প্রখ্যাত এক ব্লগে একজন ব্লগারের লেখা চোখে পড়লো। লেখাটি সে সময় লেখা যখন এক রাজাকারের ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন যুদ্ধের রেফারেন্স দিয়ে তিনি লিখেছেন, যেকোন যুদ্ধেই একজন বিপ্লবী কে প্রতিপক্ষ দেখে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে। সিপাহী বিদ্রোহ ব্রিটিশদের কাছে ছিলো সিপাহী বিদ্রোহ আর সিপাহীদের কাছে সিপাহী বিপ্লব। মোদ্দা কথা তার লেখার সারমর্ম হচ্ছে যাদের আমরা রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী হিসাবে ঝুলিয়ে দিচ্ছি তারা আসলে এক একজন বিপ্লবের ঝান্ডা ...
কবে কাকে যেন একবার বললাম, পৃথিবীতে ভালো আর মন্দ বলে কিছু কি আছে? খুনীর খুনের পেছনে একটা লজিক থাকে, তার হিসাবে সে সহি। তার মানে কি দাঁড়ালো? খুনীরাও এক একজন পীরের বাদশা?

এবার রিসেন্ট ঘটনাটা। সুরা বাক্কারাহ্‌'র দুটো আয়াতের কথা উল্লেখ করবো,
(১৯৪) পবিত্র মাসের খাতিরে, আর সব নিষিদ্ধ ব্যাপারে প্রতিশোধ নিতে হবে। কাজেই যে কেউ তোমাদের উপরে আক্রমণ চালায়, তোমরাও তবে তাদের উপরে আঘাত হানবে সেইভাবে যেমনটা তারা তোমাদের উপরে আঘাত করেছিল। আর আল্লাহ্‌কে ভয়-শ্রদ্ধা করবে, আর জেনে রেখো নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ ধর্মভীরুদের সাথে আছেন। ----- এখানে পবিত্র মাস মানে রমজান মাস।

(২১৭) তারা তোমাকে পবিত্র মাস সম্পর্কে প্রশ্ন করছে -- তাতে যুদ্ধ করার ব্যাপারে। বলো -- ''এতে যুদ্ধ করা
গুরুতর, কিন্তু আল্লাহর রাস্তা থেকে ফিরিয়ে রাখা, আর তাঁর প্রতি ও পবিত্র মসজিদের প্রতি অবিশ্বাস পোষণ করা, এবং তার বাসিন্দাদের সেখান থেকে বের করে দেয়া আল্লাহর কাছে আরও গুরুতর! আর উৎপীড়ন হত্যার চেয়ে গুরুতর। (হত্যার চাইতেও গুরুতর আছে তাহলে?)
----------আয়াত দুটো নেয়া হয়েছে এই অনুবাদ থেকে

