ভোরের আবির্ভাব...
ভোরের আবির্ভাব...

দেখতে দেখতে "এলোমেলো কিছু কথা"র ষোলোটি পর্ব হয়ে গেলো। অথচ এই এলোমেলো কথা পর্বগুলোর জন্ম হয়েছিলো অভিমান থেকে। মধ্যিখানে লেখা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তখনও ব্লগে আসিনি, ফেসবুকে কোনো লেখা দেয়া থামিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু শুভাকাঙ্খী, সুহৃদ থাকেই প্রত্যেকের জীবনে। আমি ফেলতে পারলাম না। তখনই ফেসবুকে লেখা শুরু করলাম "রোজনামচা" নামে। তারপর "এলোমেলো কিছু কথা।" ৪ এপ্রিল, ২০১৪ ইং তারিখে লেখা শুরু করি "রোজনামচা", আর ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ইং তারিখে "এলোমেলো কিছু কথা।" ফেসবুকে আমার বন্ধু তালিকায় সকলেরই ভালো লাগলো এমন লেখাটা। বলতে গেলে আমিও কিন্তু "দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছি" এমন আর কি! আমি নিজেকে দিয়ে দেখি কবিতা-গল্প সাহিত্যের সকল শাখা-ই অসম্ভব প্রিয় আমার। নতূন বই পেলেই হলো, বসে যাই। নেশা নাকি ভালো না, তাহলে বই নিয়ে এই যে নেশা আমার, একে তো কেউ খারাপ বলেনা? যাক যা বলছিলাম, "এলোমেলো কিছু কথা" লেখার পর মনে হলো আসলে আমরা সকলেই অন্যের মনের সাথে নিজের মনকে মেলাতে চাই। সেই চাওয়াটা কিভাবে পাওয়া হয়ে ওঠে? অন্যের কিছু জানার পরেই। আমি দেখেছি আমার জীবনের সাথে এমন অনেকের জীবনের মিল আছে, আবার অনেকেরই নেই। অবাক হইনা কিভাবে এতো মিল হতে পারে!

যাক "এলোমেলো কিছু কথা"র জন্মবৃত্তান্ত। এবারে আসি নিজের লেখা নিয়ে। আমি ব্লগে যখন এসে লিখি, আমার আলাদা কোথাও আলাদা ফোল্ডারে রাখা নেই। যদি ব্লগে একটি লেখাও হারিয়ে যায়, কোথাও পাবো না খুঁজে। হুম ফেসবুকে কিছু লেখা অবশ্য আছে। কিন্তু ব্লগে যেদিন থেকে নিয়মিত হলাম, সোনেলাকে ভেবেই লিখি। কিন্তু আজ পর্যন্ত নিজের মন ভরাতে পারিনি। আমার মামনি বলে, "তুই যে কাজ করে সন্তুষ্ট হতে পারবি না, সেই কাজ কিছুতেই অন্যও পছন্দ করবে না।" তার মানে তো আমার সব লেখাই একটা এলোমেলো অবস্থায় এসেছে এখানে? ওহ মামনিকে জানিয়ে দিয়েছি সবাই যে কতো শুভেচ্ছাবাণী দিয়েছে। কি যে খুশী। আমায় বললো, "আমি তো ক্ষুদ্র এক ধূলিকণা, সবাই এভাবে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে, লজ্জ্বা লাগছে রে।" বললাম ক্ষুদ্র ধূলিকণা হয়েছো, কিন্তু কারো চোখে গিয়ে তো খোঁচাওনি, তাই সবাই ভালোবাসে। গতকাল ফোন দিতেই বললো, "জানিস ভিয়েনা থেকে শিল্পী ফোন দিয়েছিলো? এত্তো ভালো মেয়েটা, কখনো দেখিনি, অথচ মনে হয় কতোকালের চেনা!" বললাম প্রশংসা রাখো, তোমার চোখে কে খারাপ এটা একটু বলো। "আর জানিস ঊর্মীও ফোন দিয়েছে। অনেকক্ষণ কথা বললো। ওহ তোর যে লিপা ভাবী সেও ফোন দিয়েছে।" মামনির মন তো আবেগাপ্লুত হবারই কথা। আমি নিজেই যে হয়ে গেছি। এমন বন্ধু কতোজনে পায়? আমি জানিও না ওরা যে মামনির জন্মদিন মনে রেখেছে। তারপর ফোনও দিয়েছে। অথচ এমন অনেক মানুষও আছে পরিচিত, যারা আপন আপন মুখেই বলে। কাজে গোল্লা।

