অফিসে কাজ করছি, হঠাৎ মনে এলো মৃত্যুর কথা। ওয়াকারটার দিকে চাইলাম। যে সময় থেকে উঠে এসেছি আজ, এমন এক্সিডেন্টে আজ পর্যন্ত কেউ বাঁচেনি। হয় মৃত্যু, নয়তো একেবারেই পঙ্গু এবং অবশ্যই ব্রেন ডেমেজ। কেন বাঁচলাম? তার মানে এই পৃথিবীতে এখনও আমার প্রয়োজন আছে। আসলেই আছে, আমি না থাকলে বাপি-মামনিকে কে দেখতো? ঈশ্বর তো একজনকে উছিলা হিসেবে পাঠায়। আমি হয়তো সেই জন, নইলে বাঁচার কথা না। এক হাত দূরত্ত্বে, ৩৫ কি.মি স্পীডে বিশাল বড়ো একটা ভ্যান, এ কি করে সম্ভব! যদি মরে যেতাম মাঝে-মধ্যে কেউ কেউ মনে করতো। কেউ বলতো ঠিক হয়েছে এর এমনই হওয়া উচিৎ ছিলো। আর কেউ কেউ বলতো, আহারে বড়ো ভালো ছিলো মেয়েটা! আর বেঁচে আছি এখন ভালো-খারাপ বলার চেয়ে এড়িয়ে গিয়ে কতো কতো মানুষ কতো রকমের যে সমালোচনা করে, কে জানে! মৃত্যু নাকি শয়তান মানুষকেও পূণ্যবান বানিয়ে দেয়? বিশ্বাস করি না। তাহলে রাজাকারদের মৃত্যুতে কেন এতো আনন্দ পাই? এই যে জঙ্গী ছেলেগুলো মরছে, পরিবার লাশ নিতে আসছে না। কেন বলি ঠিক হয়েছে? ওদের এমনই শাস্তি পাওয়া উচিৎ? তবে কিছু কিছু মৃত্যু জীবনে দাগ কাটে। ফেসবুকে কয়েকটি স্থির আইডি আছে, আমি যাদের রিমোভ করিনি। অনেকেই বলে এসব মৃত আইডি। কিন্তু আমি বলি মানুষ মরে যেতে পারে, কিন্তু আইডির মৃত্যু নেই।
সুমনা মেহরুণ ঃ-
ক্ষণজন্মা সুমনা মেহরুণ, অসম্ভব প্রতিভাধর মেয়েটি লাশ হয়ে গেলো। আমি ওকে প্রায়ই চিঠি লিখি, বিশেষ করে ফাগুণে আর ওর জন্মদিনে। কি জানি চিঠি কি যায় ওর কাছে? কতো গল্প হতো সুমনার সাথে। আমি জীবনানন্দ নিয়ে থিসিস করার সুযোগ পেলাম, ওর সে যে কি আনন্দ! আমায় বইয়ের নাম পাঠানো, ঢাবি'র(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) কোন শিক্ষক এ ব্যাপারে সাহায্য করবেন তাঁদের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়া। তারপর বাসার ঠিকানা চাওয়া আমায় বই পাঠিয়ে দেবে। না দেখা, না ছোঁয়া, সরাসরি কথা না বলা মেয়েটি এতো আন্তরিক হতে পারে! মৃত্যুর একদিন আগে কথা হলো। সুমনা দারুণ লিখতো মেয়েটি। যেমন ইংরেজীতে, তেমনি বাংলায়। ওর প্রতিটি কবিতা আমার খুব প্রিয়। একটি কবিতা দিচ্ছি।
মা
সাইফ ভূঁইয়া ঃ-