এরকম কিছু আয়াতের কথা অনেকেই এনেছে। আনছে। না আনার কোন কারন ও দেখছি না, কারন কোরআন কে বলা হয় পরিপূর্ণ জীবনবিধান। এখানের প্রত্যেকটা আয়াতের ব্যাখ্যা থাকতে হবে। যারা কোরআন চর্চা করেন তারা জানেন প্রত্যেকটা আয়াতের পেছনে একটা ব্যাখ্যা ছিলো, যেগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা কোরআনে দেয়া নেই, আছে হাদিসে, বিভিন্ন সাহাবীদের বইতে। কিন্তু ব্যাখ্যাগুলো ক'জনের কান পর্যন্ত পৌঁছেছে আজ পর্যন্ত? এই দুটো আয়াত নাজিলের ব্যাখ্যা না দিয়ে যদি কেবল মাত্র আয়াত দুটো ব্যবহার করা হয়, তবে খুব সহজেই কিছু মানুষকে জঙ্গি বানানো যায়, যা ধর্ম ব্যবসায়ীরা করে থাকে, এর ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি।
এই আয়াত গুলো যদি দুই কলম ধরা মানুষদের দেখিয়ে পথ ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে ভুল কি হবে? কোরআন এর পজেটিভ সৌহার্দ্য  সম্প্রীতির কথা আমরা তুলবো না, কারন, বলা হয় চোরায় না শোনে ধর্মের কাহিনী, আসলে চোরায় না শোনে সুধর্মের কাহিনী। জিজ্ঞেস করতে পারে কেউ, যারা নির্মম ভাবে খুন হলো তারা কিভাবে কোন দিকে আমাদের শত্রু ছিলো? টেরোরিস্টদের কাছে পৃথিবীর সব বিধর্মীরা ই শত্রু। তাদের প্রাণপ্রিয় আফগানিস্তানে আজ হামলা হলো তো কাল ইরাক। সারা পৃথিবীতে তারা পরিত্যক্ত, ঘৃণিত। তো তারা তো সবাইকে শত্রু ভাবে। আর সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোতে তারা কাকে শত্রু ভাবছেনা সেটাই বিবেচ্য। তারা যে শুধুমাত্র রাজনীতির কারনেই ধর্মটাকে ব্যবহার করছে তা আমরা মুসলিমদের উপর হামলাতেই স্পষ্ট বুঝতে পারছি। তাদের উদ্দেশ্য যেটাই হোক তারা অস্ত্র কিন্তু বানাচ্ছে কোরআন কেই। তাদের রাজনীতি সাধারণ জঙ্গিদের বোঝার কথা না।
উপরের ব্লগারের সাথে এবার সদ্য টেরোরিস্টদের ঘিলু এক করুন, দেখুন কিছু মিল পান কিনা। এই মানসিকতার ব্লগার বা আইডি আপনার ফেসবুক কিংবা সোশ্যাল আইডিতে ঢু দিলে পাবেন শত শত, যারা বৃদ্ধ রাজাকারের মৃত্যুতে আহা উহু করছে, নিষ্পাপ কিউট জঙ্গি গুলো কেন জঙ্গি হইলো কেঁদে কেটে লাইক কামাইতেছে।

হয়তো অমিল:----
ছোটবেলায় মাকে খুব প্রশ্ন করে করে জ্বালাতাম। একটা কথা মনে পড়ে, জিজ্ঞেস করেছিলাম মাকে আল্লাহ্ কোথা থেকে আসলো? উত্তরে আম্মা বললো আল্লাহ্ কোথা থেকে আসলো, আল্লাহ না থাকলে কি হতো এসব প্রশ্ন নাকি কখনো মনে আনতে নেই! অনেকটা জোর করে দরজা বন্ধ করে দেবার মতো হলো মনের অবস্থা। আমরা যেন সবাইই তোতা পাখির মতো ইসলাম চর্চা করি, কিছু না জেনে না বুঝে। প্রশ্ন ছাড়াই।
বহুবছর পর ইন্ডিয়ান একটা বিজ্ঞাপন আমার ছোটবেলা ফিরে এলো। বাজারের মধ্যে বাচ্চা ছেলে মাকে নানা প্রশ্ন করতে করতে হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো, আগার ভগবান না হোতা তো কেয়া হোতা?
বাজারের সব্বাই বিষ্ময় নিয়ে বাচ্চাটার দিকে তাকালো। তার মা তখন হাসিমুখে ছেলেকে বোঝালো, আগার ভগবান না হোতা তো তোমহারা এ আইসক্রিম কাহা সে আতা? হাম কেয়া খাতা? তোমহারা মাম্মি কাহাছে আতা? হাও কিউট না?
বলার উদ্দেশ্য একটাই, জানুন, সঠিকটা জানুন, জানান; যাতে কেউ ভুলটা না জানে।
জিসান ভাইয়ার গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি এড করছি ... জঙ্গি দমনে করণীয় ...

0 Shares

৫৭টি মন্তব্য

  • আজিম

    একাত্তরে যুদ্ধাপরাধীরা যা করেছে, তা কোনো বিপ্লব নয়। কারন তারা তো মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে যতটা না লড়েছে, তারচেয়ে বেশি করেছে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর পদলেহন। অসহায় মানুষ খুন করা, মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করা কোনো বিপ্লব মোটেই নয়। ভাল বলেছেন, পীরের বাদশা।

    • শুন্য শুন্যালয়

      আজিম ভাইয়া, এক মন্তব্যে লিখেছিলাম, আমার এক জুনিয়ার ডাক্তার ভাইকে পাকিস্থানী এক ডাক্তার মেয়ে প্রশ্ন করেছে, তারা নাকি ছোটবেলা থেকেই নিজামী, গোলাম আজম এদের বিরত্বের গল্প শুনে এসেছে, আমরা তাদের কেন ফাঁসি দিচ্ছি? আফসোস ভাইয়া যে, এই মেন্টালিটি আমাদের দেশেও কেউ কেউ ধারন করে আছে, সেই ১৯৭১ থেকেই, একই প্রজন্মের তারা।

