"দৃষ্টিভঙ্গি বদলান
সমাজ বদলে যাবে"
স্টেজে এমন ভাষনের দরুন হাততালি আর বাহবার হিরিক পরেগেলো।ভাষন শেষে কলেজের সেই নেহাৎ ভদ্র আর সুশীল ভিপি সাহেব এসে সিএনজিতে উঠলো। সি এনজির সমনে ড্রাইভার এর বামে আমি বাসে আছি, ডানে সেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো সুশীল বি,পি সাহেব।সমেনে লুকিংগ্লাসে চোখ পরলো আমার, পেছনে বসা সুন্দরীর ময়াভরা মুখখানি স্পস্ট দেখা যাচ্ছে। এবার আমি চোখ রাখলাম সুশিল ভাইয়ার চোখে। মেয়েটার স্বামী (যদি থেকেথাকে) যেসব সাইজ ভুলে ঝাবে ঐ সুশীল ভাইয়া সেসব সাইঝ ও সঠিক বলতে পারবে। তার চাহুনির ধরন এমনই ছিলো।
কি আর বলবো, মনেহয় সে দৃষ্টভঙ্গি বদলেই ওভাবে দেখেছেন।
ধরুণ, একটা মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে, পাশথেকে একটা ছেলে এসে তার গালে চুম্মা দিয়েদিলো।মেয়েটা যখনি ছেলেটার দিকে তেরে আসলো,ছেলেটা নরম স্বরে বললো, আপু আমিতো দৃষ্টি ভঙ্গি বদলে, আপনাকে আমার আপু ভেবে তবেই দিয়েছি।
যরা কাথায় কথায় দৃষ্টিভঙ্গি বদলানের কথা বলে সেসব মিচকা শয়তানদের বলছি।
সবজায়গায় নবীর সব হাদীসই খাটেনা, আর তোরাতো আতেল মার্কা সুশীল। তোরা তো এটা বলে নারীকে উস্কে দিচ্ছিস যেনো তারা অশ্লীল পোষাকে চলে, আর তোরা লুকিয়ে, আড়ালে তোদের অমানিসিকতা চরিতার্থ করতে পরস।
আর সব নারীদের উদ্দেশ্যে বলতেচাই, যদি নিজেকে দামী মনে করেন। বা নিজের সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে চান তবে পর্দাকরুন। বেপর্দা নারী কখোনো সম্মানী হতেপারেনা। হতেপারে শখের বসে কেনা দামী কোনো পন্য, যার প্রতি টান থাকে সাময়ীক সময়ের জন্য।
আর হ্যা, নিজেকে যদি মুসলিম বলে মনে না করেন, তবে কিছু বলার নেই। যদি মুসমিল মনেকরেন, তবে শুনেরাখুন, নারীর প্রতি পর্দা ফরজ করা হয়েছে।আর পুরুষকে চক্ষু অবনতো করে চলতে বলেছে।
দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর কথাটা আমি সমাজের সকল ক্ষেত্রে মনালেও নারীর পোষাকের ব্যাপারে মানতে পারিনা।
২৪টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার ব্যাক্তিগত মতামতে কিছু বলার নেই। একজন মুসলিম যদি আরেকজন মুসলিমকে পর্যাপ্ত সম্মান না করেন, তাহলে দোষ ধর্মের না, দোষ শিক্ষায়। ইসলামে বলা হয়েছে অন্যের মতামত ও জ্ঞানকে সম্মান জানাতে। এছাড়াও দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হতে হবে তারও ব্যাখ্যা দেয়া আছে। সমস্যা হলো সহিহ হাদিস আমরা যত না পড়ি তার চেয়ে নিজের পছন্দমত হাদিসের বাণী নিয়েই বেশি কপচাই। ইসলামে কোরআন ও হাদিসের আলোকে সব করতে বলা হলেও ইজমা, কিসাস এর বিধান আছে। এগুলো তৈরি হয়েছে সময় ও পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে ধর্মকে সহজ ব্যবস্থায় পালিত হওয়ার জন্যেই। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা অধর্মেরই সামিল।
শুভ কামনা 🌹🌹
মোহাম্মদ দিদার
আমি আপনার মন্তব্য পেয়ে শিক্ত।
কারণ সহজ কথা গুলোকেই অনেকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে বিরুপ পরিবেশ সৃষ্টি করে।
আপনি তা করেন নি।
কৃতজ্ঞতা জানবেন…….
