ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। গ্রামে যখন মারামারি হয়। তখন কিছু মানুষ সবার সামনে বড় বড় গলায় বলে 'প্রয়োজনে জায়গা জমি বিক্রি করে দিব। তবু মাইরের বদলে মাইর দিব। আমার সব সম্পদ নষ্ট করে ফেলবো মাইরের পিছনে। পরে যখন সত্যি মারামারি লেগে যায়। তখন এসব লোকেদের খুঁজ থাকেনা। এদের জায়গা জমি ঠিকই থাকে। যারা গরীব এদের কিচ্ছু থাকেনা।

উপরের কথাগুলো বলার কারণ একটাই। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে বলা হয় মুসলিম বিশ্বের সবচে শক্তিশালী নেতা। কিন্তু আজ পর্যন্ত মুসলিমদের অধিকার রক্ষার্থে বিশেষ করে অসহায় ফিলিস্তিনীদের অধিকার রক্ষার্থে এরদোয়ানকে কাজের কাজ কিচ্ছু করতে দেখিনি। এই লোক শুধু প্রতিবাদ আর নিন্দা জানায়। তাছাড়া তার কোনো কাজ নেই। কেউ কি বলতে পারবেন ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের জন্য এরদোয়ান ইসরাইলের বিরোদ্ধে শক্ত কোনো ভূমিকা রেখেছে? কেউ বলতে পারবেন তুরস্ক থেকে আজ পর্যস্ত একজন সেনা গাজায় গেছে? তুরস্ক প্রতিবাদ জানানো ছাড়া কিচ্ছু জানেনা। যেখানে ইসরাইল ২৪ ঘন্টার মধ্যে গাজা খালি করার আল্টিমেটাম দিয়েছে। সেখানে আরবসহ মুসলিম নেতাদের নীরবতা কাপুরুষের পরিচয় দিচ্ছে।

রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে আমার গ্রামের সেই চাপাবাজ পাবলিকের মত মনে হয়। যারা বক্তব্য দেয়ার সময় বড় বড় চাটাম ছাড়ে। কিন্তু কাজের বেলায় কিচ্ছু নাই। এরদোয়ান যদি একটি শক্ত অবস্থানে যেত ফিলিস্তিনিদের বিষয়টা নিয়ে। কিংবা সরাসরি হামাসকে সাহায্য করার ঘোষণা দিতো তাহলে বাকি মুসলিম দেষগুলো সাহস পেত। সবাই এরদোয়ানের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে যুদ্ধে অংশ নিতো। কিন্তু সৌদি আরবসহ তুরস্কের অবস্থান দেখে আমার মুখ দিয়ে একটা কথাই বের হচ্ছে এরা চাপাবাজ। এসব চাপাবাজরা উপকারের বদলে অপকার করে বেশি। হামাসকে নিজেদের শক্তিতেই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তুরস্ক সৌদি এবং বাকিসব মুসলিম দেশের নেতারা সবাই বর্তমানে আমেরিকার দালাল। অপরদিকে এরদোয়ান পুরাই ফেক এবং চাপাবাজ একজন মানুষ। তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ শুনতে শুনতে চুল পেকে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছেনা!

0 Shares

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