কতোকিছু যে বলে যাচ্ছি। আমার ছেলেটার কথা বলি একটু। যতো বড়ো হচ্ছে, ততোই জানি কেমন লাগে দেখতে! ওইটুকুন একটা কাদা-মাটির দলাকে কোলে নিয়ে গান শোনানো। ওর নরম নরম হাতের আঙুলে আলতো করে কামড় দেয়া, পায়ের পাতায় চুমু খাওয়া। কি যে ছিলো। আমার ছোট বোন ওকে ডাকতো ধাবলা-দুবলা। সেই ছেলেটা আর মাত্র আটদিন পর হাইস্কুলে যাবে। আমার এক্সিডেন্টের পর অনেক বেশী আদর করে আমায়। সকালে উঠেই আমার পেটে এসে মাথা রাখে। তারপর গল্প করে এখানে এই পেটে যে ছিলো আমি কি ব্যথা পাইনি? হাসি আর বলি এখন ব্যথা পাচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে বলবে, "ওহ স্যরি! আচ্ছা আস্তে করে রাখি মাম?" ফিজিও দিতে যাই, দরোজা খুলে দিয়ে জড়িয়ে ধরবে। আমার ইচ্ছে করে সেই আগের মতো করে কোলে তুলে নিতে। কিন্তু উল্টো আমায় তুলে নেয়। বাবা-মা যে একদিন শিশু হয়ে যায় নিজের বাপি-মামনিকে দিয়ে দেখি। আমিও কি তাহলে শিশু হবার পথে হাঁটছি?

শরৎকাল চলে এলো। রাতের হাওয়ায় হাল্কা হিম হিম। আর কিছুদিন পরই শীতের চাদর পড়ে নেবে প্রকৃতি। সবুজ হারিয়ে যাবে। হেমন্ত ঋতু দেখা হয়না কতোকাল! এতো সুন্দর একটা দেশ আমাদের, আজকাল গ্রীনহাউস ইফেক্টের জন্য সারা পৃথিবীর আবহাওয়া বদলে গেছে। বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের দৌরাত্ম্য বেশী। অরণ্য ধ্বংস করে, সবুজকে মেরে ফেলে বিশাল বিশাল অট্টালিকা বানানো হচ্ছে। আমাদের বিষাক্ত কার্বন যারা খাবে, তারাই তো নেই। আর আমরা পাচ্ছিনা সেই পরিমাণ অক্সিজেন। কল-কারখানার দূষিত বর্জ্য নদীর জলে, সমুদ্রে। সৌরজগতের আর কোথাও পৃথিবীর মতো এতো সবুজ অরণ্য আর নীল আকাশ নেই। অথচ আমরা মানুষ তার যত্ন করতে পারলাম না। প্রকৃতি নীরবে আর কতো সইবে? এদিকে সারা পৃথিবী জুড়ে চলছে জঙ্গী হামলা। দিদিমা-ঠাকুমারা বলতো, "এখন কলিযুগ।" ছোটবেলায় জিজ্ঞাসা করতাম, কলিযুগ মানে কি? আবারও বলতো, "কলিকাল রে দিদি, মানুষ এমনও হবে যে শিশু আর শিশু থাকবে না। চলতে শুরু করলেই আস্ত মানুষ হবে। শৈশব-কৈশোর এসবের কিছুই থাকবে না। এই হলো কলিকাল।" তাঁদের কথাই তো ঠিক। পেপারে পড়ি দশ থেকে চৌদ্দ বছরের শিশুরা মানুষ খুণ করে। কার নাটকে জানি এই সংলাপটা ছিলো, "হায়রে কলিকাল, ছাগলে চাটে বাঘের গাল!"

