৭১ টিভি বয়কট করাই কি সমাধান?

তৌহিদুল ইসলাম ১৬ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার, ০৭:০১:৪৪অপরাহ্ন সমসাময়িক ৪২ মন্তব্য

একাত্তর টিভি বয়কট করুন এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এখন উত্তাল। কিন্তু কেন এই আন্দোলন? ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে একাত্তর টিভি কি বলেছে তার কোন প্রমাণ পেলামনা। বরং কিছু মানুষকে ধর্মীয় আলোচনায় বিদ্বেষমূলক নচ্ছার কথাবার্তা বলা শুনতে শুনতে ঘেন্না ধরে গেলো। অল্প কিছু মানুষের জন্য ইসলাম ধর্ম যেমন কলঙ্কিত হতে পারেনা তেমনি কেউ চাইলেই একাত্তর টিভি বন্ধ হবেনা, উল্টো টিভি চ্যানেলটির কাটতি আরো বেড়ে গেলো।

লক্ষ্য করলে দেখবেন, একাত্তর টিভি বয়কটের ডাক দেয়া তারা ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে কিন্তু নির্বিকার ছিলো। কিংবা ধর্ষক, বলাৎকারীদের বিরুদ্ধে তারা নিশ্চুপ কারন তাদের ধারনা এতে জ্ঞাতি মুসলিম ভাইয়েরা লজ্জায় পড়বে। আর যেমনি একাত্তর চ্যানেলটি এরকম লেবাসধারী কিছু ব্যক্তির মুখোশ খুলে দিয়েছে অমনি তাদের দেহে আগুন জ্বলে উঠলো।

কেন ৭১ টিভি বয়কট করতে বলছে জানতে হলে পড়ুন এখানে।

একাত্তর চ্যানেলটি নাকি আওয়ামী ঘরানার টিভি! কই চ্যানেলটিতেতো তার কোন তাবেদারিত্ব দেখলামনা। আসলে মানুষকে বিভ্রান্তকারী তথাকথিত এসব বক্তাদের সমস্যা একাত্তর টিভি চ্যানেলকে নয়, সমস্যা ৭১ এর চেতনায়। তারা ভুলে গিয়েছে রাজাকার গোলাম আযমের জানাজার লাইভ এই একাত্তর টিভিই দেখিয়েছিলো। ২০১৩ থেকে আজ পর্যন্ত একাত্তর টিভি বামাতি, জামাতি, নুরা গংদেরই বিভিন্ন টকশোর কাটতি বাড়াতে নিয়ে এসেছে। অকৃতজ্ঞ আর কাকে বলে!

ইসলামি বক্তৃতার নামে নারীদের হেয় করা সেই সকল বক্তাদের বক্তব্যের বিরোধীতা করে তাদের মুখোশ খুলে দেয়া ৭১ টিভির সেই রিপোর্ট পড়ুন এখানে-

অবশ্য তাদের আর দোষ দিয়ে কি লাভ। পঞ্চাশ পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত এরা যে পাতে খেয়েছে সেই পাতেই ক্রিয়াকর্ম সম্পন্ন করেছে। এরপর সেই উপকারী গৃহকর্তার গলা কেটেছে তারাই এরা। জন্মই তাদের হয়েছিল ধর্মের নামে দল তৈরী করে। ইসলামের আবার দলাদলি কিসের? ধর্মকে পুঁজি করে তারা যে গলাবাজি করবে এ আর নতুন কি!

নারীরা কি শুধুই ভোগের বস্তু! একজন নারী সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এটা তাদের সহ্য হয়না। নাহলে তাদের এত লাগে কেন? নারীদের নিয়ে কটুুুক্তি করা সেই ভিডিওটি দেখুন এখানে-

এবার মজার ঘটনা শোনেন। গতপরশু থেকে আমার বাসার পিচ্চিগুলো আম্মাসহ সবাই স্টার জলসা, জি টিভি না দেখে শুধু একাত্তর টিভি চ্যানেল দেখছে। আম্মাকে বললাম ঘটনা কি? আম্মার উত্তর হলো একাত্তর টিভি নিশ্চই সত্য খবর প্রকাশ করেছে না হলে এত লোকের জ্বলে কেন, তাই দেখছি।

