সমুদ্র বহুদূর- তবু ঢেউ গুনি

বন্যা লিপি ৩ আগস্ট ২০২১, মঙ্গলবার, ০১:৫৩:৩৭পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৯ মন্তব্য

 

বৃষ্টির দংশন-

বিপরীত বজ্রনিনাদ গর্জে ওঠার আশংকায় শংকিত হওয়ার কোনো কারন ছিলনা ভেবেই স্নেহ ছিলো নিশ্চিন্তে। নির্ভাবনার খসরায়, দায়হীন মায়ায় শিরিষের পাতায় জোনাকের আলো ছিলো নীলচে;

শেষাবধি বদলে যাওয়াই ধর্ম,- বলে প্রমানিত।  তাই..... তরল জলের মতই অনঢ় রয়ে যাওয়াও ধর্ম বলে- না বলেই ছুটিয়ে নেয়াই যায় মায়ার বন্ধন।

যেখানে বৃষ্টিরা বসিয়ে দিতে জানে লোমহর্ষক কামড়! বৈপরিত্তের গাঙ যেখানে স্রোতস্বিনী হয়ে আছে লিখিত চুক্তির আখরে! সেখানে কৈফিয়ত দেবার দায়ই বা থাকবে কোন দাবিতে? মনে পড়াগুলো কঠিন শুকনো কাঠের বাক্সে তুলে রাখা যেতে পারে স্মৃতিসৌধের পাহাড় বানাতে।

সমুদ্র বহুদূর-

আজো আঙুলের অগ্রভাগ বিচলিত তাড়ণায় ছটফট করে। নালিশের আখরা চলে শিয়রের বালিশ কিংবা তক্তপোষের বেছানো চাদরে! জানলার ওইপারে কালো কাঁচের আয়না ঘোলাটে হয়ে গেছে কবে! তবু বৃষ্টির আওয়াজে তড়িৎ সজাগ হয় শ্রবণেন্দ্রিয়ের দরজা জানালা।

আমি রাত গুণে যাই ঘোলা জলের লবন মাপতে মাপতে। একটা সমুদ্র দূরে দাঁড়ায়ে হিসেব গুলো গুণে রাখছে কেবল!

এপাড়ের বালিয়াড়িতে বালি ফুসছে ক'ফোঁটা বৃষ্টির আশায়।

নৈরাজ্যের রাজত্বে হরদম তালিকা বেড়েই চলেছে বন্ধ ঠোঁটের সৈরাচারে।

আর কত নিপাট একচ্ছত্র তাবেদারি আইনের অনুশাান চলবে নিয়মের বাইরে!!

 

বিশ্বাস-

আমি তোর চোখে দেখি হরেক রকম বীজের উদ্ভীন্ন অঙ্কুরোদগমের আভাস!

ওখানে হাজার প্রশ্নেরা সকল সময় করে জলকেলি।

আমি সাঁতরে যেতে চাই সাঁতার না জানা নাবিকের মত।

মাস্তলে ঝুলে থাকে নিজেরই অস্তিত্বের খন্ডিত শত সহস্র রক্তাক্ত টুকরো।

তোর অবিশ্বাসের দোলনায় আমি এক সদ্যজাত শিশু।

হাঁটতে শেখার আগেই আমায় ভাবলি, ম্যারাথন প্রতিযোগি।

বলতে পারার আগেই ভাবলি,আমি হরবোলা পাখি!

লিখতে শেখার আগেই আমায় ভাবলি কবি!

আমি তো কেবলই খুব সাধারন  এক আমি!

0 Shares

১৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