নিতাই বাবু
“তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে-কি মোর অপরাধ?” এই কথাটা যেন কার! তা মনে করতে পারছি না। তবে হ্যাঁ, আসলে সেভাবে মায়ের জাতি নারীর দিকে তাকাই না। তাকাই শয়তানের চোখ দিয়ে। তবে সব পুরুষই নয়!
মোহাম্মদ দিদার
তুমি সুন্দর… কথাটি খুব সম্ভব বিদ্রহীর।
সব পুরুষ / মহিলা কোনোটাই এক নয়। সব ক্ষেত্রে সব হাদীস চলেনা এটাই বুঝাতে চেয়েছি।
নিতাই বাবু
সত্য কথা!
সুরাইয়া পারভিন
আসলে হাদিস সম্পর্কে সবাই অবগত, কিন্তু কয়জন তা মানতে পারি আমরা? কিছু কথা বলতে হয় তাই বলা
ইঞ্জা
আপনার সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করছি ভাই, পর্দা ফরজ করা হয়েছিলো তা ঠিক আছে, কিন্তু কোন নারী যদি পর্দা না করে রাহলে তার দিকে লোলুপ দৃষ্টি দেওয়া পুরুষটার প্রতি কি আল্লাহ নারীকে সম্মান করতে নিষেধ করেছেন?
এখন পুরা পৃথীবিই নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, সেইখানে অযথা কেন নারীর পর্দা নিয়ে কথা বলা, বরঞ্চ লোলুপ দৃষ্টি দেওয়া মানুষ গুলোর জন্য হাদিস বলুন।
নীরা সাদীয়া
সহমত পোষণ করছি ইঞ্জাভাই। দেখুন, নারীর সতীত্ব নিয়ে মানুষের যতটা মাথাব্যথা, তার এক ফোটাও যদি পুরুষের সৎ থাকা নিয়ে হতো, তাহলেও ভালো ছিলো। অথচ একটা আয়াত, হাদিস কিচ্ছু শোনা যায় না, যেটাতে পুরুষদের সততা রক্ষা করতে বলা হচ্ছে। সকল নারী বেপর্দা এটাও সত্যি নয়। তাছাড়া এদেশের মেয়েরা যথেষ্ট শালীন পোশাক পরেন। তারপরও নারীর পোশাক নিয়ে তোলপাড়, কিন্তু পুরুষের লোলুপতা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। অথচ বোরখা পরেও নুসরাতরা রক্ষা পায় না! কী আজব মানসিকতা!