আর পিচ্চিদের উত্তর ছিলো- একাত্তর চ্যানেলের উপস্থাপিকারা নাকি ড্যাশিং। তাদের স্কুলের মিসদের মতন! যেহেতু তারা স্কুল যেতে পারছেনা তাই একাত্তর চ্যানেলেই স্কুলের ম্যাডাম দেখার উপলক্ষ্য বানিয়েছে। এসব কথা শুধুমাত্র মজা করার জন্যই বলা। বাচ্চারা অনেক কিছুই না বুঝে বলে। কিন্তু আমরাতো আর বাচ্চা নই। আদব লেহাজ আমাদের মেনে চলতে হয়।

কথা হলো সারাদেশে যদি ত্রিশ ভাগও এই অবস্থা হয় এর ফলাফল হচ্ছে হেলিকপ্টার বক্তারা কয়েকহাজার ফলোয়ারকে চিরতরে হারিয়েছে। এই লোকসান তারা কিভাবে সামাল দেবে সেটা চিন্তা না করে কিছু মানুষ বলে বেড়াচ্ছে একাত্তর চ্যানেল নাকি কয়েক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার হারালো!

তাদের ভাষ্যমতে একাত্তর টিভি ইসলাম বিদ্বেষী। এই কারনে কিছু বক্তা আর তাদের শরীকগণ চ্যানেলটিকে বয়কটের ডাক দিয়েছে। বুঝলাম, তাহলে ভন্ড কিছু আলেমদের শিশু বলাৎকারের কারনে তাদের মাদ্রাসাগুলো বয়কটের ডাক দেয়া কি খুব অযৌক্তিক হবে? প্লিজ, এই যুক্তি খন্ডিয়ে যান।

চ্যানেলটির কয়েকজনের কারনে একাত্তর চ্যানেল বয়কট করার কথা বলা যেমন উদ্ভট তেমনি কিছু ব্যক্তির মূর্খতা নিয়ে নাচানাচি দেখার চেয়ে তাদের বয়কট করা আরো অতি উত্তম। আমি একাত্তর চ্যানেল আর তথাকথিত বক্তাদের কারোরেই পক্ষে বলছিনা। চ্যানেলের কিছু ব্যক্তির কৃতকর্মের দায় যেমন পুরো চ্যানেল বয়কটে এর সমাধান নয় তেমনি কিছু মাওলানা লেবাসধারী ব্যক্তির কৃতকর্মের দায় কিন্তু পুরো আলেম সমাজের নয়।

আমরা সমস্যার গভীরতা অনুধাবন করিনা, অথচ কান নিয়ে যাওয়া চিলের পিছনে দৌড়াই। যাদের কারনে আর যেসব কারনেই এতসব সমস্যা দায়িত্বশীলদের উচিত তার সমাধান খোঁজা। একাত্তর চ্যানেল বয়কট করুন এটি কোন সমাধান হতে পারেনা।

 

0 Shares

৪২টি মন্তব্য

  • ইঞ্জা

    ধর্ম ব্যবসায়ীদের কখনোই পাত্তা দিতে নেই, ইসলাম ধর্মকে যারা ব্যবসা বানিয়ে ফেলেছে তারা বেদাত করছে, এদেরকে প্রতিদিন কানের নিচে থাবড়িয়ে আল্লাহর কুরআনে কি লিখা আছে তা পড়তে দেওয়া উচিত।
    ওরা ৭১ টিভিকে টার্গেট করছে কারণ এই ৭১ টিভি ওদের কুকর্ম ফাঁস করে দিচ্ছে বারবার।

    • তৌহিদ

      তারা ইসলামের নামে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামকে ছোট করছে প্রতিনিয়ত। অথচ ইসলামে পুরুষের চেয়ে নারীর মর্যাদা বেশী দেয়া হয়েছে যা অন্য কোন ধর্মে নেই।

