সুগন্ধা নদীর চরে রোজ দুপুরে দলবেধে হুল্লোর হইচই করতে করতে ডুবিয়ে গোছল করতে গিয়ে কাদামাটিতে ছোট ছোট গর্তের দুপাশে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দর্গি মাছ ধরা হাফপ্যান্টওয়ালা বালক, মাছগুলো ধরে কেন আবার নদীতেই ছেড়ে দিতে? নদী তো তোমার ছিলনা যে মাছ গুলো আবার ইচ্ছে মত ধরে নিতে পারবে!
ক্লিওপেট্রা, শুধু ভালোবাসি বলাতেই অন্ধকার কারাগারে নিক্ষেপ করলে! তোমার শক্তি তেজ বুদ্ধি সৌন্দর্যে কেউ যদি তোমার প্রেমে পড়েই যায় কি করার আছে প্রেমিকের?
হিরো ভাবা বাবুল ভাইয়ের কাছে কৌশল শিখে যাবার পরে সেই নদীর চরে ডুব দিয়ে কাছিমের বাচ্চা ধরে ফেলা, আহা কত শিহরন সে প্রথম ধরার ক্ষন। প্রথম কাছিম ধরার সুখ স্মৃতি এখনো তরতাজা। খোল থেকে মুখ বের করে আঙ্গুল কামড়ে দেয়ায় কাছিমকে ছেড়ে দিয়েছিলে কেন তুমি? মানুষের চেয়ে বহু বছর বেশি বেঁচে থাকা সেই শিশু কাছিম কি বেঁচে আছে এখনো?
কারাগারের সতেরো তম দিনে পায়ে হাতে শিকল বাঁধা অবস্থায় তোমার সামনে নিয়ে গেল আমাকে তোমার কারারক্ষীরা হে সম্রাজ্ঞী। শিকলের ভারে নুয়ে পড়া আমি তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে স্পস্ট উচ্চারনে বলেছিলাম, ভালোবাসি ভালোবাসি তোমাকে ক্লিওপেট্রা। উচ্চারিত ভালোবাসি ভালোবাসি ধ্বনিতে স্তব্ধ নিথর হয়ে গেল দরবার কক্ষ। ক্রুদ্ধ হবার আগ মুহুর্তে তোমার মুখে একচিলতে হাসি আমি দেখেছি হে সম্রাজ্ঞী। অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করো এই পাগলকে।
স্কুলের সামনের লিচু বাগানের একটি গাছে বিশাল মৌচাক। নারকেলের পাতা, ধান গাছের খড় দিয়ে বানানো বড় বড় লম্বা মশালের মত করে বানিয়ে আগুন ধরিয়ে গেলে মৌচাকের নীচে। যেমনটা চেয়েছিলে আগুন নিভিয়ে প্রচন্ড ধোয়ার কুন্ডলীতে অন্ধকার করে দিলে মৌচাকের আশপাশের স্থান। ধোঁয়ায় মৌমাছি পালিয়ে গেলে হিরো বাবুল উঠে যায় গাছে। রশি দিয়ে বেঁধে মৌমাছির চাক ঝুলিয়ে দেয় তোমার সামনে বালক। তুমি তো তখন জানতে না যে রানী মৌমাছি তখনো তার সাম্রাজ্যে। সেই হুল ফুটানোর ব্যাথা কি এখনো অনুভব করো না?
অন্ধকার প্রকোষ্ঠের আজ কততম দিবস ক্লিওপেট্রা? অন্ধকার গ্রাস করেছে সময়কে। তুমি আসবেই এখানে এই পাগলকে দেখতে এই বিশ্বাস আমার ছিল সম্রাজ্ঞী। অন্ধকারের আলোয় তোমায় দেখে সময় চলে যায় আমার। ঘুমিয়ে পড়লে তোমাকে যদি আর না দেখি? অবশেষে এলে তুমি। মশালের আলোতে দেবীর মতই লাগছে তোমাকে। কেন এলে?