সাইফ দাদা হাসি-খুশী মানুষটি হঠাৎ শুনি নেই। শুনেছিলাম খুব অসুস্থ উনি। দাদা আমার এমন কোনো লেখা নেই যা পড়তেন না। মন্তব্য করতেন। মাঝে-মধ্যে ইনবক্সে লিখতেন, "ও দিদিভাই কি করিস রে?" আমিও লিখতাম দাদা কিছুই না, খই যে ভাঁজবো ধানও নেই। কি করি বলো তো? হাসির সাইন দিতেন। বলতো, "এই পাগলী তুই মন ভালো করে দিস।" দাদাকে মনে হয়নি কখনো দূরের কেউ। একদিন হঠাৎ এসে লিখলেন ইনবক্সে "দিদি রে কাউকে বলিনি, তোকে একটা কথা বললে বকবি না তো?" বললাম বকবো না, বলো। শরীর খারাপ নাকি? "দিদিভাই লিভারের অবস্থা ভালো না। বছরখানেক ধরে চিকিৎসা করাচ্ছি। সৌদি আরব থেকে এখন ব্যাংককে এলাম।" তারপর আর ম্যাসেজ নেই, শুনলাম সব শেষ। সাইফ দাদা খুব ভালো ডক্যুমেন্টারি লিখতেন। উনি প্রথম আলো ব্লগে ব্লগিং করতেন। গুটিকয়েক কবিতা লিখেছিলেন আর দু'/তিনটি গল্প। এ জীবনে কখনোই আর দেখা হবেনা সাইফ দাদা আর সুমনার সাথে।
এলোমেলো কথা আজ খুব বেশী মন খারাপ করিয়ে দিচ্ছে, তাই না? এই সপ্তাহে লং উইকএন্ড এখানে। লং উইকএন্ড মানে উৎসব। আমার অফিসের সকলেই প্ল্যান করে নিয়েছে কে কোথায় যাবে! এরা লং উইকএন্ড বলে কথা না, এমনি উইকএন্ড এলেও বেড়ানোর প্ল্যান করে। ফিজিওথেরাপির রিসিপসনিষ্ট শেলী সে সাত দিনের ট্যুরে বাইরে গেছে। ফরেষ্ট কটেজে যাবে থাকবে। মাছ ধরবে, স্যুইমিং করবে। আমার ফিজিওথেরাপিষ্ট তার স্ত্রীকে নিয়ে লং ড্রাইভে যাবে, বাচ্চা দুটোও থাকবে সাথে। যাক অফিসে আমাদের নার্সিং ম্যানেজার মিশেলকে জিজ্ঞাসা করলাম কোথাও যাচ্ছো? বললো, "না নীলা! বাসায় বসে অফিসের কাজ করতে হবে। অনকলে থাকবো। কয়েক সপ্তাহ পর ভ্যাকেশনে যাবো।" মিশেল ছাড়া প্রায় সকলেই বেড়াতে যাচ্ছে। যেমন, ডেব্রাহ, ক্যাথি, মার্শা, স্টেফানি, এনা, পামেলা এবং আরোও অনেকে। সবাই জানে আমার কোথাও যাওয়া নেই, হ্যামিল্টনকে "ফলস সিটি" বলা হয়। এতো এতো জলপ্রপাত বলার মতো নয়। কতো প্ল্যান ছিলো এই সামার নিয়ে। প্ল্যান পূরণ হলো না বলে আফসোস নেই, বরং অন্যকিছু করার চিন্তা মাথায় এসেছে। শনিবার সারাদিন জ্যাকসন স্কয়ারে ঘোরাঘুরি। ফুড কোর্টে নয়তো হাক্কা চায়েনিজ রেষ্টুরেন্টে গিয়ে চিলি চিকেন+নান খাওয়া বিকেলের দিকে। রবিবার বে ফন্ট পার্কে ইন্টারনেশনাল ফুড ফেস্টিভ্যাল+মিউজিক, সেখানে যাওয়া। সোমবার বাসায় রান্না। আলু-পনির দম, সর্ষেবাটা দিয়ে পাবদা মাছ ভাঁপে, আলু-ফুলকপি ভাঁজি, ঘন মুসুর ডাল মুলা দিয়ে, পালং শাকের ভর্তা। কি জিহবায় জল এসেছে? যদি জল এসে থাকে ভালো করে নজর দিতে থাকুন, নজর দিলে রান্না আরোও সুস্বাদু হয়, জানেন নাকি?