      নারীরা নিজেরা সক্ষমতা অর্জন করুক এটা তাদের পছন্দ নয়। নারীদের শালীনতা খর্ব করে পোষাকের দোহাই দিয়ে তারা আসলে বোঝাতে চায় নারী হচ্ছে ভোগের বস্তু আর কিছুই নয়।

      ৭১ টিভি সেই মুখোশ খুলে ফেলেছে বলে অনেকেএ আঁতে ঘাঁ লেগেছে। সামনে শীতকাল, ওয়াজ ব্যবসা না আবার বন্ধ হয়ে যায়।

      ভালো থাকুন দাদা।

  • মোঃ খুরশীদ আলম

    লেখায় শালীনতা বর্জন করা হলে সেটা পক্ষপাতিত্বমূলক হয়ে যায়। গঠনমূলক সমালোচনা করতে জানাটাও শুদ্ধ শিষ্ঠাচারের অংশ। আপনার লেখায় অনেকগুলো শব্দ চরম আপত্তিজনক ও শালিনতা বিবর্জিত হয়েছে।

      • মোঃ খুরশীদ আলম

        https://www.youtube.com/watch?v=po9Ni7NNM9s

        দয়া করে ভিডিওটি ধৈর্য ধরে দেখুন। আলেম-ওলামা সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে বাধ্য হবেন। তবে নিরপেক্ষভাবে দেখুন, বুঝার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।

      • তৌহিদ

        কাকে কুকুর বলছেন আমাকে বলবেন?

        আলেম ওলামা সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গি খারাপ কে বললো আপনাকে? আপনি আমার সম্পর্কে কি জানেন?

        মাদ্রাসায় বলাৎকার এ কোন আলেম? বেগম রোকেয়া, নজরুলকে হেয় করে এ কোন আলেম? ইসলাম কি এই শিক্ষা দেয়? মহানবী (সঃ) এই শিক্ষা আমাদের দিয়েছেন?

        আমার নানা একজন ইমাম। কই তাকেতো নারীদের হেয় করতে দেখিনি! জানি সবাই এক কাতারের নয়। তাহলে খারাপদের বিরুদ্ধে বললে আপনাদের লাগে কেন?

        কুকুরের মত রাস্তাঘাটে বলাৎকার করে বের হবেন তারা মাদ্রাসায়। তাহলে তারা কি তাহলে কুকুর নয়? হুজুরের বলাৎকারের ভিডিও দেখতে চাইলে বলবেন। লজ্জিত হবেন নিশ্চিত।

        ল্যাঞ্জা আপনারো বের হয়েছে। এ ল্যাঞ্জা সত্য ধর্মের নয়, বিশ্বাসঘাতক, রাজাকার জামাতে ইসলামির ল্যাঞ্জা।

      • তৌহিদ

        ইসলাম বিদ্বেষী হবার কারনে ওয়াজি আর তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা ৭১ টিভি বয়কটের ডাক দিয়েছে বুঝলাম। তাহলে হুজুরদের বলাৎকারের কারনে মাদ্রাসাগুলো বয়কটের ডাক দেয়া কি খুব অযৌক্তিক হবে?

        এই যুক্তি খন্ডন করুন। অহেতুক প্যাচাবেন না।

      • তৌহিদ

        আপনাকে ধন্যবাদ মাননীয় ব্লগার। এইসব নাম সর্বস্ব আলেমরা ভালো নয় বিধায় সেরকম ভালো শব্দ কলমে আসেনি এটা আপনাকে বুঝতে হবে।

        আপনি বললেন- সত্যিকার অর্থের আলেম সমাজ এই সমস্ত বাজে কাজ থেকে অনেক দূরে বরং তারা নারীর প্রতি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সৃষ্টির প্রথম থেকেই প্রথম কাতারের যোদ্ধা।

        ঠিক এই কথাটিই আমি বলেছি যে একজন জালেমের জন্য সব আলেম খারাপ নয়, হতে পারেনা। অথচ প্রথম থেকেই ত্যানা প্যাচালেন অহেতুক।

        আপনার প্রজ্ঞকে সম্মান জানাই। সোনেলা স্বাধীনতা বিরোধীদের বিপক্ষে অবস্থান করেছে সবসময়। আপনিও আমাদের কাতারে জেনে ভালো লাগলো।