  • অনিকেত নন্দিনী

    সবার আগে জরুরি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সঠিক জ্ঞান রাখা, তবেই না আমরা অন্যদের প্রশ্নের উত্তরের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবো। আমরা একটুখানি জেনেই পণ্ডিত বনে যাই। যে ধর্মই হোক না কেন, মূল বক্তব্য বা উদ্দেশ্য একটাই – মানবজাতিকে অন্যায় ও পাপাচার থেকে দূরে রাখা।
    বিদায় হজ্বে মুহাম্মদ(সা) বলেছেন, “ধর্মে কোন জোর জবরদস্তি নাই”। আই এস ইসলাম ধর্মের নামে যা করছে ইসলাম কি আদতে এগুলি সমর্থন করে?
    পাকিস্তানের চাটুকার আর পা লেহনকারীরা ভেবে দেখুক তারা কোন দিকে যাবে।

    • শুন্য শুন্যালয়

      আইএস যে শুধুমাত্র রাজনীতির চাকায় চলছে, এইটা জ্ঞানবুদ্ধির একজন সুস্থ মানুষই বুঝতে পারার কথা, অথচ এই ছোট ছোট ছেলেগুলোকে তা কে বোঝাবে? এদের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে, নইলে কি করে তারা বলে আমরা বেহেস্তে যাচ্ছি, তোমাদের সাথে সেখানে দেখা হবে!! যারা ধর্মের জ্ঞান রাখে, তারাই তো তাদের কাজ সঠিকভাবে করছে না।
      আর পাকিস্থানের পা চাটকদের সংখ্যা এত এত বেশি দেখে সত্যিই আতংকিত হচ্ছি।

  • লীলাবতী

    সুরা বাকারার আয়াত দুটো তো ভয়াবহ। এই সুরা নাজেলের প্রেক্ষপট সঠিকভাবে না বুঝালে উগ্র মুসলিমদের বিভ্রান্তিতে ফেলা যাবে।
    কুরআন শরীফের ব্যাখ্যার সাথে সাথে সুরা নাজেল হওয়ার প্রেক্ষপট অর্থাৎ শানে নযুল বর্ননা করা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন।
    ছুটির পরে এমন গুরুত্বউর্ন একটি পোষ্ট নিয়ে এলেন 🙂

    • শুন্য শুন্যালয়

      হ্যাঁ এরকম আয়াত আরো অনেক আছে। এখানে আয়াত উল্লেখ করার আমার একটাই উদ্যেশ্য ছিল, যেটা আপনি বলে দিয়েছেন, শুধুমাত্র কোরআন নয়, তার পাশাপাশি প্রত্যেক আয়াতের ব্যখ্যা জানা জরুরি। যারা ইসলাম চর্চা করেন, এই কাজটা তাদেরই করা উচিৎ। কিন্তু তারাও ১০ টা ভালো কথা বলে সাথে জুড়ে দেন, ইসলামে জিহাদের কথা উল্লেখ আছে। তাহলে?
      হুম, ভারী হয়ে গেছে পোস্ট। এরপরে দিমুনে আকাশে উড়াইন্যা। কেমন আছেন ভত্তাবতী। ঈদের একটা শুভেচ্ছাও তো পাইলাম না। 🙁 ঈদ মুবারক -{@

  • ইঞ্জা

    বেশ গঠনমূলক পোষ্ট, আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় যখন ওই কুত্তার বাচ্চারা আমাদের মা বোনদের ছিড়ে কুড়ে খাচ্ছিলো তখন তো নিজেদের অনেক কিছুই ভেবে রেখেছিল কিন্তু আল্লাহর বিচার পাল্লাই পাল্লা আজ সেই সব কুত্তাদের ঠেনে হিচড়ে আমরা নিয়ে যাচ্ছি দড়িতে ঝুলানোর জন্য যা এদের প্রাপ্যের কমই হচ্ছে বলে আমি মনে করি। কুরআন সুন্নাহর আয়াতকে ভুলভাবে যারা উপস্থাপিত করে আমাদের সন্তানদের যারা ভুল বুঝিয়ে জঙ্গি বানাচ্ছে তারা হয়ত ভুলে যাচ্ছে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান আর আমাদের পিতাদের রক্তই আমাদের দেহে বইছে, উনারা যে অস্ত্র জমা দিয়েছে সেই অস্ত্রই আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ধরতে কিঞ্চিৎ সময় লাগবেনা।