ভাগ্যিস বেঁচে আছি। মরে গেলেও ক্ষতি হতোনা। ডোনেশন করা এই বডির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজে লেগে যেতো তাড়াতাড়ি। স্পেশ্যাল এই হেলথ কার্ডের একটা গুণ কারো মৃত্যুতেই হা-হুতাশ থাকেনা। আমার সুপারভাইজার লিয়া সেদিন বললো, "নীলা তোমার শত্রু কে জানো? তোমার ওই হাসি।" কারণ লিয়া দেখেছে কেউ আমায় অপছন্দ করে অনেক সমালোচনা করলেও হাসি। কেউ আমায় পছন্দ করে ভালো কিছু বললেও সেই একই রকম হাসি দেই। তার মানে আমার কষ্ট নেই? আছে তো! কষ্ট একটাই, হাসি আমায় কম বয়সেই বুড়ী করে দিয়েছে গালে বলিরেখা ফেলে। চল্লিশের পর যেখানে বলিরেখা পড়ে, সেখানে আমার ক্লাশ ফোরেই পড়েছে। এ কি কম দুঃখের!!!
ফুলেল ভালোবাসা সকলের জন্যে---------
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৯ জুলাই, ২০১৬ ইং।
৩০টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
নীলাপু মন যেমন খারাপ করেছিলে আবার ভালোও করে দিয়েছ। বলিরেখা যদি তোমার হাসির সাক্ষি হয় তো মন্দ কি। অন্তত আয়না বলবে মুখ গোমড়া করলে রেখা স্পষ্ট দেখবে, হাসো মেয়ে হাসো। রেখা দিয়েই রেখা ঢেকে রাখা!
সুমনার কবিতাটা ভীষণ ভালো লাগলো। আপু মৃত্যুর আগে যেমন এক মানূষ সবার কাছেই এক একরকম মৃত্যুর পরেও তাই, এ নিয়ে এতো ভেবোনা। সত্যিকারের কেউ একজন মনে রাখলেই অনেক পাওয়া হয়।
অবশ্যই তোমার অনেককিছু করার আছে। আমাদের করার আছে। তুমি ভাগ্যবান বলেই সেটা বুঝতে পেরেছ, জানোতো ধাক্কা না খেলে আমাদের চোখ খোলেনা।
অনেকদিন পরে লিখলে এলোমেলো কিছু কথা। তোমাকেও ফুলের শুভেচ্ছা। রান্নার লোভ দেখানো খুব খারাপ। পেটে তোমার পিলে হবে, কুরকুষ্টী মুখে..
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু আমি গোমড়া করে রাখলেও বলিরেখা ঢাকেনা। 🙁 ;(
দাও দাও আরোও অভিশাপ, রান্না দিয়ে ছবি দেবো আর আঙুল চেটে যে খাচ্ছি সেটাও। 😀
অনেকদিন পর আমার লেখায় প্রথম মন্তব্য এলো তোমার থেকে। এলোমেলো মন প্রজাপতি হলো। -{@
ছাইরাছ হেলাল
মৃত্যুকে সবাই এত্ত কাছে থেকে দেখে না, দেখলেও এমন করে অনুভুতির প্রকাশ সবার হয় না।
পৃথিবীতে আমাদের সত্যি সত্যি কতটুকু প্রয়োজন তা আমরা সব সময় পুরোপুরি বুঝিও না,
তবুও ঈশ্বরের কৃপায় আমরা বাঁচি, আমাদের বাঁচান।
সুমনার কবিতা পড়লে ভয় লাগে,
তাঁর আরও লেখা আপনার কাছে থাকলে এখানে দিয়ে দিবেন, একটু পড়তে চাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
সুমনা কয়েকটি কবিতা আমাকে ই-মেইলে পাঠিয়েছিলো। নতূন লিখলেই পাঠিয়ে দিতো। সেখানেই কয়েকটি লেখা আছে, তারই একটা দিচ্ছি।
অকালবোধন——সুমনা মেহরুণ
প্রতিক্ষিত কন্ঠ আচ্ছন্ন করে রাখে সারা বেলা …
তুমি থাকলে জন্মান্তর ও আছে..
খানা খন্দ ভরা পথ পেরিয়ে রাধা থেমে যায় হঠাত,
আঁধার উদ্ভাসিত হয় বিদ্দুত চমকে
সেই নীলচে আলোর ঝলকে
থেমে যায় অকালবোধনের আয়োজন !
