অসম্মতি জানানোর পর ও তন্বীর সেই ভাই তার উপর অধিকার খাটাতে আসে। তন্বী খুব বিরক্ত হয়। তন্বী বারবার তাকে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু সে যেনো জোঁকের মতো লেগে থাকে তন্বীর উপর। আত্নীয় বলে খারাপ ব্যবহার ও করতে পারছে না। ঐ ভাইকে অপছন্দ করার কারণ ও আছে । ছেলেটি দুশ্চরিত্র, ব্যবহার ও ভালো না। আদম ব্যবসা করে অনেক টাকা কামাইছে তাই টাকার গরমে যখন তখন যাকে খুশি কিনতে চায়। বিশেষত: নারী কে। সে ভাবে টাকার কাছে সব মেয়ে ধরা। এসব সম্পর্ক মানতে পারে না বলে প্রথম বৌকে সে নিজেই ডিভোর্স দেয়।

ভাইটি তন্বীকে বলে ছোটবেলা থেকেই নাকি সে তন্বীকে পছন্দ করতো। তন্বীর সুখের জন্য সে সব করবে, কোনো মেয়ের দিকে তাকাবেও না। কিন্তু তন্বী বেশ বুঝতে পারে ওকে পাবার পর তাকেও ছুঁড়ে ফেলে দিবে। ওর যে নারীর নেশা, এ নেশা কখনো যাবার নয়। তন্বী ভিতরে ভিতরে অস্থির আর দোটানায় পড়ে যায়। মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়লো। একদিকে তমালের প্রতি ভালোবাসা, দুর্বলতা অন্যদিকে ঐ লম্পট ভাইটার যণ্ত্রণায় সে কিছুতেই স্বাভাবিক থাকতে পারছে না।

এদিকে তমাল যেন গায়েব হয়ে গেল ওর জীবন থেকে। অন্যদিকে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের চিন্তা, ওর একটা আশ্রয়, আর্থিক অবলম্বন সবকিছু মিলে তন্বী স্বাভাবিক কিছু ভাবতে পারছিলো না। এদিকে বুকের ব্যথাটা ইদানিং খুব জ্বালাচ্ছে কিন্তু ডাক্তারের কাছে যেতে ইচ্ছা করছে না। ও এখন মরনেই নিজেকে সঁপে দিয়েছে। একটি বার শুধু একটিবার তমালকে সামনাসামনি দেখতে চায়, ওকে ছুঁয়ে দেখতে মন চায়। বারবার তমাল আর তমালের পরিবারের ছবি দেখে আর নিরবে চোখের জল ফেলে।

এরমধ্যে তন্বী একটি চাকুরীর নিয়োগপত্র হাতে পেলো। খুব খুশী হলো কিন্তু চাকুরীর পোষ্টিং অন্য জেলায়। তবুও এই মুহূর্তে সেটাই ওর জন্য আশীর্বাদ । সেই ভাই থেকে বাঁচতে হলে, তমালকে ভুলে থাকতে হলে তার ওখানে যাওয়াটাই উত্তম বলে মনে করলো। কিন্তু বিধির কি বিধান, পরিহাস তার জন্য অপেক্ষা করছে সে কি জানতো!

0 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