যাত্রীরা সব ট্রেনে বসে তালে তালে দুলছে,
কেউবা আবার অকারণে মাথাটা চুলকাচ্ছে।
ফেরিওয়ালা, ভিক্ষুক আর খাবার বিক্রেতা,
অবাধ তাদের বিচরণ সামান্যই ক্রেতা।
কেউবা আবার কাঁধের কাছে দাঁড়িয়ে একনাগাড়ে কাঁসছে।
ট্রেনে ভ্রমণের আনন্দটাই মাঠে মারা যাচ্ছে।
একটা করে স্টেশন পিছনে চলে যাচ্ছে,
নতুন আরেকটা স্টেশনের জন্য ট্রেনটা এগিয়ে চলছ ।
মায়ের কোলে ছোট্ট শিশু মনের সুখে খেলছে,
কেউবা আবার তাল মিলিয়ে ট্রেনের সাথে দুলছে।
শাপলা বিলের পাশ দিয়ে রেলগাড়িটা ধায়,
শব্দ পেয়ে বকগুলো সব আকাশে উড়ে যায়।
সাদা সাদা বকের সারি কি অপূর্ব লাগে,
সবুজ মাঠে সোনালী ফসল কৃষকের চোখে মুখে আনন্দের ঢেউ জাগে।
ট্রেনের জানালা থেকে চোখ সরিয়ে দিয়েছি মোবাইলে মনোযোগ,
হেঁচকাটানে ছো মেরে মোবাইলখানা কেড়ে নিলো অচেনা আগুন্তক।
নানারকম কীর্তিকলাপ ট্রেনের মাঝে রোজকার ঘটনা,
মোটেই এগুলো মিথ্যে নয়, নয় কোনো রটনা।
১১টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বাহ খুব সুন্দর বাস্তবতার ছায়া আছে কবি আপু ভাল থাকবেন—–
ফারজানা তৈয়ূব
ধন্যবাদ
হালিমা আক্তার
আমার মোবাইল ট্রেন থেকে নিয়ে গেছে। এরকম প্রতিদিন কতো কিছু নিয়ে যাচ্ছে। সুন্দর লেখা। শুভ কামনা রইলো।
ফারজানা তৈয়ূব
তাহলে তো তোর মনের কথায় লিখলাম।
নিতাই বাবু
আহারে ট্রেন! কতকাল ট্রেনে চড়া হয় না। একসময় অনেক চড়েছিলাম। নোয়াখালী থেকে নারায়ণগঞ্জ আসা-যাওয়া হতো, এই ট্রেনে চড়েই। এখন আর ট্রেনের ধারেকাছেও যাওয়া হয়ে ওঠে না।
ফারজানা তৈয়ূব
ট্রেনে ভ্রমণ অনেক মজার মজার অভিজ্ঞতা হয়।
রেজওয়ানা কবির
সিলেটে একবার ট্রেনিং এ গিয়েছিলাম প্রায় ২২ জন কলিগ। ফোন হাতে আমার এক আগন্তুক কেড়ে নিয়ে গেল আমার নোকিয়া লুমিয়া আর লাবনী আপুর অপ্প। কি কাঁদছিলাম আহা!!!মনে পড়ে গেল।
ফারজানা তৈয়ূব
আগুন্তকদের জ্বালায় সবখানেই সাবধানে থাকতে হয়।
ফারজানা তৈয়ূব
ঠিক বলেছেন, ধন্যবাদ, শুভকামনা
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সুন্দর বর্ণনা
অবশ্যই মিথ্যা নয়
যা পথে সর্বদা নজরে রয়।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
ফারজানা তৈয়ূব
ধন্যবাদ, বোরহানুল ইসলাম লিটন দাদাকে।