        মন্তব্যে আলোচনা সমালোচনা হতেই পারে। ভালো থাকুন সবসময়।

      • মোঃ খুরশীদ আলম

        আপনাকে ধন্যবাদ। আলোচ্য লেখায় ব্লগার তৌহিদ ভাই বেশ কিছু শব্দ ব্যবহার করেছেন যেগুলো আমার কাছে মোটেও শালীন মনে হয়নি বরং অশালীন মনে হয়েছে। যেমন দেখুন- হেলিকপ্টার বক্তা, ভন্ড আলেম, শিশু ধর্ষণকারী, বলৎকার ইত্যাদি। এই শব্দগুলো ব্লগে ব্যবহার না করেও ব্লগটি সুন্দর করে লেখা যেত। উনি যেমন নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তেমনি আমিও । হয়তো উপস্থাপনা আমাদের দু’জনের দু’রকম। তাই তিনি আমাকে জামাতের লেঞ্জা বলেছেন। অথচ জীবনভর আমি ও আমারা জামাতকে ইসলামী দল নয় বলে চ্যালেঞ্জ করে এসেছি।
        তৌহিদ ভাই তার লেখায় কি বুঝাতে চেয়েছেন তা আমি ভাল করে বুঝেছি। চরিত্রহীনদের দ্বারা নারীদের প্রতি বিদ্বেষ, নারী নির্যাতন, শ্লিলতাহানীর ঘটনা আমাদের দেশে নতুন নয়। কি শিক্ষিত কি অশিক্ষিত সবাই আজ এই রোগে ভুগছে। তাই কোন কোন আলেম নাম ধারীদের দ্বারাও এই সমস্ত সমস্যা হয়ে থাকে। তবে আপনি জরিপ করে দেখতে পারেন সত্যিকার অর্থের আলেম সমাজ এই সমস্ত বাজে কাজ থেকে অনেক দূরে বরং তারা নারীর প্রতি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সৃষ্টির প্রথম থেকেই প্রথম কাতারের যোদ্ধা। ভাইয়াকে একটা লিংক দেয়া হয়েছিল, কষ্ট করে সময় ব্যয় করে দেখে নেবেন, নারীদের ব্যাপারে আমাদের কি বিশ্বাস স্পষ্ট হয়ে যাবে। নারী মা, নারী বোন, নারীই আমার জীবনে চলার পথের পাথেয়। আমার স্ত্রী আমাকে হালাল কামাই করতে বলে, দুর্নীতি থেকে বিরত থাকতে বলে, গভীর রাতে নিজেও নামাযে আসে আমাকেও ডাকে নামায পড়ার জন্য। আমার জীবনের এই অর্জন আমার মা ও আমার স্ত্রী না হলে হতো না। তাই সকল নারীর প্রতি হাজার হাজার সালাম আমার। কিন্তু সব স্ত্রী আমার স্ত্রীর মতো নয়, এর বিপরীতও আমি দেখেছি আমার আশেপাশে। হাজার হাজার স্কুল-কলেজ শিক্ষক রয়েছেন যাদের দ্বারা ছাত্রীদের শ্লিলতাহানী হয়েছে এবং হচ্ছে।
        কুকুর কুকুরকে কামড় দেয়- মানুষ নয়। বাক্যটি আপনাকে ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে ভেবে খারাব লাগছে। এতো সহজ অর্থ বুঝে না আসার কারণ বুঝছি না। যা হোক, জানতেই যখন চেয়েছেন তখন বলছি। বাক্যটির অর্থ হচ্ছে কোন ব্যক্তি অন্যায় করলে তার অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায় করে করতে হয়না যদি করেন তবে তার সাথে আপনার পার্থক্য কোথায় থাকল। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আপনার অনেক সময় নষ্ট করার জন্য দুঃখিত। ভাল থাকুন। ধন্যবাদ।

    • ইঞ্জা

      এইখানে শালীনতা বর্জন কোথায় হলো বলুন, এই সমালোচনা ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেই, যারা ধর্মের নামে ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে, আল কুরআনের লেখা অর্থ সহ পড়লে বুঝতে পারবেন ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা যায়না, আল্লাহ নারীকে কখনোই আবদ্ধ করতে বলেনি।
      আপনার মন্তব্য ছিলো তীর্যক যা কখনোই কাম্য নয়।

