ইচ্ছে…

শুন্য শুন্যালয় ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, মঙ্গলবার, ০৯:৪৯:০৪পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৫৭ মন্তব্য

উথাল-পাথাল কথক অন্ধকার পথ। কেউ একজন পাশে আছে কিনা তা শুধুই শব্দে অনুভব। কিংবা স্পর্শে। তখনও হাতে হাতবিজয়ী মোবাইল ছিলোনা। পাশে কোন কবি ছিলোনা যে বলবে তোমার আলোয় আজ সহস্র অন্ধকারের ছুটি হলো। নিরুপায় আমরা আর আমাদের শব্দ নেকলেস। হেঁয়ালি ভরে আমাদের না পারাকে এক গাল ভেংচি কেটে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলো আকাশের তারা। আলো বা অন্ধকারে যাদের কিছুই যায় আসেনা এই আমাদের মতো। নিরুদ্বেগ তাদের গল্পে মিটমিট আলোর খেলা দেখি, আর ভাববো কি ভাববো না, পৌঁছে যাই পাতাল তারার দেশে। জোনাকি রাজ্য। হাজার হাজার জোনাকি। এ যেন ষড়যন্ত্রে মশগুল ম্যাজিক সৃষ্টি। নে বাবা, তোরাই জিতেছিস। সদম্ভরে মনে মনে বলি, অন্ধকারের আরেক রূপ তোদের কাছে চির অজানাই থেকে যাবে।

ক্রমশ ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে আমি আলো ছেড়ে কান পেতে রই। দিব্যি করে বলছি ওইদিন ভালোবেসেছিলাম। সেই মরা অন্ধকারে আমি আলো আর সঙ্গী ছেড়ে তাকেই ভালোবেসেছিলাম। চোখ অন্ধই হয়ে ছিলো অন্ধকারে, দু'কান খুলে মন খুলে সেই ঝিঁঝিঁ ঝংকার আমি ভেতর পর্যন্ত টেনে নিয়ে এসেছিলাম। ভালোবাসা নাকি ফিরে ফিরে আসে। ফিরে এসেছে সেই ঝংকার। সোহাগে টেনে নিতে পারিনা শুধু। ঈর্ষান্বিত ঝিঁঝিঁ সব সুর কেড়ে নিচ্ছে আমার। টুপটাপ কুয়াশা, খসে পড়া ফুল, মাথা দুলিয়ে সুর করে পড়ে যাওয়া বালিকার বই, নৈশব্দের শব্দ সব কেড়ে নিচ্ছে একে একে। আকাশ পাতাল তারাদের স্বাক্ষী রেখে ভালোবাসার সেই ঝিঁঝিঁ স্বাক্ষী বিহীন করে যাচ্ছে একের পর এক নিষ্ঠুর সর্বনাশ। গ্রাফের রেখাটা পাতাল বিজয়ের মতো দৌঁড়ে নেমে যাচ্ছে সিঁড়ি বেয়ে।

ঈশ্বর, আমাকে বাঁচিয়ে রাখো ততদিন, যতোদিন ভোরের পা টিপে টিপে আসার শব্দ আমি শুনে যেতে পারি, নইলে মৃত্যই সই।

0 Shares

৫৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