মেঘ গুঁড় গুঁড় বৃষ্টি সকাল কে কি বেঁধে রাখবে?
পলকহীন দৃষ্টি …..কোথায় তুমি..
পাখির গান ,ঠান্ডা বাতাস,নরম আলো
কোনো কিছুই সঙ্গী হয়নি,তুমিও না
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতেও পারিনা অভিমানে
মোহ আর আশার বৃত্তে যাপন করছে
গোটা একটা জীবন…
কন্ঠ তুমি রবিরশ্মি হও ,হও আলোকবর্তিকা
এইবার কন্ঠ তুমি আমার হও!
ইকরাম মাহমুদ
নীলা আপু, আমাদের জীবনে এমন কিছু মানুষ তাদের ছায়া ফেলে রেখে যায় যা কখনো আঁধারেও হারায় না,ঢাকাও পড়ে না কখনো। হাসিখুশি মানুষগুলো এত অল্প সময় নিয়ে কেনো আসে? কেনো দুঃখের জয়জয়কার সবখানে। কবে হাসির জয়োধ্বনি শুনব? কবে শুনব হাসিকে রেখে দুঃখরা সব পালিয়েছে? কবে শুনব, দুঃখরা সব ঘর ছেড়েছে?
নীলাঞ্জনা নীলা
দুঃখ বলে কিছু নেই পৃথিবীতে। আমরা যা চাই, তা না পেলেই কেন ভাবি সেটাকে দুঃখ?
না-পাওয়ার মাঝে কতো পাওয়া আছে। তার হিসেব করলেই কিন্তু দুঃখ বলে কিছু নেই।
সত্যি বলতে কি এই যে বেঁচে থাকে, পৃথিবীর রঙ-রূপ-সৌন্দর্য মেখে এটাই সবচেয়ে সুখের।
ভালো থেকে ভালো রাখুন সকলকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মৃত্যুকে নিয়ে এত গভীর অনুভুতি….সত্যিই নীলাঞ্জনা বলে কথা।আর হাসি হচ্ছে বেচে থাকার প্রেরনা। (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই কান্না আমার নেই। খুব সত্যি কিন্তু। হুম এই হাসিটুকু আমায় সবসময় জড়িয়ে থাকে।
এও জানি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ঈশ্বর আমায় এই হাসিটুকু দিয়ে সাজিয়ে রাখবেন।
ভালো থাকুন মনির ভাই। -{@
আবু খায়ের আনিছ
দিদি, ইশ্বর তোমায় শতবর্ষ বাচিঁয়ে রাখুন এই প্রার্থনা করি।
হাসি হচ্ছে একমাত্র মোক্ষম অস্ত্র যা যে কোন পরিস্থিতে উপযুক্ত জবাব হয়ে যায়।
মৃত্যুর কথা মনে হলে অনেক মানুষের কথাই মনে পড়ে। কত মানুষ চলে গিয়েছে জীবন থেকে চির বিদায় নিয়ে। শুধু মাত্র ঢাকার তিন বছরের জীবনেই সবচেয়ে কাছের অনেক মানুষকে হারিয়েছি। শেষ দেখাটাও দেখতে পারিনি এই মানুষগুলোকে।
ইশ্বর সবাইকে সবোচ্চ সম্মান দান করুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাই আমি কি আপনার শত্রু? শতবর্ষ বাঁচবো কোমড় বেঁকিয়ে, বুড়ী হয়ে আর অসুস্থ থেকে, এটা তো অভিশাপ হয়ে গেলো। 🙁 ;(
আবু খায়ের আনিছ
কি বলো আপু, শত্রু হতে যাব কেন? তুমি শতর্বষ বাচঁবে সুস্থ, সবল হয়েই। অভিশাপ দিব বোন কে, এ যে আমার পাপ হবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাই আমি সবাইকে এই কথা বলি সবসময় ঈশ্বর যেনো সবাইকে সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখে, যতোদিনই বাঁচুক না কেন! দীর্ঘায়ূ পাবার চেয়ে সুস্থতার প্রয়োজন খুব বেশী, সে জন্যই।
