আমাকে বলে, পদ্য লিখে দাও, কয়েক ছত্র, এলেবেলেই তো লেখো, এ আর এমন কী?
দু’মিনিটের তো মামলা, এক্ষুনি লেখো,
শরমে মরে যাই, আশকারা প্রবণ হলে যা হয় আরকি।
আমি বলি,শাবাশ রোসো রোসো, এ দেখি ‘শীঘ্র পতন’ মামলা !!
নিকুচি করি ম্লান ম্লেচ্ছ মোহনমুগ্ধতার, এত্ত সোজা? বললেই হল?
শানিয়ে দাঁড়িয়ে আছি বুঝি? বলা মাত্রই সেরে ফেলবো যত্রতত্র?
যতটা খোলামকুচি ভাব, ততটা নয় এখন ও।
হুশ হুশ, যাও ভাগো, অন্য গলি খোঁজো, কানা গলিও হতে পারে;
একপেশে এক তরফা হরহামেশার অন্ধ ঠাডার বিজলি পড়ে না কেন?
ফরমাশদেনেওয়ালাদের মুখে ঢেলে দেব একরত্তি থুথু।
ভোরের সবটুকু স্বর্নোজ্জ্বলতা নিয়ে ঝুনো বৃষ্টির নুন্য বন্ধুত্ব আর হলো কৈ!
হে মৈনাক পর্বতমালা,
২৯টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
ভোরের সবটুকু স্বর্নোজ্জ্বলতা নিয়ে ঝুনো বৃষ্টির নুন্য বন্ধুত্ব আর হলো কৈ!
হে মৈনাক পর্বতমালা,
দারুন।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
বললেই হয় নাকি?
লেখা লেখি এত্ত সহজ না।
ছাইরাছ হেলাল
কিন্তু কখনও কখনও মনে হয়
লেখা!! এ আর এমন কী?, সামান্য কী-বোর্ডের নাড়াচাড়া মাত্র।
জিসান শা ইকরাম
মনে হয়
তবে লিখতে বসলেই বোঝা যায় কত ধানে কত আটা 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কত আটায় কত চাল তাও বেরিয়ে আসে।
মোঃ মজিবর রহমান
জানতাম চালে এটা হয় এখন ধানেও।
ছাইরাছ হেলাল
হয় হয় এখন অনেক কিছুই হয়। দেখতে থাকুন।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আর কত চালে কত ভাত! 😀
ছাইরাছ হেলাল
চালে শুধু ভাত থাকে না, আরও অনেক কিছু থাকে।
রুহুল
কানা গলিতেই তো বিচরণ সকলের। ফরমাশদেনেওয়ালেদের একছত্র আধিপত্য। কাব্য লেখা আর এমন কি যেখানে মানুষ নগণ্য।
ছাইরাছ হেলাল
আধিপত্য কারোর না কারোর থাকেই।
তার পর ও কিন্তু লিখিয়েরা আছে, থাকেও।
নাসির সারওয়ার
আমার কাছে পাঠিয়ে দিন, পদ্য / গদ্য, ও কয়েক সেকেন্ডের মামলা। লিখে দেবো
ঝুনো বৃষ্টি কি? ঝুনো নারিকেলের চাচাতো ভাই বোন নাতো?
এরপর তো আবার বলবেন “মৈনাক পর্বতমালা” কি? আপনারা পারেনও বটে …।।
ছাইরাছ হেলাল
যাক, নিশ্চিন্ত হলাম, আগে বলবেন না!! ল্যাহা কোন ব্যাপার না।
কিছুটা আত্মীয়তা না হলে এই আক্রার বাজারে চলা যায় না।
পাহাড়- পর্বত খুব বিপদ সঙ্কুল, ওদিকে না যাওয়াই ভালো,
অরুনি মায়া
ওরে বাব্বা এত রাগ | একটু নাহয় লিখেই দিতে বলেছে | মাথায় যখন তুলেছেন তখন এটাকে আবদার ধরে নিলেই পারেন | রাগারাগি ধমকা ধুমকি থুথু মারামারি না করে দু লাইন লিখে দিলেইতো ল্যাটা চুকে যায় | আপনার যে প্রতিভা তাতে আমার বিশ্বাস শানিয়ে দাঁড়াবারও প্রয়োজন নেই দুই মিনিটেই দশ লাইন এমনিতেই হয়ে যাবে 🙂
কিন্তু শিরোনামের সাথে লেখার বিষয়টা যদি একটু বুঝিয়ে দিতেন |
ছাইরাছ হেলাল
আমার প্রতিভা নয়ে শংকিত বলে না এত্ত কথা, লিখেই যদি দিতে পারতাম হুট করে
তাহলে আর এত ভজঘট বাঁধত না। ল্যাক্তে না পারার যন্ত্রণা আপনি বুঝবেন না। কলম তুলতে তুলতেই
দু’মিনিট চলে যাবে লেখা তো পরের কথা, আমার তুমুল পরতিভা, তাই সব বুঝিয়ে বলা যাবে না।
অরুনি মায়া
আপনার প্রতিভার বর্ণনা আমি নই এই সোনেলাবাসী দিবেন | শুনেছি ভদ্রলোকেরা নাকি নিজের ঢোল নিজে পিটাতে পছন্দ করেন না | তবে আকার ইঙ্গিত চালু রাখেন | আপনারও হয়েছে সেই দশা | নিজ মুখে সরাসরি কি উচ্চারণ করা যায় নিজের সুনাম| তবে ভাববেন না আমরা আছিনা | একদিন নুন খাইলে দশ দিন গুন গাইব |
আহা আহা এমন একজন লেখক পেয়ে ধন্য সোনেলা ধন্য ,
লেখার সুনাম পৌঁছে যাক বাড়ি ঘরের উঠোন পেরিয়ে বন বাঁদাড় অরণ্য :p
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন নিজের মহামূল্যবান ঢোল যারতার হাতে দেওন ঠিক না
সমূলে বিনাশের আশংকা থাকে, তাই ঝুঁকি নিচ্ছি না, তাছাড়া আপনারা তো আছেন ই,
ঢোল ফাটানোর দলে!!
