হৃদয়পুরের গহীন বাতাস

সৌবর্ণ বাঁধন ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১২:০২:০০অপরাহ্ন কবিতা ৮ মন্তব্য

একটা নদী বুকের ভিতর ছিল,
রুপালী মাছের ঝাঁকে উচ্ছ্বসিত প্রেম ছিল,
স্রোতিস্বিনী রমণীর গন্ধ মেখে হয়েছিল তীব্র মাতাল,
আমি চাঁদের আলোয় ছায়ার মানুষ ছিলাম,
এবং মানুষেরা প্রকৃতই জানেনা সাঁতার, 
তবুও শৃগালের মতো জেনেছি প্রেমে নেই পাপ, 
সাঁতার না জেনেও দিতে পারি গহীন নদীতে ঝাঁপ,
বদ্ধ ঘরের মতো চারিপাশে জ্বলজ্যন্ত অন্ধকার,
এখন মাছেরা নেই! এখন ঘুমেরা নেই!
জীবনের আরেক নাম-
স্থির জলে আনমনে দুজনের ডুব সাঁতার! 

বলেছিলে মরে যেতে নেই কোন ভয়,
চুপিচুপি আজো শুভ্র কাশফুল শরতের চরে,
সেই কথা কয়!
হৃদয়ের স্টেশনে জাগ্রত পাহারায় কাঁটাতার,
সুতীক্ষ চোখে আটকিয়ে রাখে দেবীদের পারাপার,
বিসর্জনের বিকালের হাহাকার আজো বাজে,
দৈনন্দিন রুটিনের মাঝে!
বলেছিলে বিকালের কাছাকাছি আবছা আলোয়,
দুজনের মরে যেতে হয়,
বাসন্তী বিকালে সন্ধ্যার আলো ঠিক তাই চায়!
আমিতো ম্রিয়মাণ আলো, তুমি ঘরে ফেরা রাজহাঁস,
দেখা হবে দিনশেষে তবু একবার,
বহুবার মরে যেতে পারি যদি হও তুমিই আকাশ!

একটি ঘুড়ির মতো মেঘ,
হৃদয়ের খোলা মাঠে প্রতিদিন খায় ঘুরপাক,
আমার ছায়াতে আমি প্রায়ই তোমার ছায়াতে মিশি,
অকালবর্ষণে নারী অলক্ষ্যে অস্তিত্ব পেলে,
ঘাসের ডগারা খুঁজে জল!
এখানে বৃষ্টি নেই! রামধনু আছে দৈবিক উজ্জ্বল,
ঘুড়ির মতো অকস্মাৎ উড়ে গেলে তুমি, 
ফণিমনসার সাথে বাঁচে তবু অর্ধমৃত স্মৃতি,
থাক! হৃদয়ের উঠোনটা আপাতত বন্ধ হয়ে যাক! 
ওইখানে কুঠুরিতে বসে আছে
লক্ষীর পবিত্র প্যাঁচা! পৃথিবীতে চলে প্রচন্ড আকাল,
কিভাবে প্রবন্ধে লিখি,
প্রেমের প্রলয় এলে, আমাদের অদেখা হৃদয়,
হতে পারে ক্ষুধার্ত ঈগলের মতো প্রচন্ড নাকাল,
হৃদয়ের প্রবেশ পথ আপাতত নিষিদ্ধ থাক!

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