ভালো থাকুন আনিছ ভাই।
ইঞ্জা
প্রথমেই বিষাদ হলো মন যাদেরকে দেখিনি তাদের জন্য মন কাঁদলো, উনাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
খাবার দাবারের করহা শুনলে আমার আবার হুশ থাকেনা, জরুরী ভাবে রেসেপি লিখার দাবী জানাচ্ছি।
ভালো থাকুন আপু, সুস্থ ও সবল থাকুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
রেসিপি অবশ্যই দেবো, আগে তো রান্না করে নেই। 🙂
আপনিও ভালো থাকুন ইঞ্জা।
জিসান শা ইকরাম
তোমার দুজন প্রিয় মানুষের কথা জানলাম,
দুজনের একজন মেহেরুন, আমার সাথে এড ছিলেন ফেইসবুকে, খুবই ভাল একটি মেয়ে, ভাল লিখতেন, সামাজিক ছিলেন,
অথচ অসময়ে অস্বাভাবিক ভাবে চলে গেলেন তিনি, এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারিনা।
দুজনের আত্মার শান্তি কামনা করি।
বুড়ি হও আর যাই হও,
মনে থাকবে তোমার সজীবতা, জানি আমি।
পালটে যাবে না তুমি।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা পালটে যাবো না মানে? হনুফা বেগমের সাথে সই পাতিয়ে নেই, তারপর দেখো বদল কাকে বলে! 😀
তবে হাসি ছাড়া যেনো একদিনও না বাঁচি, এই আশীর্বাদ করো।
ভালো থেকো নানা। -{@
মৌনতা রিতু
তোমার একান্ত অনুভূতিগুলো সবসময়ই আমাকে নাড়া দিয়ে যায়। এই পোষ্টটি হৃদয় ছুঁয়ে এফোঁড় ও ফোঁড় হয়ে গেল। জীবনের ঋণ শোধ না হলে নাকি জীবন ফুরিয়ে যায় না।
এই যে প্রিয় মানুষগুলো আমাদের চারপাশে, এরা আমাদেরই হাসি, কান্নার সংগি। অনেক কথা আজ তোমায় বলতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু কলম নড়ছে না। শব্দ ধরা দিচ্ছে না। আজ যেন আমিও এলোমেলো হলাম। তোমার ভালবাসা পেতে এখনো অনেক বাকি তাই তুমি এতো কাছে।
ভাল থেকো আপু। অনেক অনেক, এত্তো এত্তো আদর নিও।
-{@
ইলিয়াস মাসুদ
কিছু কিছু মানুষ হয় এমন সত্যি
কখোনও দেখিনি জীবনের খুব বেশি সময় ও হয়ত দেয়া হয়নি অথচ সেই মানুষ গুলোর বিচ্ছেদেই বুঝা যায় তারা আমার কতটা প্রিয় ছিল ………
গভীর মমতায় লিখেছেন লেখাটা…।।
ভাল থাকুক প্রিয় মানুশ গুলো যেখানেই থাকুক
ইলিয়াস মাসুদ
কিছু কিছু মানুষ হয় এমন সত্যি
কখোনও দেখিনি জীবনের খুব বেশি সময় ও হয়ত দেয়া হয়নি অথচ সেই মানুষ গুলোর বিচ্ছেদেই বুঝা যায় তারা আমার কতটা প্রিয় ছিল ………
গভীর মমতায় লিখেছেন লেখাটা…।।
ভাল থাকুক প্রিয় মানু্ষ গুলো যেখানেই থাকুক
নীলাঞ্জনা নীলা
মৌনতা আপু আমি ভালোবাসতেই জানিনা। বুঝেছো?
এত্তো আদর পেয়ে কি যে ভালো লাগছে! \|/
ভালো রেখো আপু। -{@
মিষ্টি জিন
মেহরুন , সাইফদাদা যেখানেই থাকুন না কেন ভাল থাকুন ..