    ধন্যবাদ আপনার এই সমসাময়িক লেখাটির জন্য।

  • মেহেরী তাজ

    জানতে হলে ব্যাখ্যা সব ভালো করে জানা দরকার! তা না হলে উপকারের চেয়ে অপকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি!
    আমি মনে হয় আপনার এমন লেখা প্রথম পড়লাম!
    ফিরেছেন দেখে স্বস্তি পেলাম আপু!
    আছেন কেমন? ঈদ মোবারক…. 🙂

  • নীলাঞ্জনা নীলা

    “কে বলে ‘যাও যাও’
    আমার যাওয়া তো নয় যাওয়া।”——-শুন্য আপু গানটা সত্যি করে দিলে আবার ফিরে এসে। রবীন্দ্রনাথ কি জানতো এমন একটা গান উনি লিখেছেন, যা শুন্য আপুর যাওয়া আর ফিরে আসার সাথে মিলে যাবে?

    “আমার যেমন যাওয়া তেমনি আসা।
    ভোরের আলোয় আমার তারা হোক-না হারা,
    আবার জ্বলবে সাঁজে আঁধার-মাঝে তারি নীরব চাওয়া।”

    এমনভাবে আসার মানে যদি এই পোষ্ট হয় বহু বহুদিন অপেক্ষা করতে পারবো। এরা টেরোরিষ্ট, এদের কোনো পরিবার নেই, দেশ নেই। একটাই ধর্ম তাদের হত্যা করা। সে যে কোনো জাতি-ধর্মই হোক না কেন। কলুর বলদকে চোখে ঠুলি পড়িয়ে দেয়া হয়, এসব কম বয়সীদেরকে সেভাবেই ঠুলি পড়ে দেয়া হয় ধর্মের নামে। ব্যস তারা বলে বেহেস্তে দেখা হবে। আমি বেহেস্ত-দোজখ মানিনা। মরার পর কি হবে, না হবে সে খবর রাখতেও চাইনা। আসলে আপু আমাদের সন্তানেরা শুধু বই পড়ে বই হয়ে গেছে, কিন্তু তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি হচ্ছেনা। সার্টিফিকেট পাচ্ছে আর আমরা বাবা-মায়েরা আনন্দ করছি, গর্ব করছি। তাদের জ্ঞানের খবর নিচ্ছি না। আমাদের পারিবারিক শিক্ষাব্যবস্থাই সবচেয়ে দূর্বল। আর সেসবেরই সুযোগ নিচ্ছে ওসব জঙ্গীবাদী দলগুলো। এছাড়া সন্তানেরা যে স্কুল-কলেজে যায় সেখানে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি চলে, আমাদের সময়ের শিক্ষকেরা আজ আর কোথায়?

    তবু আশা করি একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। একসময়ের রাজাকারদের শাস্তি হচ্ছে, পাপ যে বাপকেও ছাড়েনা এটাই তো তার প্রমাণ। পাপ-পূণ্যর হিসেব সব এই মাটিতেই, কোনো স্বর্গ কিংবা নরকে না। যেদিন সবাই এটা বুঝবে, তখন অবশ্যই শান্তি আসবে।

    আপু ফিরে এসেছো, ভালো লাগছে খুউব -{@ (3

    • শুন্য শুন্যালয়

      আবার ফিরে এসে কি বলছো তুমি? 😮 কি ভেবেছিলে আসবো না? এতো সহজ? আমার বাড়িঘর কখনোই অন্যের দখলে যেতে দেবনা বুঝলে তুমি?
      খুব সুন্দর মন্তব্য করেছ, ঠিক ঠিক কথা গুলোই। পাপ-পূন্যের হিসেব সব এই মাটিতেই, এটা বুঝতে পারলেই শুধু শান্তি আসা সম্ভব। কতখানি সামাজিক অবক্ষয় হয়েছ ভাবতে পারো? কি করে এত ছোট ছোট ছেলেগুলো নির্বিচারে মানুষ খুন করছে। শিক্ষা, সমাজ, পরিবার সবকিছুতেই দুর্বলতা।
      তবে সত্যি একদিন সবিকছু ঠিক হয়ে যাবে, এই বিশ্বাস আছে আপু।
      এই মন্তব্য লিখছি, আমার ছেলে পাশে এসে হুট করে আমাকে কি প্রশ্ন করলো জানো? why do people make war movies? war is not good.