      • তৌহিদ

        আর বুঝিয়ে কাজ নেই দাদা। উনি নিজের মত বুঝেছেন বুঝতে দিন। এদেশে মডারেট মুসলমান আমরা। আমাদের জীবন যাপন সম্পূর্ণরুপে ইসলামিক নয়। আমরা যারা ইসলামকেও চাই আবার বিদেশি কৃষ্টিকালচারও চাই। নাহলে এক চ্যানেল নাস্তিক আর বাক সব চ্যানেল কি আলেমগন পরিচালনা করেন নাকি? এটা যে দূরভীসন্ধি তা বোঝাই যায়। বাকী কথা উপরে তাকে মন্তব্যে বলে দিয়েছি। আমার মবে হয় খুরশীদ ভাই প্রজ্ঞাবান ব্যাক্তি। অবশ্যই বুঝতে পারবেন।

        আল্লাহ আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দিন।

  • সুপায়ন বড়ুয়া

    ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিদ্বেষমূলক নচ্ছার কথাবার্তা শুনতে শুনতে ঘেন্না ধরে গেলো। কিছু মানুষের জন্য ইসলাম যেমন কলঙ্কিত হতে পারেনা তেমনি কিছু মানুষ চাইলেই ৭১ টিভি বন্ধ হবেনা,
    এইসব উস্কানী মূলক কথাগুলো বন্ধ না করলে ধর্ষন বাড়বে বই কমবে না।
    ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

  • সুপর্ণা ফাল্গুনী

    ধর্ম ব্যবসায়ীরা খুবই ভয়ংকর হয় এবং তারা সব ধর্মের মানুষের জন্য ই বিপদজনক। সব ধর্মেই এসব আগাছা আছে এগুলোকে শিকড় সহ উপরে ফেলতে হবে। সাধারণ মানুষের মগজ ধোলাই করাই এদের কাজ এদের দিয়ে আসলে ধর্মের কোন মঙ্গল কখনোই হয় না। এদের থেকে যোজন যোজন দূরে থাকার চেষ্টা করি। ধর্মকে হাতিয়ার করেই জীবন যাপন করে। এসব ঘটনা পড়তে বা বলতে আসলেই ভালো লাগেনা। বাঙালি হুজুগে মাতাল, চিলে কান নিছে শুনে কানে হাত না দিয়েই চিলের পিছনে দৌঁড়ায়। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো

  • বুদ্ধিজীবী লাঠিয়াল

    কিছু ধর্ম ব্যাবসায়ীদের কারনে সমস্ত আলেম সমাজের উপরেই দোষ চলে যায়। সব আলেম এক নয়। ধর্মের নামে অনেক আলেমই ব্যবসা করছেন, মিথ্যে তথ্য দিয়ে সাধারন ধর্মপ্রান মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছেন।
    বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে নারীদের নিয়ে অবমানকর কথা বলছেন, যাতে নারীদের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ পায়। এতে সাধারন মানুষ প্রভাবিত হয়।
    এই ধরনের ধর্ম ব্যবসায়ীমহল মাদ্রাসার হুজুর দ্বারা সংঘটিত ধর্ষণ বা ছেলেদের উপর বলাৎকারের বিরুদ্ধে খুব কম সোচ্চার থাকেন।
    পোস্টের মুল বক্তব্যের সাথে সহমত।

