই যে আমি পুরোটা কি খারাপ? নাহ!

        যাক এতো কথা বলে ফেললাম। আপনিও যুক্তি দেবেন। শুধু এটুকু বলুন আপনার কি ফেসবুক আছে? যদি না থাকে তাহলে আলাদা কথা। ব্লগকে বড়ো করতে গিয়ে ফেসবুককে ছোট করবেন না। কারণ অনেকের বাবা-মা-ভাই-বোন অনেক সম্মানিয় ব্যক্তিও ফেসবুকে আছেন, তাহলে তাদেরকেও ছোট করা হয়ে যায়।

        মন্তব্যের খরা কাটুক অক্ষরের বৃষ্টিতে, তবে অক্ষরগুলো যেনো অনিন্দ্যসুন্দর শব্দ্গঠন করতে পারে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের গল্পকার আনিছ ভাইয়া।

      • আবু খায়ের আনিছ

        আমি খাটো করছি না আপু, ফেইজবুক আমার জন্যও অনেক প্রয়োজনীয় জায়গা। জিসান ভাই এর কথাই যদি বলি, অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উনার সাথে কথা বলি ফেইজবুকেই। অনেক বন্ধু আছে যারা প্রবাসে থাকে তাদের সাথেও যোগাযোগ হয় এই ফেইজবুকের কল্যাণেই।
        আমি শুধু এটাই বলতে চেয়েছি, ফেইজবুক আর ব্লগ আলাদা বিষয়, আর দুটোর পরিধিও আলাদা। আমরা ব্লগে যেমন আনন্দ পাই ফেইজবুকে তা পাই না আবার ফেইজবুকে যা পাই ব্লগে তা পাই না। কোনটাকেই ছোট করছি না আপু।

        ভালো মন্দ মিলিয়েই সব কিছু। আমি ফেইজবুকের বিরোধীতা করছি না বরং বিরোধীতা করছি তাদের যারা অপব্যবহার করে।

  • ছাইরাছ হেলাল

    দেখুন সবাই (ব্যস্ত আসলে কিন্তু না), এখানে লেখা ফেলে দিয়ে আমাদের ধন্য করছেন,
    এটাই কী অনেক নয়!
    এ সব বলে কোন লাভ নেই, (আপনি আমাত্তে বেশি বুঝেন?)

    তা খবর পেলাম আপনিও নাকি ওদিকে বেশ জাঁক করে আছেন?!!

  • অপার্থিব

    জলবায়ু বৈরী, আষাঢ় মাস এসে গেলেও বৃষ্টির দেখা নেই। আজকে একটা আর্টিকেল পড়লাম যেটা বলছে যে সব অঞ্চলে শীত আর গ্রীষ্মের তাপমাত্রার তারতম্য বেশি সেই সব অঞ্চলের মানূষের মধ্যে সহনশীলতা কমছে। বাংলাদেশেও তাই ঘটছে। সবাই দ্রুত নিজের লেখায় প্রশংসা চায় কেউই আলোচনা বা সমালোচনা শুনতে চায় না। আমরা সবাই কম বেশি নার্সিসিষ্ট হয়ে উঠছি। যাই হোক প্রকৃতিতে বর্ষা নামলে মনে হয় ব্লগেও মন্তব্যের বৃষ্টি নামবে।

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      দারুণ বলেছেন। আমরা সকলেই আত্মমুগ্ধতার উপর বেশী নির্ভর করি। সবাই নিজের লেখাকে সেরা বলে মনে করে। আর তাই পাঠক সম্প্রদায় হ্রাস পেয়েছে। এখন সবাই লেখক।

      হুম আমিও আশাবাদী ব্লগে আবারও মন্তব্যের বৃষ্টি নামবে।
      সুন্দরভাবে মন্তব্যের উপস্থাপন দেখে মুগ্ধ হলাম।