এতোকিছুর মধ্যেও এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা দিন-রাত নীরবে-নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন সুন্দর এই পৃথিবীটাকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে। কেউ তাঁদের লেখনী দিয়ে, কেউ গবেষণা করে, কেউবা গায়ে-গতরে খেটে। আমরা যদি নিজেদের ঘর থেকেই শুরু করি গাছ লাগানো, আমাদের দেখে আরোও কেউ না কেউ তো করবে। বাঙ্গালী মহিলাদের আসরে শুধু শাড়ী-অলঙ্কারের গল্পই চলে, আর পুরুষদের আসরে রাজনীতি, সমালোচনা। কাউকে দেখিনা একটা গান-কবিতা-বৃক্ষ এসব নিয়ে আলোচনা করতে। পহেলা বৈশাখ বিএনপি'র, তো আওয়ামীলীগও আলাদা করে পহেলা বৈশাখ। সকল বাঙ্গালী এক হয়ে আজ পর্যন্ত একটা পহেলা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, মাতৃভাষা দিবস, বিজয় দিবস কিছুই পালন করতে দেখলাম না। ভাষা নিয়ে বড়ো বড়ো কথা বলে, ঘরে দেখা যায় ছেলে-মেয়ে বাংলা বলতেই পারেনা। কিছু বললে ভাব নিয়ে বলবে, "দিদি এ দেশেই তো থাকবে। দেশে তো আর ফিরে যাবেনা।" কাক যতোই ময়ূরপুচ্ছ লাগিয়ে নাচুক না কেন, কাকই থাকে। পাঁচ প্রজন্মও যদি দেশের বাইরে থাকে, হাজার সিটিজেনশিপ থাকলেও শুনতে হয়, "হোয়ার আর ইয়্যু ফ্রম?" অনেক কথা আজ বলে ফেললাম। যতো যা-ই হোক শুধু চাই এ পৃথিবীতে শান্তি আসুক। যুদ্ধ থেমে যাক, নবজাতক শিশুদের থেকে আরেকটি সুন্দর পৃথিবীর জন্ম হোক। অনেক প্রিয় কবিতার মধ্যে সুকান্ত'র "ছাড়পত্র" আমার অনেক প্রিয় একটি কবিতা। আগে পুরোটা মুখস্থ ছিলো, একা একা আবৃত্তি করতাম।

"এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান;
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি—
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।"

এলোমেলো কথাগুলো কোথা থেকে কোথায় নিয়ে এলো আমায়, তাই না? তবুও বলি, এতো কিছুর পরেও হাসি আছে আমার ঠোঁটে। বিশাল এক আশা আছে। স্বপ্ন আছে। আজও নিরাশা আমায় গ্রাস করতে পারেনি। জানিনা এ শক্তি আমি কোথা থেকে পাই! আমার যারা বন্ধু, সবাই জানতে চায় কিভাবে পারি? উত্তর কি দেবো আমি?------

সুচরিতা আজ তুমি যতো দূরেই যাও
তোমাকে টেনে নেবে তোমার অতীত
দূরবর্তী দ্বীপের বাসিনী হয়ে কতোদিন আকাশের তারায় চোখ রাখবে ?
পায়ের নীচে শ্যাওলাগুলো ঠিক তোমাকে দেবে পিচ্ছিলতার যন্ত্রণা
এরপর বিবর্তন যতোই হোক না কেন
তুমি এই তুমি-ই থেকে যাবে
নিঃসঙ্গ-একাকী এবং একলা...। (নামহীন কয়েকটি পংক্তি)

সবুজের ঢলে...
সবুজের ঢলে...

