সবুজের জল...
সবুজের জল...

চলমান সময় :-

পাড়ে এসে থেমে যায় মেঘ-পুরুষ;
সান্ধ্যকালীন লজ্জ্বা বাঁকা চোখে চেয়ে দেখে দ্বি-প্রাহরিকের আগমন ঠিক তারই সামনে।
যেনো নীলের কাছেই এসে দাঁড়ায় ভেঁজা সবুজ।

পূর্বকথা :-

চঞ্চল বালিকা দে-ছুট ওই জলের আয়নায় লাজুক দুষ্টুমীর ডালা নিয়ে
খুব তাড়াতাড়ি কিশোরী হচ্ছে সে। জলের বুকে গিয়ে ঢেউ তোলে পায়ের পাতা।
অবাধ্য জ্যোৎস্না চাঁদের বুড়ীর কাছে নিয়ে যায়,
পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চেপে ওই আসছে বুঝি। কিশোরীর চোখে নীল-স্বপ্ন।

পূর্ণতার বার্তা :-

তারপর একদিন স্বচ্ছ নদীর জল ঘোলা হয় রিনিঝিনি নূপুরের জল-স্নানে
তারই সাথে মেঘ-পুরুষও সাঁতার কাটে সুদূর আকাশ পাড়ি দিয়ে।
পৃথিবী খুলে রাখে তার হৃদয়ের জানালা,
পর্দা ওড়ে হাওয়ায়।
অন্তরালে চোখ কথা বলে বন্ধ চোখের সাথে। নীরব অক্ষরের সাথে অক্ষর বিনিময় কিভাবে,
বুঝি শুধু আবেগই জানে।
নিঃশ্বাস শ্বাস নিতে গেছে উষ্ণতার গহীন অরণ্যে। শিকারীর শিকার হতে এতো আনন্দ!
নারী কি তা জানে?

অবশেষে মেঘ এবং নারী :-

জানে দুজনেই।
সময়ের কোনো আলো-ছায়া নেই, কেবল ছুটে চলতেই জানে।
হয়তো সেই মেঘও জানেনা কবে, কোথায়, কখন অন্ধকার নামে!
তবে নারীর পূর্ণতায় কুয়াশাচ্ছন্ন পৃথিবীতে ভোর আসে আরেকবার,
সমস্ত দিন পরিভ্রমণ করে গোধূলী থেকে আবারও সন্ধ্যার দিকে ধায় সময়।
ওদিকে মেঘ আসে, নামে,
ভিঁজিয়ে দেয় শুকিয়ে যাওয়া চৌঁচির জমিন একবার হেমন্তের কুয়াশায়,
একবার শীত-বৃষ্টির জলে।

হেমন্তের কুয়াশায়...
হেমন্তের কুয়াশায়...

 

হ্যামিল্টন, কানাডা
১১ নভেম্বর, ২০১৫ ইং।

0 Shares

৬৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