      • নীলাঞ্জনা নীলা

        আমি কি কই আর আমার সারিন্দায় কি বাজায়! 🙁 ^:^
        তুমি যদি আসতে আরোও দেরী করতে, কিছুই করার থাকতো না। কিন্তু ভালো লাগতো না।
        এখন এসেছো, গানটা গাও তো—
        “আজি এসেছি
        আজি এসেছি, এসেছি বঁধু হে, নিয়ে এই হাসি-রূপ-গান।
        আজি আমার যা কিছু আছে,এনেছি তোমার কাছে,
        তোমায় করিতে সব দান।” https://www.youtube.com/watch?v=nHtiuXLR4_g

        আপু আমাদেরই তো সন্তান, কিছু ভালো তো ওদের মধ্যে গেছে, তাই না? অনেক আদর দিও ওকে। আমার লক্ষ্মী ছেলেটার জন্য। -{@ (3

  • ছাইরাছ হেলাল

    রাষ্ট্রের সক্ষমতা (State capability)
    জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতা (Responsiveness)
    জবাবদিহিতা (Accountability)

    (কোথাও পড়েছিলাম হয়ত, আপনার লেখার সাথে যায় কীনা তা না বুঝে
    ও না জেনেই লিখলাম!)

    বিষবৃক্ষের বিশালতা একদিনে তৈরি হয় না,

    ভাল কথা, আপনার হেভি পোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে অনেক সাহস সঞ্চয় করে বুঝলাম
    লেখা কোন ব্যাপার না, কিন্তু মন্তব্য ম্যাটারস!!

    • শুন্য শুন্যালয়

      পোস্ট হেভী কিনা বুঝতেছিনা, তবে মন্তব্য সত্যিই কঠিন। তিনটি পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ন এবং অবশ্যই মেলে। একটু একটু। করে সিম্বল দিয়ে সব ঘটেছে, কিন্তু রাষ্ট্র ছিল উদাসীন। ফ্যামিলি টাইট বন্ডেজ গুরুত্বপূর্ন, তবে এই টেকনোলজির সময়ে তা দুরূহও বটে। মন্তব্য অবশ্যই ম্যাটারস তবে আপনার জন্যে না 🙂

      • ছাইরাছ হেলাল

        যাক, পাষান ভার নেমে গেল, আপনার লেখার সাথে সমন্বয় করে মন্তব্য দিতে পেরেছি,
        হেভি ওয়েটদের হেভি লেখায়,

        দেখুন ফ্যামিলি বন্ডিংটাই প্রধানতম অবলম্বন শিশুটির পারিবারিক জীবনে, যেখানে একটি শিশু দিনে দিনে
        সজীব নিশ্বাস নিয়ে বাঁচতে শেখে,
        প্রযুক্তি বাধা নয় তেমন ভাবে, যদি অভিভাবকেরা চোখ-কান একটু খুলে রাখেন।

        নূতন লেখা কই?
        এক লেখা আর ক’দিন পড়াবেন!

