ji 4_38914

'' রমজান মাসে নামাজ পড়ার অপরাধে ইমানদার মুসল্লী গ্রেফতার ''
ধরুন প্রথম আলোতে এই শিরোনামের একটি সংবাদ পরিবেশিত হলো। আপনি নিশ্চয়ই আশা করবেননা যে বাংলাদেশের মুসলমানগণ এই ধরনের শিরোনাম যুক্ত খবরে শান্তি পাবেন? খুশী হবেন?
কোন শ্রেনীর লোকজন এই শিরোনাম চাইতে পারে? যারা ধর্মকে বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করেছে অত্যন্ত কুটিলতার সাথে- জামাত শিবির রাজাকাররা এমন খবর এবং ঘটনার জন্য ওৎ পেতে থাকে। এরা বিভিন্ন সময়ে এমন ঘটনা যাতে সৃষ্টি হয় তার ইন্ধন দিয়ে থাকে।অনলাইনে জামাত নিয়োজিত কিছু নাস্তিক, কিছু বাম মানুষ এদেরকে এ ধরনের প্রচারনায় সহায়তা করে। অন্যরা এদের এই প্রচারনায় অগ্র পশ্চাত না ভেবে অতি আবেগের বশে এদের প্রচারনায় ঘি ঢেলে দেয়।
এমন শিরোনাম যুক্ত খবর প্রথম আলোতে বিশাল হেড লাইনে আসতে পারতো, যদি বাংলাদেশের পতাকার উপরে নামাজ পড়া লোকটিকে পতাকা অবমাননার অপরাধে গ্রেফতার করা হতো।

বিশ্লেষনঃ
আচ্ছা যিনি ফটোটি তুলেছেন, তিনি নামাজ পড়ার পরে ঐ লোকটিকে কিছু বলেননি?ফটো যিনি তুলেছেন তিনি মুক্তিযোদ্ধা বা আওয়ামী লীগের কেউ না হবার সম্ভাবনা খুব বেশী। এদের মাথা খুব গরম থাকে। পতাকার অবমাননা হলে ফটো আসতো - নামাজের পরে ঐ লোকটাকে পিটিয়ে গাল মাথা ফুলিয়ে ফেলার। নিখুঁত ভাবে ফটো তুলে তা আপলোডের দিকে যেতেন না।
নামাজের পরে ঐ লোকটাকে পাকড়াও করা যেতো। এই চেষ্টা কি ফটো তোলক করেছেন? নাকি ঐ লোকটা গার্ড নিয়ে অস্ত্র প্রহড়ায় নামাজ পড়ছিলেন? ' একটি ফটো তুলতে হবে এবং সেটি আপলোড করতে হবে '- এই সুক্ষ্ণ এবং চিকন বুদ্ধি একমাত্র জামাতের হতে পারে। যারা কুকুরের গলায় কুরআন শরিফ ঝুলিয়ে তার ফটো দিয়ে প্রচার করে যে এটি লীগের কাজ।
বীর পুরুষেরা ব্লগার অভিজিৎ এর রক্তমাখা স্ত্রীর সাহায্যের চিৎকারের ফটো তুলতে পারে, কিন্তু সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে পারেনা, নিরব দর্শকের মত ঘটনা দেখে।

জাতীয় পতাকার অবমাননা একটি গর্হিত অপরাধ অবশ্যই।তবে পরিবেশ,অবস্থা অনেকসময় বিবেচনা করতেও হবে। লাল সবুজের একটি পতাকাকে-
* ইচ্ছে করে আক্রোশ বশত ছিড়ে ফেলা অবশ্যই অপরাধ
* ইচ্ছে করে পতাকাকে অসম্মান করা উদ্দেশ্যে পায়ের নীচে পিষ্ট করা বা লাথি মারা অবশ্যই অপরাধ।
এখানে ইচ্ছেটাই হচ্ছে পতাকার অসম্মান,যা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না।

কিন্তু একটি লোক নিরুপায় হয়ে নামাজ পড়ার জন্য জাতীয় পতাকা বিছিয়ে নামাজ পড়েছেন। এখানে তার ইচ্ছে পতাকাকে অসম্মান নয়।তার ইচ্ছে নামাজ পড়া। সেটিকে আমরা দেখি। একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে এতটা গুরুত্ব না দিলেও আমরা পারি। যারা ভাবছেন এরপর হতে জাতীয় পতাকা জায়নামাজ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, তারা ঠিক ভাবছেন না।এমনটা হবে না। এই ঘটনার পরে শতর্ক থাকবে সবাই।

এরপরে যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে, তবে অনুরোধঃ নামাজ পড়া অবস্থায় তার ফটো তুলে আপলোড করা নয়, নামাজের পরে পাতাকা অবমাননার জন্য তার রক্তাক্ত বা নিদেন পক্ষে কিল ঘুষিতে ফোলা মুখের ফটো তুলে তা আপলোড করুন। তবেই বুঝবো আপনি বীর--
11214123_956591954404717_190142346044335789_n

** বাংলাদেশ দক্ষিন আফ্রিকা ক্রিকেট খেলার সময় চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ ষ্টেডিয়ামে তোলা এই ফটোটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে খুব।

জাতীয় পতাকা আমাদের অহংকার। এই পতাকা ব্যবহারে সচেতন হোন।
জাতীয় পতাকা তৈরি ও পতাকার মাপ
জাতীয় পতাকা ব্যবহারের বিস্তারিত  নিয়ম
জাতীয় পতাকা বিধি

0 Shares

৩৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