সময়ের স্মৃতির পটে

হালিমা আক্তার ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, সোমবার, ১২:২৬:৩২পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৪ মন্তব্য

সময় বদলায়। বদলে যায় জীবনের সমীকরণ। সময়ের গালিচায় বাহারি পথে চলি। সে পথ কখনো মসৃণ কখনো বন্ধুর। তবু ফেলে আসা স্মৃতি কে কাছে পেলে জাপটে ধরি। ছুঁয়ে দেখতে মন চায় সোনালী স্মৃতিকে। আহ! যায় না ছোয়া। তবু মন ঘুরে ফিরে ফিরে যায় তার আঙ্গিনায়।

গত ০৬/০১/২০২৩ স্কুল রিইউনিয়নে এমনি এক স্মৃতির হাট বসেছিল, কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে। জুনিয়র সিনিয়র কত চেনা মুখ। চেনা চেনা মনে হয়। সময়ের অবয়বে নামটা আসে না স্মৃতিতে। তাতে কি আসে যায়। চেনা অচেনা পুরাতন নতুন সব হয়েছি আজ একসাথে। ভুলে গিয়েছি আমাদের বয়স হয়েছে। ওই যে শাড়ি পড়েই মাঠে খেলতে নেমেছে একদল কিশোরী। হাডুডু, বৌ চি, দাঁড়িয়া বান্দা খেলার কথা করিয়ে দিল। আহ কি যে আনন্দ, কি যে উচ্ছ্বাস। কলমের আঁচড়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

আগেই বলেছি সময়ের সাথে সাথে সব কিছুরই পরিবর্তন ঘটে। শুধু মূল শিকড়টা শক্ত করে মাটির সাথে আটকে থাকে। ডালপালা গুলো প্রয়োজনের তাগিদে যদি ঝরে পড়ে, আবার সেখানে নতুন ডালপালা জেগে ওঠে। এভাবেই নতুনের সাথে নিয়ে পুরাতন এগিয়ে চলে। আমাদের ভালবাসার সোনালী কৈশোরের স্থানটি ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। আর বার পিছনে ফিরে ফিরে তাকিয়েছি। কোন শ্রেণিতে কোন রুমে ক্লাস করেছি। অনুভূতিগুলো বার বার যেন জেগে উঠেছিল। তখন স্কুলে দুইটি ভবন ছিল। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পুরাতন ভবনে ক্লাস করেছি। নবম ও দশম শ্রেণি নতুন ভবনে ক্লাস করতাম। বান্ধবীরা ঘুরে ঘুরে সেই পরশ পাওয়ার আনন্দটুকু নিয়েছি। টিফিন রুম, নামাজের রুম যথাস্থানে আছে। সে বিশাল পুকুরের হাহাকার যেন বিঁধে ছিল বুকে। আম গাছ, জাম গাছ, আরো কত কি। কৃষ্ণচূড়ার সেই চোখ ঝলসানো রূপ। আজ আর কোথাও নেই। কালের সাক্ষী হয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে তেতুল গাছ দুটি।

কনকনে শীত। হিমেল হাওয়া। কে মানে সে বাধা। বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। হাসি আনন্দে কখন যে সময় শেষ হলো। আজ বারবার বলতে ইচ্ছে করে-

যখন তুমি ছিলে কাছে

এমন করে ভাবিনি তো আগে,

আজ বিদায়ের কালে

সে কথা শুধুই মনে পড়ে।

0 Shares

৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