বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে তরুণীদের লাঞ্ছনার ঘটনার রিপোর্ট করায় ৭১ টিভির ফারজানা রুপাকে হুমকি দেয়া হয়েছে। আশা করা যায় এই হুমকির উৎস ধরে বদ,কু-লংগার,ঘৃণ্য যৌন নিপীড়ন কারীদের দ্রুত খুঁজে পাওয়া যাবে। সরকারের প্রতি অনুরোধ অনুগ্রহ করে ফারজানা রুপার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন। কেন ফারজানা রুপার প্রতি এই হুমকি?
ফারজানা রুপার অত্যন্ত পরিশ্রমী প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে ক্লিক করে।
৭১ টিভিতে প্রচারিত জেপশন মাহামুদের অন্য একটি প্রতিবেদন দেখুন ভিডিও সহ।
দেখুন কত ঘৃন্য ভাবে মেয়েদের প্রতি হামলা করা হয়েছে। রিক্সা থেকে টেনে নামিয়ে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
সম্ভাব্য নিপীড়ন কারী কারা হতে পারে?
প্রচারের ধরন দেখে বুঝে নিতে হবেঃ
১/ যারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ছাত্রীদের উত্ত্যক্তকারী ছাত্রলীগ কর্মী নাজমুলের গন-ধোলাইয়ের ফটো কে, নাজমুলকে মেয়ে হিসেবে দেখিয়ে টিএসসির সামনে নারী নির্যাতন হিসেবে অনলাইনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং নিউজ পোর্টালে ফটো প্রকাশ করেছে।
২/ যারা ৫ মে হেফাজতের অবস্থান উচ্ছেদের সময়ে বৃটেনের এক কসাই খানার রক্তকে,শাপলা চত্ব্বরের রক্ত বলে চালিয়ে দিয়েছে।
৩/ যারা বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটে আগুন লাগা দিল্লির এক মসজিদের ছবিকে মায়ানমারের এক মসজিদ পুড়িয়ে দেয়া ছবি বানিয়েছে।
৪/ যারা সুন্দরবনে তেলের ট্যাংকার দুর্ঘটনার সময়ে তেল পুর্ন পানিতে তেল মাখা এক বাঘের ছবি প্রকাশ করেছে।
৫/ যারা বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানকে ঘৃণা করে।এই অনুষ্ঠানের বিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করেছে এবং করছে।
যত দ্রুত সম্ভব নির্যাতনকারীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করে ব্যাপক ভাবে এদের ফটো প্রকাশ করে সামাজিক ভাবে এদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।
প্রচলিত আইনে আইনের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারনে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কিছুই লাভ হবেনা। এদের অন্যায়ের শাস্তির জন্য আইন সংশোধন করতে হবে।
এদের যে কোন ধরনের সরকারী চাকুরী,ব্যবসার ট্রেড লাইলেন্স,পড়াশুনার সুবিধা বাতিল করে দিতে হবে।
দু একটাকে প্রচলিত আইনে নয়, প্রচলিত ধারায় ক্রস ফায়ার দিয়ে মেরে ফেলাও যায়। হায়েনা এবং পশুকে মেরে ফেলাই উচিৎ।
৩৫টি মন্তব্য
খেয়ালী মেয়ে
দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক ঘটনা..আর এ ধরনের ঘটনা ধারাবাহিক ভাবে অহরহ ঘটেই চলেছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত এমন কোন ব্যবস্থা নিতেই দেখলাম না যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে সব সময়ের জন্য….
আপনার সাথে একমত যে এদের অন্যায়ের শাস্তির জন্য আইন সংশোধন করতে হবে…এদের যে কোন ধরনের সরকারী চাকুরী,ব্যবসার ট্রেড লাইলেন্স,পড়াশুনার সুবিধা বাতিল করে দিতে হবে।
দু একটাকে প্রচলিত আইনে নয়, প্রচলিত ধারায় ক্রস ফায়ার দিয়ে মেরে ফেলাও যায়। হায়েনা এবং পশুকে মেরে ফেলাই উচিৎ…………কিন্তু কথা হলো আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর নজরেতো এরা পড়েই না……..
ফারজানা রুপার নিরাপত্তার ব্যবস্থা দ্রুত করা উচিত……আর এই ঘটনার যে জিনিসগুলো বেশি উচ্চারিত হচ্ছে তা হলো পর্দা এবং ধর্ম…আমার মাথায় কিছুতেই আসছে না যে, এমন কোন ধর্ম আছে, যে কাউকে পর্দা শিখানোর জন্য একেবারে বিবস্ত্রই করে ফেলতে হবে…..এরা কোন ধর্মের অনুসারী হতেই পারে না…এরা নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ধর্মীয় মুখোশধারী নোংরা জানোয়ার….
