ধ্বনিরা সব শূন্য ফু হয়ে উড়ে বেড়ায়
চতুর্দিকে পার্থিবে,
যূথ-চিন্তনের ভিড়-বাট্টায় নিঃসঙ্গ গৃহহীন নিবিড় ভাবে
দু’ফোঁটা রক্তাশ্রু একান্তের এই নিগূঢ় গৃহযুদ্ধে;
এই তো অবশ-বিবশ সবল-জানু মেলে রেখেছি,
পরস্পরের কাঁড়াকাঁড়ি বিহীন, মন উজাড় করে রক্ত চোষ,
কামের টঙ্কারে বলকে ছলকে ফোঁটায় ফোঁটায়, তরল হাসিতে
টুং টাং শব্দ তুলে, নিরীহ পরাভবের ছল ধরে।
প্লাটিলেট নেমে যাক, ধীরে ধীরে নয়, ধাই ধাই করে,
পাঁচ হাজারে নেমে আসুক, আচ্ছন্ন হয়ে যাই গভীর থেকে গভীরতম ঘুমে;
নাহ, কেউ আর জাগিয়ে তুলবে না, অতলের শেষ নিঃশ্বাস থেকে,
ছুঁয়ে যাক এবার শুদ্ধ স্তব্ধতার চাদরে।
মেয়াদোত্তীর্ণ/বিফল ঔষধ ফি বছর দেব, কথা দিচ্ছি,
কিনে নেব বিনা দুস্তরে, এক-ই মালখানা থেকে।
এক হালি ঝাড়ু-হাতের শুটিং চালু থাকবে
ঢাক-ঢোলের সহরতে।
আক্রমণের দিন তারিখ আগাম জানাই থাকবে!!
গুজবের মিছিলে সারাক্ষণ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে
অগুনতি মৃতের আহাজারি এড়িয়ে।
এসেছে ডেঙ্গভেক্সিয়া, ৯-১৬ বছরের শিশুদের ভ্যাক্সিন,
দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে, হবে প্রয়োগ!! প্রথমের কী হবে!!
হে ডেঙ্গু, অনেক তো হলো জীবনাবসান, এবারের মত মাফ করে দাও
শাকান্ন আহারে পরিতৃপ্ত এ বিসর্জিত হীন-জীবনের বিনিময়ে।
এসো আবার আগামীতে, নূতনের কোন কুহক মেলে
যখন থাকবো না, কোলাহলের সিংহদ্বারে।
২০টি মন্তব্য
শামীম চৌধুরী
মৃত্যুর জন্য এত ইচ্ছা কেন?
ছাইরাছ হেলাল
মরিবার সাধ হলো যে তার!
মোঃ মজিবর রহমান
হুম! করুন অপেক্ষা ফি বছরের !
ছাইরাছ হেলাল
আবার আসিবে সে কুহকের বেশে! সাবধান।
মোঃ মজিবর রহমান
এই কুহক শব্দ এখন ভয়ে ডরায়। নিশ্চুপ নিভ্রিতে আশুক চেতন মনে থাকুক ভালবাসায় ভরে।
ছাইরাছ হেলাল
কুহকদের ভয় না পেয়ে উপায় নেই।
আরজু মুক্তা
হুম!যাদের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুর কারণে ; আমি তো বলবো” ডেঙ্গু তোমারি মৃত্যু হয়েছে!”
সবাই পরিচ্ছন্ন থাকি এবং আশপাশ পরিষ্কার রাখি।
ডেঙ্গু থেকে মুক্ত থাকি।
ছাইরাছ হেলাল
মুক্তির সাধ এখন-ই মিলিবে!
এমন ডেঙ্গু আসেনি এ ধরাধামে।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্লাটিলেট পাঁচ হাজারে নামলেই কি ঘুম আসে? তাতে কি লেডিস এডিস রক্তপান ছেড়ে শোকে মূর্ছা যাবে? এভাবে সকাতরে বিনয় বিনিময় না করে নিজেরা কি পারিনা প্লাটিলেট অক্ষুণ্ণ রেখে লড়ে যেতে? ঘুম একদিন আসবেই, তাই বলে বেঘোরে ঘুমানোর কি দরকার!!
মহারাজ, আপনি ভালো আছেন? সুস্থ আছেন?
ছাইরাছ হেলাল
এই লেডিসদের সাথে তাবৎ পৃথিবী লড়েও কিচ্ছুটি করতে পারেনি।
অজেয় থেকে গেছে, ভ্যাক্সিন তাও পুরো কার্যকর নয়, তাই বিনয়ের সাথে জীবন এই হীন জীবন ঘুস দিতে চাচ্ছি।
তাও যদি একটু রাজি হয়, হবে বলে মনে হচ্ছে না, মরিনি যে।
এই ইলিক-বিলিক লেখা দেখেও বুঝতেছেন না!! ভাল আছি বেশুমার।
মনির হোসেন মমি
কয় দিন আর বাচবো!!তাই এমন মৃত্যু চাই না।আপনার ফিবছরে আবারো এ মহামারীতে অপেক্ষায় মরতে চাই না। চাই স্বাভাবিক মৃত্যু।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন ডেঙ্গুকে যদি রাজি করাতে পারেন!!
আমার প্রাণের বিনিময় শত প্রাণ বাঁচানোর আবেদন করছি।
পাত্তা দিচ্ছে না।
স্বাভাবিক মৃত্যু আমাদের সবার কাম্য।
তৌহিদ
এই সুন্দর পৃথিবীতে সামান্য মশার কারনে ডেঙ্গু হয়ে মারা যাবার চেয়ে জন্ম না নিলেই মনে হয় ভালো হতো। যারা চলে গিয়েছেন অকালে তারাই অমর হয়ে থাকুক ডেঙ্গুর কাছে। জয়তো হয়েছে মৃতদের।
ছাইরাছ হেলাল
ডেঙ্গু আর সামান্য নেই।
পৃথিবীকে চ্যালেঞ্জ করে বসে আছে, তাকে ফেরাতে তো পারেনি কেউ।
শিরিন হক
আমরাই আমাদের প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছি। নিজেরা মরছি অন্যকেও মারছি।
ছাইরাছ হেলাল
ডেঙ্গুর কাছে আমরা খুব অসহায়, ক্রমাগত মরে যাচ্ছি।
শাহরিন
দিন দিন ভয় বেড়েই যাচ্ছে। পরিজনের অসুস্থতার কথা শুনলে ভয়ে কেপে উঠতে হয়। সে অনুভূতি অনেক কষ্টের। দোয়া করি আমার বাকি পরিজনেরা যেন এর থাবা থেকে দূরে থাকতে পারে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই সবার সুস্থতা আমাদের একান্ত কাম্য,
ভয় পাওয়ার মতই সব কিছু চোখের সামনে ঘটছে।
রেহানা বীথি
আগামীতে আসুক এমন কুহক মেলে, যেন ছুঁয়ে দিলেই ফুটে ওঠে ফুল। তবেই স্বাগতম, নইলে থাকুক যোজন যোজন দূরে। মৃত্যু চাই না আর, এভাবে।
ছাইরাছ হেলাল
সত্য-ই বলছেন, এমন অকাল মৃত্য আমাদের কিছুতেই কাম্য নয়।