অঙ্কিতা দে ছোঁয়া এর ধর্ষক আর হত্যাকারী ওই ভবনের মালিকের ছেলে প্রীতম রুদ্র। গত বৃহস্পতিবার অঙ্কিতাকে মৃত এবং বস্তাবন্দি অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া গেছিলো দৌলতপুর পাবলা কালিমন্দিরের বিপরীতে অবস্থিত বীণাপানি ভবনের টয়লেট থেকে।

বাড়ির মালিক রুদ্র বাবুর  একমাত্র ছেলে প্রীতম রুদ্র মাত্র ৭বছরের অঙ্কিতাকে কয়েকবার ধর্ষণ করে এবং শারীরিক নির্যাতন করে। তারপর গলায় ফাঁস দিয়ে, গলার শিরা কেটে, হাত-পা ভেঙ্গে বস্তাবন্দি করে বাড়ির সিঁড়িঘরে কিছুদিন এবং পরবর্তীতে বাসার গ্যারেজের টয়লেটে ফেলে রাখে এবং এই কাজে সাহায্য করেন তার মামা শ্যামল😡। তারা ভেবেছিলো ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে লাশকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করার। কিন্তু বাড়িতে কর্মরত দিন-মজুররা পঁচা গন্ধ পেয়ে টয়লেটের তালা ভেঙ্গে বস্তার মধ্যে অর্ধগলিত লাশ খুঁজে পায়।

পুলিশতদন্তে বাড়ির ছাদ সিড়িঘর থেকে রক্ত এবং আরও আলামত পায় এবং তারই প্রেক্ষিতে বাড়ির মালিকের ছেলেকে আটক করে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার(২৮তারিখ)।

আজ শনিবার প্রীতম  রুদ্র দোষ স্বীকার করেছে। বীনাপানি বিল্ডিং আমি চিনি। ওই ছেলের বাবা দৌলতপুরের পাঁচজন ধনীর একজন। একমাত্র ছেলে সে। বাংলাদেশ পুলিশের কাজে আমি খুব খুশি। এরা যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ করার সুযোগ পায় কোনো আসামি ধরা এদের জন্য বিষয় না কোনো, খুব দ্রুত কাজ শেষ করে। কিন্তু সমস্যা হয় এরপর যখন আসতে শুরু করে এর তার ফোন, রাজনীতি, টাকার কাছে বিকায়ে যায় অনেকে। তারপরও যদি রেপিস্ট আদালত অব্দি যায় সেখানেও সেই টাকা, দীর্ঘসূত্রিতা আর বিচারহীনতা।

বাই দ্যা ওয়ে এই ইতর কিন্তু বিবাহিত। কদিন আগেই বিয়ে করেছে। যারে বিয়ে করেছে তাকে বিয়ে করার জন্য এই ছেলে পাগল হয়ে গেছিলো কারণ বউ ভয়াবহ সুন্দরী। এরপরও এই ছেলের হাত থেকে বাচ্চাটা রেহাই পেলো না।

অঙ্কিতা মাও হয়তো বিচার পাবেনা।

পুষ্পিতা আনন্দিতা,
নিউইয়র্ক।

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