দেশ থেকে ফাঁসী উঠিয়ে দেয়া উচিৎ।
প্রতি বছর আয়কর এবং ভ্যাট দেই বেশ বড় অংকের, আমার প্রদেয় ভ্যাটের অনু পরমানু অংশ খরচ হবে একটা রাজাকারের জীবন বাঁচাতে, তার খাওয়া দাওয়ায়, এটি মেনে নিতে পারছিনা। ইচ্ছে করেই আয়কর মেলা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠন হতে বেড়িয়ে আসলাম। আমার টাকায় রাজাকার প্রতিপালিত হবে ? কিছুই করতে পারবো না ? এই অক্ষমতা কষ্ট দিবে আমৃত্যু।

একই দেশে সামান্য অপরাধীর বিচার হয়,দু একটা খুন করে খুনীর ফাঁসী হয়,সে দেশে একজন রাজাকারের অসংখ্য খুন, অগুনিতক ধর্ষন, লুট, জোর পূর্বক ধর্ষনের ফাঁসী হবেনা।

মুক্তিযোদ্ধাদের উচিৎ ঘোষনা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় ত্যাগ করে রাজাকার পরিচয় ধা্রণ করা। এই দেশে কোন রাজাকার না খেয়ে মারা গিয়েছে বলে কোন খবর আমরা শুনিনি। কোন রাজাকার বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছে বলে কোন সংবাদ নেই। কোন রাজাকার রিক্সা চালিয়ে বা ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে বলে জানা নেই আমাদের। ফলাফল প্রমান করে মুক্তিযোদ্ধারা ভুল করেছে, রাজাকাররা ভুল করে নাই। মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন সরকার। ভাতা পাচ্ছেন তাঁরা, তাদের সন্তানরা চাকরীতে সুবিধা পাচ্ছেন, কিন্তু কোন মুক্তিযোদ্ধা কি আজ খুশী হয়েছেন ? রাজস্ব আয়ের একটা অংশ যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার জন্য, আর সেই একই উৎস থেকে অর্থ যাবে জেলে রাজাকারদের খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। আজকে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা তাঁদের কাছে জুতো মেরে গরু দানের মতই মনে হবে।

এ কোন দেশে বাস আমাদের ? রাজাকারদের রাজাকার সম্মোধন না করে ধর্মীয় নেতা, জামায়াত নেতা উল্ল্যেখ করে সবাই, রাজাকার তোষনে ব্যাস্ত সব মিডিয়া এবং সমাজের তথাকথিত সুশীল আর গন্যমান্যরা ?

তারপরেও কি থেমে থাকবে দেশের প্রমানিত শত্রু রজাকারদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম? আর কি উত্থিত হবেনা শ্লোগানে বজ্রমুষ্ঠি হাত ? গলা ফাটিয়ে স্লোগান হবেনা রাজাকারের ফাঁসী চাই ? অবশ্যই হবে, প্রচন্ড ঘৃণায় উচ্চারিত হবে এই প্রানের দাবী। সাথে সাথে ঘৃণায় যুক্ত হবে আরো দল এবং মানুষ, যারা রাজাকারদের বাঁচাতে এগিয়ে আসে।

0 Shares

৪০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