বাড়ীর পাশে দিল্লি আর সেই দিল্লি শহরের এক বসতি এলাকায় তের বছরের কেবলমাত্র এক কিশোরী , লজ্জায় মুখ ঢেকে আছে, আছে গুটিসুটি মেরে । যন্ত্রনায় মুখ কুঁচকে গেছে, চোখে ভয়াবহ শুন্যতা ।
কিন্তু কেন?
মাত্র সাত বছর বয়সের শিশু যখন সে, তখন থেকেই তার উপর উপনীত হত তার জন্মদাতা । তার মায়ের জ্ঞাতসারেই হত এসব । মহিলা নিশ্চুপ ছিলেন গত ছয়টি বছর ধরে, হয়ত আরও চুপ থাকতেন ।কেননা জীবন এবং জীবিকা দুটোই তখন এক দৌত্যের হাতে কারারুদ্ধ । গত ছয় বছর ধরে চলে এই পাশবিক নির্যাতন । ফল স্বরূপ দুবার গর্ভবতী হয় মেয়েটি এবং দুবারই গর্ভপাত করানো হয়। শেষতক স্কুলে আসা একদল এনজিও কর্মীর , শিশু নির্যাতনের রিসার্চ কাজের সময় প্রকাশ হয়ে যায়।
জানিনা কি বলব আমি, কি বলা যায় ? না আমি কিছু বলব না, আমার চিন্তা শক্তি কাজ করে না আর। শুধু ভাবি, আমার বা আমাদের অনেকের পিতা কি তবে দেবদূত ছিলেন ? সেই ২০০০ সনে, পরম শ্রদ্ধেয় আব্বু চলে গেছেন অজানায়। সেই থেকে এমন কোনদিন দিন নেই , যেদিন তাকে মনে পড়ে না, তার উদ্দেশ্যে দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি না। আজো হাযারও জনের সামনে তার সন্তান, তার আত্মজ পরিচয় দিতে গর্ব অনুভব করি। কেননা আমি মানুষের সন্তান । পশুর চাইতে অধম কোন অমানুষের নয়।পিতার হাতে নিরাপদ নয় কন্যা ; তাহলে কি ঈশ্বরের হাতে নিরাপদ ?
কে আছে আমাকে জবাব দেবেন ? আমরা কি তবে ফিরে যাচ্ছি, হাটছি উল্টপথে ?
১৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
এমনটি আসলে বিচ্ছিন্ন ঘটনা
কিছু অসুস্থ এবং সাইকো শ্রেনীর জীব এমনটা করতে পারে,যা স্বাভাবিক না।
যেমন পাকিস্থানে এক নরপশু ছিল,সে মৃত নারীদের কবর কবরে গিয়ে উপনীত হতো।
পারভীন সুলতানা
আপনি সম্ভবতঃ কোনরূপ তথ্য না জেনেই আবেগের বসে এমন ভাবছেন। আসলে তা নয় । আমি লিখছি , পড়ুন । জানতে পারবেন।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এরা আসলে সাইকো! অস্বাভাবিক তাদের জীবনযাত্রা।
পারভীন সুলতানা
খুব স্বাভাবিক জীবন যাত্রার আরালে এমন কত কিছু ঘটছে, উপাত্ত দিয়ে প্রমান করার সময় হয়ে গেছে।
রণবীর
এরা পুরুষ মানুষ কখনোই নয় । আপনার প্রতিটি লেখা হৃদয় ছুঁয়ে যায় সাথে অজানা আশংকায় বুক কেঁপে ওঠে । সামনে কি ভয়ংকর সময় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে । পরিবারের মা কে এই ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী সচেতন এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে
পারভীন সুলতানা
খুউব খুশি হলাম যে অন্ততঃ একজন বুঝতে পেরেছেন, কেন আমি এসব লিখছি । আমাদের মা বাবাদের আরও অনেক বেশি সচেতন করার জন্যই এ লেখা। ধন্যবাদ
অনিকেত নন্দিনী
এমন বেশ কিছু ব্যাপার দেখেছি, শুনেছি। ঘৃণায় মুচড়ে ওঠে শরীর। এরা কেমন পিতা? নিজেরই সন্তান। কেমন করে পারে এমনটি করতে?
পারভীন সুলতানা
পারে , মানুষের মাঝে সবচাইতে কুৎসিত পশু লুকিয়ে থাকে । আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই আছে । শিক্ষা এবং পারিবারিক আচার আচরনে পশুত্ব বিসর্জন দিয়ে মানুষ রুপে আত্ম প্রকাশ করি।
সঞ্জয় কুমার
লেখা চালিয়ে যান অনেক অজানা কে জানছি আপনার লেখনির মাধ্যমে ।
ছোট্ট পরীর মত দেবশিশুর উপর যাদের আদিম কামনা জাগ্রত হয় তাঁরা আসলে কি ধরনের মানুষ ????
শিশ্ন থাকলেই পুরুষ হওয়া যায় না ।
এসব অমানুষ পশুরা মানুষ হোক । ভালো থাকুক আমাদের ছোট্ট শিশুরা
পারভীন সুলতানা
আমাদের শিশুদের ভাল রাখবার জন্য এখনি উদ্যোগ নিতে হবে, বারাতে হবে সচেতনা
ছাইরাছ হেলাল
নিগ্রহের অনেক দিক ক্রমান্বয়ে প্রকাশ পাচ্ছে। যা নিরবে চলে আসছে অনেক অনেক আগে থেকেই মানব সমাজে।
আপনি লিখুন। আমরা আরও জানব।
পারভীন সুলতানা
সত্যিকার ঘটনা নিয়ে লিখছি, লিখছি আমার ব্যাক্তি অভিজ্ঞতা থেকে, যাতে আপ্নারা সচেতন হন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপা আপনার লেখা পড়ার পর গা শিরশিরিয়ে ওঠে। বাবা মানে মেয়েদের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়। যদি কোনো পুরুষকে কোনো মেয়ে বিশ্বাস করে, সে হলো বাবা। সেই বাবা কিনা…!!!
পারভীন সুলতানা
বিচিত্র এই পৃথিবী , তার চেয়েও বিচিত্র মানুষ এবং মানুষের আচরণ এবং তার মন। উপরন্তু কুশিক্ষা, অশিক্ষা আমাদের সমাজকে একেবারে শেষ করে দিচ্ছে । আমরা ভাল ছেড়ে মন্দকেই আকড়ে ধরছি ।
স্বপ্ন
এমন অবস্থা কল্পনায়ও আসেনা আপু।
পারভীন সুলতানা
আসে আসে , কতটুকু আর আমরা জানি । আমাদের চারপাশে এর থেকেও জঘন্য কিছু ঘটছে , যা আমরা খালি চোখে কমই দেখি ।