জিসান শা ইকরাম
” আমার মাথায় কিছুতেই আসছে না যে, এমন কোন ধর্ম আছে, যে কাউকে পর্দা শিখানোর জন্য একেবারে বিবস্ত্রই করে ফেলতে হবে…..এরা কোন ধর্মের অনুসারী হতেই পারে না…এরা নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ধর্মীয় মুখোশধারী নোংরা জানোয়ার…. ” অসাধারন এই মন্তব্যের জন্য আপনি ধন্যবাদ পেতেই পারেন।
এদের আসল রূপ চিনতে পেরেছেন বলেই এমন মন্তব্য করা সম্ভব।
এরাই আসলে ধর্মকে বিতর্কিত করছে।
খেয়ালী মেয়ে
হুমমমম এরা ধর্মকে বিতর্কিত করছে, ধর্মকে ব্যবহার করছে…
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ইয়েস হায়না নামক অমানুষগুলোকে মেরে ফেলাই উচিত।সুন্দর পোষ্ট অনেকে ভাবতেন এ সব সরকারদলীয় ছাত্রলীগের কাজ কিন্ত এ পোষ্ট পড়ে নিশ্চিত হবেন এটা সেই ধর্মান্ধতায় ভরা ধর্মান্ধদের কুকাম।তবে সরকার আরো সচেতনমূলক নিউজ প্রকাশ করলে বদনাম ঘোচাতে পারত।প্রশাসনের দূর্বলতা সরকারকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে বার বার।
জিসান শা ইকরাম
সরকারের দায় অবশ্যই আছে,
যে সিসি ক্যামেরা দিয়ে অপরাধী সনাক্ত করা যায় না, তা স্থাপন করা হয় কেন ?
সঞ্জয় কুমার
তথ্যবহুল পোষ্ট ।
জিসান শা ইকরাম
হুম
নীলাঞ্জনা নীলা
অত্যন্ত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এরা আমাদের শিকড় ধরে টান দিয়েছে।দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দিতে হবে এদের।
জিসান শা ইকরাম
প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় এদের শাস্তি হবার সম্ভাবনা খুবই কম।
কৃন্তনিকা
যদি ধরাও পড়ে, এদের বড় কোন শাস্তি হবে না। সবচেয়ে বড় সাজা হিসেবে কয়েকবছরের জেল হতে পারে।
কিন্তু এসব অমানুষদের হওয়া উচিৎ মৃত্যুদন্ড…
অনেক যুগোপযুগী পোস্ট…
জিসান শা ইকরাম
অপরাধ প্রমান হলে তারপর।
কিন্তু বাদি,স্বাক্ষী বছরের পর বছর কোর্টে ঘুরবেন এটা আশা করা যায় না।
কিছুই হবেনা আইনে।
স্বপ্ন নীলা
দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা নিক —-
জিসান শা ইকরাম
কয়েকটার ক্রস ফায়ার হোক ………
নুসরাত মৌরিন
জিসান ভাই।আসলে আমাদের প্রসাশন নির্লিপ্ত কেন জানি না।
আসলে খুব হতাশ লাগে,এই নষ্ট সমাজ দেখে।
সেদিনের ঘটনার পর হাতাশা আরো বেড়েছে বই কমেনি
জিসান শা ইকরাম
কিছুটা কাজ হচ্ছে
তবে তা খুব আশাপ্রদ নয়।
হতাশ আমিও……।।
সীমান্ত উন্মাদ
আমার মতে এদের ডাইরেক্ট ক্রসফায়ারে দেওয়া উচিত। কারন এদের আর একাক্তরের সেই সব রাজাকার ধর্ষকদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। এরা আমাদের সাধীনতাকে আবার হরন করার চেষ্টা করছে আমাদের মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে খেলায় মেতে।
জিসান শা ইকরাম
প্রচলিত আইনে এদের কিছুই হবেনা
প্রচলিত ধারায় ক্রস ফায়ারই একমাত্র শাস্তি হতে পারে এদের অপরাধের।
ব্লগার সজীব
কোন ভাবেই এই সব বিকৃত মনাদের দমানো যাবে বলে মনে হয়না।সমাজটা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জিসান শা ইকরাম
আমারো তাই মনে হচ্ছে।
ছাইরাছ হেলাল
এ ঘটনা এই প্রথমবার ঘটেছে তা নয়। আগেও যারা ঘটিয়েছে চিহ্নিত হয়েও
তাদের বিচারের আওতায় আনা গেছে এমন সংবাদ আমরা পাইনি।
এবারে কী হবে তা আমরা জানি না।
জিসান শা ইকরাম