  • ইঞ্জা

    সোনেলায় আমি পুরাতন হলেও বল্গিংয়ে নতুনই, আসলে ব্লগিয়ের বিষয়টিই জানতাম না এরপরেও আমার ফেবু বন্ধু মেহেরি তাজ (বন্ধুকওয়ালি আপা বা পিচ্ছি আপা বলেই ডাকি), জিসান ভাইজান, রিম্মি রুমান আপু, লীলাবতি আপুদের দেখে উৎসাহ হলো আর চলে এলাম কিন্তু দুঃখজনক ভাবে খেয়াল করছিলাম আপনারা হাতেগুনা কয়েকজন ছাড়া বলতে গেলে কেউ লেখা পড়েননা (কমেন্ট দেখেই বুঝি), আমি নিজেই অবাক হই সোনেলার বন্ধুদের এই দূরদশা দেখে আর ভিতশ্রদ্ধও বটে কারন আমাদের লেখা কিন্তু কষ্টের ফসল আর আপনারা যদি আমাদের লেখা না পড়েন তাহলে আমাদের জন্য ফেবুই ভালো। আমরা হয়ত সেলিভ্রেটি না হতে পারি কিন্তু আমরা যা লিখি তার ম্যল্যায়ন অন্তত ফেবু বন্ধুরা তো দেয় আমাদের।

    • আবু খায়ের আনিছ

      ভাই কিছু মনে করবেন না, ফেইজবুক এর প্রতি আসক্তি নেই, লেখালেখিও খুব একটা করি না ফেইজবুকে। ক্ষোভ আছে বরং এই ফেইজবুক এর প্রতি।
      মানুষের অনেক সময় নষ্ট করে ফেলছে এই ফেইজবুক প্রেম, মানুষ আগের মত বই পড়ে না এই বিষয়টাই দুঃখ দেয় সবচেয়ে বেশি। বই পড়ার কথা শুনলেই বলে উঠে সময় কোথায়, অথচ ফেইজবুকে সময় দিচ্ছে সব সময়।
      হ্যা, আমি এটা স্বীকার করি, ফেইজবুক অনেক মানুষের জন্য ভালো কিছু করেছে, অনেক কিছুই আমরা জানতে পারছি ফেইজবুক থেকে। এই যে ব্লগ এর মন্তব্যকারী কমে গিয়েছে এটার জন্যও ফেইজবুক কিন্তু কম দায়ী নয়।
      ফেইজবুকে লেখা দিচ্ছে, সাথে সাথে পড়ুক বা না পড়ুক রেডিমেট মন্তব্য চলে আসছে, লাইক পড়ছে। লেখক মনের আনন্দে সন্তুষ্টি নিচ্ছে। খেয়াল করে দেখবেন, সমালোচনা-আলোচনা কিন্তু খুব একটা হচ্ছে না।
      আর যদি কারো সমালোচনা করতে যান তাহলে ত আরো বিপদ, ইনবক্সে এসে বলে বসবে, তোমার ঘাড়ে কি আক্কল নেই, সবার সামনে এভাবে সমালোচনা কর। আমার সাথে ঘটেছে এমন ঘটনা তাই বললাম।
      হ্যাপি ব্লগিং ভাইয়া।