  • মৌনতা রিতু

    মানুষ একটা ধর্মের মধ্যে না থাকলেও কিন্তু সে মানুষ থাকে না। সব ধর্মের মূল কথা কিন্তু মানবতা। আমরা সবাই বিশ্বাষ করি মৃত্যুর পরে অবশ্যই ভালমন্দের বিচারের সম্মুখিন ততোমাকে হতেই হবে। আমরা আমাদের সন্তানদের অবশ্যই শিখানো উচিৎ সব কিছুরহিসেব দিতে হবে। এবং মানবতার বিরুদ্ধে গেলে আছে কঠিন শাস্তি। ধর্মে কোনো জোর চলে না এটাও জানাতে হবে। সব ধর্মই আমাদের সহপাঠি এটা ওদের শিখাতে হবে। আমি বলি, তোমাদের আমি আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে এনেছি। তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ট দান। সন্তানদের ভুল ব্যাখ্যা কখনোই দেওয়া যাবে না। আডার বাচ্চার বাবা অসুস্থতকর জন্য রোজা করতে না পারলে এই ব্যাখ্যাও সন্তানকে দিতে হবে। অসুস্তথার জন্য আল্লাহ সব কিছুই মাফ করেন। এমন মানুষও আমি দেখেছি নিজেদের মধ্যেই, যারা বোরখা পরে তারা মনে করে এরাই শুধু বেহেস্তে যাবে। অথচ দৈনন্দিন কাজজে তারা বড়ই রুক্ষ।
    হ্যাঁ, যে যে কাজটি করে সে সেই কাজের পিছনে একটা যুক্তি দাঁড় করায়। নাস্তিক যে তারও একটা কিন্তু যুক্তি আছে। মিরজাফরের ও কিন্তগ একটক যুক্তি ছিল। ক্ষমতার জন্য অনেকেই অনেক কিছু করেছে। আমরা ইিতিহাস ঘাটলে দেখতে পাই, চেঙ্গিস খাঁন মহান বিখ্যাত একজন বীর ছিলেন অথচ তার মতো মানুষ হত্যা কয়জনই করেছে ! আলেকজান্ডার আর এখ বিশ্ববিখ্যাত বীর। ইতিহাস এদের করেছে হিরো। যদি তাই হিটলার কেন খলনায়ক ?আসলে প্রশ্ন অনেক যুক্তি একটাই মানুষকে ভালবাস।
    দারুন লিখলেন।

    • শুন্য শুন্যালয়

      আপু শুধু বোরখা পরলে তারাই বেহেস্তে যাবে শুধু না, আপনি ভাবতেই পারবেন না তারা বিদেশে এসে ধর্ম নিয়ে কত ভুলভাল ধারনা শেয়ার করে বিধর্মীদের কাছে। ইচ্ছে আছে এসব নিয়ে লেখার। সত্যিই তাই, সবার আগে মানুষকে ভালোবাস। অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য দিয়েছেন আপু।
      -{@

  • জিসান শা ইকরাম

    যে কোন কিছুরই সম্পুর্ন উপস্থাপন না করে খন্ডিত উপস্থাপন চরম ভুল বোঝাবুঝির ঝুঁকিতে ফেলে।
    একটি গল্পে এটি বুঝিয়ে দেই, এক দুষ্ট লোক গ্রামে রটিয়ে দিল- মসজিদের ঈমাম তাকে মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে নিষেধ করেছেন। বলছেন ‘ আপনি আর মসজিদে নামাজ পড়তে আসবেন না।’ এই কথা শুনে গ্রামের সবাই ইমামের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে যে আপনি কি এই লোককে মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে নিষেধ করেছেন? উত্তরে ঈমাম সাহেব বলেন যে হ্যাঁ। আর যায় কোথায়, পিটাতে পিটাতে ঈমাম সাহেবকে গ্রাম ছাড়া করা হলো।
    আসল ঘটনা হলো, ঐদিন ঐ দুষ্ট লোক ফজরের নামাজ পড়ার পরে ঈমাম সাহেবকে বলে, হুজুর আমি রাতে স্ত্রী সহবাস করেছি, ওয়াক্ত চলে যায় যায় তাই গোছল করা হয়নি, আমার নামাজ কবুল হবে কি? উত্তরে হুজ্র বলেন ” সহবাস করে গোছল না করে আপনি আর মসজিদে নামাজ পড়তে আসবেন না। ” দুষ্ট লোকটি ঈমাম সাহেবের বলা কথা থেকে ” সহবাস করে গোছল না করে ” — এই অংশ টুকু বাদ দিয়ে প্রচার করেছে, আর আম পাবলিক কোনো কিছু বিচার বিবেচনা না করে তাতেই বিশ্বাস এনে ঈমাম সাহেবকে ধোলাই দিয়েছে।