রমাদির বাসার আম গাছে পাখির বাসা। রোজ গাছ বেয়ে উঁকি দিয়ে দেখা, পাখির বাচ্চা আসেনা কেন? মা পাখি হাসপাতাল থেকে বালকের মায়ের মত বাচ্চা কেন আনে না? পাখির হাসপাতাল কি তবে মা পাখি চেনে না? দীর্ঘ ৬ মাস রোজ দেখতে যাওয়া পাখির বাসায় বাচ্চার পরিবর্তে বালক দেখতে পায় চারটি ডিম। অবাক বালকের চিন্তায় ঘুম হয়না, পাখি ডিম পেল কোথায় মুরগির মত!
একটি প্রকোষ্ঠে আর কতদিন? দাঁড়িয়ে বসে থাকতে থাকতে পায়ে পঁচন। তাকিয়ে থাকা আর অপেক্ষা। এত বড় সাম্রাজ্য তোমার, আর কোথাও আমার স্থান নেই। আসলেই কি বিশাল তোমার সাম্রাজ্য? কেন মেরে ফেলোনা আমায়? কেন বাঁচিয়ে রাখছো হে সম্রাজ্ঞী? কেনইবা দেখতে আসো হিসেবহীন সময় অন্তর? ভালোবাসো বলে?
ধানসিঁড়ি নদী আর সেই নদী নেই। বারবার খনন করেও নদীটির খালে রূপান্তর হওয়া রোধ করা যায়নি। যে নদী ইচ্ছে করে মরে যায়, তাকে কে বাঁচায়?
তোমাকে,
৩২টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
আজ কি আমার ভাইয়ার মন খারাপ? না এই মন খারাপ বেশ কয়েকদিন থেকেই। ফোনে কন্ঠস্বরে মনু বুঝেছে আপনার। তাই তো বলেননি,”মনু তুই ব্লগে কিন্তু যাচ্ছিস না, তোর কি মন খারাপ?” আপনার শাসন শুনতে ভাল লাগে।
ও ভাইয়া, জানেন আমি খুবই ডগরা মাছ ধরতাম। একবার কি হইছিল জানেন, ডগরা মাছ ধরতে গিয়ে সাপের মাথা ও লেজ ধরে ছিলাম। আমার চাচাত ভাই সে কি চিৎকার! তখন একদমই ভয় পেতাম না। এখন মনে হলে গা শিউরে ওঠে।
সম্রাজ্ঞী যদি মন না বোঝে তবে তাকে টা টা বাই বাই।
ভালবাসা সবার জন্য না মনে হয়। তাই তো খুঁজে ফিরি তাকে, নানা সময়ে নানারূপে।
অনেক ভাল হয়েছে ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
ব্যাবসা নিয়ে খুবই ব্যস্ততার মাঝে আছি। সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯-১০ পর্যন্ত গাধার খাটনি দিচ্ছি।
দুইটা মেসিন এনেছি, তার একটা সেটিং করতেই এই অবস্থা।
দুইদিন ট্রায়াল দিয়েছি, সফল হইনি।
একারনে আসলে কোনকিছুতেই মন নেই।
ডরগা মাছকেই মনে হয় আমাদের এলাকায় দর্গি মাছ বলে।
ভালবাসার মাঝেই আমাদের সবার বেঁচে থাকা।
ছাইরাছ হেলাল
কাকতাল বলব! না কাকবেতাল বলব তাই ভাবছি!!
এই মাত্র-ই ‘ধানসিঁড়ি’ নিয়ে লেখা শেষ করে সোনেলায় উঁকি দিয়েই এটি পেলাম,
ঝামেলা হয়ে গেল, মন্তব্য কেমনে করি! আমি তো আমার লেখা থেকেই বের হতে পারিনি,
সে-লেখা থেকেই বলি…………
কত জল বয়ে যায় বেলার অ-বেলায়
ধানসিঁড়ির জল জলসিঁড়িতে মিলায়;
জিসান শা ইকরাম
ঝামেলা আবার কি!