হ্যামিল্টন, কানাডা
২৭ আগষ্ট, ২০১৬ ইং।

এলোমেলো কিছু কথা…**পনেরো**

0 Shares

৪৪টি মন্তব্য

  • শুন্য শুন্যালয়

    দ্বিশততম পোস্ট বুঝি এমন করেই লিখতে হয়!! কতো সুন্দর করে লিখলে, একটি লেখার জন্ম, লেখাগুলোর বেড়ে ওঠা। একটি শিশুর জন্ম, শিশুটির বেড়ে ওঠা। আর তোমার এলোমেলো যখন যা মনে আসে তাতো আছেই। সবুজ প্রকৃতি, দেশ। তবে তুমি আজ অস্থির বোধ হয়, তাইনা?
    সত্যিই তাই, এই দেশের সিটিজেন হও তুমি আর যাই-ই হও, তুমি এদেশের কখনোই হতে পারবেনা। আমরা কী ঐ যাযাবরদের মতই নই?
    নীলাপু, মনের জোর কোথা থেকে আসে তোমার, এটাতো আমাদেরও প্রশ্ন। কত তাড়াতাড়ি ট্রমা থেকে উঠে এলে, আবার আগের মতো দাঁড়িয়ে গেলে, নাকি আগের চাইতে বেশি?
    জন্মদিন আর দুইশততম পোস্টের অনেক অনেক শুভেচ্ছা নীলাপু তোমাকে। তোমার ধৈর্য্য, তোমার জোর তোমাকে আরো অনেকদূর নিয়ে যাক। শুভকামনা তোমার জন্যে। শুভ জন্মদিন -{@

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      আর মন্তব্য বুঝি এমনই হয়! শুন্য আপুর মন্তব্য বলে কথা! তোমার কাছে আমার আবেগ ঋণী হয়ে গেলো। কি পেলে আপু এমন ঋণী করে? ভাবতেও পারিনি এমন একটি সুন্দর পোষ্ট পাবো। আমি একটা জিনিস খেয়াল করেছি আমরা যার কাছে আশা রাখি, সেখানে হতাশাই পাই। আর সেই হতাশা আমায় আজ অব্দি গ্রাস করতে দেয়নি সময়। কোনো না কোনো ভাবে কিছু না কিছু পেয়ে গেছি। এই যেমন জন্মদিনে তোমার থেকে পাওয়া। -{@ (3

      সেদিন মনটা খুব এলোমেলো ছিলো। বাপি-মামনিকে মিস করছিলাম। সকালে ফোন দেয়ার পর মামনির গলা ভার। আমার জন্মদিন অথচ আমি কাছে নেই। কিন্তু দেখো আমার ভাগ্যটা কতো ভালো। কষ্টটা একেবারে কমিয়ে দিলো তোমার ওই আবেগী পোষ্ট।

      ভালো রেখো আপু। -{@

      • শুন্য শুন্যালয়

        আপু এজন্যেই তো আশা করতে নেই, যদিও আমরা অক্ষম মনের স্টিয়ারিং ধরে রাখতে। সবিকিছুকে এই পজিটিভলি নিতে পারা মানুষরাই কিন্তু সুখী হয়, যদিও তা হয়েই ওঠেনা।
        মন খারাপ করতে বারন করে দিও, আমার বাবা-মা তো আমার জন্মদিনই ভুলে যায়, আমার বোনটা ছিলো বলে 🙂
        আপু আমার আবেগ কিন্তু কম, মাঝে মাঝে মনেহয় হয়তো নেই-ই, কি জানি তোমরা কি দেখো।
        তুমিও ভালো থেকো, ভালো রেখো সবাইকে নীলাপু। -{@