    অত্যন্ত মূল্যবান, যুক্তিপুর্ন একটি পোষ্ট দিলেন। ধর্ম ব্যাবসায়ীরা কোরআন এবং হাদিসের কিছু আয়াত, কথা কে আংশিক পাঠ করে মানসিক ভাবে দুর্বল মানুষদের বিভ্রান্ত করে। মানুষের অজানার সুযোগ নেয়। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, কেউ যদি বিশ্বাসের সুযোগ নেয়, তেমন কিছু করারও থাকেনা সরল ধর্মপ্রান মানুষদের।

    • শুন্য শুন্যালয়

      দারুন বলেছেন ভাইয়া। অসম্পূর্ন উপস্থাপন যেমন চরম ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে, তেমনি অনুবাদকরা এখন দাড়ি কমা পাল্টে ফেলে নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করছে। তোমরা মানুষ হত্যা করো। তোমরা মানুষ হত্যা করো? দেখুন আকাশ-পাতালের তফাৎ। আমার ভাবতে অবাক লাগছে, এরা এতটা বিশ্বাস কিভাবে আনছে তাদের উপর। মাওলানা মাসঊদ সাহেবের বক্তব্যটা দেখেছেন? কালেরকণ্ঠে পড়লাম আজ, উনি খুব ভালো লিখেছেন।
      http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2016/07/10/379057 পড়ে দেখতে পারেন না পড়ে থাকলে।
      ঈদ কেমন কাটলো জিসু ভাউ? 🙂

    • শুন্য শুন্যালয়

      আরে আরে ঘটনা কি, শিষ্য আর ওস্তাদ একসাথে কম্মে দিয়া আইলো? চোখে লবণ পানি দিয়া দেখেন, তয় গান গাওন কিন্তু মানা, আমার এ দুটি চোখ পাথড় তো নয়, তবু কেন ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় 🙂
      কেমন আছেন জ্ঞানী? ঈদ মুবারক। -{@

      • ব্লগার সজীব

        ওস্তাদ আছে যেখানে শিষ্য আছে সেখানে, এ আর নতুন কি? 🙂 আচ্ছা গান গাওয়া মানা।
        ভাল আছি আপু, তবে আমি আবার গিয়ানি হইলাম কবে? আপনি কেমন আছেন? ঈদ মোবারক -{@ আপু আপনি মোবারক না লিখে মুবারক কেন লেখেন? আগের কালে গ্রামের নারীরা স্বামীর নাম মুখে আনতো না, ভাইয়ার নামের সাথে মোবারক নেই তো? :p

      • শুন্য শুন্যালয়

        আমিতো আগে মোবারকই লিখতাম, লীলা যে একবার লিখলো মুবারক সেই থাইক্কা মুবারক আর মোবারক মামা সব গুলায় গ্যাছে। লীলুর জামাই এর নাম মনে হয় মোবারক :p
        সজু কবে জ্ঞানী আর প্রতিভাবান না আবার? একটাই পিস যার কোথাও কোন শাখা নেই। 🙂

      • শুন্য শুন্যালয়

        তা তোর শিষ্যের ব্যাপার তুই আমার চেয়ে ভালো বুঝবি, কিছুই অসম্ভব না। সোনেলা সব পিচ্চি ভূতে ভরে গেলো।

      • ব্লগার সজীব

        ওস্তাদ ডুব দেই মাঝে মাঝে, বুঝতে চাই কেউ আমাকে সোনেলায় মিস করে কিনা। বুঝলাম সোনেলায় কেউ আমাকে মিস করেনা, এমনকি ওস্তাদেও না 🙁 মিস করলে আমার নামে পোষ্ট হতো 🙁 আশাহত হলাম আমি।

      • শুন্য শুন্যালয়

        কি দিন কাল আইলো, কেউ কাউরে মিস করেনা, পোস্ট লিখেনা। ডুব দিয়া মুক্তা তুলা এনে ঘুষ দিন। দূর্নিতিতে সব ভইরা গেছে। আমি কিন্তু আপনারে মিস করি সজু ভাউ, আপনার পোস্ট না পাইলেই কেমন বেচেইন লাগে, সত্যি কিন্তুক।

      • মেহেরী তাজ

        না শিষ্য ভুলি নাই। আমার একটা উদ্ভট ব্যাপার বুঝি না, আমি কারর নামে পোষ্ট রেডি করতে নিলেই সে এসে হাজির হয়ে যায় তাই পোষ্ট টা আর দেওয়া হয় না!

