বোজা চৌক্ষে দ্যাস দেখা

ছাইরাছ হেলাল ১৮ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার, ০৩:০৬:৩৫অপরাহ্ন ভ্রমণ ৪৬ মন্তব্য

বিজনেস ক্লাসের যাত্রীরা আগে উঠবেন এটাই নিয়ম, ভিতরে বাইরে বসেন ও আলাদা, অপেক্ষা করছি ঢাকা এয়ারপোর্টে, ড্রাগন এয়ারে উঠে যাব এবার হংকং এর উদ্দেশ্যে।
লিখছি নিজের মত করে, এটি নিয়ম মেনে কোন ভ্রমণ কাহিনী নয়, কোন ভাবেই, অতএব বুঝতে হবে ধানে শুধু চাল ই থাকে না, থাকে অনেক কিছু। ধান-চাল বাদ দিচ্ছি, কোন্ কথায় কী কথা এসে যাবে লাগামহীন ভাঙ্গা কলমে।
ফোনের চার্জ শেষ, অহেতুক ভয়ে পাওয়ার ব্যাঙ্ক লাগেজে, পরে জেনেছি সাথে রাখা যেত, দেখেছি ফোনের দ্বিগুণ আকৃতির ব্যাঙ্ক, তরাসে যা হয়। বিমানে ওঠার আগে ‘ইয়ে’ বেড়ে যায় বহুগুণ, তড়পানো দেখে মজা নেই নি, খারাপ লেগেছে। রকেট গতিতে মেসেজ টাইপ, ফিস-ফাঁস আরও কত কী দেখলাম(সব বলা ঠিক না, যাবেও না)। ইয়া মাবুদ, জাতিকে রক্ষা কর বিপদের দিনে। চার্জ দেয়ার কোন সকেট নেই, ছিল কোন এককালে, তুলে নিয়ে গেছে কোন তস্কর, অবশেষে একটি পাওয়া গেল ঝুলে পড়া অবস্থায়। প্রায় শুয়ে পড়ে চার্জার ফোনে লাগিয়ে কাজ শেষ করার কি তুমুল পাঁয়তারা। অথচ বিমানে উঠেও চার্জ-ফার্জ করা যেত। আর ওয়াই ফাই!!!
বোর্ডিং ব্রিজের সামনের ছোট্ট পরিসরে বেরসিক চামচিকা ঢুকে পড়ে মহা বিড়ম্বনা, নানামুখী প্রচেষ্টায় চামচিকা বিতরণ শেষে বিমানে আরোহণ। বিমানের ভেতরের গল্প পরে হবে সে এক টালমাটাল গপ্পো।

হংকং অবতরণ, কঠিন চেক, রিচেক, গোপনে একটা খবর জানাই, বুইড়া হওনের মহা সুবিধা, হাতায় না প্রায়, আরও আরও মহা মহা সুবিধা আছে, শিখিয়ে দেব, কী করে বুড়ো না হয়েও এ সব এস্তেমাল করা যায় সহি ভাবে। চার ঘণ্টার ট্রানজিট। বোস্কা-বুস্কি জড় করলাম, সব থেকে সুবিধা জনক স্থানে। এটাই ঘাঁটি আপাতত। সাথেই ওয়াশরূম, বিড়ি রুম, ফ্রি খাওয়ার পানি ঠাণ্ডা ও নরমাল(পানির দাম হাত- পা ধরে মাফ চাইতে হবে) এবং গোটা কুড়িক চার্জিং পয়েন্ট সহ ল্যাপ টপ আর প্যাডের সংখ্যা আট থেকে দশ সব চালু, ফ্রি ওয়াই ফাই। তবে সেগুলো কেউ ব্যাবহার করে না খুব একটা, চার্জ দেয় সবাই। নিজ নিজ ডিভাইজ সবাই ব্যাবহার করে। যথারীতি আমারাও ল্যাপু ও ফোন নিয়ে দেশ-জাতি উদ্ধারে নেমে গেলাম। নন্দলালের দ্যাসে দ্যাসে ভেরোমন!!
এয়ারপোর্ট ভাঁজা ভাঁজা করতে চাইলাম তুমুল উৎসাহে, হায় কপাল!! নেতিয়ে গেল অল্পতেই, ফুল কোর্স সম্ভব না, সহজে ছেড়ে ও দেইনি, পিঁপড়ের সারিতে বিশাল সব বিমান ওঠা ও নামা সহ দোকানপাট জিনিসপত্রের দরদাম, রেস্টুরেন্ট দেখালাম সাধ্যানুযায়ী। খেলাম, খাবার তৈরির প্রক্রিয়া দেখলাম, যা আমি আগে দেখিনি।
সময়ের লাগাম হাতে নেই, কেমতে কী!!! ভাবতে ভাবতেই এবারে ক্যাথে প্যাসিফিকে উঠে গেলাম।

কর কী? রেস্ট নাও,খেয়েছো?.........চালু ছিল আছে।
কে শোনে কার কথা সিস্টেম ও চালু ছিল।

গন্তব্য ম্যানিলা, বারশ’ কিলোমিটার প্রায়, পুরোটাই সমুদ্র।

চলিপে..................

0 Shares

৪৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