      • নীলাঞ্জনা নীলা

        আনিছ ভাই আমি আপনার মন্তব্যের প্রতি বলতে চাই ফেসবুক প্রেম নিয়ে। আমি যদি না চাই তাহলে কেউ কি পারবে প্রেম করাতে? প্রচুর প্রস্তাব পেয়েছি, এখনও পাই, আমার কাছে এটাকে কোনো বিষয়ই মনে হয়না। তাহলে জীবন তো আরোও বেশী দুঃখ দিয়েছে। স্কুল/কলেজে যাবার সময় টিজিং, শিস দেয়া, চিঠি ছুঁড়ে দেয়া এসব কতো কতো মেয়েরা পেয়েছে। আর বই পড়ার কথা বলছেন? যারা বই পড়তে ভালোবাসে তারা ঠিকই বই পড়ে সে অনলাইনে হোক কিংবা হাতে বই নিয়ে। আমি অনলাইনে বই পড়ি সবসময়।
        ফেসবুকের সাথে সোনেলার তুলনা হয়না। সোনেলায় আমরা লিখি এবং পড়ি মনের গভীর থেকে। ব্লগ হলো তাদেরই যারা লেখেন। আর ফেসবুক হলো সকলের রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে মিলিওনিয়ারের। আমি অনেক সময় ফেসবুকে কাটাই নির্মল আনন্দের জন্য। প্রিয় বন্ধু-বান্ধবদের সাথে গল্প হয়। আনিছ ভাই আমার দুই ভাই আছে যারা অসাধারণ লেখে, কিন্তু শুধুই ফেসবুকে। লেখার উৎসাহ যাঁর থেকে পেয়েছি তিনি আমার স্যার উনিও ফেসবুকেই লেখেন। ফেসবুকেও আছেন এমন মানুষ(সংখ্যায় কম যদিও) যারা লেখার সমালোচনা করেন। আনিছ ভাই আপনার মনে হচ্ছে আমি ফেসবুককে সাপোর্ট করছি, আসলেও করছি। তবে সোনেলাকে ছোট করে নয়। আমাদের প্রিয় সোনেলার জায়গা কেউ কখনোই নিতে পারবেনা। এরচেয়ে সত্যি আর কিছু নেই।

        আপনাকে একটা বুদ্ধি দেই ইনবক্স কাষ্টমাইজ করে দিন। ফেসবুকে এমন বন্ধুদের তালিকায় রাখুন যারা আপনাকে সম্মান দেয়। তাহলেই দেখবেন আর কোনো সমস্যাই হবে না। যেমন এখন আমায় কেউ কোনো বিরক্ত করেনা। 🙂

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      আমি ফেসবুককে সাপোর্ট করি। কারণ এই যে লিখছি আমি ফেসবুকই ফিরিয়ে এনেছে লেখা। তারপর এই যে সোনেলায় আসা ফেসবুক না থাকলে জিসান নানার সাথে পরিচয় হতোনা আর ব্লগ কি তাও জানতাম না। ফেসবুকই কিন্তু অনেক অনেক ব্লগের জন্ম দিয়েছে। তবে আমাদের সোনেলা কোনোদিক থেকেই কম কিছু না। পুরোনো যারা আছেন, তারা সময় করে নিয়েই আসেন। লেখেন এবং পড়ে মন্তব্যও করেন। তবে এই যে নতূন যারা এসেছেন, তাদের মধ্য থেকে খুব কম সংখ্যকই লেখা পড়ে মন্তব্য করেন। উনারা পোষ্ট দিয়েই চলে যান। তারপর মন চাইলে প্রতি-মন্তব্য করেন, নইলে না। এখানেই আমার আপত্তি। আমি তাদেরকে বয়কট করেছি। বহুবার সুযোগ দিয়েছি, আর নয়। তাই ঠিক করেছি যারা মন্তব্য করবে, তাদের জন্যে আমার মন্তব্যও থাকবে।

      আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ইঞ্জা। আপনার সুন্দর গুণ, লেখা দিয়ে প্রতি-মন্তব্য যেমন করেন, তেমনি অন্যের লেখায় মন্তব্য দিতেও পিছিয়ে যান না।

      • ইঞ্জা

        আনিছ ভাই আর নীলা আপু আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য, আমার কমেন্ট কিন্তু সোনেলার কাউকে অপমান করার জন্য নয় এবং এয়ো ঠিক যে বল্গিং আমরা যারা করছি তাদের সবার উচিত সবার সাথে মিলে মিশে থাকা নইলে এই বল্গিং যথার্থতা পাইনা, আমি ফেইসবুকে আছি ২০১২ থেকে আর সেইখানে আমার যারা বন্ধু আছেন তাদের সঙ্গে আমার ভালোই সম্পর্ক বিধায় আমরা একে অপরের লেখাকে সম্মান দিই তেমনি আমার একান্ত ইচ্ছে সোনেলায় আমরা সবাই যেন একে অপরকে সম্মান ও উৎসাহ দিই আর এ শুধু আমার একান্তই ইচ্ছে। 🙂