        আশাহত হবার কারন নাই! খালি লুকায়ে থাকলেই তাকে নিয়ে পোষ্ট দেওয়া যায়???, চোখের সামনে থাকলেও পোষ্ট দেওয়া যায়……. 🙂

  • নাসির সারওয়ার

    বেশ বেশ, ছুটিতে বসে সহজ ভাষায় অনেক শক্ত পোক্ত পোস্টের রসদ তো ভালোই জমিয়েছেন দেখছি! ব্লগার সজীব এর একটু পরিশ্রম বেড়ে গেলো রেডিমেট কমেন্ট এর জন্য।

    আমরা দিনে দিনে প্রজুক্তির কাছে বেশী বেশী ধর্না দিচ্ছি এবং তা অবশ্যই সঠিক তথ্যের জন্য। তবে সব ওয়েব সাইটেই যে সব সঠিক তথ্য থাকবে, তা কিন্তু নয়। এর মধ্যে “scholar.google.com” কিছুটা ব্যতিক্রম মনে হয়।

    জানুন, জানান।

    • শুন্য শুন্যালয়

      হা হা ঠিক, ব্লগার সজীব বেশ আলসে টাইপের হয়েছে, এখন একটু পরিশ্রম করে খাক। তাও ভালো, অইখান থাইক্কা মন্তব্য এনে দেন নাই :p
      আমিতো এই স্কলার.কম এর কথা জানতামই না আগে। কতকিছু জানার বাকি রইলো, না জাইনাই একদিন ফুটুস।
      ধন্যবাদ সহকারে ঈদের শুভেচ্ছা রইলো। কিন্তু কবিতা কবে পাচ্ছি? নিদেন পক্ষে ঈদে কি খাইলেন তাই-ই না হয় লেখেন।

      • শুন্য শুন্যালয়

        আরে সব্বোনাশ, এই জন্যেই তো বলি আমাদের লেখা বুঝতে আপনার এত কষ্ট কেনু হয়। সংস্কৃতের লোকে কি আর বাংলা বোঝে?
        দামের কথা কিছু একটা কইলেন মনে হইলো, কি জামানা আইলো বন্ধুত্বের কি কোনই দাম নাই? এইখানেও পয়সা। দামের কথা শুনেই দাঁত নড়ছে, periodontal disease এইবার না হইলেই বাঁচি। যাক, এলোকেশির রহস্য জানতে পারলাম আজ। না মানে, এই লেখা দিলেও চলবে এখানে, পয়সা নাই কিনে পড়ার। 🙁

      • নাসির সারওয়ার

        আরে না, কিযে বলেন। এইসব বেঁচেইতো খাচ্ছি। বিনে পয়সায় কি ভাত পাওয়া যায়!
        এক কাজ করুন, চলে আসুন আমাদের দন্ত খানায়। শাড়াশী দিয়ে সব ফেলে দিয়ে ( সাথে কিন্তু কংকালটাও যেতে পারে) নতুন করে লোহার দন্ত লাগিয়ে দেবে। সেই দন্তে কোন রোগ হবেনা আপনার এই ইহো জনমে।।। এই কম্যটি একদম ফ্রি আপনার জন্য।।।।

      • শুন্য শুন্যালয়

        এইটা কিছু হইলো? না হয় দুইবেলা ভাতের জায়গায় পোলাউ আমিই দাওয়াত দিয়ে খাইয়ে দিতাম, তাই বইলা পয়সার কোন ছাড় নাই? আর এইসব কি বলছেন? কামার বাড়ি থেকে লোহা পেটাপেটি শিখে দাঁতের উপর কাজে লাগাচ্ছেন নাকি? দাঁতের বাড়ির লোকের কি আর হার্ট, পেটের কোন রোগ হইবেনা? অপেক্ষায় আমিও থাকলাম, ফ্রি তো ফ্রি, জন্মেও হার্টে রোগজীবানু, মানুষজন কেউ ঢুকতে পারবেনা, এই গ্যারান্টি দিলাম।

  • আবু খায়ের আনিছ

    আয়াতগুলো হবে ১৯৪ এবং ২১৭।
    কোরআন এ এমন আরো কিছু আয়াত আছে, যেগুলোর ব্যাখ্যা ছাড়া পড়লে ভুল পথে পরিচালিত হওয়ার অনেক সুযোগ আছে। গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