ধানসিঁড়ি নিয়ে লেখাটি দিয়ে ফেলুন, পড়ি আমরা সবাই আগ্রহ নিয়ে।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা তোমার লেখাটা পড়ে মনের কোথায় কেমন জানি চিন চিন করে ব্যথা করছে।
কষ্টগুলোকে সাঁতার কাটতে দাও চোখের নদীতে, তবে সাবধান কিছুতেই উছলে যেনো না পড়ে!
অ-লেখা বলছো তুমি এই লেখাকে? তাহলে লেখা কোনটাকে বলো? ধানসিঁড়ি নদী যে তোমার ভালোবাসার সম্রাজ্ঞী, সেটা জানতাম আগেই। কারণ আমিও যে ধানসিঁড়িকে ভালোবাসি।
সে কি নেই হয়ে গেছে নানা? আমার সাথে ওর কি দেখা হবে আরেকটিবার শুধু?
ভালো লিখেছো। মন ভালো হয়ে উঠুক। ভালো রেখো নিজেকে নানা। -{@
জিসান শা ইকরাম
নদী বলতে আমরা যাকে বুঝি তা আর নেই,
ওটি খাতা কলমে সাহিত্যে নদী আছে কেবল, বাস্তবে এখন খাল।
পলি পরে নদী মরে যাচ্ছে। অনেকবার খনন করেও বাঁচানো যাচ্ছে না।
দেশে এলে একবার ঝালকাঠী প্রগ্রাম করিস, দেখা অবশ্যই হবে ধানসিঁড়ির সাথে।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
দেখি নানা সামনের বছর যেতে পারি দেশে। কিন্তু জানিনা যাওয়া হবে কিনা!
তবে এটা জানি তোমার সাথে দেখা হবে।
অনেক ভালো থেকো।
জিসান শা ইকরাম
ধানসিঁড়ি দেখে ঢাকায় ফিরে আসতে মাত্র ২৪ ঘন্টা সময় প্রয়োজন।
সাথে বোনাস পদ্মায় আমার কভার ফটোর মত হাজার হাজার গাঙচিল 🙂
যেভাবে পারো সময় বের করে নিস।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
প্রশ্ন আর প্রশ্ন প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর হয়তো জানা নেই তবে শৈশবে মাছ ধরে তা ছেড়ে দেয়া,মনে আছে কাছিমের কামড়ের ব্যাথা সব যেনো জীবন থেকে নেয়া।ভালবেসে মরেও সুখ।অসাধরণ লেখা। -{@
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ মনির ভাই।
বর্তমান আর অতীত একসাথে খেলা করে মনের মাঝে সবারই। এটিই এই লেখা ।
শুন্য শুন্যালয়
লেখাটা কতো ভালো হয়েছে সেটা বোঝাতে আমি অক্ষম।
এভাবে দুই নদীকে জোড়া দেয়া! বিস্মিত আপনার লেখা ভাবনায়।
শুধু ভাবছি কতোবড় প্রেমিক হলে ক্লিওপেট্রার প্রেমে পড়ে কেউ। যন্ত্রণাবিদ্ধ না হলে তারা ইতিহাস হয়না, সে প্রেম অমর হয়না, গল্পেও উঠে আসেনা।
আপনার “তোমাকে” ধন্য হবে এমন উৎসর্গ পেয়ে।
পাখির হাসপাতাল থেকে মায়ের মতো দেখতে একটা পাখি কেন আনেনা! বালকের এই ভাবনা বড় হতে হতে এক মহাসমুদ্র হয়ে গেছে। নদী মরেনা, শুকিয়ে যেতে পারে খানিক আবার প্লাবন এলেই ভরে যায়।
শিরোনাম পাল্টে দিন 🙁
নইলে আমি লেখা শিরোনামে লেখা দিতে শুরু করবো।
জিসান শা ইকরাম
মন্তব্য করে কিভাবে সবাইকে উৎসাহ যোগাতে হয় তা আপনার কাছে শিখতেই হবে।