      • নীলাঞ্জনা নীলা

        শুন্য আপু তোমার যদি আবেগ না থাকে, তাহলে আমায় নিয়ে লিখতে না। আমি প্রাক্টিক্যাল মানুষ দেখেছি, তাই ভালো করেই জানি।
        পুরো আবেগ ঢেলে দিয়েও কেউ কেউ বোঝেইনা তার মধ্যে আবেগ আছে। তার উদাহরণ তুমি। আর কেউ এমনও আছে আবেগের কথা বলে, কিন্তু আসলে আবেগই নেই। ভন্ড তাদেরকে বলে। বুঝেছো? এমন ভন্ডও দেখেছি আমি।
        ভালো রেখো আপু। -{@

  • ছাইরাছ হেলাল

    আপনাকে শুভেচ্ছা মহাকবি,
    অভাবিত অবশ্যই দু’শতম লেখার জন্য, আর এ লেখাটি যে ভাবে উপস্থাপন করলেন তার প্রশংসা করে শেষ করা যায় না।
    কতটা চড়াই-উতরাই আপনি পেরিয়েছেন তা আমরা সামান্য দূর থেকে দেখছি মাত্র, তাতেই হাজার অবাক।
    সকলের ভালোবাসা সবাই পায় না, যা আপনি পেয়েছেন, দিয়েছেনও,
    আপনার গলগলে লেখনীর শতায়ু কামনা করছি, সত্যি সত্যিই।

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      অনবদ্য এক মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
      একটা সত্যি বলেছেন, অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। এবং পেয়েও যাচ্ছি। ভালোবা্সা দিতে পারছি কতোটা জানিনা।

      ওহ আরেকটা কথা বলে রাখি, আমার আগডুম-বাগডুম লেখার হাত থেকে আপনাদের কারো নিস্তার নেই। 😀

  • মৌনতা রিতু

    শুভেচ্ছা আপু তোমাকে। সত্যি অনেক সম্পর্কই আত্নার মধ্যে ঢুকে যায়। এই যে তাদের একটুখানি সময় অনেকক্ষনের আনন্দ। সেই আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়ি।
    তোমার লেখাটা খুবই ভাল লাগল।
    সত্যি আমরা শিশু হয়ে যাচ্ছি। এই তো ঘুর্নায়মান জীবন।
    অনেক ভালবাসা নিও।

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      আমরা পরিবার বলতে বুঝি দাদু-দিদিমা/ঠাকুমা-বাবা-মা-ভাই-বোন-পিসী/মাসী-কাকু/মামা-স্বামী/স্ত্রী-সন্তান। আমার কাছে পরিবার মানে শীতল ছায়া। নিশ্চিন্তের আশ্রয়। সেই আশ্রয় রক্তের সম্পর্কই শুধু আমি সেটা মানিনা। তাই আত্মার সম্পর্ক যার সাথে, সেও পরিবারেরই অংশ।

      মৌনতা আপু এলোমেলো লেখা তোমার যে ভালো লেগেছে, তাতেই আমি খুশী। 😀 \|/

      ভালো থেকো। -{@

  • ইকরাম মাহমুদ

    এলোমেলো কিছু কথা-তে কতো এলোমেলো বিষয় নিয়ে খেললেন আপনি। এলোমেলো বিষয়গুলো কীভাবে গোছালেন তা তো দেখলাম।
    একজন নারী কবিগুরু সম্বোধন করলো, একজন মহাকবি। যোগ্যতম উপমা ছিল দুটোই।

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      এলোমেলোকে বুঝি গুছিয়ে ফেলতে পেরেছি?
      আমি বড্ড এলোমেলো এমনিতে। যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করি, ভূমিকায় বেশী ঝামেলা করি। 😀

      কবিগুরু সবসময়ই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর মহাকবি সবসময়ই মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
      নীলা খুব সাধারণ একজন, এমনই থাকতে চাই। 🙂