আহারে, আবার ও অরণ্য!! খুব যেতে ইচ্ছা করে!!
তবে নুনের দিকে খেয়াল দিয়েন।
অনিকেত নন্দিনী
‘শীঘ্র পতন’ মামলা !! 😮 😮 😮
‘নিকুচি করি ম্লান ম্লেচ্ছ মোহনমুগ্ধতার’ বাব্বাহ! সাহস কতো। একটুখানি মোহমুগ্ধতা পেলে বর্তে যাই আর আপনি কিনা নিকুচি করছেন! ^:^
অমন হুস হুস করে যাকে তাড়িয়ে নিয়ে কানা গলিতে ঢোকাতে চাচ্ছেন, সে ওখানে গিয়ে ঠাডার মধ্যে পড়লে তার হুঁশ হবে বুঝি? বেচারা তো ঠাডা পড়ে বেহুঁশ হয়ে যাবে, মরেও যেতে পারে। 🙁
ঝুনো বৃষ্টি! নারকেল পেকে ঝুনো হয় জানি, বৃষ্টি পেকে কী হয়? ;? এইটা কি বরফ সমেত বৃষ্টি? ;?
ঝুনো বৃষ্টির ন্যূন বন্ধুত্বও চান দেখছি! ;?
মনে হচ্ছে মতলব ভালু না। :p
ল্যাহাল্যাহি তো সোজাই। 😀 শ্যাষ নাগাদ কইলাম ল্যাহা হইয়াই গ্যাছে। :c
অ.ট.: ইদানীংকালে দেখি সব ল্যাখাই কমায় গিয়ে শেষ হয়। ল্যাখকের অবস্থা মনে হয় সেইরাম কঠিন পর্যায়ে আছে। -:-
ছাইরাছ হেলাল
শহীদুল জহিরের কিন্তু কমা নিয়ে ভালই একটি ঘটনা আছে, তিঁনি মাথায় থাকুন, আমার নমস্য তিনি।
তাঁর কাছে আমার অশেষ ঋণ, আমি আবাল পাঠক তাঁর কমার অপব্যবহার করে পাতকী হলেও ওপাড়ে বসে
মাপ করে দেবেন।
আমার অসামান্যের ও সামান্য ল্যাহাল্যাহি এতদিনে কুল পাইছে ভাবতেই কিরাম কিরাম লাগতেছে।
ফুলের চন্দন আর দেলাম না।
ঝুনো বৃষ্টিতে ন্যুন বন্ধুত্ব চাইলাম তাতেও শ্যেন!!
হুঁশ হারাক হুশ হুশ শব্দে তাই চাই। মোহনমুগ্ধতা(সম্মোহনমুগ্ধতা) ভালু না, ডরাই।
শিখতেই থাকমু কইলাম।
অনিকেত নন্দিনী
এপার হোক আর ওপার, যাঁরা মাফ করে দেবার তাঁরা ঠিকই মাফ করে দেন।
ল্যাহাল্যাহি কূল পাইলেও বেবাক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগ পর্যন্ত আপনারে কূলকিনারা পাইতে দিমুনা। 😀
ঝুনো বৃষ্টি আর বুনো ফুল – শ্যেন দেখতে পায় সবই। শ্যেনের দৃষ্টি আলাদা মহিমাযুক্ত না? :v
শ্যেনচক্ষু দেখতেই থাকবে মনে হয়।
ছাইরাছ হেলাল
কুল(কৌলীন্য) যখন পাইছে কূল নিয়া আর ভাবি না।
দেখুক দেখুক।
অজানা এক পথে চলা
কে আপনাকে এমন পদ্য লিখতে বললো ভাইয়া। চাবুক মারলেন না তো কাউকে? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
পদ্য গদ্য কিছুই লিখতে পারি না, কেউ ফরমায়েশ ও দেয় না যে চেষ্টা-চরিত্র করব।
আমি চাবুক পাব কোথায়!! কয় কী!!
তানজির খান
বেশ ভাল লাগলো
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
অসাধারণ।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা।
শুন্য শুন্যালয়
যাক গালাগালি করার একটা সুযোগ পাইলাম। এইটা কোন লিখা হইলো? রুমান্টিক এক শিরোনাম দিয়া প্রান গুড়া মশলার মত মরিচের জায়গায় ইটের গুড়া? লেখালেখিটাও এতদিনে শিখতে পারলেন না।