পপকর্নঃ
উপকরন:ভুট্টার দানা সিকি কাপ,লবণ সামান্য,সয়াবিন তেল বা ঘি ১ টেবিল চামচ
প্রণালী:কড়াই গরম করে তেল দিতে হবে.তেল গরম হলে তাতে ভুট্টা ও লবন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে. কয়েক বার ঝাঁকিয়ে দিতে হবে.এর পর সব গুলো দানা ফুটলে নামিয়ে নিতে হবে।
কতই মজাদার একটি খাবার। অথচ ভুট্টোর দেশে ভুট্টা দিয়ে বানানো এই মজাদার খাবার খেতে কেউ যায়না। কত ডিমান্ড ঐ দেশের ছোট ভুট্টো গুলোর। বাংলাদেশে যখন এই ভুট্টো গুলো আসে, ভুট্টো প্রেমিরা হাতে পুরানো ঘি নিয়ে বসে থাকে মাখানোর জন্য। ঘি মাখানেওয়ালারা বনেদী শ্রেণী ভুক্ত। যাদের ঘি কেনার সামর্থ নেই, তারা সয়াবিন তেল নিয়ে যায়। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে হোটেলে কখন একান্তে একটু ঘি বা সয়াবিন তেল মাখাবে। কখন লবণাক্ত স্বাদ গ্রহন করবে।
গরম ( হট ) অবস্থাতেই তেল বা ঘি দেয় ভুট্টো প্রেমিকরা। প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে তেলে পুরোপুরি মাখা মাখি। সবশেষে লবন। ঢেকে দিতে হবে কিন্তু। ঝাঁকি দিতে হবে মাস্ট, ভুট্টোর স্বাদ পেতে হলে ঝাঁকি আবশ্যক। অবশ্য ঝাঁকিতেই প্রস্তুত প্রণালী সমাপ্ত।
যতই ঢাকা হোক, পপকর্নের সমস্ত ক্রিয়া কলাপ অনেক আগ থেকেই এই বাঙ্গালী অবগত। এই গোষ্ঠি ভুট্টো প্রেম ছাড়তে পারেনা। তাই সারা বিশ্ব যখন ভুট্টো খাওয়া বর্জন করে, তখন এরা সিদ্ধান্ত নেয় ভুট্টোর দেশে পপকর্ন খেতে যাবার। সমালোচনার মুখে তা আবার বাতিল করে। কিন্তু ভুট্টো প্রেম এতই মজাদার যে, এবার এই সোনার বাংলায় আমন্ত্রন। পপকর্নের ষ্টকে মনে হয় ঘি অনেক জমা হয়েছে। মালিশ করার জন্য অস্থির হয়ে আছে। লজ্জাও নেই এই পপকর্নের। কিছুদিন আগে বিশ্বসেরা অল রাউন্ডারের অঙ্গে এখন আর দুর্গন্ধ নেই।
মা তোর বদন খানি মলিন হলে আমি নয়ন
ওমা আমি নয়ন জলে ভাসি সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি ।।
২৩টি মন্তব্য
নুসরাত মৌরিন
হুম। ভুট্টু প্রেম থুক্কু ভুট্টো প্রেম জটিল জিনিস!!
বাঁশটা ভাল হইছে!!! 😛
😀
জিসান শা ইকরাম
আসলেই গভীর প্রেম, ভুলতে পারে না কিছু কিছু মানুষ ।
কৃষ্ণমানব
আমি ক্ষুধার্ত ।
ইহাতে পেটের মধ্যিখানে তেমন কিছুর গোলযোগ হবে না 😮 ।
যাই হোক প্রেম হৃদয় বলিয়া কথা :v !
কিছু না পেলে চালাতে তো হবেই 🙁 ।
বেশী করে কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিবেন .. :3
জিসান শা ইকরাম
কৃষ্ণ মানব কি বুঝেছে কি লিখেছি ? নীলাঞ্জনা নীলার মন্তব্যে লিংক দিচ্ছি।
লীলাবতী
ভাল
লীলাবতী
নেট না থাকায়,মোবাইল দিয়ে কমেন্ট করেছিলাম পুর্বে। তখন আসলে বুঝতেও পারিনি লেখা। ভালোই তামাশা শুরু হয়েছে।
জিসান শা ইকরাম
হুম, তামাশা দেখেই যাই শুধু ।
সাইদ মিলটন
পপকর্ন কোন ব্রান্ডের মালখায় জানতে মুঞ্চায় 🙁
জিসান শা ইকরাম
ব্রান্ড ছাড়া, বাংলা । গাজাও খাইতারে 🙂
মিজভী বাপ্পা
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ 🙂
জিসান শা ইকরাম
আপনাকেও ধন্যবাদ পঠনের জন্য 🙂
ছাইরাছ হেলাল
তলোয়ায় তৈল ও ঘৃত মর্দন চলিবেক। যেমন চলে আসছে আগেও।
জিসান শা ইকরাম
চলুক, আমরা শুধু দেখে যাই ।
সীমান্ত উন্মাদ
অসাম বেম্বু মামা। প্রতি ইঞিতে আইক্কা গুনতে গুনতে হেতার হাগল হই যাইবো
জিসান শা ইকরাম
এর লাজ শরম নাই। পাক প্রেম আছে বোর্ডের কয়েকজনের।
খসড়া
একি অপরূপ রূপে মা তোমার হেরিনু পল্লি জননী।
খেয়ালী মেয়ে
জিসান ভাইয়া যদিওবা খাওয়ার ব্যাপারে আমি খুব অলস,তারপরও খাওয়ার ছবি দেখলে কিন্তু আমার খেতে মন চায়-এখন আমার পপকর্ন খেতে ইচ্ছে করছে , আমি পপকর্ন খাবো ;(
ব্লগার সজীব
এই লোকটা একজন ভাড় হিসেবে বিদায় নিবে মাষ্ট। ভাবতে কষ্ট হয় উনি একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় মা বাবার সন্তান ।
নীলাঞ্জনা নীলা
কিছুই বুঝলামনা। বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
বন্য
হা হা হা কোথাকার পানি শেষে কোথায় গিয়ে গড়াল তা বুঝা গেল, আমি আবার এই পপকর্ণ প্রেমী না, খাওয়াতো দূরের কথা চেহারাই দেখতে পারি না। নামের কি অপূর্ব মিল!!
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
হাআহাহাহাহাআহাহ ৩২ টা দাঁত বাহির কইরা একটা হাসি দিলাম 😛
মরুভূমির জলদস্যু
এখন এটা বাসায় কেউ বানায় না, পথের ধারেই হরহামেশাই পাওয়া যায়। আমরা কত আরাম প্রিয় হয়ে গেছে!!
মোঃ মজিবর রহমান
বস, আমাদের কেউ নেই।
ভারত পাশেও নেই কাউকে থাক্তেও দেইনা।
আবার খেলতেও চাইনা।
তেমনি ভুট্টের দেশ আমাদের মালিশ করতে এলেও করতে পাল্লনা।
বাশ আঝুড়া হইল।