কি হবে এত ভেবে ? হাসুন আপু বেশী বেশী করে হাসুন .. বলীরেখা পরলে সমস্যা নাই .. এন্টিরিংকেল কৃম আছে না.. 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক বলেছেন এন্টি-রিঙ্কল ক্রীম আছে, বলিরেখা পড়লে পড়ুক।
মডেলিং করবো, কি বলেন মিষ্টি জিন আপু? 😀
মিষ্টি জিন
ঠীক তাই আপু..
ধন্যবাদ. 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
মজা পেলাম কিন্তু। 😀
ইলিয়াস মাসুদ
কিছু কিছু মানুষ হয় এমন সত্যি
কখোনও দেখিনি জীবনের খুব বেশি সময় ও হয়ত দেয়া হয়নি অথচ সেই মানুষ গুলোর বিচ্ছেদেই বুঝা যায় তারা আমার কতটা প্রিয় ছিল ………
গভীর মমতায় লিখেছেন লেখাটা…।।
ভাল থাকুক প্রিয় মানুষ গুলো যেখানেই থাকুক
দুঃখিত মন্তব্য ভুল করে ভুল ঘরে চলে যাওয়াতে…।। ^:^
নীলাঞ্জনা নীলা
ইলিয়াস ভাই জীবনটা খুব ছোট, তখনই মনে আসে যখন দেখি অনেকেই নেই এ জীবনে। শুধু জীবনে কেন, পৃথিবীর কোথাও নেই।
কিন্তু বেঁচে থাকতে হলে সামনের দিকেই চলতে হবে। অতীতকে জীবনের সাথে মেলাই না আমি। যে চলে গেছে পৃথিবীতে সে থাকলেও তাকে ফিরিয়ে আনিনা। আর যে একেবারেই নেই সে স্মৃতিতেই থাকে।
আমি শুধু আজকে নিয়েই বাঁচি। হাসি, আনন্দ করি। এইমাত্র ছোট একটা বোন ফোন দিলো বললো, “দিদি তোমার হাসিটা আমার মন ভালো করে দেয়।” 😀
আরে ভুল করে ভুল ঘরে মন্তব্য দিয়েছেন কোথায়? আমার ঘরেই মন্তব্য পড়েছে, ভুল ঘরে তো না! 😀
নাসির সারওয়ার
পরকালে সবারই যেতে হবে। তবে কাছ থেকে ফেরায় থমকে যেতে কিন্তু বারণ নাই।
ভালো মানুষদেরই টেনে এনেছেন লেখায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক বলেছেন পরকালে আমাদের সকলেরই যেতে হবে। তবু এ কথা জেনেও মানুষ কেন যে এতো রূঢ় ব্যবহার করে! সেটাই জানা হলোনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ঈশ্বরের কাছেও কৃতজ্ঞতা, তিনি আমায় ভালো মানুষের সাথেই বেশী মিশিয়েছেন।
মেহেরী তাজ
সুমনা নামের মেয়েদের মধ্যে কি সব সময় এমন মায়া মায়া ব্যাপার থাকে?
আপু লিয়া কিন্তু ভুল বলে নি। আপনি সারাক্ষণ হাসতে থাকেন। কেনো গো আপনার কোন কষ্ট নাই…….?
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু কষ্ট থাকবে না কেন? কিন্তু একটা জিনিস আমার মধ্যে আছে, যেমন যাতে কষ্ট পাওয়া যায় তাকে এড়িয়ে যাও। আমার অনেক বন্ধুদের কষ্টের আধিক্য থেকে সরিয়ে আনতে পেরেছি। এক ভাবী আছেন এখানে উনার অনেক সমস্যা আমায় শেয়ার করতেন। উনাকে সবসময় বলতাম যে ব্যাপারটা বেশী পোড়ায়, তাকে পাত্তা কম দিতে। সেদিন উনি বললেন এখন আর সেভাবে মন খারাপ করেন না। আমি খুব তাড়াতাড়ি যে কোনো ব্যাপার(যা আমাকে জ্বালায়) তার থেকে move on করতে পারি। তাই কষ্ট বেশীক্ষণ থাকেনা। 😀
সুমনা নামের মেয়েরা মায়াময়ী হয়। জানিনা কেন!
অনেক অনেক ভালো থাকুন আপু। -{@ (3
তা লেখা কোথায়?