ইঞ্জা
সত্যি তাই আপু, আমরা পুরুষদেরই উচিত মনমানসিকতা চেইঞ্জ করা।
মোহাম্মদ দিদার
আপনি দ্বিমত পোষণ করবেন এটা অস্বাভাবিক কিছুনয়, বরং স্বাভাবি, কারণ আপনি আমি দুটি আলাদা মানের মানুষ।
আমি নারীকে অসাম্মান করিনা করতেও চাইনি, বুঝাতে চেয়েছি এটুকু যে, তারা কিছু সুশীল নারীকে স্বাধীনতার নামে রাস্তায় নামিয়ে আনছে আর নিজেদের কুৎসিত মনোলীলা পূর্ন করছে। আর নারীরাও তাদের তালে তাল মিলিয়ে নিজেদেরকে সস্তায় বিকাচ্ছে।
তারা ভুলতে বসছে যে, সবচেয়ে দামী তাদের সতিত্ব, মাতৃত্ব তাদের কাছে আছে।
তারা ভূলতে বসেছে যে তারা মা, ভোন, বা প্রিয় বউ হওয়ার জন্য, পুরুষের তুলনায় তিনগুন বেশী মূল্যবান।
আর হ্য, প্রিয়জী বিশ্বের এমন কোনে ধর্ম গ্রন্ত আছে কি যেটা নারীর বেপর্দাকে সপর্ট করে।
দয়া করে লেখাটা আরেকবার পরলে হয়তো, আমি যা বুঝাতে চেয়েছি তা সঠিক বুঝতে পারবেন।
ভালো থাকুন।
ইঞ্জা
ভাই মেয়েদের কথা বলছেন কেন, আমরা পুরুষরা তো ধোয়া তুলসীপাতা না, পুরুষরা তাদের মনমানসিকতা বদলাক, এতে নারীরা রক্ষা পাবে, আমাদের সকল নারীদেরকে সম্মানের চোখে দেখা উচিত।
আরজু মুক্তা
আমি না ধর্ম কম বুঝি। তবে সবকিছুতে সুন্দর ও সহনশীল হওয়া ভালো। এটা যেমন ছেলেদের, তেমনি মেয়েদের। আর হ্যাঁ। ছেলেরা যে বেশি খারাপ হবে সেজন্য আল্লাহ ও মূলা ঝুলিয়েছেন। সত্তরটা হুরপরী পাবে। তারপরেও পুরুষরা যে কেনো ভালো হয়না?
মোহাম্মদ দিদার
নারী পুরুষ দু জনই দোষী,
আবার দুজন ই ভালো।
আমি নারী পুরুস দের ভালো মন্দ, বা দোষী নির্দোষী বিচার করতে বলিনি।
কোনো ধর্ম মানতে হবে তাও বলিনি।
শুধু বুঝাতে চেয়েছি। ঐ নামে মাত্র সুশীলদের চরিত্র চেহারা।আর বোঝাতে চেয়েছি ঐ বিকৃত মানষিকতায় সায় দিয়ে নিজেকে সস্তা বানানো নারীদের বোকামী।।
আশাকরি বুঝাতে পেরেছি।
আর হ্যা।
আমার জানা মতে পৃথিবীর কোনে ধর্মগ্রন্থই নারীর বেপর্দা, পুরুষের লেলুপ দৃষ্টি সমর্থন করেনা।
মনির হোসেন মমি
কথাগুলো মন্দ নয় তবে মানা না মানা যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। শুধু নারীর পর্দা করা নয় ইসলামে পাশাপাশি পুরুষদর নজর পর্দার কথাও হাদিসে বলা হয়েছে। আসলে সবাই ভাল থাকতে সবাইকে ভাল রাখতে ভাল এবং মন্দ এ দুটো বিষয়ে সামান্য জ্ঞান না থাকলে তাকে আর মানুষ বলা যায় না। এখন ধরেন একটি মেয়ে আমার সাথেই কাজ করছেন খুব পর্দা করে এখন যদি আমি তাকে নিয়ে শয়নে স্বপনে অনেক কিছু ভাবি এবং এ ভাবা একটা সময় হয়তো মেয়েটির ক্ষতিকর হয়ে যেতে পারে সুতরাং হাদিস কোরানে পর্দার চেয়ে নফস বা অন্তরকে পরিষ্কার রাখার বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন তাইতো ইসলামে আছে নিজের মেয়ে যদি বড় হয়ে যায় তখন তার জন্মদাতা পিতাকেও মেয়ের সাথে পর্দায় কথা বলতে বলা হয়েছে। সুতরাং মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই পর্দার প্রয়োজনীয়তা অনেকটা কমে যায়।তবে ধর্মের বিধান মেনে চলাই শ্রেয়। ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার উপস্থাপনা।
মোহাম্মদ দিদার
একটু হলেও নগন্য এই আমি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি,ধন্য হলাম।
শাহরিন
কেন বেপর্দা নারীদের যে যা খুশী বলতে পারবে এটা কোথায় লেখা আছে????