ক্লিওপেট্রার প্রেমে কে না পড়ে? মেয়েরাও তো তার প্রেমে অজ্ঞান (অনুসারী ও তো এক ধরনের প্রেম)।
কঠিন দুঃখ,কষ্ট, হতাশায় থাকলে মানুষ বর্তমানের সাথে অতীতের কিছু কিছু সুখ স্মৃতি ভেসে আসে মনে, অ- লেখাটি এমন।
বালকের সব ঘটনা গুলো সত্যি,
ধানসিঁড়ি মরে যাচ্ছে প্রায় এটিও সত্যি যা বালকটি দেখেছিল, এখন আবার দেখছে।
ধরা যাক বালকের এই সব ঘটনা বলার জন্যই ক্লিওপেট্রাকে আনা হয়েছে।
আপনি তো লেখা লিখেনই, আরো বেশী বেশী লিখুন, আমরা পড়ে ধন্য হই।
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি হয়তো বালকের ঘটনা বলার জন্যই ক্লিওপেট্রাকে এনেছেন, আমি একটু ভিন্ন করে দেখতে পাচ্ছি।
কৈশোরের সেই বালক দগ্ধ হতে হতে সেই কিশোরবেলা থেকেই প্রেমিক হয়ে উঠেছিল। তার সেই বাল্যপ্রেম আর যুবকপ্রেম একইভাবে অক্ষত। বালক যদি সেই রানী মৌমাছির হুলের কথা মনে রাখতো তবে কী আর এই ভুল হতো!!
বাই দ্যা ওয়ে, ক্লিওপেট্রাও মনে হচ্ছে আপনাকে অনেক ভালোবাসে নইলে তো মেরেই ফেলতো 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
শ্রধ্বেয় বড় ভাই, লেখায় ক্রুন হাহাকার ফুটে উঠেছে। সব যেন এলোমেলো, হা-হুতাশ, হন্তদন্ত যার কোন কূলকিনারা মনে হয় পাওয়া ভার, সব কেমন উলটপালট মনে হচ্ছে। আপনারা লেখক দেখে , জেনে লিখতে পারেন আমার মত পাঠক পড়ে তা জানতে বাঁ বুঝতে পারি কম্বেশি।
যাইহোক মন ভাল হোক, সব সুন্দর পরিপাটি সাজুক ।
কামনায়।
জিসান শা ইকরাম
বর্তমান আর অতীতকে একসাথে আনা হয়েছে মজিবর ভাই,
আমি লেখক না আসলে
গাল গল্প করি আর কি 🙂
মিষ্টি জিন
এবার ধানসিডিকে দেখে ভীষন মন খারাপ হয়ে গিয়েছে। কচুরীপানায় ভরা ছোট্ট একটা খাল।
কৈশরে দেখা সেই ধানসিডির সাথে এর কোন মিল নাই।তারপর ও উবুহয়ে বসে একটু ছুয়েছিলাম। প্রশাসনের এদিকে একটু নজর দেয়া দরকার।
কত বড় প্রেমিক হলে মানুষ ক্লিওপেট্রার প্রেমে পড়ে?
বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে ইহা দূরেও ঠেলিয়া দেয়
😀
অসাধারন লেখনি।
মিষ্টি জিন
এ যদি অলেখা হয় তাহলে লেখা কি?
বেশী ভালু
,ভালু না।
🙂
জিসান শা ইকরাম
অ-লেখাকে লেখা হিসেবে গন্য করিয়া জাতে উঠাবেন না 🙂
জিসান শা ইকরাম
যারা অনেক আগের ধানসিড়িকে দেখেছি তারা বর্তমানের ধানসিঁড়িকে দেখলে মন খারাপ করবেই।
আপনার ভাগ্য ভাল যে এবার অন্তত দেখেছেন, ছুঁয়েছেন।
কয়েকবছর পরে হয়ত এপার হতে ওপারে হেঁটেই যেতে পারবেন।
বরিশাইল্যা মানু না, ভয় ডর কম,
প্রেমে পড়লে ক্লিওপেট্রার প্রেমেই পড়া লাগে।
শরৎচন্দ্র চলে এসেছেন মন্তব্যে!