  • প্রহেলিকা

    সতীর্থ্যদের পেছনে ফেলে এভবে নিজের ঝোলাতে ডাবল সেঞ্চুরির দলিল দখলে নিলেও শুভেচ্ছা জানালাম মন থেকেই হে কবিগুরু। ডানা বিস্তৃত হোক, উড়ালে আমাদেরই প্রাপ্তি। সাফল্যের এমন ধারা যাতে অব্যাহত থাকে তা অবশ্যই চাই।

    বেশি কিছু আজ আর বললাম না, ট্রিপল সেঞ্চুরির দিকে যাত্রা শুভ হোক।

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      কবিগুরু উপাধি রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কেউই পাবে না কোনোদিন।
      তারপরেও যখন বললেন, তার মানে আপনি মহাগুরু সাহিত্যিক। আর মহাগুরু সাহিত্যিক তো যা মন চায় বলতেই পারেন।

      ট্রিপল সেঞ্চুরি! দেখি কোন সেঞ্চুরি করতে পারি!! 😀
      তবে মহাগুরু সাহিত্যিকের আশীর্বাদে আমার আগডুম-বাগডুম লেখা চলবে এ নিশ্চিত। 🙂

  • মিষ্টি জিন

    শুভজন্মদিন আপু।
    এলোমেলো কথা অথচ কত সুন্দর করে গুছিয়ে লিখলেন। আমরা আসলেই শিশু হয়ে যাচ্ছি যেখান থেকে শুরু করেছি একটু একটু করে আবার সেখানেই ফিরে আসছি।
    দ্বিশততম পোষ্টের জন্য অনেক শুভেচঁছা ,শুভকামনা এবং ভালবাসা। -{@ (3

  • ব্লগার সজীব

    আপনার “এলোমেলো কিছু কথা ” এই পর্বকেই আমি আমার দৃষ্টিতে সেরা হিসেবে গন্য করলাম। কত প্রসঙ্গ আনেন আপনি একটি লেখায়। একটি সময়ে বাবা মা শিশু হয়ে যান। চলছে কলিকাল। প্রবাসে আমাদের মাঝে অনৈক্য, মুখে বাংলার কথা বলেই দায়িত্ব শেষ আমাদের, বিদেশে স্থায়ী হয়েও আসলে বিদেশী হয়ে থাকা।
    শুভ জন্মদিন প্রিয় দিদি -{@ । একই সাথে আপনার ডাবল সেঞ্চুরির জন্য অভিনন্দন। অতি দ্রুত ট্রিপল সেঞ্চুরি চাই দিদি। -{@

  • আবু খায়ের আনিছ

    এক কবির দুই বা তিনটি কবিতা এক নাড়াগে পড়তে হয় না। আবার পরপর অনেকগুলো বিষয় নিয়েও পড়তে হয় না তাহলে সব ঝটলা পাকিয়ে যায়।

    গতকাল এত এত লেখা পড়েছিলাম যে, শেষ পর্যন্ত দিদির পোষ্ট রেখেই দিলাম আলাদা করে পড়বো বলে। দ্বী-শততম পোষ্ট এর জন্য লেখাটা সেরা।
    এলোমেলো কিছু কথা – বলে কত কথাই তো বলে যাচ্ছো, যেমনটা বলে গেলে এই পর্বে, নিজের অনুভূতি, কবিতা, ভালো লাগা, সন্তানের ভালোবাসা, স্নেহ আবার সেই তাকে নিয়ে /তাদের নিয়ে উৎকন্ঠার কথা। আশার কথাও শুনালে, কত দিবে আর। এলোমেলো কথায় যদি এত কিছু আসে তাহলে সাজানো কথায় কি হবে ভাবা যায়.যায় না ভয়ংকর রকমের খারাপও হতে পারে।

    জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিদি ভাই।

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      আর কইও না। এতো এতো গিফট পাইলে ক্যাম্নে মাথা ঠিক থাকে! তুমি-ই কও গো সুন্দরী মাহজাবিন। 🙂
      ইস গিফট তোমারে দিমু ক্যান? কেউ যদি গিফট দেয়, ওইটা যেমনই হউক কাউরে দিতে নাই। বুঝলা গো সুন্দরী মাহজাবিন? -{@

      • শুন্য শুন্যালয়

        কে কইছে তোমারে? যেই গিফট টা তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হবে, অইটা আরেকজন প্রিয়কে গিফট করে দিতে হয়। এইভাবে মন শক্ত করতে হয় আস্তে আস্তে, দুইন্যার সব প্রিয় জিনিস বিলায় দিতে হয়। 😀
        মাহজাবীন, মেহজাবীন কিচ্ছু কইয়োনা, প্রব্লেমই সমস্যা বুঝলা? দেখো এইখানেই আড়ি পেতে বসে আছে কিনা কবিরাজ। খপ করে হামলে পড়বে।

      • নীলাঞ্জনা নীলা

        তোমার নাম তো তিলোত্তমা সুন্দরী। প্রিয় জিনিস দিয়ে দিয়েছি কতো। কিন্তু কেউ যদি ভালোবেসে আমায় একটা সুতাও দেয় যত্নে রেখে দেই। এমন অনেক কিছু পছন্দও হয়না। তাও রেখে দেই।
        নিশ্চিন্তে থাকো কবিরাজ ভাই এখিন আর নাকও গলাতে পারবেনা। আসলে আমি ভুলেই গেছিলাম মাহজাবিনের কথা। সেদিন অভিধানে “ম” দিয়ে একটা শব্দ খুঁজতে গিয়ে মাহজাবিন পেয়েই তোমায় লিখলাম। বুঝেছো গো তিলোত্তমা সুন্দরী? -{@

  • ইঞ্জা

    কি যে লেখেন আপু মনটাই কেঁড়ে নেন।
    দ্বিশততম পোষ্ট সাথে জম্মদিন বাহ, বাহ।
    জম্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপু, আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি। -{@ (3

  • অপার্থিব

    কথাগুলো এলোমেলো আখ্যা দিলেও এর মধ্যে অনেক ভাবনার ব্যাপার আছে। পশ্চিমা দুনিয়ায় যেভাবে ডানপন্থী ও অভিবাসন বিরোধী দের প্রাধান্য বাড়ছে তাতে “হোয়ার আর ইয়্যু ফ্রম?” কথাটা আরো বেশি শুনতে হবে ভবিষ্যতে। পৃথিবীতে শান্তি আসতে এখনো বহু দূর।

    ব্লগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে কিংবা ডেটাবেজ ক্রাশ করতে পারে কিংবা অন্য কোন সমস্যা হতে পারে তাই প্রত্যেকেরই উচিত নিজের লেখাগুলো সংরক্ষণ করা।

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      ঠিকই বলেছেন। লেখাগুলো সংগ্রহে রাখা দরকার। এসব ভাবিনি।
      আসলে বহুবার আমার লেখা ল্যাপু থেকেও গায়েব হয়ে গেছে। তখন কষ্ট পেয়েছি অনেক।
      তবে ভাবছি লেখাগুলো একটা একটা করে যত্নের সিন্দুকে রাখবো।

      ধন্যবাদ সুন্দর সাজেশনের জন্যে।
      তা আপনার লেখা কোথায়? ;?

  • ইলিয়াস মাসুদ

    ভাবনা গুলো মোটেও এলোমেলো না,ভাবনা গুলো ভাবনার গভীরের ভাবনা। ভাবনা গুলো পড়তে পড়তে নিজেও এইসব ভাবার সাথে মিশে গেয়েছিলাম-
    আমারো কোনো লেখা-ই সেভ করা নেই, সেইভ করা উচিৎ অবশ্যই

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