
মানুষ কতটা একা হলে নির্ঘুমে রাত কাটাতে পারে তা অনেকটাই অজানা। প্রত্যেকটা মানুষের ব্যক্তিগত কষ্ট থাকে, যা একান্তই তার নিজস্ব। সে কখন তার কষ্টগুলো কারো সাথে শেয়ার করতে পারেনা। একটা মানুষ যখন ভেতর থেকে খুব একা ফিল করে! ঠিক তখনই তার চারিপাশসহ সবকিছু নির্ঘুমে জেগে থাকে। মস্তিষ্কে যখন জাগতিক স্মৃতিগুলো ঘুণপোকার মত কটকট করে তখন সে একা থাকতে ভালোবাসে। তখন তার কাছে দুনিয়ার সবকিছু অসহ্য লাগে। তখন তার নিজের বলতে কষ্ট আর একাকিত্বতা ছাড়া কিছুই থাকেনা!
আমরা একটা মানুষের সাথে ১০ বছর থাকার পরও তাকে পুরোপুরি বুঝতে পারিনা। হয়তো কখনো চিনতে বা জানতে চাইনি সে কেমন? কখনো সময় হয়ে উঠেনি নিশাচর মানুষ চেনার। আমরা হয়তো খুব কম মানুষই দেখি গভীর রাত অবধি জেগে থাকে, কিন্তুু সভ্যতা আর যান্ত্রিকতার ভীরে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষই একাকিত্ব আর নির্ঘুমে কাটিয়ে দেয় রাত। আমরা অনেকেই তাদের দেখিনা। তারা আড়ালে থাকে, তারা অদৃশ্য হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তুু কষ্ট আর স্মৃতি কখনো তাদেরকে আড়াল হতে দেয়না। পুরনো কষ্টগুলো প্রতিনিয়ত তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে ফিরিয়ে নেয় অতীতের দিকে।।
৯টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ টি খুব ভালো লেগেছে। সবার ই কমবেশী একাকীত্ব, যন্ত্রণা থাকে। কেউ লুকাতে পারে কেউ পারে না। কারো টা প্রকাশিত কারোটা অপ্রকাশিত। ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য
মাছুম হাবিবী
কিছু কষ্ট আজন্ম গোপন থাকে, আপনি চাইলেও জোড় করে সেই কষ্টের ভাগিদার হতে পারবেনা। অনেক ধন্যবাদ আপু
শামীম চৌধুরী
অতীত আসলেও অতীত। ধন্যবাদ মাছুম ভাই লেখাটি পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য।
ফয়জুল মহী
উপভোগ্য পড়া। সাহিত্যে আপনার বিচরণ সুখময় হোক ।
ছাইরাছ হেলাল
অতীত একমাত্র সত্য যা আমরা অনুভবে নিতে পারি।
হালিম নজরুল
ভাল লাগল।
সুপায়ন বড়ুয়া
“সভ্যতা আর যান্ত্রিকতার ভীরে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষই একাকিত্ব আর নির্ঘুমে কাটিয়ে দেয় রাত। আমরা অনেকেই তাদের দেখিনা। তারা আড়ালে থাকে, “
সত্যিই তো আমরা কোনদিন জানতেও চেষ্টা ও করি না।
ভাল বিষয় অবতারনা করেছেন।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
কিছু কষ্ট একদম একার
কিছু যন্ত্রণার কথা কাউকে বলা যায় না
কিছু স্মৃতি ঘুণপোকার মত কুড়ে কুড়ে খায় মস্তিষ্ক নামক যন্ত্রটি। দুর্দান্ত উপস্থাপন
অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন কিছু রাগ জাগা মানুষের অনুভূতি গুলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
তৌহিদ
অতীত আঁকড়ে থাকা বোকামি। বর্তমানকে নিয়েই ভালো থাকতে হয়।
ভালো থেকো ভাই।