কবিতা বুঝে নিবে পাঠক তা মানি মনের আনন্দে বা মনের ব্যাথা বেদনা যখন পাঠকের তখন তো পাঠকই বুঝবে কবিতার ভাব , কবি নয়, তাই নই কি?
আমরা যারা নগন্য ক্ষুদ্র পাঠক কবি তার রংতুলিতেই আকবে , তার মনের মাধুরিই ফুটিয়ে তুলবে তাতেও সন্দেহ নেই , নেই কুচ পরোয়া।
চারা গাছে ফুল ফুটেছে ডাল ভেংগনা মালি ।
এই গানে ছাত্রাবস্থায় এক মুরুব্বি বলেছিলো। কিভাবে লিখল একটা বাচ্চা মেয়েকে মানে করে। আমি নিচু স্বরে বলেছিলাম আপনি এটা না ভেবে ভাবুন একজন মালি ফুল ফুটার আগেই তুলে টাকার লোভে বেচে দিল। না সে সেভাবে ভাবেনা। ভাবনা বিভিন্ন আসবে, আসতেই পারে।
লেখক লিখে তার মেধা খাটিয়ে আর প্রকাশক ব্যাবসার খাতিরে ব্যাবসা করে। পড়ুয়ারা কেনে বই। স্বাদ বিভিন্ন পাঠক তার মনের মত করেই সাজায়, বোনে স্বপ্ন বা রংগিন হবার নেশায় উমত্ত হই এগোয় সামনে। লেখার স্বাদ কিন্তু পাঠকরাই হিয়ায় আস্বাদন বা ধারন করে।
আজ আর এটা নিয়ে লম্বা ভাবনা।
২০টি মন্তব্য
চাটিগাঁ থেকে বাহার
এক এক পাঠকের বুঝার ক্ষমতা এক এক রকম। তাই কিছু কিছু লেখা পাঠকেরা ভিন্ন ভিন্ন অর্থে বুঝতেই পারে।
মোঃ মজিবর রহমান
ঠিক তাই। যার যেরকম লাগে বা বয়সেও নিরভর করে।
বন্যা লিপি
খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ করলেন পাঠকের মনের ভাবনা। এটাই ঠিক যে লেখক লেখে, পাঠক পাঠ করে নিজের মতো করে।যে যেমন ভাবে নেবে লেখা সে ভাবেই উপভোগ করবে। লেখকের একটা ভাবনার সাথে সাথে পাঠক অনেক সময় নিজেকে নিয়েও ভাবেন। লেখকের স্বার্থকতা সেখানেই।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা ঠিক বলেছেন পাঠকের মন্ত্যবের উপর লেখক আবার নতুন ভাবনার পথ ও পেতে পারে।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।
শাহরিন
এটাই তো নিয়ম। কবিতা বা লেখার মানে প্রতিজনের কাছেই ভিন্ন। তবে কিছু মানুষ থাকে সবকিছুতেই নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেন।
মোঃ মজিবর রহমান
সবই স্রিস্টির রহস্যে ঘেরআ মানুস যখন কারো সাথে মিল নাই ভাবনা মিল হয়ার প্রশ্নই নাই।
ভাল থাকুন।
নিতাই বাবু
সঠিক ভবনার বহিঃপ্রকাশ। লেখক লিখবে, পাঠক পড়বে। পাঠক পড়ার মাঝে কী ভাবলো আর কীরকম ভাবনা তাঁর ভেতরে আসলো, তা পাঠকের ব্যাপার। তবে লেখার সময় প্রিয় পাঠকদের পছন্দের কথাও মাথায় রেখে লিখতে হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা অবশ্যই পাঠকের পাঠের খোরাক না থাকলে তো পাঠক পাওয়া যাবেই না।
ধন্যবাদ দাদা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
যথার্থ প্রকাশ দাদা।
লেখক ও পাঠকের চিন্তাধারার উপর তাদের ভাবনা।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
আরজু মুক্তা
লেখক লিখবে, পাঠক পাঠকের মতো বুঝবে।
মোঃ মজিবর রহমান
থিক তাই আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
লেখায় যাই-ই থাকুক পাঠক তাই-ই বুঝবেন, যা তার মনে চায়। পাঠকের মনের সাথে লেখা মিললো কি মিললো না, তা বেশির ভাগ লেখকের কাছেই অজানা থাকে। আপনার ভাবনাটা কিন্তু বেশ ভালো লাগলো মজিবর ভাই।
শুভ কামনা 🌹🌹
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ আপু। 🇧🇩
ছাইরাছ হেলাল
আপনি দেখছি গভীর ভাবনা ভেবে ফেলেছেন। সাবাস মজিবর ভাই।
কবিরা যে মাথামুণ্ড কী লেখে কে জানে! আমি কিন্তু পড়ি।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি পাঠক আমাকে তো পড়তেই হয় বুঝি বা না বুঝি হইতো রসের যোগানের জন্যই, মনের ত্রিপ্তির জন্যই
মনির হোসেন মমি
সাহিত্যে কবিতা একটি জটিল বিষয়।কবিতায় লেখক তার নিজস্ব ভাব নিয়ে লিখলেও পাঠকের মনের ভাবের হয়তো ভিন্নতা থাকতে পারে ।চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরেছেন।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা লেখকের লেখায় পাঠক নিজস্ব রসাল, ত্রিপ্তি পাবে নিজের মতই। ধন্যবাদ ভাই
সুরাইয়া পারভিন
চমৎকার পোস্ট
দারুণ লেগেছে।পাঠক কি রূপে নেবে সে নিতান্তই পাঠক ঠিক করবে। লেখক যা দেখে তা যদি নিজের কথা ভেবে পাঠক আনন্দিত আপ্লুত হয় হোক না
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা আপু। পাঠকের ত্রিপ্তিই বড় পাওয়া একজন লেখকের কাছে।