মোহাম্মদ দিদার
দয়াকরে লেখাটি পরে, আমি কি বেঝাতে চেয়েছি সেটুকু বোঝায় চেষ্টা করুণ।
বেপর্দা নারীকে কেউ সম্মান করবেনা, যা খুশি বলবে, কোন লাইনে বা কোন শব্দে বলেছি, দেখিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
আপনারা আমার থেকেও বিজ্ঞজন, পারলে ভূল ধরিয়ে দেবেন আমি কিছু মনে করবো না। বরং কৃতজ্ঞ থাকবো।
অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে জামেলা না বারানোই শ্রেয়।
মনে রাখবেন, পৃথিবীর কেনো ধর্মই বেপর্দা সমর্থন করেনা।
শাহরিন
কোনটা অপ্রাসঙ্গিক বলতে চাচ্ছেন? আর দেখিয়ে দেবার কিছু নেই। আপনি কোথায় লিখেছেন সেটা আপনি জানেন। ধর্মের কথা টানার কি উদ্দেশ্য বুঝতে পারিনি। শুধু পর্দার ব্যাপারে ধর্মের কথা মনে আসে???
তৌহিদ
নারী বেপর্দা হবে নাকি পর্দানশিন হবে এটা তার ব্যক্তিগত অভিরুচি। সমস্যা হচ্ছে আমরা এখন অনলাইন হাদিসে বিশ্বাসী, মূল বইয়ের নই। নারীকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। ধর্ম মানা যার যার ব্যক্তিগত অভিরুচি।
মোহাম্মদ দিদার
কে পর্দা করলো না করলো তা বোঝাতে চাইনি প্রিয় ভাই।
বোঝাতে চেয়েছি, কিছু কুলাঙ্গার নিজেদের বিকৃত মানষিকতা চরিতার্থ করতে,নারীকে আধুনিকা, বা স্বাধীনতা নামের ফাদ পেতে রাখে।
আর কিছু নারাী ধেই ধেই করে সে ফাঁদে পা দেয়।
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন গুনিজন।।
ছাইরাছ হেলাল
পর্দার বিধান দ্বিপাক্ষিক, তাই এক জনকে দোষারূপ করার কিছু নেই।
সুবিধাবাদীরা সব সময় ছিল, থাকবে-ও।
মোহাম্মদ দিদার
আমি এই সহজ কথাটাই বোঝাতে চেয়েছি।
আর বোঝাতে চেয়েছি সুবিধা বাদীদের খপ্পরে পরা নারীদের কথা।।।
জিসান শা ইকরাম
সুশীলরা শুধু বক্তৃতা দিয়েই যান, বাস্তবে তারা নিজেরাই এমন নয়।
আমাদের দেশের নারীরা যথেষ্ট শালীন পোষাকই পরিধান করেন বলে আমার ধারনা,
বেপর্দা বলতে কি বোরকা বা হিজাব বুঝিয়েছেন? বোরকা বা হিজাবের বর্তমান ব্যবহার কিন্তু ১৯৭১ সনের পুর্বেও এত ছিল না, এখন যেভাবে আছে। কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
নারীর প্রতি দৃষ্টি ভংগি বদলাতে হবে পুরুষদেরই।
ধর্মের কথাই যদি বলেন, কবিরা গুনার মধ্যে বোরকা বা হিজাব পরিধান না করা কবীরা গুনাহ না। অথচ আমরা এটিকে এমন ভাবে হাইলাইটস করি যে- এক নং কবিরা গুনাহ হচ্ছে বোরকা বা হিজাব।
শুভ কামনা।
মোহাম্মদ দিদার
প্রিয়জন।
গুরিয়ে ফিরিয়ে , আমি আপনার মন্তব্যের প্রথম লাইনটাই বুঝাতে চেয়েছি।
শুভো কামনা রইলো