      • আবু খায়ের আনিছ

        আমি আমি ফেইজবুকে ছোট করার চেষ্টা করছি না, আমি নিজেও ফেইজবুকে অনেকের লেখা পড়ি, মন্তব্য করি। সোনেলা সোনেলার জায়গায় ফেইজবুক ফেইজবুকের জায়গায়। কেউ কারো জায়গা নিতে পারবে না।

      • নীলাঞ্জনা নীলা

        @আনিছ ভাই ————-
        ——————————-

        আমিও কিন্তু একই কথা বলেছি বিস্তৃত ভাবে। কেউ কারো জায়গা নিতে পারেনা কখনোই।

        🙂

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      @ইঞ্জা———-
      ———————–
      আপনার কথাগুলো মনে ধরেছে। আরে আপনি অপমানজনক কিছুই বলেননি। বরং সুন্দর বলেছেন।
      কিছু টাইপ মানুষ আছে ফেসবুকার বলে তাচ্ছিল্য করে আমাকে। আমার তাতে কিছু এসে যায়না।
      কারণ আমি ব্লগে এসেছি ফেসবুক থেকে আর এখনও ফেসবুকে এমন কিছু মানুষ আছে যারা আমায় সম্মান দেয়।
      আমি সোনেলার জায়গা কাউকে দেবোনা, আবার ফেসবুককেও অপমানিত হতে দেবোনা।

      ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

  • জিসান শা ইকরাম

    সবাই একরকম মানসিকতার নয়। সমাজেই আছে কেউ খুব সামাজিক, সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোজ খবর নেন।
    কেউ আছেন অসামাজিক, কারো সাথে তেমন কথা বলেন না, সালামের জবাব দিতেও কস্ট হয় তাদের।
    ব্লগেও এমন হয়। এর কোন সমাধান নেই আসলে।
    আমি কিন্তু পড়ি সবার লেখা 🙂

  • অলিভার

    যদিও সিরিয়াস পোষ্ট, তবুও একটু মজা নিয়েই বলি। আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ ম্যাচ করছে বর্তমানের আমার প্রোফাইল :p
    ব্লগে আমি বেশ অনেক অনেক দিন ধরে অনিয়মিত। মাঝে মাঝে হঠাৎ ঢু দেই, আর সেই সাথে নিজের হিজিবিজি কিছু লেখা পোষ্ট করে আবার উধাও হয়ে যাই। সত্যি বলতে পোষ্ট করার সময় নিজেরও লজ্জা লাগে, স্বার্থপর মনে হয়। কিন্তু ব্যস্ততার জন্যে এখন নিয়মিত ব্লগে আসাও সম্ভব হয় না 🙁

    আরও একটা ব্যাপার রয়েছে। মাঝে মাঝে অন্য সময়গুলিতেও ব্লগে ঢু দিয়ে যাই। কিন্তু ঐ সময় গুলিতে ব্লগে লগইন করা হয় না, পোষ্ট পড়েই ভাগি। আবার কিছু কিছু পোষ্টে ঠিক কি যে মন্তব্য করব সেটাই ভেবে পাই না (সেই তালিকায় আপনার এমন অনেক গুলো পোষ্ট রয়েছে :p )। তাই চুপচাপ থাকাই নিরাপদ বোধ করি। নয়তো শেষে দেখা যাবে পোষ্টের সাথে সঙ্গতিহীন সব মন্তব্য দিয়ে যাচ্ছি লাগাতার :D)

    চেষ্টা করব আরও একটু সময় দেবার। আপনার পোষ্টের জন্যে নয়, বরং এখান থেকে অনেক কিছু শিখছি। সেই ব্যাপার গুলিকেই ছোট করে জানিয়ে যাবার চেষ্টা করব সামনে থেকে 🙂