  • ফয়জুল মহী

    মনে হয় নুরু প্রথম ৭১ টিভি বর্জনের ডাক দেয় এরপর শায়েখ আবদুল্লা তারপর মিজান আজারি। নুরু ঢাকা ভার্সিটির ছাত্রলীগ নেতা ছিল শেখ মুজিবের ছবি হাতে কোটা আন্দোলনকারি। ভিপি হয়ে পল্টি মারে এখন কোমর ভাঙ্গা বিএনপি রাজাকার জামাত তার কাঁধে উঠতে চায়। যেমন ৭৫ সালে মোস্তাকের কাধে উঠে ছিল বহু আওয়ামী নেতা। নুরু আর ৭১ টিভি মুদ্রার এপিট ওপিট। আর বহু কওমি মৌল্লা শিশু বলৎকারি এতো পরিস্কার । তবে সবাই না । ৭১টিভিও ওই কওমি মৌল্লার মত ইসলামকে বলৎকার করে। গোবর এক অদ্ভুত জিনিস। শুকিয়ে গেলে জ্বালানি, জমিতে গেলে জৈব সার, পানিতে গেলে মাছের খাদ্য, ভারতে গেলে প্রসাদ, আর মগজে গেলে হলুদ সাংবাদিক! দেখতেছি যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করে তারা ৭১ টিভির পক্ষে ।

    • তৌহিদ

      একাত্তর টিভি ইসলাম বিদ্বেষী কি বলেছে স্বটা কেউই বলছেননা। তবে নূরার মত একটা অথর্ব,ক্ষ্যাত, নারীবিদ্বেষী ও পল্টিবাজ ছেলেকে মিডিয়া কাভারেজ দিয়েছিলো এই ৭১টিভি ও তার সহযোগী সাংবাদিকেরাই। দিন রাত চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানোর জন্য কিভাবে নুরাকে মাথায় তুলেছিলো তারা তা হয়তো অনেকেই ভুলে গেছে।

      আমার কথা কয়েকজনের দায়ভার পুরো আলেম সমাজ বা চ্যানেল কেন নেবে? আবার অন্যায় হলে আলেমরা প্রতিবাদ করেনা কেন? চ্যানেল কি দোষ করলো?

  • মোঃ খুরশীদ আলম

    লেখক বলেছেন- “ তাহলে হুজুরদের বলাৎকারের কারনে মাদ্রাসাগুলো বয়কটের ডাক দেয়া কি খুব অযৌক্তিক হবে?”- জ্বি ভাইজান পুরোপুরিই অযৌক্তিক হবে। কারণ মাদরাসায় ওই ধরণের খারাপ কাজের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়না-এখানে দ্বীন-ধর্ম শিখানো হয়। হ্যাঁ কেউ যদি অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে তাবে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো আমার-আপনার সবার কর্তব্য। এর পরেও যদি বয়কটের আন্দোলন করতে চান তবে করে দেখতে পারেন । সফল হন কিনা দেখুন।

    • তৌহিদ

      ধন্যবাদ, এটা আমারও মনের কথা। কারন মাদ্রাসায় দ্বীনের শিক্ষা দেয়া হয়। সেখানে এক দু’জন হুজুরের কর্মকান্ডের জন্য সবাইকে দোষারোপ করা ঠিক নয়।

      খুব ভালো, তাহলে এবার বলুনতো একাত্তর চ্যানেলে কি ধরনের নাস্তিকতা দেখানো হয় যে কিছু হুজুর একেবারে চ্যানেলই বয়কট চাইছে। আর তা যে অযৌক্তিক তাহলে আপনার ভাষ্যমতে অন্যান্য ভালো আলেমরা এখানে নিশ্চুপ কেন? চ্যানেলের এক দু জনের কথায় খারাপ লাগা আসতে পারে তার জন্য গোটা চ্যানেল বয়কট চাওয়া মুর্খতা নয় কি?