ধন্যবাদ, শুভ কামনা।
ইঞ্জা
আজ মনটা অবিচল নয় কেন, কেন আজ দ্বিধান্বিত মন, কেন ক্লিওপেট্রা সময় করে আসেনা, প্রেমিকের পায়ে যে পচন ধরেছে, সেকি বুঝেনা প্রেম পাগল মন, কেন আজ স্মৃতিকাতর এই মন, হয়তো নষ্টালজিয়ায় আক্রান্ত আমার ভাইজানের মন।
মুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কি বা হই!!
জিসান শা ইকরাম
বাহ! এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ভাইজান। -{@
নীহারিকা
পাশাপাশি বালক এবং যুবক সত্ত্বাদুটি সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন। ভালো লাগলো ব্যাপারটা।
সঠিক পরিচর্যার অভাবে সবই নষ্ট হয়ে যায়। হোক সে নদী কিংবা সম্পর্ক। কোনো নদী কি সত্যিই ইচ্ছে করে মরে যায়? আমার তা মনে হয় না।
আর হ্যা “তোমাকে” উনিটা কে? 🙂
জিসান শা ইকরাম
ধানসিঁড়ি নদী মরে যাচ্ছে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে। এর দুই প্রান্তে দুটো বড় নদী। জোয়ার এবং ভাটার সময় দুই নদী থেকেই পানি এসে বা যাবার সময় কিছুক্ষনের মধ্যে ধানসিঁড়ি নদীর পানি দাড়িয়ে যায়। ফলে পলি পড়ে। ধীরে ধীরে তাই ভরাট হয়ে যাচ্ছে ধানসিঁড়ি।
তোমাকের নাম বলা গেলে তো লিখেই দিতাম। তবে অনেক সময়ই লেখাকে আকর্ষনীয় এবং পাঠকের কৌতূহল বৃদ্ধির জন্য এমন কিছু শব্দ যোগ করেন অনেক লেখক।
শুভ কামনা।
মেহেরী তাজ
দাদা এমন লেখাতে মন্তব্য দিতে আমি অপারগ।
জিসান শা ইকরাম
মন্তব্য তো করেই ফেললি 🙂
ইকরাম মাহমুদ
অ তে অতুলনীয়
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ইকরাম ভাই,
শুভ কামনা।
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
অ তে অসাধারণ 😀
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ভালো লাগলো। -{@
আবু খায়ের আনিছ
একটা সুক্ষ্ম খেলা দেখুন ভাইয়া, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, হিসাব মতে এই দেশে নদীর ভিত্তিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার কথা কিন্তু হচ্ছে না, কারণ নদী মরে যাচ্ছে। নদী যে শুধু বাণিজ্যিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, প্রকৃতির জন্য প্রয়োজন সেটাও আমরা জানি।
দেশের কিছু পর্যটন কেন্দ্র দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে, সেখানে আমি একটা বিষয় খেয়াল করেছি, পানি কেন্দ্রিক বিনোদনগুলো খুব জনপ্রিয়, অথাৎ মানুষ টাকা খরচ করে পানির কাছে যাচ্ছে যা ফ্রিতে পাওয়ার কথা। নৌকায় চড়তে এখন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাওয়া লাগে, অথচ এটা ফ্রিতে পাওয়ার কথা বা স্বল্প খরচে। নদী নষ্ট হওয়ার পিছনে পরোক্ষ্য ভাবে এই কারণটাও কিন্তু কম জড়িত নয়, আবার লক্ষ্য করেছি যে যে সব পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে তাও নদীর আশেপাশেই তাও নদী ভরাট করেই।
৫ বছর আগে যে এলাকায় গেলে প্রশান্তি পাওয়া যেতো এখন সেখানে গেলো কান্না পায়। একটা কথাই বলল নদী বাচঁলে মানুষ বাচবে।
নীরা সাদীয়া
ফরে গেলেন সেই ছেলেবেলায়। বেশ লাগল স্মৃতি রোমন্থন পর্ব।