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      অবশ্যই মজা করে বলবেন। সিরিয়াস ব্যাপারগুলোকে বেশী হজম করতে পারিনা। তবে আপনার মতো আমিও করি। ব্লগে রোজই আসি, কিন্তু লগইন করিনা। শুধু পড়েই চলে যাই। কিছু কিছু মানুষের লেখার মন্তব্য করতে গিয়ে ভাবতে হয়, তার মধ্যে আপনার লেখাও পড়ে।

      এবার তো চিন্তার বিষয় আমার পোষ্টগুলো তাহলে কি অখাদ্য মানের? ;(
      বড়োই দুষ+ক্ষ পাইলাম। 🙁

      এই দুষক্ষের জন্যে নতূন লেখা লিখিতেই হইবে। আর এইবারে যদি আপনি মন্তব্য না করেন, তাহা হইলে আপনার লেখায় মন্তব্যের বন্যা বইয়ে দেবো। 😀

      সিরিয়াসভাবে প্রতি-মন্তব্য করার চেষ্টা করলাম, হলো কিনা জানাবেন কিন্তু। 🙂

      • অলিভার

        আর এইবারে যদি আপনি মন্তব্য না করেন, তাহা হইলে আপনার লেখায় মন্তব্যের বন্যা বইয়ে দেবো।

        সাতার জানি না, বন্যারে ভীষণ রকম ভয় পাই, বন্যার গোস্বাকেও ভয় পাই :p

        অখাদ্য! ভুল উপমা। বরং ঐরকম লেখা বোঝার মত ক্ষমতাই এখনো অর্জন করতে পারিনি। তাই একটু বুদ্ধি করে কি যে বলব তোই ঠিক করে উঠতে পারি না।

        (ইহা একটি সেমি-সিরিয়াস-মজারু মন্তব্য :p )

      • নীলাঞ্জনা নীলা

        সাঁতার আমিও জানিনা। :p 😀
        “নগর পুড়লে দেবালয় কি এড়ায়!” এই প্রবাদে বিশ্বাসী হয়ে তাই বন্যা বইয়ে দিলাম না।

        এই কি বললেন!!! আপনি বোঝেননি? জানেন আপনার লেখা পড়ার আগে কতো টাইপের জ্ঞানের সার খেয়ে আসি?
        তাও এই গোবর মাথা একতু একতু বোঝে ^:^

        সেমি-সিরিয়াস-মজারু টাইপ মন্তব্য যে একে বলে আপনার থেকেই আজ প্রথম জানলাম। আপনি এতো জ্ঞান নিয়ে ঘুমান কি করে বলুন তো? ;?

  • মৌনতা রিতু

    মুই এমন একখান পোষ্টের অপেক্ষায় ছিলাম। তোমাকে এতোগুলো আদর। 🙂
    আসলে ঠিকই বলেছ। অনেক সময় হঠাৎ ব্যাস্ততা চলে আসে। আমার তো এমন অবস্থা হয় কাঁদতে ইচ্ছে করে। আমার বাসায় তিনটাই বাচ্চা। তিন বাপ ব্যাটা এতো এলোমেলো করে ঘরবাড়ি না দেখলে বুঝবে না।
    তার উপর পড়াতে বসাও। আত্নীয় স্বজন তো আছেই।
    আমি যে কি আড্ডাবাজ জাননা। খসড়া ভাইয়াআপু জানে। সোনেলা আমার বাপের বাড়ির মতো। এখানে মনের প্রশান্তি মেলে।

  • মারজানা ফেরদৌস রুবা

    ওরে চঞ্চলা চপলা নীলাঞ্জনা দিদি, বর্তমানে আমিই তো বড় অপরাধী। এই রোজা আসার পর থেকে কেমন যেনো আলসে হয়ে গিয়েছি।
    আসলেই তো তাই। এ হয় নাকি? যাহোক, মন্তব্যের খরায় এবার ঝরবে অক্ষরের বৃষ্টি।