      চ্যানেল বয়কট আন্দোলন সফল হলো কি আপনাদের? বা তাদের? হবে বলে মনে হয়না।

      মন্তব্যে প্রীত হলাম। ভালো থাকুন।

      • মোঃ খুরশীদ আলম

        চ্যানেলের দু’এক জনের কথা খারাপ লাগার ব্যাপারটা আসবে কেন? কোন চ্যানেলে কোন খবর প্রচার করার আগে তা চ্যানেলের দায়িত্বশীলগণ বারবার মহড়া দিয়ে নেয়। জনমনে কি প্রকারের প্রতিক্রিয়া হতে পারে সেই বিষয়টি বিবেচনায় রাখেন। উষ্কানী ও অনভূতিতে আঘাত দিয়ে কোন পাঠক সংবাদ পাঠ করলে বা উপস্থাপনা করলে তার দায়ভার শুধু ঐ পাঠকের বা উপস্থাপকের নয় বরং পুরো চ্যানেল কর্তৃপক্ষের। সেই হিসাবে কর্তৃপক্ষ তাদের দায়ভার এড়াতে পারে না বিধায় চ্যানেল বয়কটের আহ্বান অমুলক নয়।
        অন্যান্য আলেমেরা নিশ্চুপ কেন? আপনি মনে হয় আলেম কাকে বলে জানেন না। দাড়ি, ‍টুপি আর পাঞ্জাবী পড়লে সবাই আলেম হয়ে যান না। সেজন্য ধর্মীয় রীতি অনুসারে প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানও লাগে। সব সময় সব আন্দোলনে সবাই থাকে না- এটা স্বাভাবিক। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন সবাই অংশগ্রহণ করেনি কিংবা সমর্থন দেয়নি তেমনি ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে কিংবা আপনার উন্থাপিত চ্যানেল বিরোধী আন্দোলনে সবাই থাকবে না। এটা আশা করাও ঠিক না। হ্যা, তবে সত্যের পক্ষে কেউ না কেউ থাকবে। যেমন ছিল স্বাধীনতার পক্ষে একটা বিশেষ শ্রেণী। ধন্যবাদ।
        দেখুন ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে আলেমদের অবস্থান – https://www.youtube.com/watch?v=7c9OaNx9i08

  • খাদিজাতুল কুবরা

    আসলে মূলত ইসলামে নারীকে যথাযথ ভারসাম্য পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন। কিছু গোঁড়া আলেম ইসলামের অপব্যাখ্যা করে মানুষের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে,নারী জাতির অসম্মানের পথ সুগম করে দিচ্ছে।
    একজন মাওলানা যখন ওয়াজ করেন সাধারণ মানুষ সেটা বিশ্বাস করেন।
    একাত্তর টিভি এবং অন্যান্য টিভি বলেন কোনটিই ইসলামী তরিকায় গেটআপ নেয়না। এমনকি আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই জলবায়ুগত কারণ হোক কিংবা ঐতিহ্যের কারণে ইসলামি তরীকত পুরোপুরি মেনে চলিনা।
    জামায়াতে ইসলামী বিএনপি নেতা নেত্রীদের সাথে ক্ষমতা ভোগ করেছে অবলীলায়। বিএনপির কোন মহিলা নেত্রী ইসলামি তরিকা পুরোপুরি মেনেছে। এখন আলেম সমাজ একাত্তর টিভির সাংবাদিকদের পেছনে লেগেছে কেননা তাদের আপত্তিকর বক্তব্যগুলো সবার সামনে তুলে ধরেছে।
    দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো দরকার সবার। যে কোন অপরাধের দায় ব্যাক্তির প্রতিষ্ঠানের নয়, দলের ও নয়।
    ভালো লিখেছেন।

    • মোঃ খুরশীদ আলম

      এদেশে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতিয়পার্টি, জামায়াত সব সময় ক্ষমতা দখল আর ভাগাভাগির তরিক্বায় ব্যস্ত ছিল সব সময়। ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতিয়পার্টি, জামায়াতকে পাবেন না। এরা ক্ষমতায় যেতে নারীদেরকেই প্রথম সারিতে ব্যবহার করে এবং নিজেরাই ধর্ষক লালনপালন করে। হ্যা তবে সত্যিকার অর্থে যারা রাজনীতি করে ক্ষমতার নয়-নীতির, তারাই সব সময় যে কোন অপরাধের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করে এবং আন্দোলন করে । দেখুন – https://www.youtube.com/watch?v=xaNOzQyY6t4
      দেখুন ছাত্রসমাজের ভূমিকা। অথচ এদেশে ছাত্রদল , ছাত্রলীগ, শিবির নামক সংগঠনও রয়েছে। 3) https://www.youtube.com/watch?v=_ls4OBWZf3E

    • তৌহিদ

      এদেশের কোন চ্যানেলই ইসলামি গেটআপে নেই। অন্যান্য দেশেও যেসব ইসলামি চ্যানেল বলে চালায় নারী দর্শকরা সেখানেও পরপুরুষ দেখে যা ইসলাম সম্মত নয়। তাহলে এক চ্যানেল নিয়ে এত বিদিকিচ্ছিরি কেন?

      নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো উচিত।

      ভালো থাকুন আপু।

  • জিসান শা ইকরাম

    ৭১ শুনলেই কিছু ধর্ম ব্যবসায়ীদের গায়ে জ্বালা ধরে। এই ৭১ সনেই রাজাকার এন্ড কোম্পানির পতন হয়েছিল। কিছু ভন্ড মওলানার পুর্ব পুরুষ পরাজিত হয়েছিল, এটি তারা কিভাবে ভুলবে?
    এরা কখনোই কি রাজাকারদের বিচার চেয়েছিল?
    ৫ মে হেফাজতিরা বায়তুল মোকাররম এলাকায় কুরআন শরীফে আগুন দিয়েছিল। যারা ৭১ টিভি বর্জনের ডাক দিল, কুরআন শরীফ পুড়িয়ে দেয়ার কারনে কি তারা হেফাজতিদের বর্জনের ডাক দিয়েছিল?
    দেশে হাজার হাজার মাদ্রাসা ৭১ সনেও ছিল। কতজন মাদ্রাসা ছাত্র মক্তিযুদ্ধ করেছিল ? আমাদের এলাকার মাদ্রাসার সমস্ত হুজুর আর ছাত্ররা পাকিদের সহায়তায় পেয়ারা বাগান নির্মুল আর সেখানের অধিবাসিদের মালামাল লুটে অংশ নিয়েছিল। হিন্দু মেয়েদের রাজাকাররা ধরে এনে পাকসেনাদের ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিত। এসবের অবসান হয়েছে ৭১ সনেই। পরাজিত হবার ঘা এখনো শুকায়নি।
    এরা ধর্ষনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিত।
    এরা পবিত্র কুরআন শরীফকে পুড়িয়ে দেয়াকে ইসলাম ধর্মের অবমাননা ভাবেনি। মনে হয় এদের অধিকার আছে তা পুড়ানোর। একমাত্র তারাই পারবে এটি করতে।

    এই সব হেলিকপ্টার হুজুর, আজহারীর জন্মের বহু আগে থেকেই আমরা, বাপ, দাদা, প্রদাদারা মুসলিম। হেলিকপ্টার হুজুর বা আজহারী আমাদের মুসলিম বানায়নি।
    এদের ওয়াজে তাই কোনো প্রতিক্রিয়া হয়না আমার।
    সেই ইব্রাহিম হুজুর কই এখন? করোনার টিকার সুত্র আবিস্কারক। ট্রাম্প এর আমন্ত্রন উপেক্ষা করা হুজুর, ইংল্যান্ডের লিভারপুল ক্লাবের ফুটবলারই বা কই? এই ধরনের হুজুরদেরই বর্জন করা উচিত।

    একাত্তর টিভির লাইক দশমিক দশ মিলিয়ন কমেছে। আমি ভেবেছিলাম আরো কমবে। হেলিকপ্টার, এন্টারকটিক, দেউল্যা রাজাকারদের অনুসারীদের সং্খ্যা কম নয় দেশে।

    লেখাটি আরো গুছিয়ে লেখা যেত। এমন লেখায় তারাহুরা করলে বিতর্ক হয়।
    সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এমন লেখার জন্য ধন্যবাদ।
    শুভ ব্লগিং।

    • তৌহিদ

      ধন্যবাদ ভাই, সহমত পোষণ করছি। দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রশ্নে তারা নীরব বরাবরই। দেশের কোন টিভি চ্যানেলই ইসলামি চ্যানেল নয়। একই রিপোর্ট অন্য কিছু চ্যানেলও করেছে কই তারাতো এ বিষয়ে সেই চ্যানেলগুলিকে বয়কটের ডাক দেয়নি?

      লেখাটি তাড়াহুড়া করেই লেখা! একটু গুছিয়ে লেখা যেত অবশ্য।

      মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