প্রচলিত আইনের বিচারে কিছুই হবেনা
আইন সংশোধন করতে হবে………
কিন্তু তা করা হবেনা, পুরুষের এই আনন্দ তাতে বন্ধ হয়ে যাবে একারনে।
শুন্য শুন্যালয়
কি বলবো ভাইয়া, আদৌ কি এদের উপযুক্ত শাস্তি হবে? সত্যি বলতে কি সম্মান নিয়ে এসমস্ত অনুষ্ঠান থেকে ফিরে আসাই যেন এখন দুষ্কর। যেসমস্ত ধর্মের লেবাসধারী কে দেখা যাচ্ছে, এরা সবাই তেতুল হুজুরের মতো নোংরা বিকৃতকারীদের অনুসারী। এমন তো করবেই। তবে না বলে পারছিনা, শুধু ধর্মের লেবাস ধারীই নয়, মেয়েরা বাসে, বাজারে আর এসব অনুষ্ঠানে কোন ভাবেই সুরক্ষিত ভাবে ফিরে আসতে পারেনা, একজন মেয়ে মাত্রই তা জানে। মেয়েরা লজ্জায় মাথা নিচু করে বের হয়ে আসে কতজন, তার কোন পরিসংখ্যান কিংবা ভিডিও নেই।
এই বাস্টার্ড গুলোর উপযুক্ত বিচার হলে হয়তো আরো কএকজন একটু থেমে থাকবে। দেখতে চাই এর শেষটা। ফলো আপ পোস্ট চাই জিসান ভাই।
জিসান শা ইকরাম
বাসে,বিভিন্ন মার্কেটে,ভীরে এমন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারীরা প্রতিনিয়ত।
প্রকাশ করছেন না তারা
সামাজিক লোক লজ্জার ভয়ে।
প্রকৃত শিক্ষা ব্যতীত এই অবস্থা থেকে উত্তরনের কোন সম্ভাবনা নেই
প্রচলিত আইনের মারপ্যাঁচে এসব ক্ষেত্রে বিচার পাবার সম্ভাবনা খুবই কম।
অরণ্য
জিসান ভাই, শেষ লাইনটি (দু একটাকে প্রচলিত আইনে নয়, প্রচলিত ধারায় ক্রস ফায়ার দিয়ে মেরে ফেলাও যায়। হায়েনা এবং পশুকে মেরে ফেলাই উচিৎ।) হয়তো উত্তপ্ত মাথায় লেখা । আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মানষিকতাকে পরিহার করতে বলি মানুষদের। ভাল থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
এ ব্যতীত এই অপরাধ কমবে না
দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
আইনের যে মারপ্যাচ,তাতে এসব অপরাধের বিচার হবার সম্ভাবনা খুবই কম।
উত্তপ্ত মাথায় না, ঠান্ডা মাথায় লিখেছি 🙂
ইমন
সম সাময়িক পুষ্ট। ভালো লাগলো। 🙂
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ইমন।
মোঃআয়নাল
ভাইজান আমার একটি কবিতা প্রকাশ হয়ছেলু
কি কারনে তা প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নিলেন
বোঝতে পারলাম না
দয়া করে ভলবেন
আপনি মন্তব্য করছিলেন
ব্লগার সজীব
তাইতো বলি,এমন লেখা আসে কিভাবে মোঃ আয়নালের লেখায়? যিনি মন্তব্য লিখতেই ভুল করেন,তিনি লিখবেন এই কবিতা? এই লেখা চোরকে অতিদ্রুত ব্যান করার দাবী জানালাম।
মোঃআয়নাল
ব্লগার সজীব ভাই আপনি যে কথা গুলু “উলেক্ষ করেছে তা ঠিক না কারো লেখা চুরি করে লেখক হুয়া ঝায় না
ব্লগার সজীব
গুলূ,উলেক্ষ,করেছে,হুয়া,ঝায় > এক লাইন মন্তব্যে আপনি ভুল করেছেন পাচটি।আপনি এত শুদ্ধ কবিতা লিখেছেন? হাসালেন মোঃ আয়নাল।আপনার লেখায় জিসান ভাই কয়েকটা লিংক দিয়েছেন,আপনি আপনার লেখায় গিয়ে তা দেখে জবাব দিন।আপনি একজন লেখা চোর।
রিপন তালুকদার
বাংলাদেশে আইন আছে তবে এর প্রয়োগ নেই !! ঐ হায়েনাদের গ্রেপ্তারেরও কোন ইচ্ছে নেই বলে মনে হচ্ছে সর্কারের ! দেশ কি এভাবেই চলবে !
জিসান শা ইকরাম
বিদ্যমান আইনে এই সব অপরাধীদের বিচারের আশা আসলে শুন্য ভাগ।
লীলাবতী
মনে হচ্ছে X-ফাইলস হয়ে গিয়েছে এই ঘটনা।নিরাপদ নই আমরা আর কোথাও।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা,আমাদের সমাজে নারীরা কোথাও নিরাপদ নয়।