  • ব্লগার সজীব

    বাস্তবতা এই, যাদের জন্য এই লেখা তারা কিন্তু এই লেখা পড়বে না 🙂 ব্যাস্ত এবং হনু লেখকরা কখনোই অন্যের লেখা পড়ে মন্তব্য করবেন না।
    ভালোই দিয়েছেন নীলাদি 🙂

  • সঞ্জয় কুমার

    পুরনো ব্লগার দের মধ্যে আমি বোধহয় সবচেয়ে বেশী ফাঁকিবাজ ।

    লেখা পড়ি তো কমই । মন্তব্য করি তারচেয়েও কম ।

    কারণ একটাই
    প্রচণ্ড অলস । ব্যাস্ততার অযুহাত দেখাব না । অতিরিক্ত অলস রাই অতিরিক্ত ব্যাস্ততার অভিযোগ দেখায় ।

    একটু বেশী করে বকে দেন তো আমাকে । ;(

  • শুন্য শুন্যালয়

    দান-প্রতিদান? 🙂 যা পারবা না, তা কও ক্যান? বিশ্বাস হচ্ছেনা? চেষ্টা করে দেখো পারো কিনা।
    আমি পারিনাই। হাল ছেড়ে বলেছি, আমি পড়তে এসেছি, কেউ না পড়লে আমার কি?
    আর মন্তব্য? সময় বড় অল্প গো, অইসময়ে চ্যাটে কএক খানা মেসেজ দেয়া যায়। মুন খারাপ কইরো না, মানে তোমার চান্দের মতো মুখ টা ব্যাজার কইরো না। সবে একটু বিজলি দেখিয়ে গেলাম, বৃষ্টি এখনো আসেনি। -{@

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      দুষ্টু মাইয়া ক্যামনে বুঝো যে পারমু না? ঠিক পারমু। পারলে কি দিবা সেইটা কও। চ্যালেঞ্জ করলে মনে হয় জিততে পারমু। :p

      ওই কার লগে অতো চ্যাট করো? চান্দের মতো মুখরে ব্যাজার তো তুমি-ই করাও। :@

      বৃষ্টি দিবা ক্যান। কি গরমের মইধ্যে বইসা আছি দেখতা যদি। বাসায় এসি নাই, থাকলে তোমার বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতামই না। 😀
      মন্তব্য করছো আমার লেখায় তাই আমিও মন্তব্য করছি। নাইলে মনে করছো অত্তো সহজ!!! হিমফোঝিভল(ইমপোসিবল) :p

      • শুন্য শুন্যালয়

        😀 চ্যাট কার লগে করি, তুমারে কওন যাইতো না, যা হিংসুইট্টা তুমি!
        আইচ্ছা আজ থাইক্কা মন্তব্য বন্ধ, দেখি তুমি দাও কিনা। চ্যালেঞ্জ করলেও জিততে পারবা না, তুমারে আমি চিনি। তয় পুরষ্কারের লোভ দেখাইলে পারতেও পারো। আমি গরীব মানুষ 🙁

      • নীলাঞ্জনা নীলা

        ইস তুমি যেনো হিংসা করোনা? আসো সামনে দেখি হিংসা পরতিযোগীতা করমু। দুনিয়ায় কতো টাইপের প্রতিযোগিতা হয়, এইটা আমরাই করি, তারপর গিনেজ বুকে রেকর্ড শুন্য-নীলা 😀

        মন্তব্য বন্ধ করলে ভালুবাসা দিমু না। এই ভাঙ্গা হার্টুর ফাঁক দিয়া ভালুবাসা পইড়া যাইবো তো (-3

        মন্তব্য যতো বেশী, ততো ফুলসহ ভালোবাসা। ও আপু তোমার প্রিয় ফুল কি গো? -{@ (3

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